E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান

২০১৬ মার্চ ১৯ ১৩:৫৩:১৪
বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে ইঞ্জনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ চত্বরে আয়োজিত বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গত কয়েক বছর নজিরবিহীন দমননীতির কারণে বিএনপির ৫০২ নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। অপহৃত হয়েছেন ২২৩ জন। গুরুতর আহত হয়েছেন প্রায় ৪০০০ নেতাকর্মী। জেল খেটেছেন ৭৫ হাজার জন। মামলা দায়ের হয়েছে ২৪ হাজার। আসামি করা হয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে।

সরকার ভিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, সম্প্রতি মিথ্যা মামলায় ৫০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জেলে আটক রাখা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, প্রাক্তন মন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে।

‘এছাড়া দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, একুশে টিভির প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ ভিন্নমতের আরও অনেককে’।

বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ চরম সংকটের মুখে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার ভ্রান্ত তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। প্রকৃতপক্ষে অর্থনীতি এখন অন্তঃসারশূন্য। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সীমাহীন জালিয়াতি, লুণ্ঠন, শেয়ার বাজার লুট, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ৮ কোটি টাকা চুরি ও বুথ থেকে টাকা লুটের ঘটনা পুরো জাতিকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

বাংলাদেশের মানবাধিকার আজ চরমভাবে লঙ্ঘিত অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ড, গুম ও খুন এখন নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা। বিনা বিচারে দীর্ঘ দিন ধরে আটক রাখা এখন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনাসহ অন্যান্য লোমহর্ষক ঘটনা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থাকে নিঃশেষ করে দিয়েছে।

চলমান পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বিএনপিকে সংগঠিত করতে হবে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, নিজেদের মধ্যে সংহতি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধকে আরও অনেক উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যে আন্দোলনের কথা বলছি, তার কর্মকৌশল হবে সংগঠন-আন্দোলন-নির্বাচন। এই জন্য দলের মধ্যে সরকারের অনুপ্রবেশকারিদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।

কাউন্সিলে উপস্থিত আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউছুফ, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, মো. শাহজাহান, রুহুল কবির রিজভী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, হারুন অর রশিদ, গোলাম আকাবর খন্দকার, আসাদুল হাবিব দুলু, অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, নাজিমুদ্দিন আলম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

জোট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত আছেন, জামায়াতের মাওলানা আব্দুল হালিম, এলডিপির ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, ড. রেদওয়ান আহমেদ, শাহদাৎ হোসেন সেলিম, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, খন্দকার লুৎফর রহমান, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, এম এম আমিনুর রহমান, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপির খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মো. ওয়াক্কাস, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আব্দুল কাদের ও জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার।

বিদেশি অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত আছেন, যুক্তরাজ্যের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সংসদ সদস্য সাইমন ড্যান্সজুক, বিল বেনিয়ান, যুক্তরাষ্ট্রের সিকাগো শহরের কাউন্সিলর জোসেফ এ মোরী প্রমুখ।

(ওএস/এএস/মার্চ ১৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test