E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘উন্নয়নের নামে সরকার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে’

২০১৬ এপ্রিল ১২ ১৪:৫৯:০৬
‘উন্নয়নের নামে সরকার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে’

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে উন্নয়নের নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে সরকার। তিনি বলেন, ‘এবার মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির যে কথা বলা হচ্ছে সেটা বাংলাদেশের সার্বিক কল্যাণের সূচক নয়। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির কারণে এটা হয়েছে।’

চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ব ব্যাংক বলছে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হবে। সরকার চাপ প্রয়োগ করে এ রিপোর্ট প্রকাশ করতে বাধ্য করছে। এখানে বিষয়টি পরিষ্কার যে সরকারের দাবি মিথ্যা।’

‘জনগণকে বিভ্রান্ত করে ক্ষমতায় টিকে থাকাই সরকারের উদ্দেশ্য’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার এ পরিসংখ্যানের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান- পরিসংখ্যানের চমকে বিভ্রান্ত হবেন না। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে এবারই দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ৭ শতাংশের ঘরে যাবে। এ দাবি সঠিক নয়। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিলো ৭.০৬ শতাংশ। পরিসংখ্যান ব্যুরো অনেকটা তাড়াহুড়ো করে এই হিসেবটি প্রকাশ করেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশে বাংলাদেশের বিশাল অংকের পুঁজি পাচার হচ্ছে। পুঁজি পাচার জাতীয় অর্থনীতিকে রক্তশূন্য করে ফেলছে। সরকার রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বাড়িয়ে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ ঘাটতি পূরণের কৌশল নিয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী মাথাপিছু আয় গত অর্থবছরের ১৩১৬ ডলার থেকে চলতি অর্থ বছরের ১৪৬৬ মার্কিন ডলারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু আয় ব্যাপক জনগোষ্ঠির প্রকৃত কল্যাণের সূচক নয়। এর জন্য জানা প্রয়োজন আয় বৈষম্যের সূচক। বাংলাদেশে আয় বৈষম্য বাড়ছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জাতীয় আয় নির্ধারণে ভিত্তি বছর পরিবর্তন করার ফলে বর্তমান দলীয় সরকারের আমলে ২০০৯ সালে মাথাপিচু আয় ১২১ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছিলো, যা পরিসংখ্যানগত চমক ছাড়া কিছু নয়। বাস্তবে সাধারণ মানুষের অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। এ কারণেই পরিসংখ্যানের চমকে বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই।’

অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে না। এ কারণে ব্যাংকে অলস টাকা পড়ে আছে। সর্বক্ষেত্রে সন্ত্রাসী, চাদাঁবজি ও সরকারের অব্যবস্থাপনায় দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে না। দেশে বিনিয়োগ না থাকায় দেশের টাকা বাহিরে চলে যাচ্ছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী, ড. ওসমান ফারুক, চৌধুরী আমির খসরু মাহমুদ , সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ১২, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test