শাহজাহান এবং শাহজাহানের স্ত্রী বা আমার প্রেমিকা এবং আমি
| সোনাবীজ অথবা ধুলোবালিছাই |
কোনো এক সময়ে আমার যে-কোনো লেখার প্রথম পাঠিকা ছিল আমার হবু প্রেমিকা। গল্পের নায়িকা কলাপাতারং শাড়ি পরলে হবুকে দেখতাম ঐ রঙের শাড়ি পরছে। কবিতার মেয়ে যখন গালে হাত দিয়ে মোহনীয় ভঙ্গিতে নীলাকাশ দেখতো, আমি দেখতাম আমার হবু প্রেমিকা আমার পড়ার টেবিলের জানালা বরাবর ছাদে গিয়ে প্লাস্টিকের একটা ছোটো চৌকিতে বসে আকাশ দেখছে; আমি তাকে দেখছি কী না সে বার বার আড় চোখে পরখ করতো; কিন্তু আমি বিটকেলি করতাম, ওর দিকে তাকাতাম না। একদিন এসে আমার খাতাপত্র ছিঁড়ে ফেললো, আর কবিতার ডায়েরিটা জানালা দিয়ে নিচে ফেলে দিল। আমি হেসে দিয়ে বললাম, ‘আজকাল কেউ ডায়েরিতে কবিতা পোষে? ওগুলো তো আমার ল্যাপটপে।’ বলে একটা মুচকি হাসি দিতেই বললো, ‘আমি তোর ল্যাপটপ ভেঙে গুঁড়ো করবো, বদমাইশ কোথাকার।’
হবু প্রেমিকা একদিন কনফার্ম্ড প্রেমিকা হলো। কিন্তু কবিতার নারী হয়ে উঠলো তার চক্ষুশূল। বলে, ‘আমি কি তোর কুঁড়েঘরে এসে চুল এলিয়ে বসি?’ আমি বলি, ‘ওটা ফ্যান্টাসি।’ ‘তোর ফ্যান্টাসির নিকুচি করি।’ সে রাগে গজগজ করতে করতে বলে, ‘আর কোনো প্রেমের কবিতা লিখবি না বলে দিলাম। কেন, দেশ নিয়া, শান্তি নিয়া লিখতে পারিস না?’ বছর তিনেক প্রেম করার পর প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেলো। আমার অবয়ব শ্মশ্রুমণ্ডিত হতে থাকলো ধীরে ধীরে; আমি কবিতা লিখতে থাকি। আমার সত্যিকার প্রেমিকা যেভাবে বিগতা হয়েছে, বিগতা হবার পর সে যা যা যে-যেভাবে করে, কবিতায় তাই উঠে আসে আমার অজান্তে। কিন্তু এ কবিতা আমি ছাড়া আর কেউ নেই পড়বার।
আমার দ্বিতীয় বইটাও একটা উপন্যাস ছিল- ‘অন্তরবাসিনী’। আমাদের স্কুলজীবনের পটভূমিকায় লিখা হয়েছে গল্প। আমি তখন বিচ্ছেদকাতর, বেদনাক্রান্ত ব্যাচেলর। কোনোরকমে টিউশনি করে পেট চালাই, ফাঁকে ফাঁকে লিখি। কিন্তু পত্রিকাঅলারা লেখা ছাপেন না। তবে আমি উদ্যম হারাই না, কারণ, আমি আমার দুজন ভক্ত পাঠক পেয়ে গেছি- একজন আমার স্কুলজীবনের ক্লাসমেট শাহজাহান, আরেকজন হলো ওর অর্ধাঙ্গিনী। আমি দুদিন পর পর ১৫-২০ পৃষ্ঠা লিখে ঝকঝকে ছাপায় প্রিন্ট করে সন্ধ্যায় ওর বাসায় চলে যাই। শাহজাহান ওর প্রাইভেট পড়ুয়া এক দঙ্গল ছাত্রছাত্রী ফেলে আমার পাশে এসে বসে। ‘নে, পড় পড়। পরবর্তী আকর্ষণ কী কী আছে শোনা দেখি।’ হাসতে হাসতে শাহজাহান এ কথা বলতো। আমি পড়তাম আর ওরা স্বামী-স্ত্রী তন্ময় হয়ে শুনতো। সবাই নিজের কথাই শুনতে চায় অন্যের মুখে। ভাবী কান খাড়া করে থাকতেন- পারুল বা বীনার সাথে শাহজাহানের কোনো সম্পর্ক সংঘটিত হয়েছিল কিনা তা জানার জন্য। গল্প দ্রুতবেগে এগিয়ে চলে- ওরা দুজন গল্পের ভেতরে ডুবে যায়। কিন্তু এ গল্প শাহজাহানকে নিয়ে নয়, এ হলো স্বয়ং সোনাবীজের রগরগে প্রণয়কাহিনি। স্কুলজীবনে সায়ন্তনির সাথে আমার প্রেম তীব্র হয়েছিল। কাহিনির পরতে পরতে সেই প্রেমের মারাত্মক রসঘন বর্ণনা।
এইসব পাণ্ডুলিপি শাহজাহানের ঘরে ফেলে যাই বরাবরই। উদ্দেশ্য, ওর ছাত্রছাত্রীরা এগুলো পড়ে কী বলে তা জানা। এ ছাত্রছাত্রীদের কোনো লেখকের সাথে কোনোদিন সামনাসামনি কথা বলার সুযোগ হয় নি। আমাকে ওরা অনেক বড় একজন লেখক মনে করে। এটা আমাকে নির্মল আনন্দ দেয়, এবং অহংকারী করে তোলে। আমি কোনো তারকা লেখক নই, সেটা আমার চেয়ে আর কেউ ভালো জানেন না। কিন্তু ওদের কাছ থেকে আমি যা পাচ্ছি, তা থেকে আমার যে আনন্দ হয় তা একজন তারকা লেখকের প্রাপ্তির চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়।
একদিন বাসায় এসে বসতেই ছাত্রছাত্রীরা আমাকে ঘিরে ধরলো। ভাবী এসে মিটিমিটি হাসছেন। ‘ব্যাপার কী?’ জিজ্ঞাসা করি। ওরা বলে, ‘আপনাদের স্কুল লাইফটা খুব ইভেন্টফুল ছিল।’ ‘কে বলেছে?’ ‘এই তো, এই কাগজে পড়লাম।’ বলেই ওরা আমার ‘অন্তরবাসিনী’র পাণ্ডুলিপি বের করে ধরে। ভাবী বলেন, ‘আপনি নাকি খুব ফাজিল আছিলেন স্কুলে?’ ‘ধূর, কী বলছেন এসব?’ ছাত্ররা সমস্বরে বলে ওঠে, ‘আমরা সব জেনেছি। সব জেনেছি।’ ‘আরেন্নাহ, ওসব তো গল্প। বানিয়ে বানিয়ে লেখা।’ ওদেরকে কিছুতেই বোঝানো গেলো না যে, এগুলো সত্যি নয়, বানানো গল্প।
শাহজাহান ওদেরকে ধমক দিয়ে পড়ার ঘরে চলে যেতে বললো। আমি বলি, ‘এসব কি তুই বলেছিস যে গল্পের সব কিছুই সত্য কাহিনি?’ ‘বলার কী আছে, সত্যই তো!’ আমি হেসে বলি, ‘মনে করিস না যে সবই বানিয়ে বলছি, এর অন্তত ১০ ভাগ ঘটনা সত্য।’ শাহজাহানের কণ্ঠস্বর হঠাৎ একটু চড়ে যায়। বলে, ‘তুই কি আমাগো আবাল পাইছস? সায়ন্তনিরে কতোবার জঙ্গলে নিয়া করছস তা কি আমরা জানি না ভাবতেছস?’ আমি ভাবীর সামনে ওর কথায় চরম বিব্রত হই। ওর মুখ খুলে গেলে সেই মুখে আর কিছুই আটকায় না- ভাষার শ্রী তখন আর দেখে কে। বললাম, ‘দোস্ত প্লিজ প্লিজ, মাইন্ড ইয়োর ল্যাঙ্গুয়েজ।’ ‘আরে ফাক ইয়োর ল্যাঙ্গুয়েজ। তুই বনেজঙ্গলে নিয়া মাইয়াগো বাঙ্গি ফাডাবি, আর আমরা কইতে পারুম না, এইডা কুন বালের কতা কইতেছস?’ ভাবী উঠে চলে গেছেন। সুশিক্ষিতা, ভদ্র মহিলা। আমি শাহজাহানকে বলি, ‘স্টুপিডের মতো কথা বলছিস কেন?’ ও ধমকে ওঠে, ‘শাটাপ। সত্য না হইলে এইসব লিখলি ক্যামনে?’ আমি বলি, ‘দোস্ত, শান্ত হ, শান্ত হ। এটা একটা গল্প। গল্পে সুড়সুড়ি না থাকলে কেউ খাবে, তুই-ই বল না? এ গল্পের এক ছটাকও সত্য না, সব বানানো। তুই আমারে চিনস না?’ ‘রাখ তর বালের চিনাচিনি। তরে আমি অনেক আগে থেকেই চিন্যা ফালাইছি।’ সরকারী হাই স্কুলের ইংলিশ টিচার মোঃ শাহজাহান মিয়া রাগে কাঁপতে কাঁপতে ছাত্রছাত্রীদের রুমে চলে যায়। আমি ভাবীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসি।
হাইস্কুলে মেয়েদের সাথে পড়তে থাকা অবস্থায় ক্লাস সিক্সেই আমাদের পোলাপানের ইঁচড় পেকে লোহা হয়ে গিয়েছিল। শাহজাহান আমাদের মধ্যে সবচেয়ে সেয়ানা ছিল, যেমন ছিল সে সবচেয়ে সুদর্শন বালক। ছেলেদের মধ্যে ক্লাসের ফার্স্ট বয় শাহজাহান, মেয়েদের মধ্যে সায়ন্তনি; সায়ন্তনির মেধার চেয়ে রূপের ঝাঁঝ সাতগুণ বেশি ছিল। শাহজাহান কেমন করে যেন সায়ন্তনির প্রেমে পড়ে গেলো। আমি আজকের মতোই তখনও ক্লাসের নিরীহতম ছাত্র ছিলাম, আর ছিলাম ক্লাসের সেকেন্ড বয়। নবম শ্রেণীতে উঠবার পর জানতে পেলাম শাহজাহান ক্রমাগত ‘ছ্যাঁকা’ খেতে খেতে তামা হয়ে গেছে; এটা আবার আমি জানলাম কীভাবে- স্বয়ং সায়ন্তনি একদিন আমার কবিখ্যাতির কথা জানতে পেরে কবিতার খাতাটি দেখতে চাইলে আমি যখন কৃত্রিম অথচ আপাত-সহজাত রাগ প্রকাশের মাধ্যমে কোনো কবিতাই অবৈধ কাউকে দেখানো সম্ভব নয় জানিয়ে আমার ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করছিলাম, তখন আচমকা পুরো ক্লাসের সামনে আমার গালে একটা মস্ত কামড় বসিয়ে সায়ন্তনি বলেছিল, ‘তর কবিতার খ্যাতা পুড়ি।’ তারপর পুরো একবছর সে আমার সাথে কথা বলে নি। ক্লাসের দুষ্টের শিরোমণি ছেলেগুলো আমাকে ‘কাপুরুষ’ বলে খেপাতো, যেহেতু আমি সায়ন্তনির শরীরের কোনো মোক্ষম স্থানে অনুরূপ কোনো দংশন বা মর্দন করি নি। ও আরেকটা কথা, আমি অষ্টম শ্রেণীতে বার্ষিক পরীক্ষায় ফার্স্ট হলাম, শাহজাহান প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়ে পরীক্ষায় স্মরণকালের ভয়াবহতম খারাপ নম্বর পেয়ে অনেক পেছনে চলে গেলে ওর জন্য আমার প্রচুর মায়া হচ্ছিল। এরপর প্রেমের অমোঘ বিধান মতে যা হবার তাই হলো- আমার আর সায়ন্তনির মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য প্রেমের জন্ম হলো। আমরা হাবুডুবু খেতে খেতে অকূল সমুদ্রে ভাসতে লাগলাম। প্রত্যাখ্যাত হয়ে শাহজাহান কী যে যন্ত্রণার মধ্যে ছিল, যারা ভুক্তভোগী কেবল তারাই জানেন।
‘অন্তরবাসিনী’র রসাত্মক প্রেমকাহিনি শুনতে শুনতে শাহজাহান পুড়ে যাচ্ছিল। সায়ন্তনির কথা তুলতেই যেন আগুনে কেরোসিন ঢালার মতো ঘটনা ঘটে গেলো। নিজের আরাধ্য প্রেমিকা ধরা না দিয়ে অন্যের কব্জাগত হলে সেই কাহিনি শুনতে কারই বা সহ্য হয়? শাহজাহানের হৃদয় তো আর পাথরে গড়া নয়।
ঐদিন রাত একটার সময় শাহজাহানের কল পাই। যেন কিছুই হয় নি, এমন ভাবে বলে, ‘কী রে, তুই কই থাকস? বাসায় থেইকা চইলা গেলি ক্যান?’ শাহজাহান আমার ঘনিষ্ঠতম বন্ধু। ও আমার সাথে রাগ করে এমনটা আমি কখনো ভাবি না। কিশোর বয়সের সেই উদ্দাম প্রেম কৈশোরেই নিভে পানি হয়ে গিয়েছিল; তা মনে রেখে রূপবতী স্ত্রীর সামনে এভাবে বিস্ফোরিত হওয়া মোটেই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল না। কিন্তু আমি ওর বাসা থেকে চলে আসার পর হয় ভাবীর ভর্ত্সনায়, অথবা নিজের বিবেকের তাড়নায় শাহজাহান নিজের ভুল বুঝতে সক্ষম হয় এবং আমার সাথে স্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে।
‘তর নভেল শেষ করবি কবে?’ শাহজাহান জানতে চায়।
‘আরও কয়েকদিন লাগবে, কেবল তো মাঝপথে।’ আমি বলি।
‘জলদি শেষ কর। পুরা কাহিনি পড়ার জন্য ছটফট করতেছি।’
আচ্ছা, এই যে আমি প্রায়ই বলে থাকি আমি খুব নিরীহ, গোবেচারা টাইপের মানুষ, কথাটা মনে হয় ঠিক না। মাঝে মাঝে আমার ত্যাঁদড়ামি দেখে আমি নিজেই অবাক হয়ে যাই- এ কাজ কি সত্যিই আমি করেছি, নাকি আমার মগজে ঢুকে পড়া জনৈক বাঁদরের কাজ এগুলো?
তিন দিনের মাথায় বড় একটা অধ্যায় সম্পূর্ণ করে খুশিতে নাচতে নাচতে শাহজাহানের বাসায় উপস্থিত হলাম। ভাবী এসে একটা ভুবনমোহিনী হাসি ছড়িয়ে সামনে দাঁড়ালে মনে হলো, আমি নেই। শাহজাহান স্কুল থেকে ফিরে নি, ওর দুই বাচ্চার ছুটি হবে মনে হয় আরও অনেক পরে। নির্জন দুপুরে একলা ঘরে এই প্রচণ্ড রূপবতী নারী যখন হাসিমুখে আমার থেকে মাত্র ১২ আঙ্গুল দূরে খাটিয়ার উপর পা দুলিয়ে বসে পড়লেন, মনে হলো আমি নেই- না, আমার তখন সর্বাঙ্গ কাঁপছে- ভাবীর মনের গোপন ইচ্ছেটা মনে হয় আমি টের পেয়েছি। ১২ বছরের ক্ষুধার্ত বাঘ সামনে শিকার পেলে শক্তিতে দুর্দমনীয় হয়ে পড়ে। আমি আলগোছে একটা হাত উঠিয়ে ভাবীর শরীরে স্থাপন করবো, এমন সময়ে ভাবী নিজেই একটু এগিয়ে এসে আমার কপালে হাত রাখলেন। ‘এ কী, শরীরে এতো জ্বর কেন?’ বলে বুকের বোতাম খুলে হাত ঢুকিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপলেন। ভাবী জানেন না আমার বুকে তখন কী ঝড়। আমি মোলায়েম ভাবে বাম হাত বাড়িয়ে তার কোমর জড়িয়ে ধরলে ভাবী বলেন, ‘কী বাচ্চা পোলাপানরে বাবা, এতো অল্পতেই ভাইঙ্গা পড়ন লাগে? হাঁইটা আসলেন কেমনে? হ্যাঁ, হ্যাঁ, শক্ত কইরা ধইরা দাঁড়ান। খাটের এই কিনারটায় শুয়ে পড়ুন। আমি বালতি নিয়ে আসছি মাথা ধুয়াইয়া দিতে।’ আমি চিৎ হয়ে সটান শুয়ে আছি। ভাবী আমার মাথায় পানি ঢেলে দিচ্ছেন। শান্ত শরীরের তখন কোনো উত্তাপ বা উত্তেজনা নেই; চোখ দুটো যেন অবশ হয়ে আসছে। আমি যখন সাত-আট বছরের বালক, জ্বর হলে আমার মা এভাবে খাটিয়ায় শুইয়ে আমার মাথায় পানি ঢালতো। আমি অনুভব করলাম, ৩০ বছর আগে মৃত্যুবরণকারিণী আমার মা অদৃশ্য থেকে নেমে এসে আমার মাথায় পানি ঢালছে। ‘হইছে ভাবী, আর না।’ বলেই আমি শোয়া থেকে উঠে পড়ে মাথা মুছে ভাবীকে বলি, ভাবী, আমার মাথায় একটু হাত রাখুন তো। ‘কী হইছে’ বলে ভাবী তার ডান হাতটা আমার মাথায় রেখে আলতো করে চুলে বিলি কাটেন, আমি চোখ বন্ধ করে তার পেটের মধ্যে মাথা লুকোই- দ্রুত ছুটে চলছে এক টগবগে ঘোড়া- দীর্ঘ কদম ফেলে- অনেক দূরের পথ পেরিয়ে নির্জন এক বৃক্ষের তলায় আমার মা জননী মাথা নিচু করে বসে আছে। আমি ৩ বছরের শিশুর মতো লাফ দিয়ে মায়ের কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ি।
ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার সত্যিই জ্বর উঠেছে। ভাবী আর শাহজাহান আমার পাশে বসে কথা বলছে। আমি উঠে বসতেই দুজনে আমার দিকে ফিরে তাকায়। ‘একটা প্যারাসিটামল খাবি?’ শাহজাহান এ কথা বলতে বলতে হাত দিয়ে আমার গায়ের তাপমাত্রা দেখে। আমি এক লাফে খাট থেকে নেমে হড়হড় করে দরজা খুলে নিচে নেমে এসে একটা রিকশা নিয়ে সোজা বাসস্ট্যান্ডে চলে যাই। পেছন থেকে বহুদূর অব্দি শুনতে পেলাম শাহজাহান ডাকছে, ‘আরে ঐ ছ্যামড়া, শোন শোন, এই জ্বরের মধ্যে কেওই এইভাবে যায়?.....’
পাঠকের মতামত:
- হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
- নড়াইলে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন
- প্রেমে ব্যর্থ হয়ে কোটালীপাড়ায় দুই বন্ধুর আত্মহত্যা
- নগরকান্দায় ভ্যানচালকদের মাঝে বিনামূল্যে ছাতা, গেঞ্জি ও গামছা বিতরণ
- কেরু'জ চিনিকলে চাকুরী স্থায়ীকরণে মুক্তিযোদ্ধার কোটা সংরক্ষণ না করায় কর্মরত শ্রমিকদের লিগ্যাল নোটিস
- যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য পাভেল আর নেই
- সাভারে ঘরে ঢুকে পোশাককর্মীকে ধর্ষণ
- ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভালের উদ্বোধন
- শৈলকুপায় ‘কন্দাল ফসলের মেলা’
- জামালপুরে প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক সমাবেশ
- ভূঞাপুরে স্বামী-স্ত্রীকে আটকে রেখে ডাকাতি
- পলাশবাড়ীতে হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ
- ‘ডোনাল্ড লু’র সফর ঘিরে কাদের সাহেবরা অস্থিরতায় ভুগছেন’
- লু’র সফরে প্রাধান্য পাচ্ছে যেসব বিষয়
- ভাঙ্গায় মাদক সেবনের আলামত পাওয়ায় ৪ ট্রাক চালক আটক
- প্রতীক পেয়েই প্রচারনায় প্রার্থীরা
- ২৭ বছর পর র্যাবের হাতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
- ধর্ষণের পর শিশু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
- ক্যান্সারজয়ী ছাত্র পেয়েছে জিপিএ-৫
- গৌরনদীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
- কারেন্ট জালের ফাঁদে প্রাণ হারাচ্ছে শত শত পাখি
- ফরিদপুরে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন
- পাংশায় ধান-চাউল-গম সংগ্রহের উদ্বোধন
- জামালপুরে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা
- বন্দর ব্যবহারে ভারত-ইরান চুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
- জামালপুরে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের নামফলক ভাঙচুর
- টুঙ্গিপাড়ায় ইজিবাইক চালক হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধন
- ‘শ্রম আইন সংশোধনে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হবে’
- ময়মনসিংহে শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন
- রূপপুর পারমাণবিকে আন্তর্জাতিক ‘স্মৃতি উদ্যান’ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত
- চৌদ্দগ্রামে জামাল হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামি আটক
- ‘নিজেদের এজেন্ডা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন ডোনাল্ড লু’
- ‘বাংলাদেশের ওপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে জিসিএফ’
- ঈশ্বরদীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী রানা সরদারের পক্ষে বিশাল শোভাযাত্রা
- চান্দিনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত
- ঈশ্বরদীতে বোরো ধান-চাল-গম সংগ্রহ অভিযান শুরু
- এবার নাগপুরের ব্যবসায়ীদের চোখ বাংলাদেশে
- ১ নম্বর কোয়ালিটির রিয়েলমি সি৬৫ পাওয়া যাচ্ছে দেশজুড়ে
- পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে সর্বক্ষেত্রেই পরিবারের অবদান অপরিসীম
- রাজবাড়ীতে ম্যাজিষ্ট্রেটের স্বাক্ষর নকল করে ভুয়া রায়ের কপি তৈরির অভিযোগ
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: গণতন্ত্র ও উন্নয়নের আন্তঃসম্পর্ক অন্বেষণ
- কাব্য কুহুকের প্রথম প্রযোজনা ‘বৈশাখী আবাহন মা-মাটির জয়গান’
- এইচএসসির ফরম পূরণের সময় আরেক দফা বাড়লো
- চাঁদপুরে বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক, লক্ষ্যমাত্রা পৌনে ৩ লাখ মেট্রিকটন
- নড়াইলে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ভ্যানচালক খুন
- নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১১ জুন
- কুষ্টিয়ায় কুলখানির আয়োজন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হামলা, নিহত ১
- কাজী নজরুল ইসলামের বায়োপিক, কে হচ্ছে নজরুল-রবীন্দ্রনাথ?
- ‘বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে’
- শ্রীনগর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানের জায়গা দখল শিরোনামে সংবাদের বিষয়ে প্রতিবাদ সভা
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !