E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দীপক চন্দ্র পালের কবিতা

২০২৩ ডিসেম্বর ১৫ ১৪:১০:১৩
দীপক চন্দ্র পালের কবিতা








 

বাবু লালের যুদ্ধের চিহ্ন-

সেই কথা আজো মনে পড়ে,সকাল থেকে সন্ধ্যা।
লাশের তাজা রক্তে ভীজে লাল হয়ে,
ছুটেছি জমির আইল ধরে.
মরিনি গুলিতে.বাচাও বাচাও বলে ছুটছে বাবুলাল।
আতংকিত মানুষ,ডাকিল হায়, এই কি হলো,দাড়াও।
একি অবস্থা ,তুমি লাল?
বাবুলাল বলে যুদ্ধ লেগেছে দেশ স্বাধীন হবে।
শত্রু পাক বাহিনী মারছে মানুষ নির্বিচারে।
কালামপুরের সেই খাল পারে-
লাইন করে মারিল গুলি সবারে,
আমি বেচে গেলাম আঠাড় লাশের তলে পড়ে।
তাদের রক্তে ভীজে নীরবে থেকে,
সকাল শেষে সন্ধ্যায় ছুটিলাম বাচার তরে-
গোধুলি আধারে জমির আইল ধরে।
আমি বাচতে চাই,রক্ত ধুয়ে দাও আমায়
আড়ালে নিয়ে।
মারিল ১৮ জনকে গুলি করে
শুধু বাঁচিলাম আমি কেমন করে?
সেই ৭১ এর ভয়াবহ স্মৃতি-
আজো ভেসে উঠে,দেখি আমি,হায়
আজ কত যুগ পেরিয়ে আমি বেঁছে রয়েছি।
করেছি বিয়ে আছে স্ত্রী সন্তান -
পাক সেনাদের বোটের লাঠির সেই চিহ্ন দেখালো গর্ব করে ,
দাঁত নেই,বঁেচ আছি,আজো সেই চিহ্ন নিয়ে।
দেখে মনে হয়,তুমি কি সেই বাবু লাল,আজো বেঁচে আছো ?
যুদ্ধে সময় পাক বর্বর বাহিনীর বোটের লাথিতে পড়ে যায় দাঁত।
সেই চিহ্ন দেখেই তাকালাম,এই বাবু লাল।
ওই দেখো সবুজ লালে আমার অস্তিত্বের স্মৃতি
আজো দেখি,তুমি দেখোনি কোন খেয়ালে।
হে স্বাধীনতা,
তুমি বিজয়ের,সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে শূন্যে বেড়াও কতকাল ধরে।
আর কি দিবে না দেখা-কোকিল ডাকা মাঠে মাঠে।
গুংরানো কান্না ভাসে নীরব অন্ধকারে
হাজার বছর পরে,আপন বাংলার এই শ্যামল ছায়ায়।
মমতায় জড়িয়ে স্নিগ্ধ শান্ত জলে,থাকবে স্মৃতি।
মিলনের স্নানে পূর্ণ প্রাণে-তুমি একটু অনুভব করো।
এসো মিলিব আবার স্বজন সরবরে শত ব্যথা ভুলে।
অনাদিকাল ধরে মহাকালের পথে-পথে-
শক্ত হাতে ধরো কঠিন করে ,
এগিয়ে চলো দুর্বার বেগে।
ছাড়িবনা আর ওই লাল সবুজের পতাকা-
হাজার বছর পরে।

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test