E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বইমেলায় গাজী মুনছুর আজিজের ‘ভুটান দার্জিলিং ও অনান্য ভ্রমণ’

২০১৫ ফেব্রুয়ারি ১২ ১৪:৪৫:০৭
বইমেলায় গাজী মুনছুর আজিজের ‘ভুটান দার্জিলিং ও অনান্য ভ্রমণ’

নিউজ ডেস্ক : একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তরুণ সাংবাদিক ও লেখক গাজী মুনছুর আজিজের নতুন বই ‘ভুটান দার্জিলিং ও অনান্য ভ্রমণ’।

ভুটান দার্জিলিং ও অন্যান্য ভ্রমণ বইটিতে স্থান পেয়েছে লেখকের ১৬টি সচিত্র ভ্রমণ কাহিনী। এসব ভ্রমণ কাহিনীর পরিধি বরিশাল, চট্টগ্রাম, থেকে শুরু করে ভুটানের পারো, থিম্পু, পুনাখা, ফোবজিখা, ভারতের শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং পর্যন্ত বিস্তৃত।

‘ড্রাগনের দেশে পাখির খোঁজ’, ‘ইছামতির পাড়ে’, ‘বাঘ দলের সঙ্গে সুন্দরবন’, ‘চায়ের দেশ দার্জির্লিং’, ‘সোমেশ্বরীর বিরিশিরি’, ‘নজরুলের দৌলতপুর’ ‘ভাজা ইলিশে শুকনা মরিচ’ বইটির কয়েকটি ভ্রমণ কাহিনীর শিরোনাম।

ভুটান দার্জিলিং ও অন্যান্য ভ্রমণ বইয়ের ফ্ল্যাপে গাজী মুনছুর আজিজকে নিয়ে পাখিবিদ ও অভিযাত্রী ইনাম আল হক লিখেছেন ‘গাজী মুনছুর আজিজকে আমি বাংলাদেশের মাটি দিয়ে গড়া অসামান্য এক সাদামনের মানুষ বলে জানি। তিনি সোজা সরল কথা বলেন, সহজ ভাষায় লেখেন। তার বয়স কম, বই অনেক; প্রিয় বিষয়বস্তুর তালিকাটা আরও বড়। এ দেশের কোনো কিছুই তিনি তুচ্ছ মানেন না। যা চোখে দেখেন সবই লিখে যান। এ দেশের কাদামাটি, কৃষক, কুমার, তাঁতি, ফসলের জমি, বন, বাদা, মাছ, পাখি, পোকামাকড়, এসবেরই খণ্ডচিত্র তার বইয়ে স্থান পায়। মন্দ-ভালোর তর্ক না তুলে কেবল বর্ণনা করেই তৃপ্ত তার লেখনী। মাটিতে চোখ রেখে হাঁটেন তিনি। মনে হয় মাটির গভীরে তার শিকড় আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে তার অনেক মিল। নবীন এ দেশের মতোই অর্জনের চেয়ে তার সম্ভাবনাটা অনেক বড়। জগতের নজর কাড়ার মতো বড় কিছু করে ফেলার সময় এখনও আসেনি তার। তবে যা করা হয়েছে তাও কম নয়।’

গাজী মুনছুর আজিজ পেশায় সাংবাদিক। পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখি করছেন পাখি-প্রকৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য, লোকসংস্কৃতি, মেলা-পার্বণ, ভ্রমণ ও ফ্যাশন বিষয়ে। সম্পাদনা করছেন ঈদের শুভেচ্ছাপত্র ঈদ উৎসব। তার জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি খুলনার দিঘলিয়ার চন্দনীমহল গ্রামে। বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনা সেখানেই। পৈত্রিক বাড়ি চাঁদপুর সদরের নানুপুর। বাবা মো. মুনছুর গাজী, মা মরিয়ম বেগম। তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে আজিজ চতুর্থ।

২০০১ সালে চাঁদপুরে প্রতিষ্ঠা করেন গাজী আবদুর রহমান পাঠাগার। এর উদ্যোগে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ, ইলিশ অড্ডা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজনসহ বিভিন্ন সমাজকল্যাণ কাজ করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য ‘বজলুর রহমান স্মৃতিপদক’ প্রতিযোগিতায় তার একাধিক প্রতিবেদন স্থান পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রকাশিত ‘মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ প্রতিবেদন’ বইয়ে। এছাড়া ডি. নেট, পিএসটিসি ও এমসিসি সংস্থা আয়োজিত নাগরিক সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রতিযোগিতায় ‘রাইট থ্রি নাগরিক সাংবাদিকতা পুরস্কার’ অর্জন করেন তিনি।

প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রকল্প থেকে। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সদস্য হিসেবে-বাংলাদেশের পাখি শুমারিসহ পাখি বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। জড়িত আছেন বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের সঙ্গেও। দেশের বাইরে পাখি দেখতে গিয়েছেন ভুটান ও ভারত।

প্রকাশিত গ্রন্থ: রূপসী বাংলার রূপের খোঁজে (ভ্রমণ, উৎস প্রকাশন), পজিটিভ বাংলাদেশ (প্রতিবেদন, উৎস প্রকাশন), ভ্রমণের দিন (ভ্রমণ, প্রান্ত প্রকাশন), ফাদার মারিনো রিগনসহ (জীবনী, প্রান্ত প্রকাশন) লেখক বাংলাদেশ ভ্রমণসঙ্গী (উৎস প্রকাশন)।

বর্তমানে কর্মরত আছেন দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার সহ-সম্পাদক হিসেবে।

বইটি প্রকাশ করেছে প্রান্ত প্রকাশন। এটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন দেওয়ান আতিকুর রহমান। ৯৬ পৃষ্ঠার এ বইটির দাম ১৪০ টাকা।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test