E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে বিসিবিতে!

২০১৪ আগস্ট ১৯ ১৮:১১:১৩
বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে বিসিবিতে!

স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিরুদ্ধে বিস্তর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের স্বচ্ছতা ও উন্নয়নের অঙ্গীকার নিয়ে বছরখানেক আগে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন ফোরাম। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের বিস্তর অনিয়ম ও দুর্নীতির নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংগঠন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় এক হোটেলে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ তুলে ধরেছেন নির্বাহী কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম। অভিযোগ উত্থাপনের আয়োজনে আরও উপস্থিত থেকেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সহ-সভাপতি নুরুল কবির শাহীন, বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন ফোরামের মহাসচিব মোশতাকুর রহমান, লুৎফর রহমান বাদল, কর্নেল (অব.) লতিফুর রহমান খান, সাবেক ক্রিকেটার শফিকুল হক হীরা এবং কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল।

আব্দুস সালাম তার বক্তব্যে ৫টি ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। বিপিএল ইস্যু এর মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়া বন্ধুহীন বিসিবি, টিভি সম্প্রচার স্বত্ব, বিসিবির প্রহসনের নির্বাচন বিষয়ক কথা বলতে গিয়ে বক্তারা বারবার বিসিবির বর্তমান কমিটির পরিচালকদের কঠোর সমালোচনা করেছেন।

বিপিএল নিয়ে তাদের বক্তব্য, দেশে এবং বিদেশে যে হারে এই টুর্নামেন্ট থেকে লজ্জা ও বদনাম এবং কেলেঙ্কারি কুড়িয়েছে ক্রিকেট বোর্ড তাতে দেশের মাথা হেট হয়ে গেছে। অথচ দেশের ক্রিকেট উন্নয়নের অন্যতম বিকল্প হতে পারত বিপিএল। কিন্তু ক্রিকেটে বোর্ডের কতিপয় কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত অর্থলোভ এবং অদক্ষতার কারণে বিপিএল প্রকৃত মর্যাদা হারিয়েছে।

এই বিষয়ে লুৎফর রহমান বাদল বলেছেন, ‘বিপিএলের মাধ্যমে দেশের ক্রিকেটের অবনতি আর বদনাম হয়েছে। বিদেশী কোনো ক্রিকেটার এই লিগের নাম শুনলেই পিছিয়ে যায়। আব্দুস সালাম বলেছেন, ‘বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের আংশিক বিচার হয়েছে। বিসিবি সংশ্লিষ্টরাও এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত। যাদের নাম-ছবি আমরা জাতীয় এক দৈনিকে প্রকাশিত হতে দেখেছি। কিন্তু বিসিবি তো এদের বিচার করল না। আর এতেই প্রমাণিত হয় বোর্ড একচোখা নীতিতে ক্রিকেট চালাচ্ছে।’

লিখিত বক্তব্যে পাঠ করতে গিয়ে আব্দুস সালাম আরও বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটে ব্যর্থতার পুরো দায় নিতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেই। ঘরোয়া ক্রিকেট অনেকদিন ধরেই এলোমেলো। জেলা পর্যায়ে ক্রিকেট এখন অনিয়মিত। ক্রিকেট প্রশাসন ব্যর্থ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। ফলে বিশ্বব্যাপী ইমেজ সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। সারাবিশ্বে যেখানে ক্রিকেট বাণিজ্যিক মূল্য ক্রমেই বাড়ছে বাংলাদেশ সেখানে মূল্য হারিয়ে ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তাকেও অনিশ্চিত করে তুলেছে। বিসিবি কর্তাদের সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতার কারণে প্রকৃত ক্রিকেট সংগঠকরা এই খেলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।’

বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনেরও সমালোচনা করা হয়েছে সোমবারের সংবাদ সন্মেলনে। লুৎফর রহমান বাদল বলেছেন, ‘এক লোক কীভাবে ৬-৭টা দায়িত্ব পালন করে আমি বুঝি না। ওই ব্যক্তি একসঙ্গে কোচ, বোর্ড পরিচালক, কমিটির চেয়ারম্যান, ব্যাংকে চাকরি করেন। এতগুলো দায়িত্ব এক সাথে কীভাবে পালন করেন। তা বোধগম্য নয়। ভারত সফরে দলের ম্যানেজারও হয়ে ছিলেন।’

নির্বাচক ও বিপিএল ইস্যুর বাইরে দুর্নীতি নিয়েও কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন ফোরামের বক্তারা। লিখিত বক্তব্যে তারা বলেছেন, ‘ক্রিকেট বোর্ড পরিচালনারা ভার নিয়েই কর্তারা এখান থেকে ব্যবসায়িক সুবিধা নিচ্ছেন। প্রায় সবকাজই দেওয়া হচ্ছে বিনা টেন্ডারে। বিশাল বাজেটের এ সব কাজ বিনা টেন্ডারে মুখচেনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাগিয়ে দিয়ে বিসিবির কর্মকর্তারা এখান থেকে টু-পাইস কামিয়ে নিচ্ছেন।’

(ওএস/পি/অাগস্ট ১৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test