E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাকিবের সামনে আরও অর্জনের হাতছানি

২০১৪ নভেম্বর ১০ ১২:২৮:৪৯
সাকিবের সামনে আরও অর্জনের হাতছানি

স্পোর্টস ডেস্ক : আট বছরের ক্যারিয়ারে অনেক অর্জনের ভারেই সমৃদ্ধ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বিরল পারফরম্যান্সের বড় বড় সব ক্লাবে নাম লেখিয়েছেন তিনি। অলরাউন্ডার সাকিবের এই পথচলা হয়তো দিনে দিনে আরও ঊর্ধ্বগামী হবে।

টেস্ট ক্রিকেটের মানচিত্রে বাংলাদেশ এখনও তলানির দেশ। কিন্তু ২০০০ সাল থেকে টেস্টে অলরাউন্ডারদের বিরাট পাঁচটি কীর্তির তিনটিই বাংলাদেশের দখলে। ইনিংসে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেটের পাঁচটি ঘটনা দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব গত ১৪ বছরে। দুবারই করেছেন সাকিব। ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৪৪ রান ও ৮২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ ১৩৭ রান ও ৫ উইকেট নিলেন তিনি খুলনায়। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সোহাগ গাজী ১০১ রান ও ৭৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন চট্টগ্রামে। বাকি দুটি পারফরম্যান্স দেখা গেছে ভারতের রবিচন্দন অশ্বিন ও জ্যাক ক্যালিসের হাত ধরে। ব্যক্তিগত সাফল্যে ভাস্বর হলেও দলগত অর্জনের অভাবে সেভাবে পরিলক্ষিত হয় না সাকিবদের পারফরম্যান্স। তবে খুলনা টেস্টের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণ সমাদৃত হয়েছে অলরাউন্ডার সাকিব। ১৪৩ রান ও ১০ উইকেটের বিরাট নৈপুণ্য তাকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চাতায়। যে চূড়ায় এতদিন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ইমরান খান ও ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম বসেছিলেন। তাদের পাশে এখন সাকিবের নামটিও সমানভাবেই উচ্চারিত হবে।
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে বসুন্ধরা সিমেন্ট সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টটি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে। আগামী ১২ নভেম্বর ম্যাচটি শুরু হবে। যে ম্যাচেও অলরাউন্ডার সাকিবের সামনে রয়েছে অর্জনের হাতছানি। এই বাঁহাতি নাম লেখাতে পারবেন নতুন ক্লাবে। কোনো টেস্ট সিরিজে ২৫০ রান ও ২০ উইকেটের একটি ক্লাব রয়েছে। সেখানেও ক্রিকেট বিশ্বের গ্রেট সব অলরাউন্ডাররাই অবস্থান করছেন। টেস্টের ইতিহাসে মোট ২২ বার দেখা গেছে এমন পারফরম্যান্স। করেছেন ১৬ জন ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচ শেষে সাকিবের ঝুলিতে রয়েছে ১৬৩ রান ও ১৭ উইকেট। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩ উইকেট পেলেই পূর্ণ হবে সাকিবের ২০ উইকেট। তবে রেকর্ড বুকে নাম লেখাতে হলে ব্যাটসম্যান সাকিবকে করতে হবে আরও ৮৭ রান। তাতেই নতুন তালিকায় ঠাঁই হবে এই বাংলাদেশি ক্রিকেটারের।
২৫০ রান ও ২০ উইকেট নিতে পারলে এ তালিকার বাকিদের চেয়ে সাকিব কিছুটা এগিয়ে থাকবেন। কারণ সাকিবের ম্যাচসংখ্যা হবে সবচেয়ে কম। সর্বনিম্ন চারটি ম্যাচ খেলেছেন রিচার্ড হ্যাডলি। বাকিরা সবাই ৫ থেকে ৬টি ম্যাচ খেলেছেন। স্যার গ্যারি সোবার্স, ইয়ান বোথাম, জ্যাক ক্যালিস, শন পোলক, ফ্লিনটফ, কপিল দেব, কেইথ রস মিলাররা রয়েছেন তালিকায়। অস্ট্রেলিয়ার জর্জ গ্যাফিন তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। ভদ্রলোক ১৯২৭ সালে পরলোকগমন করেছেন। পাঁচ ম্যাচে ৪৭৫ রান ও ৩৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সর্বশেষ বার এই কীর্তি দেখিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। ২০০৫ সালে অ্যাশেজে ৫ ম্যাচে ৪০২ রান ও ২৪ উইকেট নিয়েছিলেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। এর আগে ২০০০-০১ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস ও শন পোলক এই রেকর্ডে নাম লেখান।
তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের শীর্ষ উইকেট শিকারি এখন সাকিব। বিশ্ব ক্রিকেটে অলরাউন্ডারদের কাতারে ক্রমাগত রেকর্ড গড়ার মিছিলে রয়েছেন তিনি। এবার চট্টগ্রাম টেস্টেও সাকিব কোনো সিরিজে ২৫০ রান ও ২০ উইকেট নেয়ার ক্লাবে নাম লেখালে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামও সাকিবদের জন্য স্পিন সহায়ক ভূমিকাতেই উপস্থিত হতে যাচ্ছে। যেখানে সাকিবরা আবারও দেখাতে পারবেন ঘূর্ণিজাদু। শুধু ব্যাটিংয়ে ৮৭ রানের লক্ষ্যটাই একটু চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে এই অলরাউন্ডারের সামনে।

(ওএস/এইচআর/নভেম্বর ১০, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test