E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

স্পিনাররাই এনে দেবে রেজাল্ট : মুশফিক

২০১৪ নভেম্বর ১১ ১৭:২৮:৫৯
স্পিনাররাই এনে দেবে রেজাল্ট : মুশফিক

স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ দলে কয়েক বছরে বেশ কিছু ভাল পারফরমার বের হয়ে আসছে। সোমবার সাগরিকায় প্র্যাকটিস ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ দলের নানা দিক নিয়ে কথা বলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে ১৪ বছর পার করছে বাংলাদেশ দল। আমরা এখন কোন পজিশনে আছি? সাংবাদিকদের এরকম প্রশ্নে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বলেন, কোন পজিশন বলতে অভিয়াসলি খুব যে ভালো পজিশনে সেটা না, বাট যদি এই বছরের কথা চিন্তা করি, লাস্ট ১৪ বছর লং টাইম। প্রবাবলি আমরা হয়তোবা, অ্যাজ এ টিম হিসেবে আরো ইমপ্রুভ করার অনেক জায়গা ছিল। আনফরচ্যুনেটলি সেটা হয়তো বা হয়নি। আমি পারসনালি এটা ফিল করি।

বাট রিসেন্ট যদি প্রেজেন্ট টাইম বলেন, এট লিস্ট এই বছরটা আমাদের যেভাবে যাচ্ছিল, সেখান থেকে দু’টি টেস্ট ম্যাচ ব্যাক টু ব্যাক জেতা পজেটিভ সাইন। এবং আমার মনে হয়, লাস্ট যে রকম ১৪ বছরে আমাদের অনেক প্লেয়ার ছিল, আবার অনেকে নতুন আসছে, সো তাদের জন্য অনেক ডিফিকাল্ট হতো টেস্টে এসে ভালো খেলা। বলেন টাইগারদের এই অধিনায়ক।

তিনি যোগ করেন, আমাদের ফার্স্ট ক্লাস বা ফরমাল এ রকম ফরম্যাটটা আসলে হয়তোবা সব সময় কন্টিনেওয়াসলি খেলতে পারি না। সো টেস্টে এসে কনিসিসটেন্টলি ভালো খেলাটা একটু ডিফিক্যাল্ট। কারণ, আমরা হচ্ছি বটম টিম এবং আমরা যাদের সাথে খেলি সবাই হচ্ছে আমাদের চেয়ে উপরে। সো বলবো যে, ওভার অল হয়তোবা অ্যাজ এ টিম হিসেবে আরো ভালো করতে পারতাম। কিছু টেস্ট ম্যাচ ছিল আমরা হয়তো ড্র করতে পারতাম, কিছু টেস্ট ম্যাচ ছিল আমরা হয়তো জিততে পারতাম। হয়তোবা অ্যাজ এ টিম হিসেবে পারফর্ম আরো ভালো করা উচিত ছিল।

বাট অ্যাজ এ ইন্ডিভিজুয়্যাল আমি বলবো যে, অনেক লাস্ট কয়েক বছরে অনেক ভালো ভালো কিছু পারফরমার বের হয়ে এসেছে, ইট ইজ গুড সাইন। আই থিংক তারা যদি এট লিস্ট সামনে চার/পাঁচ বছর খেলতে পারে টেস্ট কনসিসটেন্টলি, তাহলে আমার মনে হয় ইনশাল্লাহ, বাংলাদেশের আরো ভালো রেজাল্ট হবে নেক্সটে। বলেন তিনি।

ইমপ্রুভ করার কথা বললেন, ইমপ্রুভ করার জন্য ইনফাক্টচারের চেঞ্জ করতে আপনার কি মনে হয়? এমন প্রশ্নের জবাবে মুসফিক বললেন, না, আমার মনে হয়, এটা শুধু ইনফাক্টচারের শুধু দায় দিলে হবে না, এখানে আমাদের প্লেয়ারদেরও অনেক কিছু মোটিভেশন এবং অনেক কিছু দায়িত্ব আছে। কারণ, আপনি শুধু বললেই হবে না যে, ফার্স্ট ক্লাশে হ্যা এটা অনেস্ট, আমাদের হয়তোবা ফার্স্টক্লাশটা ওভাবে যেভাবে বাইরের স্ট্রং যেরকম স্ট্রাকটার হয়, যেমন ধরেন উইকেট প্রিপিয়ারিং এবং ডিফরেন্ট হয়, টিমগুলো অনেক স্ট্রং থাকে, আমাদের এখানে অনেক সময় দেখা যায় যে, ফার্স্টক্লাশ শুরু হয়, যখন আমরা ন্যাশনাল টিমের অনেক প্লেয়ার এনগেজড থাকতে পারে না।

তিনি বলেন, সো কমপিটিটিভলি একটু হয়তোবা সেই রকম প্রেসার ওয়াইজ ওরকম ম্যাচ হয় না। আপনি যদি খেয়াল করেন, অস্ট্রেলিয়া বা ওদের যেরকম ফার্স্টক্লাশ টিম হয়, অনেক ন্যাশনাল টিমকেও ওরা হারিয়ে দেয়। সো সেদিক থেকে বলবো যে, হ্যা আমাদের যদি ফার্স্টক্লাশের উইকেটগুলো স্পেশালি যদি আরেকটু ফ্রেন্ডলি হয়, পেস বোলিং ফ্রেন্ডলি হয়, তাহলে আমরা হয়তোবা আমরা বাইরে গিয়ে স্ট্রাগেলটা করি, হয়তোবা সেটা হবে না।

আর প্রত্যেক বছরই এইরকম মানে এই বছরটা যেরকম একটা বছর পার হয়ে গেল আবার আরেকটা বছর আসবে, তখন আবার জিজ্ঞেস করবে সবাই যে কোথায় দাঁড়িয়ে আছি বা কি হচ্ছে না হচ্ছে, সো আসলে আমাদের একদিন না আমাদের প্রতিদিন রিমাইন্ডার দেয়া উচিত, অ্যাজ এ প্লেয়ার হিসেবে এবং অ্যাজ এ টিম হিসেবে এবং এটার সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট আছেন বোর্ডের সবাই, অনেক হেল্প করছেন সবাই, তারপরও আমার মনে হয় আরো কমিটমেন্ট সবার দিক থেকে থাকা উচিত। কারণ, এটা আলটিমেটলি বাংলাদেশের ব্যাপার আর টেস্ট ক্রিকেট হচ্ছে এমন একটা খেলা যেখানে আপনি ইমপ্রুভ করলে সবার চোখে পড়ে এবং সবচাইতে বড় একটা মর্যাদার খেলা।

এরপর প্রশ্ন ছিল- আমাদের ব্রাইট ফিউচার কি অপেক্ষা করছে? আমরা আগামী ১৪ বছর কি আরো বেশি ম্যাচ জিতবো? অধিনায়ক আশার কথা শুনালেন, তাতো অবশ্যই থাকবে। তারপরও আমাদের যে, আইসিসির নতুন নিয়ম, সেটা তো অবশ্যই আমাদের নাম নাম্বার নাইন হোল্ড করছে সেটা অবশ্যই ধরে রাখতে হবে। এবং সেটা একটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। সো এটা আমাদের সামনে গোল। আর এটাই বললাম, লাস্ট দুই তিন বছরে আমাদের পারফরমারের সংখ্যাটা অনেক বেড়ে গেছে। একটা টিমে এরকম যখন ছয় সাতজন পারফরমার থাকবে তখন, কনসিসটেন্টলি অ্যাজ এ টিম হিসেবে সবাই ভালো খেলবে।

সো আমি আশা করবো, যারা ভালো খেলছে তারা যেন কন্টিনিউ করে, অ্যাজ এ টিম হিসেবে বাংলাদেশ যেন এট লিস্ট টেস্ট ক্রিকেটে যেন কনসিসটেন্টলি ভালো খেলে। হয়তোবা প্রত্যেকটা ম্যাচ না জিতলেও আমাদের যেন পাঁচটা দিন আমরা যেন কমপিটিটিভলি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারি। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও। এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ থাকবে। আর আশা করছি এটা নিয়ে আমরা কাজ করবো সামনের বছর থেকে।

১৪ বছরে মাত্র ৮৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এত কম ম্যাচ? উত্তরে মুশফিক বলেন, তা তো অবশ্যই। এটা আসলে আইসিসির ব্যাপার এবং তারা যেভাবে প্ল্যান করে আমার মনে হয়, যেটা বারবার বলতে চাচ্ছি না, ইভেন শচীন যখন এখানে এসেছেন, তখন ওনিও বলেছেন, বাংলাদেশ যতই ক্রিকেট খেলবে, ততই হয়তোবা শিখবে। যদি না খেলেন তাহলে শেখার কোনো উপায় নেই। হয়তো খারাপ খেলেন, ভালো খেলেন সেটা পরের ব্যাপার, বাট আপনি যদি সুযোগই না পান, তাহলে ইমপ্রুভ করার কোনো চান্স নাই।

তিনি বলেন, এট লিস্ট যত কম টেস্টই খেলি, আমরা কনসিসটেন্টলি ভালো ক্রিকেট খেলি, তাহলে আইসিসি হয়তো বাধ্য হবে, যে না ওরাও বুঝবে বাংলাদেশ একটা টিম, সেটা কিনা টেস্ট ক্রিকেটে ইমপ্রুভ করছে। এটা আমাদের একটা সুযোগ আছে, আমরা যদি এই টেস্টটা জিততে পারি, এট লিস্ট ৩-০ হলে ওরাও বুঝতে পারবে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে আমাদের ব্যবধানটা অনেক বড়।হয়তো নেক্সটে আমরা ভালো করবো। আরো বেশি টেস্ট পেতে পারি।আমরা হয়তো লড়বো।

বাংলাদেশ অধিনায়ককে চট্টগ্রাম লাকি গ্রাউন্ড এ কথা স্মরণ করে দেয়া হলে তিনি বলেন, লাকি বলতে অভিয়াসলি খুলনাও ছিল। এখানে সব ম্যাচ যে জিতেছি তা না। অনেক ম্যাচ হেরেছি। আমাদের ভালো স্মৃতি আছে। নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলংকার মতো দলের সঙ্গে ড্র করেছি। সেদিক থেকে বলবো ভালো স্মৃতি রয়েছে। আশা করবো, যেভাবে আমরা খেলছি। পাঁচটা দিন হলেও যেন একটা টার্গেট থাকবে জয় নিয়ে ৩-০ জিতার জন্য প্রস্তুত। আমাদের দলে বাড়তি স্পিনার নেই। ১১ জনের মধ্যে পাঁচজন রয়েছে। তারা খেলবে। তারাই টিমের রেজাল্টটা এনে দেবে আশা করি।

(ওএস/পি/অক্টোবর ১১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test