E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

বরিশালকে ডুবিয়ে রংপুরের অবিশ্বাস্য জয়

২০২৫ জানুয়ারি ০৯ ১৯:২৫:২৯
বরিশালকে ডুবিয়ে রংপুরের অবিশ্বাস্য জয়

স্পোর্টস ডেস্ক : বিপিএলের রীতিমতো উড়ছিল রংপুর রাইডার্স। টানা পাঁচ ম্যাচ অপরাজিত থেকে বরিশালের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল সোহানের দল। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে রংপুরকে হারের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল বরিশাল। কিন্তু শেষ ওভারে ৩০ রান তুলে রংপুরকে জয় এনে দিয়েছেন অধিনায়ক সোহান।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) আগে ব্যাট করতে রংপুরকে ১৯৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বরিশাল। জবাব দিতে নেমে তিন উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় রংপুর। ৭ বলে ৩২ রান করে এই জয়ের অন্যতম নায়ক সোহান।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় রংপুর। ৩ বলে ১ রানে করে সাজঘরে ফেরেন অ্যালেক্স হেলস। তবে সাইফ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন তৌফিক খান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি কেউই। ১৯ বলে ২২ রান করে সাইফ এবং ২৮ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তৌফিক।

এরপর রংপুরের শিবিরের হাল ধরেন দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইফতেখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১০০ রানের কোটা পার করে বসুন্ধরা গ্রুপের দলটি। ২৪ বলে রংপুরের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৫ রান। ১৮তম ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে ইফতেখারকে আউট করে বরিশালকে খেলা ফেলায় ফেরান শাহিন আফ্রিদি। ৩৬ বলে ৪৮ রান করেন ইফতেখার।

১২ বলে রংপুরের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৯ রান। ১৯তম ওভারের প্রথম ২ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে খুশদিল শাহ আশা জাগালেও তৃতীয় বলে ক্যাচ আউট তিনি। ২৪ বলে ৪৮ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। পরের দুই বলে ডাক আউট হন শেখ মাহেদী ও সাইফউদ্দিন।

শেষ ওভারে রংপুরের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৬ রান। বলে বলে বাউন্ডারি মেরে রংপুরকে এগিয়ে নেয় সোহান। শেষ বলে জয়ে জন্য লাগতো ২ রান। কিন্তু ৬ মেরে জয় তুলে নেন রংপুর অধিনায়ক।

এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বরিশালকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল ও ফরচুন বরিশাল। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৪৬ রান তোলে বরিশাল। তবে ফিফটি তুলতে পারেনি দুজনেরই কেউই।

১১তম ওভারে কামরুল হাসানের হাতে বল তুলে দেন সোহান। আর প্রথম বলে শান্তকে ক্যাচ আউট করে অধিনায়কের বিশ্বাসের প্রতিদান দেন কামরুল। ৩০ বলে ৪১ রান করে শান্ত। একই ওভারের শেষ বলে তামিমকেও তুলে নেন কামরুল। ৩৪ বলে ৪০ রান করেন দেশসেরা এই ওপেনার।

এরপর ব্যাট চালিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন তাওহীদ হৃদয় এবং কাইল মায়ার্স। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি হৃদয়। ১৮ বলে ২৩ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ২ বলে ৪ রান করে সাইফউদ্দিনের করা স্লো ডেলিভারিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ হন তিনি।

ষষ্ঠ উইকেটে পিচে এসেই বলে বলে বাউন্ডারি মারতে থাকেন ফাহিম আশরাফ। তবে ৬ বলে ২০ রান করে রান আউট হন এই পাক অলরাউন্ডার। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ২৭ বলে ফিফটি তুলে নেন মায়ার্স। শেষ পর্যন্ত মায়ার্সের ২৯ বলের অপরাজিত ৬০ রানে ভর করে ১৯৭ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল বরিশাল।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ০৯, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১৬ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test