E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

স্ট্রিক কোচিংকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন

২০১৪ জুন ০৩ ২০:০০:৩০
স্ট্রিক কোচিংকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন

স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক সোমবার রাতে ঢাকায় পা রাখেন। বোলারদের বোলিং এ্যাকশন ও গতি সবকিছু নিয়ে কাজ করবেন তিনি। স্ট্রিক জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করার ফাকে অন্য কাজে লাগতে পারবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

তিনি সোমবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সবাইকে সালাম জানিয়ে তাক লাগিয়ে দেন। মঙ্গলবার দুপুরে ১২ টায় সংবাদ সম্মেলন করেন এই বোলিং কোচ। তার আসার আগে অনেক সাংবাদিকদের পদচারনায় মুখরিত ছিলো বিসিবি প্রাঙ্গণ।

তিনি বাংলাদেশের কোচিংয়ের দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জিং মানছেন। হিথ স্ট্রিক বলেন,‘বাংলাদেশের মানুষের ক্রিকেট নিয়ে অনেক আবেগ প্রবণ। এ বিষয়ে আমার ধারণ আছে। এখানে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার এবং কোচ হিসেবে এসে সব কিছুই দেখেছি, জেনেছি। এতো লোককে আমি আশা করেছিলাম। কিন্তু অবাক হইনি।’

বোলিংয়ে ধারাবাহিকতা বাজায় রাখাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন তিনি। সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠাকে চ্যালেঞ্জিং বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন,‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা দরকার। তাহলেই ভালো একটা মানে পৌঁছানো যাবে। একটা বড় সমস্যা হলো বাংলাদেশের উইকেট। বোলাররা এখানে যে উইকেটে খেলে অভ্যস্ত হয়েছে, বাইরের দেশে গেলে সে রকম উইকেট পায় না। ফলে দেশের বাইরে বাংলাদেশের বোলাররা অনেক কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়। এটা কাটিয়ে উঠাই বড় চ্যালেঞ্জ তবে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখানকার উইকেট ভালো দেখেছি।’

জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-১৭, ১৯ ও ‘এ’ দলের সঙ্গে কাজ করবেন তিনি। নতুনদের তৈরি করার জন্যে হেড কোচ হাথুরুসিংহের সঙ্গে পরিকল্পনা করবেন স্ট্রিক। ‘তরুণদের নিয়ে আমি কাজ করবো। এটি বড় চ্যালেঞ্জ। সদ্য নিযুক্ত হেড কোচ চান্দিকার সাথে কথা বলে পরিকল্পনা করবো। বিসিবির সাথে কথা বলে তরুণদের বাংলাদেশের বাইরে প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করবো। যাতে তারা অনেক বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।’

আগামী দুই বছরে ৪৫০ দিন কাজ করবেন স্ট্রিক। জানা গেছে তার এক দিনের বেতন ৪০০ ডলার। পেসারদের এগিয়ে নিতে দীর্ঘ মেয়াদী সময় দরকার এমনটি বলেন তিনি। ‘দ্রুততম সময়ে কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নির্ধারণ করা কঠিন কাজ। আমি ৮ থেকে ১০ জন পেসারকে আলাদা করে কাজ করতে চাই। বাংলাদেশের শক্তি হলো স্পিন বোলিং। সুতরাং পেসারদের এগিয়ে আনার জন্য দীর্ঘ সময় দরকার। আমরা সেভাবেই কাজ করবো। সামনে বিশ্বকাপ, সেটি মাথায় রেখে বোলারদের নিয়ে কাজ করতে হবে।’

নিজ দেশের বিভিন্ন ব্যবসা থাকা স্বত্ত্বেও পরিবার রেখে এখানে নতুন চাকুরি নিয়েছেন তিনি। সবকিছু ব্যালেন্স করে করতে চান তিনি। ‘একজন পেশাদার ক্রিকেটার হওয়ায় আমার পরিবার এ বিষয়ে অভ্যস্ত। পরিবারে স্কুল পড়ে শিশু আছে। আমি মাঝে মাঝে দেশে যাবো। কাজ, ব্যবসা ও পরিবার একসাথে ব্যালেন্স করার চেষ্টা করবো।’

বাংলাদেশের মতো উদীয়মান ক্রিকেট দেশে কাজ করাকে সুযোগ বললেন তিনি। ‘আমি মনে করি এটি একটি বড় সুযোগ। আমি দীর্ঘদিন বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছি। এশিয়ান দেশ হিসেবে বাংলাদেশে কাজের সুযোগটা আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। এ ছাড়া বাংলাদেশ উদীয়মান ক্রিকেট দেশ, এখানে অনেক সম্ভাবনা আছে। সেই সাথে একজন স্পেশালিষ্ট বোলিং কোচ হিসেবে আমার নিজের ক্যারিয়ার রেকর্ডে বিষয়টিও আছে।’

(ওএস/পি/জুন ০৩,২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test