E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

৬ষ্ঠ শিরোপার স্বাদ নিজেদের মাটিতেই চায় নেইমাররা

২০১৪ জুন ০৫ ১৯:৩৫:১৭
৬ষ্ঠ শিরোপার স্বাদ নিজেদের মাটিতেই চায় নেইমাররা

স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : বিশ্বকাপ ফুটবল স্বাগতিক দেশ হিসেবে এবার ব্রাজিল দ্বিতীয়বার আয়োজন করেছে। ৬৪ বছর পর নিজেদের মাটিতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ স্কলারি বাহিনী। ১৯৫০ সালে দেশের মাটিতে উরুগুয়ের কাছে হেরে বিশ্বকাপ শিরোপা খোয়ানোর মতো ঘটনার পূনরাবৃত্তিতে রাজি নন নেইমার-অস্কাররা। ৬ষ্ঠবারের মতো শিরোপা জয়ের জন্য প্রস্তুত ব্রাজিল।

৬ষ্ঠ শিরোপার স্বাদ নিজেদের মাটিতেই চায় নেইমাররা

যাদের উপর ব্রাজিলের ভরসা

গত বিশ বছরের মধ্যে এই প্রথম ব্রাজিলের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেই একজনও বিশ্বজয়ী ফুটবলার। কোচ লুই ফেলিপ স্কোলারির দলে ডাক পাননি কাকা, রবিনহো, রোনাল্ডিনহো, পাতো, লুকাস মউরার মতো ব্রাজিলীয় তারকারা। এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের দুই ভরসা নেইমার আর অস্কার। এছাড়াও অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা, পলিনহো আর গোলরক্ষক হুলিও সিজার ব্রাজিলের এবারের তারকা ফুটবলার।

নেইমার
বিশ্বকাপ জয়ে এবার ব্রাজিলের প্রাণভোমরা নেইমার। ব্রাজিলের সাবেক তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ ফুটবলপ্রেমী পর্যন্ত সবার আশা ভরসার প্রতীক ২২ বছর বয়সী এ তরুণ ফুটবলার। ২০০ মিলিয়ন ব্রাজিলিয়ানের প্রায় সবারই ধারণা নেইমারের হাত ধরে নিজেদের মাঠে শিরোপা জিতবে সেলেকাওরা! জাতীয় দলের হয়েও এখন পর্যন্ত সাফল্য কম দেখাননি নেইমার। এরই মধ্যে ৪৭ ম্যাচ খেলে ৩০ গোল করেন তিনি। যদিও বার্সার হয়ে ইউরোপীয় ফুটবলে প্রথম মৌসুমে নামের প্রতি তেমন সুবিচার করতে পারেননি নেইমার।

ব্রাজিলের জার্সি গায়ে যদি স্বাভাবিক ছন্দে খেলতে পারেন তিনি, নিঃসন্দেহে এবারের বিশ্বকাপের সঙ্গে লেখা হয়ে যাবে নেইমারের নাম। এরই মধ্যে নিজের দেশে বিশ্বকাপে দ্যুতি ছড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ডের দারুণ নৈপুণ্যে প্রীতি ম্যাচে সহজেই পানামাকে ৪-০ হারিয়েছে বিশ্বকাপ ফুটবলের স্বাগতিকরা। গোলের সূচনা করা ছাড়াও আরো ২টি গোলে অবদান রেখেছেন ব্রাজিলের এবারের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার।

অস্কার
ব্রাজিলের আরেক তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলারের নাম অস্কার। ব্রাজিল বিশ্বকাপে স্বাগতিকদের মিডফিল্ডারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। ব্রাজিলের জাতীয় দলের জার্সি পরে সব ধরনের টুর্নামেন্টেই অবদান রয়েছে অস্কারের। ২০১১ সালে অনুর্ধ ২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে তাঁর পা থেকেই এসেছিল তিনটি গোল। তাঁর অসাধারণ পারফর্মেন্স দেখা গেছে ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকেও।

২২ বছর বয়সী চেলসির এই ব্রাজিলীয় তারকাকে মাঠে নামলে কিছুটা খর্বাকৃতির মনে হলেও বলের উপর তার দখল অসাধারণ। তার ক্ষেত্রে যে বিষয়টি বলা যেতে পারে সেটি হচ্ছে, স্বাগতিক ব্রাজিল যদি নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করতে পারে তাহলে সেখানে তার ভুমিকাটি হবে একজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের মত।

থিয়াগো সিলভা
এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের প্রধান প্রহরী থিয়াগো সিলভা। শিরোপা মিশনের সেনাপতির দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়েছে তার হাতে। ব্রাজিলের ২১ কোটি মানুষের পাশাপাশি সারা বিশ্বের ব্রাজিল ভক্তরাও থিয়াগো সিলবার দিকে তাকিয়ে। ফরাসী ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর এই রক্ষণসৈনিক ব্রাজিলের 'সেন্ট্রাল ব্যাক'। তিনিই বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত গতির ডিফেন্ডারও। থিয়াগো পেশাদার ফুটবল শুরু করেছিলেন 'রাইট উইঙ্গার' হিসেবে। ছেলেবেলায় স্বপ্ন দেখতেন, পেলের মতো বড় মহাতারকা হওয়ার। দিয়েগো ম্যারাডোনের জাদুকরি ফুটবলও তাকে মোহিত করতো। তাই দলের প্রয়োজনে তিনি যখন 'উইঙ্গার' থেকে 'মিডফিল্ডার' হিসেবে খেলতে শুরু করলেন, তখনো খারাপ লাগেনি। তারপর সেখান থেকে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার, অবশেষে ডিফেন্ডার। ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে জন্ম নেওয়া সদা হাস্য এই ছেলেটি যখন যে পজিশনে খেলেছেন, সেখানে তার প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তরুণ বয়স থেকেই ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে থিয়াগোর।

২০১০ বিশ্বকাপে খেলা খুব কম খেলোয়াড়ই জায়গা পেয়েছেন এবার লুই ফেলিপ স্কোলারির দলে। থিয়াগো সিলভা দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপেও খেলেছেন। এমনকি ব্রাজিলের হয়ে ২০০৮ অলিম্পিকেও খেলেছেন তিনি। এ ছাড়া লন্ডন অলিম্পিকে মেক্সিকোর কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হওয়া ব্রাজিল দলের অধিনায়ক হিসেবেও ভূমিকা পালন করেছেন থিয়াগো সিলভা। অলিখিতভাবে বিশ্বের সেরা ডিফেন্ডারের 'খেতাব'টাও যেন পেয়ে গেছেন ছয় ফুট উচ্চতার এ ব্রাজিলিয়ান তারকা। এখন শুধু ঘরের মাঠে হলুদ জার্সিতে তা নতুন করে দেখানোর অপেক্ষা।

পলিনহো
রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে ব্রাজিল বিশ্বকাপে যে ক’জন তারকার আলো ছড়াতে দেখা যাবে তাঁদের মধ্যে অন্যতম পলিনহো। লুই ফেলিপ স্কোলারির সেরা একাদশেই জায়গাটা তাঁর মোটামুটি পাকাপোক্তই। শুধু মিডফিল্ডার হিসেবেই নয় বরং তাঁর আক্রমণ যখন শুরু হয় তখন প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। গত বছর ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে তাঁর পা থেকে এসেছে দুটি গোল। সেমিফাইনালে উরুগুয়ের বিপক্ষেও অসাধারণ এক গোল করেন তিনি। এ ছাড়া বিশ্বকাপ প্রস্তুতি টুর্নামেন্টে স্বদেশী তারকা নেইমার এবং স্পেনের আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার পর তৃতীয় সেরা ফুটবলারের ভোট পেয়েছেন।





হুলিও সিজার
ব্রাজিল দলে সবচেয়ে সিনিয়র, সবচেয়ে বয়সী ফুটবলারের নাম হুলিও সিজার। বিশ্বকাপের কিক-অফের বাঁশি যখন বাজবে, তখন তার বয়স পার হয়ে যাবে ৩৪ বছর। তারুণ্যেই আস্থা কোচ লুই ফেলিপ স্কলারির দলে তার জায়গা পাওয়াটা অনেককেই বিস্মিত করেছে। তবে গোলপোস্টের নিচে হুলিও সিজারকে ব্রাজিলের সেরা কিপার বলে মেনে নিয়েছেন সবাই। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে এমার মাঠে নামবেন সিজার।

ইন্টার মিলানের সাবেক এই শট স্টপার সর্বশেষ খেলেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ক্লাব কিউপিআরে। গত বছর ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন তিনি। ২০১০ সালে নেদারল্যান্ডের কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ব্রাজিলের বিদায়ের জন্য অনেকে হুলিও সিজারকে দায়ী করে থাকেন। এই অভিযোগের জবাব দিতে এবার প্রস্তুত তিনি।


ব্রাজিলের বিশ্বকাপ স্কোয়াড

২০০২ সালে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপের শিরোপা উপহার দেয়া কোচ লুই ফেলিপ স্কলারি বরাবরের মতো এবারও তারুণ্যকে বেছে নিয়ে দল গড়েছেন।

বিশ্বকাপের জন্য ব্রাজিলের ২৩ সদস্যের দলে যারা জায়গা করে নিয়েছেন তারা হলেন-

গোলরক্ষক : হুলিও সিজার, জেফাসন, ভিক্টর।
ডিফেন্ডার্স : মাসের্লা, দানি আলভেজ, মাইকন, ম্যাক্সওরেল, থিয়াগো সিলভা, ডেভিড লুইজ, দন্তে, হেনরিক।
মিডফিল্ডার : পলিনহো, রামিরেজ, উইলিয়ান, অস্কার, হার্নানেস, লুইজ গুস্তাভো, ফার্নানদিনহো।
ফরোয়ার্ড : বার্নার্ড, নেইমার, ফ্রেড, জো, হাল্ক।


গ্রুপ ‘এ’-তে ব্রাজিল


বিশ্বকাপ ফুটবলে এবার ব্রাজিল খেলছে গ্রপ ‘এ’-তে। এই গ্রুপে আছে মেক্সিকো, ক্রোয়েশিয়া ও ক্যামেরুন।

১২ জুন ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম মাঠে নামবে ব্রাজিল। ১৭ জুন ব্রাজিল খেলবে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে। ২৩ জুন ক্যামেরুনের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল।

গ্রুপ পর্বের বাঁধা টপকে নক-আউট পর্বে উঠলেই কিন্তু ব্রাজিলের জন্য কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা অপেক্ষা করছে। মুখোমুখি হতে হবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন অথবা অন্যতম ফেভারিট নেদারল্যান্ডসের।

ফিরে দেখা : ব্রাজিলের বিশ্বকাপ মিশন

১৯৩০ ও ১৯৩৪ সালে প্রথম পর্ব থেকে বাদ পড়ার পর ১৯৩৮ সালে প্রথমবার সেমিফাইনালের টিকিট পায় ব্রাজিল। ইতালির কাছে শেষ চারের ম্যাচটিতে হেরে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে সুইডেনকে হারায় ৪-২ গোলে। সেই টুর্নামেন্টে ৭ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারটা পেয়েছিলেন ব্রাজিলেরই লিওনিদাস। বিশ্বযুদ্ধের কারণে দুই আসর বন্ধ থাকার পর ১৯৫০ সালে বিশ্বকাপের স্বাগতিক হয়েছিল ব্রাজিল। সেবার কোনো ফাইনাল ছিল না। তবে সুইডেনকে ৭-১ আর স্পেনকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করা ব্রাজিল পৌঁছে গিয়েছিল শিরোপা জয়ের দোরগোড়াতেই। শেষ ম্যাচে উরুগুয়ের সঙ্গে ড্র করলেও চ্যাম্পিয়ন হতো তারা। অপ্রত্যাশিতভাবে মারাকানার দুই লাখ দর্শকের পাশাপাশি পুরো বিশ্বকে হতবাক করে শেষ ম্যাচে ব্রাজিলকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় উরুগুয়ে।

১৯৫৪ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে পুসকাস, হিদেকুটি, ককসিসদের দুরন্ত হাঙ্গেরির সঙ্গে পেরে উঠেনি ব্রাজিল। শেষ আটের ম্যাচটিতে হারতে হয়েছিল ২-৪ গোলে। পেন্টা জয়ের স্বপ্নের অভিযাত্রাটা শুরু ১৯৫৮ সালে। 'কালোমানিক' পেলে, ভাভা, দিদি, জাগালোদের চমকে সেবারই প্রথম বিশ্বকাপের স্বাদ পায় ব্রাজিল। পেলের হ্যাটট্রিকে সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত করার পর ফাইনালে স্বাগতিক সুইডেনকেও ৫-২ ব্যবধানে হারায় তারা। বিস্ময়বালক পেলে ফাইনালেও করেছিলেন দুই গোল।

১৯৬২ সালের পরের বিশ্বকাপটাও পেলে, গ্যারিঞ্চা, ভাভারা এনে দেন ব্রাজিলকে। সেমিফাইনালে স্বাগতিক চিলিকে ৪-২ গোলে হারানো ব্রাজিল ফাইনালে ৩-১ গোলে হারায় চেকোস্লোভাকিয়াকে। সেবার গ্যারিঞ্চা ও ভাভা সর্বোচ্চ ৪টি করে গোল করেন ব্রাজিলের হয়ে। তবে ১৯৬৬ বিশ্বকাপে হোঁচট খেতে হয় টানা দুবারের চ্যাম্পিয়নদের। বুলগেরিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে শুরু করা ব্রাজিল প্রথম রাউন্ড থেকেই কাটা পড়ে হাঙ্গেরির কাছে ৩-১ ও পর্তুগালের কাছে ৩-১ গোলে হেরে। সেই দুঃখটা ব্রাজিল ভুলে প্রথম দল হিসেবে ১৯৭০ সালে তৃতীয় বিশ্বকাপ জিতে জুলে রিমে ট্রফিটা নিজেদের করে নিয়ে। পেলের শেষ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উরুগুয়েকে ৩-১ আর ফাইনালে ব্রাজিল ৪-১ গোলে হারায় ইতালিকে। প্রথম ও একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জেতা পেলে শেষ আসরটা স্মরণীয় করেন ৪ গোল করে।

এরপর ১৯৭৪ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত অধরা থেকে যায় শিরোপাটা। সক্রেটিস, জিকো, ফ্যালকাওদের নিয়ে ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম শক্তিশালী দলটা বাদ পড়ে ১৯৮২ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে। দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনাকে ৩-১ গোলে হারালেও পাওলো রসির হ্যাটট্রিকে ইতালির কাছে ৩-২ ব্যবধানে হেরে ফিরতে হয় দেশে। জিকো, সক্রেটিসদের ব্রাজিল ১৯৮৬ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরে যায় মিশেল প্লাতিনির ফ্রান্সের কাছে। ১৯৯০-এ দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বাদ পড়তে হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কাছে ক্লওদিও ক্যানিজিয়ার ৮০ মিনিটের গোলে ১-০ ব্যবধানে হেরে।

২৪ বছরের আক্ষেপ মিটিয়ে রোমারিও, বেবেতো, দুঙ্গাদের দল ১৯৯৪ সালে ২৪ বছর বাদে ব্রাজিলকে এনে দেন চতুর্থ বিশ্বকাপ। বিখ্যাত জোগো বোনিতোয় সমর্থকদের মন না ভরলেও এবার হারাতে হয়নি শিরোপাটা। রুদ্ধশ্বাস কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে ৩-২ গোলে হারানো ব্রাজিল সেমিফাইনালে সুইডেনকে ১-০ আর ফাইনালে ইতালিকে টাইব্রেকারে হারায় ৩-২ ব্যবধানে। রোমারিও ৫ গোল করে জিতেন গোল্ডেন বলের পুরস্কার।

রিভালদো, বেবেতোর সঙ্গে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে রোনালদোর ত্রিফলা আক্রমণে আবারও ফাইনালে পৌঁছে ব্রাজিল। কিন্তু ব্রাজিলের হয়ে সেবার সর্বোচ্চ ৪ গোল করা রোনালদো ফাইনালে পড়েছিলেন রহস্যময় ইনজুরিতে। নিষ্প্রভ রোনালদোয় কার্যত ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া ব্রাজিল ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরে বসে ৩-০ গোলে। সেই দুঃখটা রোনালদো মেটান ২০০২ বিশ্বকাপ জিতিয়ে। রোনালদো, রিভালদো, রোনালদিনহো জাদুতে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১, সেমিফাইনালে তুরস্ককে ১-০ আর ফাইনালে জার্মানিকে ২-০ গোলে হারায় ব্রাজিল। সর্বোচ্চ ৮ গোল করে ব্রাজিলের নয়নের মণি হয়ে যান রোনালদো।

২০০২-এর পর খেলা দুটি বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালেই থামে ব্রাজিলের যাত্রা। ২০০৬ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে থিয়েরি অঁরির গোলে সাম্বার দেশ ১-০ ব্যবধানে হারে ফ্রান্সের কাছে। এরপর গত আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়তে হয় নেদারল্যান্ডসের কাছে ১-২ গোলে হেরে।

(ওএস/পি/জুন ০৫,২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test