E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পাক মহিলাদের তৈরি বলে বিশ্বকাপ

২০১৪ জুন ০৫ ২১:৩৫:৫০
পাক মহিলাদের তৈরি বলে বিশ্বকাপ

স্পোর্টস ডেস্ক : আর সাত দিন৷‌ মেসি, রোনাল্ডোরা ছটফট করছেন মাঠে নামার জন্য৷‌ ছটফটানি ওনাদেরও কম নেই! দেশ খেলছে না, তাও কেন ব্যস্ত ওনারা? ফুটবল-প্রেম কি এতই উগ্র?

নাকি বিশ্বকাপকে ঘিরে রয়েছে অন্য কোনো আকর্ষণ? হ্যাঁ, অন্য আকর্ষণই বটে৷‌ আর সে আকর্ষণের নাম, ব্রাজুকা৷‌ ১২ জুন বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে যখন ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি হবে, তখন সম্ভাবনা রয়েছে শিয়ালকোটের কারখানায় তৈরি বলে খেলবেন নেইমাররা৷‌

শিয়ালকোটের ‘ফরোয়ার্ড স্পোর্টস’ কারখানারই কর্মী গুলশান বিবি৷‌ পাঁচ সম্তানের মা, বিশ্ব ফুটবলের তারকাদের সবার নাম জানেন না৷‌ নাই বা জানলেন৷‌ জানেন, বল তৈরির টেকনিক৷‌ ক্রিকেট-পাগল পাকিস্তান, ফুটবল র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেক অনেক পিছিয়ে৷‌ তবে শিয়ালকোটের ফুটবল-ইতিহাস দীর্ঘ দিনের৷‌ উন্নতমানের বল অনেক দিন ধরেই তৈরি হচ্ছে সেখানে৷‌ ‘ফরোয়ার্ড স্পোর্টস’ কারখানা ‘অ্যাডিডাস’-এর সঙ্গে কাজ করছে ১৯৯৫ থেকে৷‌ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, বুন্দেশলিগায় এর আগে বলের জোগান দিয়েছে এই ‘ফরোয়ার্ড স্পোর্টস’৷‌ এবার বিশ্বকাপের সঙ্গেও জুড়ে গেল নাম৷‌ তবে ফুটবলের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক শিয়ালকোটের হলেও, সেই সম্পর্কের সবটাই মধুর এমন নয়৷‌ শিশু শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোয় বিতর্ক দেখা দেয়৷‌ ১৯৯০-এ দেখা দিয়েছিল এই বিতর্ক৷‌ ফলে ব্যবসায় দেখা দিয়েছিল মন্দা ভাব৷‌ তবে এখন ‘অ্যাডিডাস’ এবং বিভিন্ন এনজি ও এই কারখানাগুলোর দিকে কড়া নজর রাখছে৷‌ শিশু শ্রমিকদের দিয়ে যেন কোনো মতেই কাজ করানো না হয় কারখানায়, সেটাই দেখা হয়৷‌ এখন আর সুচ-সুতো দিয়ে বল তৈরি করতে হয় না৷‌ সবটাই হয় মেশিনে৷‌

গুলশান বিবি জানিয়েছেন, ‘বিশ্বকাপের অপেক্ষাতেই এখন আমরা আছি৷‌ ম্যাচ দেখার ইচ্ছে আছে৷‌ আমরা যে বল তৈরি করেছি, তাতেই খেলা হবে৷‌ আমি এবং আমার সঙ্গে অন্য যে মহিলারা কাজ করেছে, সবাই এই কাজ করে গর্বিত৷‌’
‘ফরোয়ার্ড স্পোর্টস’-এর সি ই ও খাওয়াজ মাসুদ আখতার জানিয়েছেন, ‘যারা কাজ জানে না, অপটু তাদেরকে আমরা প্রথম চাকরি দিই৷‌ ওই সব কর্মীদের তারপর ট্রেনিং দিয়ে পরিণত করা হয়৷‌’

কারখানায় ব্রাজুকা যারা তৈরি করেন ৯০ শতাংশই মহিলা৷‌ পাকিস্তানে এমনটা সচরাচর ঘটে না৷‌ মহিলারা বাড়িতে থাকবে, সংসার সামলাবে- এমনটাই প্রত্যাশিত পাকিস্তানে৷‌ তবে খাওয়াজ আখতারের মতে, ‘মহিলা কর্মীরা অনেক বেশি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেন, ছেলেদের তুলনায়৷‌’

(ওএস/এস/জুন ০৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test