E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আজ থেকে শুরু নকআউট পর্ব

২০১৪ জুন ২৮ ১০:০০:৩৪
আজ থেকে শুরু নকআউট পর্ব

স্পোর্টস ডেস্ক : গ্রুপপর্বের লড়াই শেষ। এবার নকআউট পর্বের লড়াই উপভোগ করার। ব্রাজিল বিশ্বকাপ থেকে ইতিমধ্যেই বিদায় নিয়েছে ১৬ দল। বাকিরা টিকে রয়েছে শিরোপা লড়াইয়ে। তুঙ্গস্পর্শী উত্তেজনা আর নিপাট রোমাঞ্চকর আবহের মধ্য দিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা। যেখানে হারলেই বাদ, জিতলে পরবর্তী রাউন্ডের টিকিট। শুরুটা হচ্ছে স্বাগতিক ব্রাজিলকে দিয়েই। কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার মিশনে সেলেকাওদের প্রতিপক্ষ আজ চিলি। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হবে শিহরণ জাগা এই ম্যাচটি।

কে বিদায় নেবে, ব্রাজিল না চিলি? তা দেখা যাবে আজ বেলো হরিজোন্তেতে।

পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, দুবারের রানার্সআপ ব্রাজিল। সেখানে কোনো শিরোপা জেতা দূরে থাক, ফাইনালই খেলা হয়নি চিলির। সর্বোচ্চ অর্জন সেমিফাইনাল, সেই ১৯৬২ ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে। এরপর আর কখনও কোয়ার্টার ফাইনালই খেলা হয়নি চিলির। এমন দলের বিরুদ্ধে ব্রাজিল জিতবে অনায়াসে, এটাই অনুমিত। তাছাড়া হেড টু হেডেও যোজন যোজন এগিয়ে স্কলারি শিবিরই। তারপরও চিলির সামনে আজ রীতিমতো সতর্ক পেলের উত্তরসূরিরা। কারণ এই চিলির সঙ্গে হেরেই বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়েছে ২০১০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনের। ব্রাজিলের সামনে থাকার কথা ছিল স্পেনের, তবে চরম নাটকীয়তায় চিলিই এখন ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ। সে কারণেই স্কলারির কপালে একটু চিন্তার ভাঁজ। কারণ আছে অন্যখানেও। চিলি লাতিন আমেরিকার দেশ। যারা ব্রাজিলকে একাধিকবার মোকাবিলা করে সিদ্ধহস্ত। নেইমারদের ফাঁকফোকর বেশ ভালোই জানা তাদের। আবার আচমকা আক্রমণেও চিলির একটা সুনাম আছে। সব মিলিয়ে ব্রাজিলিয়ানদের সামনে আজ আতঙ্কের নাম চিলি।

তবে পরিসংখ্যান ব্রাজিলকে আশ্বস্ত করতেই পারে। যেখানে চিলি রয়েছে অনেক দূরে। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ব্রাজিল-চিলি মুখোমুখি হয়েছে মোট ৬৮ বার। তাতে ৪৮টি জয় ব্রাজিলের, চিলির মাত্র সাতটি। বিশ্বকাপ ফুটবলেও একচ্ছত্র রাজত্ব ব্রাজিলেরই। তিনবারের মোকাবিলায় ব্রাজিলের জয় তিনটিতেই। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ইতিহাসে আসুন, এখানেও ব্রাজিল। ১০ বারের মোকাবিলায় ব্রাজিলের জয় সাতটিতে, চিলির মাত্র একটি। কোপা আমেরিকা ফুটবলে ২১ বারের মোকাবিলায় ব্রাজিলের জয় ১৬টি, চিলির মাত্র তিনটি। ২০০০ সালের পর ব্রাজিলকে এখন পর্যন্ত হারাতে পারেনি চিলি। কোয়ার্টার ফাইনাল অনায়াসেই চলে যাচ্ছে ব্রাজিল, তা বলাই যায়। তবে অনেক সময় পরিসংখ্যানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ঘটে যায় অঘটন, জন্ম নেয় নতুন ট্র্যাজেডির।

গত দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপেই দেখা হয়েছিল ব্রাজিল ও চিলির। সেটা এই নকআউট পর্বেই। তবে দুঙ্গা বাহিনীর কাছে চিলি উড়ে গিয়েছিল ৩-০ গোলে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপেও দুদলের লড়াই হয়েছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে। ব্রাজিল জিতেছিল ৪-১ গোলে। তবে বিশ্বকাপে ব্রাজিল-চিলির প্রথম মোকাবিলা সেই ১৯৬২ সালে। যেবার তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিল চিলি। দুদলের লড়াইটা হয়েছিল সেমিফাইনালে। গারিঞ্চা ও ভাভার জোড়া গোলে ব্রাজিল জিতেছিল ৪-২ ব্যবধানে। চিলির হয়ে একটি করে গোল করেছিলেন তোরো ও সানচেজ। আজকের ম্যাচেও চিলির হয়ে থাকছেন এ প্রজন্মের অ্যালেক্সিস সানচেজ, যিনি খেলে থাকেন বার্সেলোনায়। তবে আরেক বার্সা স্ট্রাইকার নেইমারও ব্রাজিলের মূল ভরসাস্থল। সানচেজের সঙ্গে নেইমারের লড়াইটা জমবে বেশ, ক্লাব সতীর্থের খোলস ছেড়ে আজ দুজন হয়ে যাবেন চরম প্রতিপক্ষ।

‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এসেছে ব্রাজিল। যেখানে ক্রোয়েশিয়া ও ক্যামেরুনের সঙ্গে জিতলেও মেক্সিকোর সঙ্গে ড্র করেছিল স্কলারি শিবির। অন্যদিকে চিলির শুরুটা অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে। এরপর স্পেনবধ কাব্য। তবে শেষ ম্যাচে হল্যান্ডের সঙ্গে ০-২ গোলে হেরেছে চিলিয়ান শিবির। আজ বাঁচা-মরার ম্যাচে জয়টাই মুখ্য দুদলের কাছে। পিছনের ইতিহাস চোখ রাঙালেও চিলি কোচ জর্জ সামপাওলি শুনিয়েছেন আশার বাণী। তার মতে, ‘নতুন ইতিহাস গড়তে চাই।’ অন্যদিকে ব্রাজিল কোচ স্কলারিও আছেন জয়ের জন্য মুখিয়ে। চিলিকে গুরুত্বের সঙ্গেই নিচ্ছেন তিনি। তবে তার চোখ কোয়ার্টার ফাইনালে।

(ওএস/এইচআর/জুন ২৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test