E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ব্যাংকের সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত নন অর্থমন্ত্রী

২০১৯ ফেব্রুয়ারি ১৮ ১৪:৫৩:৫২
ব্যাংকের সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত নন অর্থমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : স্টাডি করে চাহিদার ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের সংখ্যা নিয়ে তিনি চিন্তিত নন বলেও জানান।

সোমবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বিষয়টি বলেন।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় নতুন তিনটি ব্যাংকের নীতিগত অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ব্যাংকগুলো হলো- বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, দ্য সিটিজেন ব্যাংক ও পিপলস ব্যাংক। এ তিন ব্যাংক অনুমোদনের ফলে দেশে সব মিলিয়ে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াল ৬২টিতে।

নতুন তিনটি ব্যাংক অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তিনটি ব্যাংক সম্পর্কে আমাকে জানতে হবে। আমি এখনও জানি না। আমার মনে হয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নর মহোদয়ের সঙ্গে আলাপ করলে আমরা তথ্য পাব। তখন ভালো হবে।’

তিনি বলেন, ‘কালকে তো সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নর মহোদয় বলেছেন, ডেফিনেটটি প্রয়োজনীয়তা না থাকলে এই কাজ করত না। তাদের হয়তো ইন্সট্রাকশন আছে, প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন এবং সেই প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে তারা করে থাকতে পারেন।’

আগের অর্থমন্ত্রী বলতেন ‘বাংলাদেশে আর নতুন ব্যাংকের প্রয়োজন নেই’- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশে কয়টি ব্যাংক আছে সেটা বড় ব্যাপার না। ব্যাংকগুলো যদি স্বাভাবিকভাবে নিয়মনীতি মেনে চলে, সংখ্যা দিয়ে কোনো কিছু হবে না। ব্যাংকের কার্যক্রম যদি থাকে, যে উদ্দেশ্যে ব্যাংক করা, সেভাবে যদি কাস্টমারদের নিয়মানুযায়ী সার্ভিস দিতে পারে, অনিয়মের মাঝে নয়।’

‘তাহলে ইন দ্যাট কেস আমি মনে হয়... নম্বর (ব্যাংকের সংখ্যা) নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আমাদের যে ব্যাংকগুলো আছে, ৪০০-৫০০ কোটি টাকা পেইড আপ ক্যাপিটাল, দিস ইজ হোয়াট। বিদেশে যে কোনো একটি ব্যাংকের ব্রাঞ্চের সমপরিমাণ পেইড আপ ক্যাপিটাল ও রিসোর্সেস আমাদের ২০টি ব্যাংকের নেই। সুতরাং নম্বর দিয়ে হবে না’ বলেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘আপনি বড় একটা (ব্যাংক) করেন ৫০টা না করে। সেই একই কথা হলো। আমি মনে করি, নম্বর দিয়ে না। আমাদের চাহিদা আছে কি না, চাহিদা নিরূপণ করে যদি করা হয়ে থাকে, ইন দ্যাট কেইস ফাইন, ইটস ওকে। আমার বিশ্বাস সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং যারা সংশ্লিষ্ট আছেন তারা সবাই কমপ্লিটলি একটা স্টাডি করে, স্টাডির ভিত্তিতেই তারা সেই কাজটি করেছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংক পেইড আপ ক্যাপিটাল ৪০০ কোটির পরিবর্তে ৫০০ কোটি টাকার শর্তও দিয়েছে নতুন ব্যাংকগুলোকে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ইট ইজ গুড, ভেরি গুড। আস্তে আস্তে পেইড আপ ক্যাপিটাল যদি বাড়িয়ে নেয়, তাহলে সেফটিনেটটা বড় হয়। আমার মনে হয়, সেই উদ্দেশেই তারা করেছে। আস্তে আস্তে এটা বাড়াতে পারে।’

ব্যাংক মার্জার (একাধিক ব্যাংক একত্রিত করা) করার কথা বলা হচ্ছে- এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মার্জার করা হবে। মার্জার অবশ্যই করা হবে। মার্জার করার যদি কোনো প্রয়োজনীয়তা হয়, তবে করা হয়। এখন তো ব্যাংকগুলোকে আমরা কিছু কথাবার্তা বলছি। তাদের কিছু শর্ত দেয়া হবে, তারা কীভাবে পারফর্ম করবে, কীভাবে ক্যাসিফাইড লোন কমিয়ে নিয়ে আসা হবে। আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে ক্লাসিফাইড লোন, ক্লাসিফাইড লোন কমিয়ে নিয়ে আসতে হলে ব্যাংকগুলোকে একটা অবস্থান সৃষ্টি করে দিতে হবে যে, তারা এটা কীভাবে করবে। আশির দশক থেকে ক্লাসিফাইড লোন হয়ে আসছে।’

তিনি বলেন, ‘এই যে লম্বা সময় থেকে ক্লাসিফাইড লোন হয়ে আসছে সেগুলো থেকে আমরা কীভাবে অব্যাহতি পেতে পারি, সেই বিষয়েও আমরা কথা বলছি। আমার মনে হয়, তারপরে আমরা একটা সমাধানে আসতে পারব।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘লোনগুলো কীভাবে ক্লাসিফাইড হলো, তা দেখার জন্য আমরা শিগগিরই স্পেশাল অডিটের ব্যবস্থা করছি। স্পেশাল অডিটের পর আমাদের কথা বলা ভালো হবে।’

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test