E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ৬৩ শতাংশ হিসাবই নিষ্ক্রিয়

২০১৯ ডিসেম্বর ০৪ ১৩:০৬:০২
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ৬৩ শতাংশ হিসাবই নিষ্ক্রিয়

স্টাফ রিপোর্টার : চলতি বছরের অক্টোবর শেষে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ৯৫ হাজার। এর মধ্যে সক্রিয় গ্রাহকসংখ্যা মাত্র ২ কোটি ৯০ লাখ ১১ হাজার। বাকি ৪ কোটি ৮৩ লাখ ৮৩ হাজার বা প্রায় ৬৩ শতাংশ হিসাব নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে মোট ১৬টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত আছে। চলতি বছরের অক্টোবর শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ৯৫ হাজার। যা তার আগের মাস সেপ্টেম্বরে ছিল ৭ কোটি ৫৯ লাখ ৭৮ হাজার। অর্থাৎ এক মাসে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ১৪ লাখ ১৭ হাজার।

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা ধারাবাহিক বাড়লেও সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা উল্টো কমেছে। টানা তিন মাস একবারও লেনদেন করেনি এমন হিসাবকে নিষ্ক্রিয় হিসাব বলে গণ্য করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। সেই হিসাবে অক্টোবর শেষে সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ ১১ হাজার, যা মোট গ্রহকের ৩৭ শতাংশ। আগের মাস সেপ্টেম্বরে সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৮৯ হাজার।

এমএফএস-এ গত অক্টোবর প্রতিদিন গড়ে ৭৩ লাখ ৩০ হাজার ৫৪১টি লেনদেন হয়েছে। যা মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার ২১৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা আদান-প্রদান হয়েছে। আর আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৫৪ হাজার ২৯০ জন।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণসহ নিত্যকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখন পছন্দের মাধ্যম।

প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, আলোচিত মাস জুড়ে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবগুলোতে টাকা জমা পড়েছে ১৩ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা। উত্তোলন করা হয়েছে ১২ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা। ব্যক্তি হিসাব থেকে ব্যক্তি হিসাবে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে ৮ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বিতরণ হয়েছে ৮৬০ কোটি টাকা। বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৪৯৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। কেনাকাটার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৪১০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সরকারি পরিশোধ ১০১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এছাড়া অন্যান্য হিসাবে লেনদেন হয়েছে ৬০৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরপরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার বাজারের সিংহভাগই বিকাশের দখলে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমএফএস লেনদেনের সর্বশেষ ১৯ মের নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন গ্রাহক তার অ্যাকাউন্টে দিনে পাঁচবারে ৩০ হাজার টাকা ক্যাশইন বা জমা করতে পারবেন। আর মাসে ২৫ বারে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ক্যাশইন করা যায়। আগে প্রতিদিন দুইবারে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা জমা করতে পারতেন একজন গ্রাহক। আর মাসে ২০ বারে এক লাখ টাকা জমা করা যেত।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test