E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অর্ধেক আসন খালি রেখে কমিউনিটি সেন্টার খোলার দাবি

২০২১ জুন ১৩ ১৬:২৬:২২
অর্ধেক আসন খালি রেখে কমিউনিটি সেন্টার খোলার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার : করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজধানীসহ সারাদেশে বন্ধ থাকা প্রায় চার হাজার কমিউনিটি সেন্টারে প্রতিমাসে লোকসান হচ্ছে প্রায় শত কোটি টাকা। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে কমিউনিটি সেন্টার খোলার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার কনভেনশন হল ও ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ শাহ জাকির হোসেন।

রোববার (১৩ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

জাকির হোসেন বলেন, ‘সামাজিক অনুষ্ঠান করতে ঢাকা শহরের প্রতিটি এলাকাতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে কমিউনিটি সেন্টার। এসব কমিউনিটি সেন্টারে পানচিনি, বাগদান, গায়ে হলুদ, বিয়ে, বিবাহোত্তর সংবর্ধনা, জন্মদিনসহ নানা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এসব অনুষ্ঠানে অন্দর সজ্জাসহ অনেক কাজ কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ করে থাকে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে প্রায় চার হাজার সরকারি-বেসরকারি কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশন সেন্টার আছে। গড়ে ৫০ জন করে স্থায়ী কর্মচারী ধরলে দেশে প্রায় দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় চার হাজার প্রতিষ্ঠানের লোকসান হচ্ছে প্রতিমাসে প্রায় শত কোটি টাকা। এর সঙ্গে ডেকোরেটরের ক্ষতির পরিমাণ আরও প্রায় ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা। কমিউনিটি সেন্টার, ডেকেরেটর, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টসহ অন্যান্য খাতের আয়হীন প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের পরিবারে নেমে এসেছে বিপর্যয়। অনেকের খাবার ক্রয় করার মতো টাকাও নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘সব মিলিয়ে এই খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২০ লাখের মতো মানুষ জড়িত। অনুষ্ঠানের আয়োজন না থাকায় জীবিকার অনিশ্চয়তায় আছেন তারা। তাদের মধ্যে যারা ফটোগ্রাফি, সাজসজ্জা, লজিস্টিক সেবা দেযন, ফুল সরবরাহ করেন, বোর্ড মিস্ত্রি, ডেকোরেশন ও ক্লিনিং কাজসহ বিভিন্ন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, তারা সবাই এখন বেকার হয়ে পড়েছেন। মহাবিপাকে পড়েছেন কমিউনিটি সেন্টার ব্যবসায়ীরা। বন্ধ হয়ে গেছে তাদের আয়-রোজগার। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। বছরজুড়ে বুকিং দেয়া সব ধরনের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ এই ক্ষতির বোঝা সামলে ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব ও চ্যালেঞ্জিং।’

কমিউনিটি সেন্টার খোলার দাবি জানিয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘একেকটি কমিউনিটি সেন্টার কমপক্ষে পাঁচ থেকে ৩০ হাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে নির্মিত। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১০০ বা ২০০ লোকের অনুষ্ঠান করা মোটেই অসম্ভব নয়। একটি হোটেলে এক হাজার থেকে দুই হাজার বর্গফুট জায়গার মধ্যে যেখানে ১০০ বা ২০০ লোকের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, সেখানে একটি কমিউনিটি সেন্টারের বিশাল ও সু-পরিসর জায়গায় এই সংখ্যক লোকের খাওয়ার ব্যবস্থা করা আরও সহজ ও স্বাস্থ্যসম্মত। এ অবস্থায় মানবিক কারণে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠান করার সুযোগ দেয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার কনভেনশন হল ও ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, চট্টগ্রাম কমিউনিটি সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মো. সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/জুন ১৩, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test