E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

‘জাপান সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে’

২০২১ নভেম্বর ২৯ ১৬:১৭:৪৮
‘জাপান সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে’

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার হোন্ডা তারো বলেছেন, জাপান সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং ভবিষ্যতে দেশের আরও উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

রবিবার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিএ) আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন, বাংলাদেশ ২০২১’ এর উদ্বোধনী অধিবেশনে হোন্ডা তারোর বিশেষ বার্তাটি পাঠ করেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগরীর একটি হোটেলে দুইদিনের ‘আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন-২০২১’ এর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন। এ সম্মেলনের আয়োজন করে বিআইডিএ।

তারো বলেন, গত দুই বছরে করোনার বিস্তার বাংলাদেশের পাশাপাশি জাপানকেও বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশে এখনো এ প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শুধু তাই নয়, করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার অর্জন করেছে।

জাপানের ভাইস-মিনিস্টার বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ৩০ লাখেরও বেশি ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এবং জরুরি সহায়তার জন্য ৭৫ বিলিয়ন ইয়েন ঋণ দিয়ে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের লড়াইকে সহায়তা করতে সক্ষম হয়েছে জাপান।

তিনি বলেন, আমরা ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো। গত ১০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে ‘অলৌকিক’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত যে, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে সর্বদা জনগণের কথা শোনার সরকারের নীতি দেশের সমৃদ্ধিতে অবশ্যই অবদান রাখবে।

তারো বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং এর বাজারের সম্ভাব্য আকর্ষণ জাপানি কোম্পানিগুলোকে দেশে প্রবেশ ও বিনিয়োগে উৎসাহিত করেছে। গত ১০ বছরে জাপান থেকে বিনিয়োগের পরিমাণ তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। আমি আশা করি, ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে আসবে।

একই সঙ্গে জাপানের ভাইস-মিনিস্টার বলেন, জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করার পাশাপাশি বিনিয়োগের কিছু বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।এর মধ্যে রয়েছে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সে বিলম্ব, বিভিন্ন কর, আমদানি প্রদানের টেলিগ্রাফিক হস্তান্তরের ওপর বিধিনিষেধ, দেশীয় ও বিদেশি সংস্থাগুলোর মধ্যে রপ্তানি প্রণোদনার বৈষম্য, ইপিজেড এবং এসইজেডগুলোতে পরিবেশের উন্নতি করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি এ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনের সুযোগ এবং সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহযোগিতায় সরকারি-বেসরকারি অর্থনৈতিক সংলাপ কাঠামোর মাধ্যমে জাপান ও বাংলাদেশের এ বিনিয়োগ সমস্যাগুলো সমাধান করা যাবে।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ও জাপান কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করবে উল্লেখ করে তারো বলেন, বর্তমানে জাপানের সহায়তায় বড় আকারের অবকাঠামো প্রকল্প, যা বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রতীক। যেমন ঢাকা মেট্রো, ঢাকা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর এ সব প্রকল্প ধারাবাহিকভাবে চলছে।’

তিনি আরও বলেন, জাপান ‘ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক’কে এগিয়ে নিতে অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। আমাদের সম্পর্কের গুরুত্ব এখন শুধু দ্বিপাক্ষিক নয়, এশিয়া এবং সামগ্রিকভাবে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও বাড়ছে। আজকের শীর্ষ সম্মেলনের মতো সুযোগের মাধ্যমে আমরা দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও গভীর করে তোলার আশা করছি।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, সৌদি আরবের পরিবহন ও লজিস্টিক মন্ত্রী সালেহ বিন নাসের আল-জাসার এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন। বিআইডিএ নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য দেন।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২৯, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test