E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চীনকে উত্তরাঞ্চলে কৃষিনির্ভর কারখানা করার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

২০২৩ ফেব্রুয়ারি ০২ ১৭:০৫:৩৩
চীনকে উত্তরাঞ্চলে কৃষিনির্ভর কারখানা করার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের উত্তরাঞ্চলে চীনকে অ্যাগ্রোবেজ ইন্ডাস্ট্রিজ স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চীনসহ বিশ্বের অনেক দেশের বিভিন্ন কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চীনের অবস্থান বেশ ভালো। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অ্যাগ্রোবেজ শিল্প কল-কারখানা স্থাপন খুবই প্রয়োজন এবং এখানে বিনিয়োগ লাভজনক হবে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তার অফিসরুমে ঢাকায় নবনিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ আহ্বান জানান তিনি।

টিপু মুনশি বলেন, চীন বাংলাদেশের বৃহৎ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অংশীদার। বাংলাদেশের উন্নয়নে তথা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন অনেক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এজন্য চীনের প্রতি কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশতটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে উঠছে। এর অনেকগুলোর কাজ এখন প্রায় শেষ। আরও চীনা বিনিয়োগ প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবধান অনেক বেশি। চীনে রপ্তানি বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন।

তিনি বলেন, চীনের বিনিয়োগকারীদের নিয়ে উত্তরাঞ্চল পরিদর্শন করলে অ্যাগ্রো সেক্টরসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা সহজ হবে। উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে। এছাড়া বাংলাদেশের চামড়া, আইসিটি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে বিনিয়োগ খুবই সম্ভবনাময়। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইসিটি সেক্টরের গুরুত্ব অনেক বেশি। এ সেক্টরে বিনিয়োগ চীনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বাংলাদেশ এ সেক্টর থেকে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির প্রস্তুতি নিয়েছে।

এসময় চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাণিজ্য ও অর্থনৈকি ক্ষেত্রে চীন বাংলাদেশকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে চীন আন্তরিকতার সঙ্গে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চীন প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাবে। এছাড়া চীন বাংলাদেশের পাওয়ার প্ল্যান্টসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে প্রস্তত। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে চীন ৯৮ শতাংশ পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। বাংলাদেশ-চায়না ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট করতে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে। বাংলাদেশে স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের বিষয়ে চীন খুবই আগ্রহী।

আগামী নভেম্বরে চীনের সাংহাইতে অনুষ্ঠেয় চায়না ইমপোর্ট ফেয়ারে বাণিজ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেন, মার্চে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ সামিটে চীন গুরুত্ব দিয়ে অংশ নেবে। আগামীতে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ আরও বাড়বে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করবে, তখন বিভিন্ন দেশ থেকে বাণিজ্য সুবিধা পেতে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের অনেক পণ্য চীন থেকে আমদানি করতে হয়। এ সেক্টরে আমাদের রপ্তানি বাড়ছে। আমাদের তৈরি পোশাক পণ্যের প্রয়োজনীয় মালামাল আমদানিও বাড়বে।

বিগত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে চীনে ৬৮৩ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ, একই সময়ে চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে ২৬ হাজার ২৫৩ দশমিক শূন্য ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test