E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

দুই সপ্তাহে রিজার্ভ বাড়ল ৩৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলার

২০২৪ নভেম্বর ২৯ ০০:২৩:২৪
দুই সপ্তাহে রিজার্ভ বাড়ল ৩৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলার

স্টাফ রিপোর্টার : দুই সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে ৩৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। আর আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী হাল নাগাদ রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৭৩ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দুই মাসের বিল পরিশোধের পর নভেম্বরের মাঝামাঝি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। অর্থাৎ রিজার্ভ দাঁড়ায় এক হাজার ৮৪৩ কোটি ৭০ হাজার ডলার বা ১৮ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলারে (বিপিএম৬)। এরপর থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার বাড়তে থাকে।
সর্বশেষ ৮৮ নভেম্বর রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৮৭৩ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারে (বিপিএম৬)।

একই সময় বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় দুই হাজার ৪৪৫ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার ডলারে।

একই সময়ে নিট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

প্রতি দুই মাস পরপর আকুর বিল পরিশোধ করতে হয়। যার পরিমাণ প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার। কম প্রয়োজনীয় বা বিলাসী পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার ফলে আমদানি ব্যয় কমে আসে। এর প্রভাব পড়ে আকু অঞ্চলের রিজার্ভেও। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর দুই মাসে বাংলাদেশকে এক দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয়।

নভেম্বর-ডিসেম্বরের আকু অঞ্চলের আমদানি বিল পরিশোধ করতে হবে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে। সে সময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার দেড় বিলিয়ন ডলার কমবে। অবশ্য তার আগে বর্তমান রিজার্ভ বেড়ে আবার ২০ বিলিয়নকে স্পর্শ করবে।

আকু হলো আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে এর সদর দপ্তর। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে থাকে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একটি চলমান প্রক্রিয়া। কমবে আবার বাড়বে।

আকু অঞ্চলের আমদানি-রপ্তানির ব্যয় নির্বাহ ছাড়া দৈনন্দিন ভিত্তিতে বিদেশি ঋণ ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হয় বাংলাদেশকে। সরকারের জরুরি আমদানি ব্যয় পরিশোধে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হবে। এর ফলে ডলার হ্রাস পেতে থাকে।

অন্যদিকে বৈদেশিক ঋণ, অনুদান, প্রবাসী আয়ের নির্দিষ্ট অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ হিসাবে জমা হয়। এর ফলে প্রবাসী আয় বাড়ে। এ ধারাতে গত ১৫ দিনে ৩০ কোটি ৫৯ লাখ ডলার বেড়েছে।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ২৯, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১১ ডিসেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test