E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে বন্দরে নিষেধাজ্ঞা ভারতের

২০২৫ মে ১৮ ০০:২০:৫৭
বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে বন্দরে নিষেধাজ্ঞা ভারতের

স্টাফ রিপোর্টার : তৈরি পোশাক ও  প্রক্রিয়াজাত খাদ্য সামগ্রীসহ কয়েকটি বাংলাদেশি পণ্য আমদানির ওপর বন্দর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। দেশটির মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,  ‘বাংলাদেশ থেকে ভারতে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য সামগ্রী ইত্যাদির মতো কিছু পণ্য আমদানির ওপর বন্দর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

শনিবার (১৭ মে) ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত মাসে কিছু ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ঢাকা, তারই প্রতিক্রিয়ায় ভারত সরকার শনিবার এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকসহ কিছু পণ্য আমদানি কোনো স্থলবন্দর থেকে অনুমোদিত হবে না। শুধু নহাভা শেভা এবং কলকাতা সমুদ্র বন্দর দিয়ে এসব পণ্য আনা যাবে। তবে ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানে যেসব পণ্য রপ্তানি করা হবে সেগুলোর ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত এবং কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য (বেকড পণ্য, স্ন্যাকস, চিপস এবং মিষ্টান্ন), তুলা এবং সুতার বর্জ্য, প্লাস্টিক এবং পিভিসি তৈরি পণ্য, রঞ্জক, প্লাস্টিকাইজার এবং দানাদার এবং কাঠের আসবাবপত্র আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরামের কোনো এলসিএস (ভূমি শুল্ক স্টেশন) এবং আইসিপি (সমন্বিত চেক পোস্ট) এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা এবং ফুলবাড়ির এলসিএস দিয়ে অভ্যন্তরীণ চালান অনুমোদিত হবে না।

এতে আরও বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশ থেকে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল এবং চূর্ণ পাথর আমদানির ক্ষেত্রে এই বন্দর নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।

বাংলাদেশ গত ১৩ এপ্রিল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় সুতা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। শুধুমাত্র সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতীয় সুতা আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।

সেই প্রসঙ্গ টেনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বন্দর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে এই পদক্ষেপের প্রতিদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ভারত আলোচনায় অংশ নিতে ইচ্ছুক, তবে বিদ্বেষমুক্ত পরিবেশ তৈরির দায় নিতে হবে বাংলাদেশকে।

ভারতের বার্তাসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, কলকাতা এবং মহারাষ্ট্রের নেহভা শেভা বন্দর দিয়ে যেহেতু এখন শুধুমাত্র বাংলাদেশ এসব পণ্য আনতে পারবে। এতে বাংলাদেশের এসব পণ্য পরিবহনের খরচ বাড়বে।

উল্লেখ্য, টেক্সটাইল খাতে ভারতের একটি বড় প্রতিযোগী বাংলাদেশ। ২০২৩-২৪ সালে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য ছিল ১২ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ প্রতি বছর ভারতে ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে।

(ওএস/এএস/মে ১৮,২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২১ জুন ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test