E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ট্রানজিট ও বাণিজ্য সুবিধাসহ ১৪ বিষয়ে কার্যপত্র তৈরি

২০১৪ এপ্রিল ০৪ ১২:৫০:২২
ট্রানজিট ও বাণিজ্য সুবিধাসহ ১৪ বিষয়ে কার্যপত্র তৈরি

স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা : বাংলাদেশ ও ভুটানের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ট্রানজিট ও বিদ্যুৎসহ ১৪ প্রস্তাব প্রাধান্য পাবে। দু’দেশের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তির খসড়া অনুমোদন, নৌরুট চালু এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে অর্থ আদান-প্রদানে জটিলতা নিরসনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। ভুটানের থিম্পুতে ৯ ও ১০ এপ্রিল এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

৫ বছরে ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে ১০৮ শতাংশ। ২০১২-১৩ অর্থবছরে মোট বাণিজ্য হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ মার্কিন ডলারের। এরমধ্যে ভুটান থেকে বাংলাদেশ ২ কোটি ৪৬ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করে এবং রফতানি করেছে ১৮ লাখ মার্কিন ডলারের।

দু’দেশের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তির চূড়ান্ত খসড়ার ওপর মত দেয়ার জন্য ভুটান পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো মত পাওয়া যায়নি। ফলে আসছে সচিব পর্যায়ের বৈঠকে- এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

ভুটানের ব্যবহারের জন্য দুটি নৌরুট প্রস্তাব করে ওই দেশ। প্রথম রুট হচ্ছে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর হয়ে মাওয়া, আরিচা, সিরাজগঞ্জ, চিলমারি হয়ে ডাইকাওয়া। দ্বিতীয় রুট হচ্ছে মংলা, কাওয়াখালী, বরিশাল, চাঁদপুর, মাওয়া, আরিচা, সিরাজগঞ্জ, চিলমারি হয়ে ডাইকাওয়া পর্যন্ত। অবশ্য ভুটানের এই প্রস্তাবের ওপর উভয় দেশের প্রতিনিধিরা ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শেষে রিপোর্ট তৈরি করে। ওই রিপোর্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভুটানে প্রেরণ করা হয়। তবে রুট দুটি পরিচালনার জন্য অপারেশনালাইজ করার জন্য লিগ্যাল ইনস্টুমেন্ট (প্রটোকল) তৈরি করা প্রয়োজন বলে রিপোর্টে মত প্রকাশ করা হয়েছে। এই ফিজিবিলিটি রিপোর্ট আসন্ন সচিব পর্যায়ে বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।

দেশে প্রতি বছর ক্রমশ বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। মাস্টার প্লান অনুযায়ী উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে ৩৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অবশ্য ইতিমধ্যে ভারতের সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে। কাজ শেষ হলে এসব প্রকল্প থেকে ৬৩০০ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।

জুনে নকুগাঁও স্থল বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ হতে পারে। হালুয়াঘাট স্থল বন্দর উন্নয়নের জন্য ১৪ দশমিক ৭৩ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ সমাপ্তির পথে। গোবড়াকুড়া স্থল বন্দরের জন্য প্রায় ২৩ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। মূলত এই দুটি স্থল বন্দর নির্মাণ করা হবে ভুটানের পণ্য আমদানির জন্য।

(ওএস/এটি/ এপ্রিল ০৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test