E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘মান নিশ্চিত হলে হিমায়িত খাদ্যে রপ্তানি আয় বাড়বে’

২০১৪ মে ১৮ ১৯:৩৬:৪৪
‘মান নিশ্চিত হলে হিমায়িত খাদ্যে রপ্তানি আয় বাড়বে’

খুলনা প্রতিনিধি : হিমায়িত চিংড়ির গুণগতমান নিশ্চিত করতে পারলে তা বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানিখাত হবে। সেই সাথে সরকারের তরফ থেকে পর্যাপ্ত আর্থিক সহযোগিতা পেলে সম্ভাবনাময় এ খাত দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীরা।

রোববার খুলনার স্থানীয় একটি হোটেলে ফ্রেডরিক নুউম্যান ফাউন্ডেশনের (এফএনএফ) সহযোগিতায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) আয়োজিত ‘হিমায়িত পণ্যের গুণগত সুবিধা ও রপ্তানি’ শীর্ষক পাবলিক প্রাইভেট ডায়ালগ (পিপিডি) কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন তারা।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আব্দুর রাশেদ।

কর্মশালায়বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মীর শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ, এফএনএফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. নাজমুল হোসেন, ফ্রোজেন ফুডসএক্সপোর্টাস এসোসিয়েশনের সভাপতি ও খুলনা চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কাজী শাহনেওয়াজ, সহ-সভাপতি শেখ মো. আব্দুল বাকি, বাংলাদেশ হ্যাচারী মালিক সমিতির সভাপতি আফতাবুজ্জামান, ফিস ফার্ম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোল্লা সামছুর রহমান শাহীন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ড. আব্দুর রাশেদ বাংলাদেশের চিংড়ি উৎপাদন ও প্রতিপালনের ক্ষেত্রে বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাবনাসহ বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন। এছাড়াও মৎস্য রপ্তানিতে রপ্তানিকারক দেশ কর্তৃক অযাচিত শর্তারোপের বিষয়ে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এফবিসিসিআইয়ের মাহাসচিব বলেন, এফএনএফের সহযোগিতায় এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে এমন শিল্পের বর্তমান অবস্থা, সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য রাজধানী ও এর বাইরে কয়েকটি সেমিনার আয়োজনের উদ্দ্যেগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিল্প উন্নয়নের সাথে যেন বেসরকারি খাত ও সরকারি প্রতিষ্ঠান জড়িত থাকে সেজন্য উভয় খাতের সংশ্লিষ্টদের পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে শিল্পগুলোর বাস্তবচিত্র অনুধাবনের জন্যই এই পাবলিক-প্রাইভেট ডায়ালগের আয়োজন করা হচ্ছে।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, চিংড়ি চাষ বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় আয়ের উৎস। এজন্য প্রান্তিক পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে এর গুণগতমান বজায় রাখতে হবে। আর তা করতে পারলে ভবিষ্যতে এই শিল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির চাকাকে আরও গতিশীল করবে।

বক্তারা চিংড়ি উৎপাদনে চাষি ও শিল্প উদ্যোক্তাদের সহজশর্তে ব্যাংক ঋণের সুবিধা, সময়মতো পানি সেচের ব্যবস্থা ও আনুষাঙ্গিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি চিংড়ি কিনতে রপ্তানিকারকদের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

কর্মশালায় এফএনএফের প্রতিনিধি ড. নাজমুল হোসেন তার প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে ভবিষ্যতে এদেশের সামাজিক, অথনৈতিক ও ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।

আলোচনায় অন্যদের মধ্যে মৎস্য অধিদপ্তর, ব্যাংক ও এনজিও কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এস/মে ১৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test