E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

২০৪৮ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ মিলেছে

২০১৭ জুলাই ০৬ ১৩:২৫:৪৫
২০৪৮ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ মিলেছে

স্টাফ রিপোর্টার : সিম পরিবর্তনের নামে নতুন সিম বিক্রির মাধ্যমে বিশাল অঙ্কের ভ্যাট ফাঁকির বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় চার মোবাইল ফোন কোম্পানির বিরুদ্ধে। এনবিআরের আপিলাত ট্রাইব্যুনাল দাবীকৃত দুই হাজার ৪৮ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে রায় দিয়েছে। কোম্পানি চারটি হলো গ্রামীণ ফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখন তিন মাসের মধ্যে তাদেরকে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। অবশ্য এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ তাদের রয়েছে।

২০০৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কোম্পানিগুলো মোবাইল ফোনের সিম পরিবর্তন সংক্রান্ত যে তথ্য দেয় তাতে সন্দেহ হয় এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ-ভ্যাট)। এরপর নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এনবিআর আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে হিসাব করে। কোম্পানিগুলোর কাছে ওই অর্থ পরিশোধের জন্য দাবিনামা জারি করে। কিন্তু মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো এটি চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট করে। আদালত বিশদ পরীক্ষার জন্য তা ফের এনবিআরে পাঠায়। এরপর কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক শেষে দুই হাজার ৪৮ কোটি টাকা ফাঁকির বিষয়টি ঠিক করা হয়। কিন্তু কোম্পানিগুলো তা না মেনে দাবীকৃত ভ্যাটের ১০ শতাংশ জমা দিয়ে এনবিআরের আওতাধীন আপিলাত ট্রাইব্যুনালে আপিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আপিলাত ট্রাইব্যুনাল গত ২৩ জুন এ রায় দেয়।

এ বিষয়ে এলটিইউ ভ্যাটের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ট্রাইব্যুনালের রায় ইতোমধ্যে কোম্পানিগুলোর কাছে চলে গেছে। আমরা আশা করছি, এ অর্থ তারা বেশিদিন ধরে রাখতে পারবে না। এনবিআরের দাবি অনুযায়ী, গ্রামীণ ফোনের কাছে দাবীকৃত অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ২৩ কোটি টাকা। এছাড়া বাংলালিংকের কাছে ৫৩২ কোটি টাকা, রবি’র কাছে ৪১৪ কোটি ও এয়ারটেলের কাছে ৭৯ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। আর সময়মতো অর্থ পরিশোধ না করায় এর সঙ্গে সুদের অর্থ যুক্ত হলে তা আড়াই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

নতুন গ্রাহকের কাছে মোবাইল ফোনের সংযোগ বা সিম বিক্রি করার জন্য সরকারকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভ্যাট দিতে হয়। কিন্তু সিম পরিবর্তনের জন্য ভ্যাট প্রযোজ্য ছিল না (গত দুই বছর ধরে কর আরোপ করা হয়েছে)। ফোন হারিয়ে গেলে, চুরি হলে, বা সিম নষ্ট হওয়ার কারণে নম্বর অপরিবর্তিত রেখে সিম পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। এনবিআরের অভিযোগ, নতুন সিম বিক্রিকে পরিবর্তন হিসেবে দেখিয়েছে কোম্পানিগুলো। উদ্দেশ্য, ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া। সিম পরিবর্তনের স্বপক্ষে কোম্পানিগুলো প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও দেখাতে পারেনি।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test