E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘এসডিজি অর্জনে সম্মিলিতভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে’

২০১৭ জুলাই ১১ ২৩:৩৬:০৯
‘এসডিজি অর্জনে সম্মিলিতভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে’

নিউজ ডেস্ক : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাতিসংঘ ঘোষিত সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) অর্জনে বিশ্ববাণিজ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সম্মিলিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ সফলভাবে এমডিজি অর্জন করে পুরস্কৃত হয়েছে। এসডিজি অর্জনে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করতে সক্ষম হবে।

মঙ্গলবার জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ গ্লোবাল রিভিউ অব এইড ফর ট্রেড-২০১৭ এর ‘এইড এন্ড ইনক্লুসিভ ট্রেড: ফাইনেন্সিং ট্রেড কানেকটিভিটি এন্ড দি এসডিজি’শীর্ষক হাই লেভেল বিষয়ভিত্তিক সেশনে বক্তব্য প্রদানের সময় তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নন-ফরমাল সেক্টরে ক্ষুদ্র, মাঝারি বাণিজ্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। বাংলাদেশের জনশক্তি বড় সম্পদ। কর্মক্ষম মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার বিকল্প নেই। বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা দূর এবং এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ট্রেড রিলেটেড সব সংস্থাকে একত্রিত করে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে শূন্য হাতে যাত্রা শুরু করে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৯০ সালে গড়ে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ শতাংশের কম। ২০১০ থেকে ২০১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬.৪ শতাংশে। চলতি অর্থ বছরে এ প্রবৃদ্ধি হবে ৭.২৪ ভাগ।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার গৃহীত ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সফল বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে। ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এসডিজি অর্জনের পথ সুগম হবে। এতে বাংলাদেশ দারিদ্র বিমোচন, নারী-পুরুষের সমতা, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ এসডিজি অর্জনের সেক্টরগুলোতে দ্রুত এগিয়ে যাবে। আরো দুইটি অর্থাৎ ৮ম এবং ৯ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সফল বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

জুলিয়া নেইলসনের সঞ্চালনায় এ সেশনে বিষয়ের উপর কীনোট উপস্থাপন করেন ইউরোপীয়ান কমিশনের ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক কমিশনার নিভেন মিমিকা। বিষয়ের উপর প্যানেল ডিসকারশনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ক্যামেরুনের ট্রেড মিনিস্টার লুক মেগলোইরি, পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী খুররম দস্তগীর খান, সুইডেনের ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন অ্যাফেয়ার্স এন্ড ট্রেড মিনিস্টার এ্যান নিনডি, লাও-এর শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী খিম্মানি ফলসিনা । এছাড়া জাতিসংঘ ও চীনের প্রতিনিধিও এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

(ওএস/এএস/জুলাই ১১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test