পেঁয়াজ, লবণ, চাল, পরিবহন, ক্যাসিনো : অতঃপর?
রণেশ মৈত্র
বাংলাদেশে সরকার কোথায়, জনগণ কোথায়, ব্যবসায়ী কোথায়, আইন কোথায় তার নিশানা পাওয়া ভার। এমন গড্ডালিকা প্রবাহের দেশ, স্বেচ্চাচারীদের দেশ, কর্তব্য ও দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার দেশ, আইনের প্রতি বলে কয়ে নিরাপদে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের দেশ, নির্বিকার চিত্তে যখন তখন কোটি কোটি মানুষকে বিপদে ফেলার দেশ সম্ভবত: আর কোথাও খুঁজে পাবে না-কো তুমি-সকল দেশের সেরা আমার এই জন্মভূমি।” অবস্থা গতিকে রবীন্দ্রনাথ রচিত অমর এই পংক্তিমালা স্মরণে আমার মনে হয় বিশ্ব কবি কতই না গভীরভাবে বাঙালিকে চিনতে পেরেছিলেন।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় উঠে গেল। দিনের পর দিন ধরে নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে ব্যবসায়ীরা দিব্যি ৬০ টাকা কেজির স্থলে দিব্যি বাড়িয়ে ৩০০ টাকা পর্য্যন্ত তুললেন। কি করে সম্ভব হলো? পেঁয়াজ পান্তার কথা সেই বাল্যকালে শুনেছি দেখেছি কত দিনই না সকাল বেলায় খেয়েছি গ্রীষ্মে এমন কি শীতেও। এটা গ্রামের খাদ্য-কৃষকের খাদ্য-গরীবের খাদ্য। পেঁয়াজ খাবেন না, পেঁয়াজ না খেলে কি হয়, আমরা পেঁয়াজ খাওয়া বর্জন করেছি আপনারাও করুন এমন সব বাক্য এবার দিব্যি বর্ণিত হলো। বাক্যগুলি জনগণের প্রতি অবহেলা সূচক ভাবে উপহাসের মত ছুঁড়ে দেওয়া হলো বলে প্রতিভাত হলো। ব্যবসায়ীরা, খলনায়কেরা চোখ টিপে হাসলেন জনগণ দীর্ঘস্বাস ফেললেন।
সংকটটির সৃষ্টি, যতদূর মনে পড়ে, মাস দুয়েক আগে যখন ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিল। ভারত বা পৃথিবীর যে কোন দেশের তো দেশের প্রয়োজনে তা করতেই পারে। ভারতের বহুরাজ্য, পশ্চিম বাংলা সহ আকস্মিকভাবে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়াতেই সম্ভবত: ভারত সরকারকে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমি অতি সম্প্রতি কলকাতা ঘুরে এলাম। নভেম্বরের ৫/৬ তারিখে আমার এক আত্মীয়াকে জিজ্ঞেস করে জানলাম সেখানেও অনেক বেড়েছে-৬০ থেকে ৮০ টাকা বেশী দরে বিক্রী হচ্ছে।
যা হোক, যেদিন ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করলো টেলিভিশনে খবরটি দেখার সাথে সাথে পরদিন থেকেই পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বড়তে সুরু করলো। যেন ব্যবসায়ীরা এই ঘোষণাটা জানার জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, মূল্যবৃদ্ধির সাথে সাথে তা প্রতিরোধে সরকার তৎপর হলেন না কেন? বাণিজ্য মন্ত্রী কত পেঁয়াজ দেশের কোন গুদামে মজুদ আছে কারা দাম বাড়লো তার খোঁজ খবর না নিয়ে বিদেশে-অষ্ট্রোলিয়া নিউজিল্যা- চলে গেলেন দিব্যি নিরুদ্বিগ্ন চিত্তে। কীভাবে তা সম্ভব হলো? মন্ত্রী সভায় তাঁর কি কোন জবাবদিহিতা নেই?
কিছুদিন পর দেখা গেল হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী পেঁয়াজের ব্যাপারে মুখ খুললেন কিন্তু একজন সরকারি কর্মকর্তা বলে বসলেন, পেঁয়াজের দাম কমানো সম্ভব না। আর চাই কি? ব্যবসায়ীরা আবারও চড়ালেন দাম। ছুঁলো ৩০০ টাকার মাত্রাও কোথাও কোথাও।
অবশেষে সরকার সিদ্ধান্ত নিলেন পেঁয়াজ বিদেশ থেকে জরুরী ভিত্তিতে আমদানী করা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং দু’চার দিনের মধ্যেই নানা দেশ থেকে কার্গো বিমানে পেঁয়াজ আনা হবে। ব্যস আর যায় কোথা? বহু জায়গা থেকে খবর আসতে শুরু হলো গুদামের পচে যাওয়া বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ জলে ফেলে দেওয়া হচ্ছে বস্তায় বস্তায়। আমদানি করা পেঁয়াজ এসে পেঁয়াজ দেশে এসে পৌঁছায় নি-কিন্তু পেঁয়াজের দাম সারা দেশেই কমতে সুরু করলো। কমলো আমদানী করা পেঁয়াজ দেশে এসে পৌঁছানোর অনেক আগেই আমদানী করা হবে এই খবর প্রচারিত হওয়ার সাথে সাথেই।
এখন প্রশ্ন, দেশী নতুন পেঁয়াজ উঠলো না, বিদেশী আমদানী করা পেঁয়াজও এলা না, টনকে টন পেঁয়াজ গুদামে পরিচয়ে নর্দমায় ফেলে দেওয়া হলো এভাবে পেঁয়াজের মওজুদ আরও কমে গেল কিন্তু তা সত্বেও তার দাম বেড়ে ৪০০/৫০০ টাকা না হয়ে ১৫০ টাকায় নেমে এলো কীভাবে? এ যেন এক যাদুর খেলা। নিশ্চিত করে বলা যায় আমদানী করা পেঁয়াজ দেশে এসে পৌঁছাতে আরও এক সপ্তাহ দেরীও যদি হয় তবু পেঁয়াজের মূল্য আরও কমতে থাকবে-১০০ টাকায় হয়তো নেমে আসবে। কারণ গুদামে এখনও প্রচুর পেঁয়াজ মওজুদ (মওজুদ দারেরা যে পেঁয়াজ মওজুদ করেছিল) এবং বিদেশী পেঁয়াজ াজারে এলে কেউ আর ঐ পুরোনো পচা বা অর্ধ পচা পেঁয়াজ কেউ কিনতে চাইবেন না।
তা হলে এই মওজুদদারেরা তো চিহ্নিত। এদের ধরতে এবং কঠোরভাবে শান্তি দিতে বাধা কোথায়? এরকম ঘটনা নানা পণ্য নিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রায়শ:ই ঘটিয়ে থাকেন কিন্তু “কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না” জাতীয় কিছু ফাঁকা বুলি আওড়ানো ছাড়া আর তো কিছু হতে দেখি না। এ ব্যাপারটি আমাদের চাইতে অনেকে নিবিড়ভাবে দেখে থাকেন এ দেশের অসৎ ব্যবসায়ীরা। তাই তারা এতটা বেপরোয়া হতে পেরেছে। আবাও তারই পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে। এ বিশ্বাসেই লবণ, চাল নিয়ে খেলোয়াড়রা নানা কায়দায় খেলতে ইতোমধ্যেই সুরু করে দিয়েছে।
লবণ
ভাগ্য ভালো, এবার কেউ লবণ খেতে বারন করে নি। কারণটি সম্ভবত: এই যে, ঐ বারন জনচিত্তে প্রচন্ড বিক্ষোভের জন্ম দেবে।
জানা গেল, নিতান্ত আকস্মিকভাবেই, লবণের মওজুদ ফুরিয়ে এসেছে-সবাই লবণ কিনুন-নইলে পাবেন না।
ব্যস, আর যায় কোথা? হাজারে হাজারে মানুষ, কি শহরে, কি নগরে, কি বন্দরে দৌড়ে ছুটে যেতে সুরু করলেন লবণের দোকানগুলিতে। নিমেষেই সে কী ভীড় লবণের দোকানগুলিতে। ৫ কেজি, ১০ কেজি যে যা পারলেন, তিনি তাই ব্যাগ ভর্তি করে কিনলেন। ঘটনা ১৯ নভেম্বরের। অসহায় মানুষের সেই ছুটাছুট্রি খবর বা চিত্র লাইভ দেখলাম টেলিভিশনের চ্যানেলগুলিতে। আরও দেখলাম কোথাও তথ্য বিভাগ কোথাও পুলিশ মাইক। হ্যান্ডমাইক নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছেন, চেঁচিয়ে জনগণকে বলছেন, গুদামে লক্ষ লক্ষ টন লবণ মওজুদ আছে। গুজবে কান দেবেন না বেশী পরিমাণে লবণ কিনবেন না। দেখলাম বেশী পরিমাণে লবণ কিনেছেন এমন অনেককে সারা দেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে।
সত্যই সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ। গ্রেফতার হলেন না গুজব রটনা কারীরা (কারণ সম্ভবত: কিছু বড় ব্যবসায়ী, যারা ক্ষমতাসীনদের সাথে হয়তো নানাভাবে সম্পৃক্ত) গ্রেফতার হলেন না। গ্রেফতার হলেন পেঁয়াজ আতংকের ভূক্তভোগী, নিজের উপার্জিত টাকায় দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য যাঁরা লবণ কিনলেন। যাঁরা ৫/১০ কেজি করে কিনেছিলেন তাঁরা কি অপরাধী? কোন আইনে অপরাধ করেছেন তাঁরা? কোন আইনে গ্রেফতার করা হলো তাঁদেরকে? “যা রটে-তার কিছু না কিছু ঘটে” এটাই তো আমাদের দেশের করুন ঐতিহ্য। তাই লোকে চট করে গুজবের পেছনে ছোটে।
চাল
পেঁয়াজকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। পেঁয়াজের দাম বাড়ার মুখে, কথা নেই, বার্তা নেই, বেড়ে গেল চালের দাম। চাল, লবণ, পেঁয়াজ এগুলি তো মানুষের অত্যধিক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। অন্যান্য দেশে দেখেছি সর্বজনীন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলির দাম সারা বছরই, প্রয়োজনে ভর্তুকী দিয়ে হলেও, যথেষ্ট কম রাখা হয় যাতে দরিদ্রতম ব্যক্তিও তা অনায়াসে কিনতে পারেন। সে সব দেশের ব্যবসায়ীরা, আমাদের দেশের চাইতে অনেক কম জনসংখ্যা হওয়া সত্বেও, অনেক কম মুনাফায় সব ধরণের পণ্য বিক্রী করে থাকেন। হঠাৎ বড়লোক হওয়ার লোভে মানুষের রক্ত চোষার মনোবৃত্তি কোথাও দেখি নি। কারণ সম্ভবত: এই আমরা কথায় কথায় ধর্মের দোহাই দেই তারা দেয় না। তা হলে তাঁরা কি সকলে জাহান্নামে যাবেন কম দামে (কম মুনাফায়) মানুষের হাতে প্রয়োজনীয় পণ্য তুলে দেওয়ার ‘অপরাধে’?
যাক চালের মওজুদ কেমন আছে সরকার তা জানান নাই। তবে তা যথেষ্ট পরিমাণে থাকারই কথা। কারণ সরকার অহরহই বলে থাকেন, “বাংলাদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ”। চাল রফতানীও হয় বিদেশে। কিন্তু আবার চালও আমদানী করতে হবে না তো? যদি করতেই হয় তবে অতিসত্বর করা হোক-সংকটটি জটিল হওয়ার আগেই।
পরিবহন
সরকার একটি আইন করেছেন ২০১৮ সালে সড়ক নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে। সড়কে বিরাজমান নৈরাজ্যের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে। তথাকথিত সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন সংঘটিত অসংখ্য প্রাণহানি যতাসাধ্য রোধের আশায়। আইনটা আগেও ছিল কিন্তু নরম। তারও প্রয়োগ ছিল না। ফলে চাল মালিকেরা সন্তুষ্ট ছিলেন। অহরহই দুর্ঘটনা ঘটতো সেগুলি বন্ধ করার মানসে নতুন আইনটি তৈরী করা হয় ২০১৮ সালে।
তবে সরকার করুণা করে বা দয়াপরবশ হয়ে এই নতুন আইনটি করেন কি। এর পেছনে আছে শক্তিশালী যুব আন্দোলনের অবদান। সড়ক নিরাপত্তার দাবীতে সে আন্দোলন ঘটেছিল অসংগঠিত ছাত্র-যুবকদের উদ্যোগে। বেশ কয়েকদিন ধরে সে আন্দোলন চালু ছিল। তারই চাপে আইনটি সংশোধন করা হয় কিন্তু প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তা করা হয় নি। অনেক নরম করেই করা হয়েছে অত:পর তার বাস্তবায়নও সাথে সাথেই করা হয় নি সরকার ও মালিক-শ্রমিকদের স্বার্থেই এবং জনস্বার্থের প্রতিকূলে অনেক দেরী করে তা চালু করতে সুরু করেছিল মাত্র। আর যায় কোথা? গাড়ীর চাকা বন্ধ যাত্রী স্বার্থ গোল্লায় যাক-দেশ গোল্লায় যাক-ঐ আইন তবু বাস্তবায়ন করা যাবে না-তার সংশোধন চাই-ই-চাই। সেগুলি বন্ধ করার মানসে নতুন আইনটি তৈরী করা হয় ২০১৮ সালে।
আবার ঘোষণা দিয়ে ২০ নভেম্বর থেকে সুরু হলো ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ধর্মঘট। তাও অনির্দিষ্ট কালের জন্য। যত দিন নতুন পরিবহন আইনের কতিপয় ধারা সংশোধন না করা হয় ততদিনই চলবে ঐ ধর্মঘট। পণ্য আনা নেওয়া চলবে না দ্রব্যমূল্য আর এক দফা হু হু করে বাড়বে। বাড়–ক-মানুষ মরুক-কুছ পরওয়া নেই।
সরকার? সম্ভবত: আপোসের পথ খুঁজেছেন। খুঁজছেন কিভাবে আত্ম সমর্পণ করা যায়। মন্ত্রীরা বৈঠক করছেন মালিকদের সাথে। সরকার নীতি আন্দোলন প্রত্যাহার। এটা আশংকা মাত্র। তবে তা দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কাল্পনিক নয় আদৌ।
সত্য বটে, জনগণের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। কিন্তু সে দুর্ভোগের অবসান কোন মলমে হবে না-হবে না নতি স্বীকারের মাধ্যমেও। প্রয়োজন মুহুর্তকাল বিলম্ব না করে আইনের পূর্ণাঙ্গ প্রয়োগ। তার আগে প্রয়োজন এই ধর্মঘটকে “বে-আইনী” ঘোষণা করা। কথা নেই বার্তা নেই কোটি কোটি মানুষকে যারা জিম্মি করে এই দুর্ভোগ ঘটিয়েছে ঘটাচ্ছে তারা যাতে আর কখনও এমন দুর্ভোগ সৃষ্টি করতে সাহস না পায় তার জন্যেই এই অবৈধ ধর্মঘট যারা আহ্বান করেছে যারা তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে এবং জোগাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা অবলম্বনই হবে এ রোগের কার্য্যকর চিকিৎসা।
একই সাথে দেশের সর্বত্র বিআরটিসি বাস চালু করাও প্রয়োজন অবিলম্বে। যথেষ্ট সংখ্যক বাস ট্রাক বিআরটিসির প্রতিটি ডিপোতে দিয়ে তা সকল রুটে অবিলম্বে চালু করা হোক তাতে যদি কিছু লোকসান ঘটে ঘটুক তবু পরিবহন সেক্টোরে একচেটিয়া ব্যবসা বন্ধ হোক-নৈরাজ্যের অবসান হোক।
এ ছাড়াও রেলপত সম্প্রসারণ, আরিচা-নগরবাড়ী দ্বিতীয় যমুনা সেতু নির্মাণ করে ঐ সেতু দিয়ে রাজশাহী, নাটোর, পাবনা-নগরবাড়ী আরিচা-ঢাকা রেলপথ নির্মাণ ও চালু করাও অপরিহার্য বিশেষ করে দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, যান-বাহন চলাচল ও পণ্য-পরিবহনের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে।
একই কারণে দেশের সকল নদী দখলমুক্ত করা, সিএস খতিয়ান মোতাবেক নদীগুলিকে প্রশস্ত করা, ড্রেসিং এবং মাধ্যমে সেগুলির গভীরতা পূর্বাপেক্ষাও বেশী যাতে হয় তার ব্যবস্থা করাও নৌ-পরিবহনের সুযোগ বৃদ্ধি ছাড়াও মৎস উৎপাদন বৃদ্ধি, স্বল্পমূল্যে সেচের সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষির ব্যাপক উন্নয়ন ও দেশে জোড়া পরিবেশ বিপর্য্যয় রোধ করার স্বার্থে।
ক্যাসিনো
ক্যাসিনো শুধুমাত্র ক্যাসিনোই নয়। আমাদের দেশে তা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের স্মারক। কয়েকজন কেউ কেটাকে গ্রেফতার করে বিস্ময়কর মালামাল উদ্ধার হলো, তাঁদেরকে রিম্যা-ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য জানা গেল-জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদেরকে জেলে পাঠানো হলো তদন্ত শেষে চার্জ শীটও কারও কারও বিরুদ্ধে দেওয়া হলো ভাল কথা।
কিন্তু বেরিয়ে তথ্যগুলি প্রকাশ না করা-যাদের নাম ও তথ্য পাওয়া গেল তাদেরকে গ্রেফতার না করা দৃশ্যত: অভিযানটি স্থগিত করে দেওয়া কেন হলো-রুই কাতলারা-ব্যাংক লুটেরারা, বিদেশে টাকা পাচারকারীরা এরা কি তবে নিরাপদ?
লেখক : সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ, সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত।
পাঠকের মতামত:
- রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মাইক মার্কার ব্যাপক প্রচারণা
- কেন্দুয়ায় অভ্যন্তরিন বোরো সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন
- কেন্দুয়ায় বোরোর বাম্পার ফলন, দামে অখুশি, ফলনে খুশি কৃষক
- ‘সার্বজনীন পেনশন স্কীমের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে হবে’
- কাপাসিয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- নহাটা শ্মশান কালীবাড়িতে বৈশাখ মাসব্যাপী প্রভাতী কীর্তন সম্পন্ন
- জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- হাজীগঞ্জে আগুনে পুড়লো ৮ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
- ফরিদগঞ্জে ঋণের ভার সইতে না পেরে সিনিয়র সিটিজেনের আত্মহত্যা
- 'প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যাওয়ার মত পরিবেশ ইসি করেছে'
- এসএসসি পরীক্ষায় শ্যামনগর উপজেলা পর্যায়ে প্রথম হলেন মহুয়া রানী গায়েন সৃষ্টি
- 'ফসলের নিবিড়তা ও উৎপাদন বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে’
- তারাকান্দায় নির্যাতিত ও অসহায় পরিবারের পাশে ওসি ওয়াজেদ
- টাঙ্গাইলে ফারাক্কা লংমার্চের ৪৮তম দিবসে আলোচনা সভা
- কালিয়াকৈরে মোটরসাইকেলের কর্মীকে মারধরের অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- হোসেনপুরে তীব্র গরমে ক্লাসেই অসুস্থ ৩০ শিক্ষার্থী
- কাপাসিয়ায় মাদকের বিরুদ্ধে সেমিনার
- শ্যামনগরে রোগীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ
- ফরিদপুরে ডিবির হাতে ৬ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- সুন্দরবনে বার বার আগুনের নেপথ্য কাহিনি
- গোপালগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার আন্দোলনে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
- ‘ডোনাল্ড লুর বক্তব্যের পর ফখরুলের কথার দাম নেই’
- সালথার জয়ঝাপ স্কুলে ওয়াদুদ মাতুব্বরের পক্ষে নির্বাচনী পথসভা
- প্রতিকার না পেয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা আনারস প্রতীকের প্রার্থীর
- বিশ্বের একমাত্র ভাসমান এনপিপিতে পিয়ার রিভিউ মিশন সম্পন্ন
- সাবেক যুব মহিলা লীগ নেত্রী স্বপ্না খন্দকারের সংবাদ সম্মেলন
- মাদারীপুরে রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয় ও ঠিকাদারের সাথে হাতাহাতির ভিডিও ভাইরাল
- ‘প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে’
- গোয়ালন্দে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান
- শায়েস্তাগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে মুখোমুখি দুই সাংবাদিক
- পর্যটন খাতে তুরস্ককে বিনিয়োগের আহ্বান
- বোয়ালমারীতে হাসামদিয়া গণহত্যা দিবস পালন
- মহম্মদপুরে চায়না ৩ সিডলেস লেবু চাষে সফল রিয়াজুল ইসলাম
- ১০ প্রকল্পেই বরাদ্দ ৫২ হাজার কোটি টাকা
- ঈদ উপলক্ষে ওয়ালটনের নতুন মডেলের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উন্মোচন
- ফরিদপুরে মৎস্য উৎপাদনে বার্ষিক পর্যালোচনা বিষয়ক কর্মশালা
- কোরবানির পশুর কোন সংকট হবে না : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- গোপালগঞ্জে ৫ দিনের নারী শিল্প উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু
- বিদেশি ঋণনির্ভর প্রকল্পের অগ্রগতি জানানোর নির্দেশ
- নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে গোপালগঞ্জের হোটেল রেস্তরাঁর খাবারের নমূনা সংগ্রহ শুরু
- আগামীতে জেলাভিত্তিক প্রকল্প নেওয়া হবে : পরিকল্পনামন্ত্রী
- বরিশালে ৩ লাখ রেনু পোনা জব্দ, ৯ জেলে আটক
- খালি হাতে বিদেশ ফেরত যুবকদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচি
- জামালপুরে অভ্যন্তরীণ ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন
- অতীত ভুলে সামনে তাকাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
- দেশে অকালমৃত্যুর অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ, প্রয়োজন সতর্কতা
- আচরণবিধি লঙ্ঘন: চেয়ারম্যান প্রার্থী রানা সরদারকে শোকজ
- আত্মকর্মসংস্থান তৈরিতে দুই বোনের স্ট্রিট ফুডের ব্যবসা
- আজ থেকে বাজারে মিলবে চুয়াডাঙ্গার আম
- নড়াইলে ডাকাতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !