আদর্শহীনতার অন্ধকারে বাংলাদেশ হাবুডুবু খাচ্ছে
আবীর আহাদ
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা, সামাজিক ন্যায় বিচার, সমাজতান্ত্রিক ও শোষণহীন সমাজ, মানবিক মর্যাদাবোধ, আইনের শাসন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সন্রাস-ধর্মান্ধতা ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ; সর্বোপরি বাঙালিত্ব----এসবই হলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অঙ্গীকার ।
আজ থেকে পঞ্চাশ বছর পূর্বে ১৯৭১ সালে আমরা বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে উপরোক্ত আদর্শ চেতনা ও অঙ্গীকারকে পাথেয় করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের এদদশীয় রাজাকার অপশক্তির বিরুদ্ধে এক সর্বাত্মক রক্তাক্ত সমরে অবতীর্ণ হয়েছিলাম । অতঃপর ৩০ লক্ষ মানুষের জীবনদান, তিন লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম ও দেড় লক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধার সীমাহীন শৌর্য ত্যাগ রক্ত ও বীরত্বে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা । আর সেই স্বাধীনতাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে আমাদের সমাজ স্বাধীনতার পক্ষ ও স্বাধীনতার বিপক্ষ নামক দু'টি পরস্পরবিরোধী শক্তিতে বিভক্ত হয়ে পড়ে ।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও স্বাধীনতা প্রাপ্তির খুশিতে আমরা স্বাধীনতার পক্ষশক্তি উদার মনোবৃত্তি নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে বলা চলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখেছিলাম । কিন্তু আমাদের সেই ক্ষমাকে আমাদের দুর্বলতা ভেবে স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি তাদের অভিভাবক পাকিস্তান ও তার আন্তর্জাতিক মিত্ররা ভেতরে ভেতরে সুসংগঠিত হয়ে ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী চার জাতীয় নেতাসহ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে । এর মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অঙ্গীকার ধ্বংসের কাজ শুরু হয় । পাশাপাশি দেশের সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য অঙ্গন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধিতাড়নই শুধু নয়, কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে নানান মিথ্যা অভিযোগে হত্যা করা হয় । শুধু আওয়ামী লীগ নয়, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অন্যান্য রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, মো-ন্যাপ, জাসদ প্রভৃতি দলের নেতৃবৃন্দকে নানান মিথ্যা অভিযোগে কারারুদ্ধ করা হয় ।
মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের সকল প্রশাসনে রাজাকার আলবদর ও তাদের উত্তরাধিকারদের বসিয়ে দিয়ে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করা হয় । এমনকি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রতিদিন সকাল বেলা বঙ্গভবনে প্রবেশ করেই হটলাইনে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের সাথে শলাপরামর্শ করেই তার দিনের কর্মসূচি শুরু করতেন বলে শোনা যেতো । এ সময় দেশের পরাজিত মোল্লাতন্ত্রকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে ইসলামবিরোধী এবং রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিমালাকে কুফরি মতবাদ বলে অপপ্রচারের অবাধ লাইসেন্স দেয়া হয় । বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও আওয়ামী লীগ বিরোধিতার শর্তসাপেক্ষে শতাধিক রাজনৈতিক দলের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছিলো ।
পত্রপত্রিকা, রেডিও ও টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর নাম নিষিদ্ধ করা হয় । এ সময় একশ্রেণীর ভাড়াটিয়া লেখক বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকদের দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করে বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়ে, মাওলানা ভাসানীকে স্বাধীনতার আন্দোলনের নায়ক এবং জেনারেল জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক ও দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে তারস্বরে প্রচার শুরু করা হয় । পাশাপাশি স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার শিরোমণি গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয় । অন্যতম আরো দু'জন প্রধান রাজাকারকে যেমন মশিউর রহমান জাদুমিয়কে সিনিয়রমন্ত্রী ও শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী করা হয় । এভাবে অনেক রাজাকারকেও মন্ত্রিসভার ঠাঁই দেয়া হয় । এবং মুক্তিযুদ্ধের ঘোরবিরোধী নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলামী ও মুসলিম লীগকে প্রকাশ্য রাজনীতি করার অনুমতি প্রদান করা হয় । এভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজাকারদের বিএনপি ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসিয়ে দিয়ে জেনারেল জিয়া দেশকে বলা চলে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানে ফিরিয়ে নিয়ে যান ।
এ প্রক্রিয়ায় জেনারেল জিয়া বাংলাদেশের বুকে আরেকটি মিনি পাকিস্তান সৃষ্টি করে পশ্চিম পাকিস্তানিদের ফেলে-যাওয়া জাতীয়করণকৃত শিল্প কলকারখানা ব্যাঙ্ক বীমাসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান সাবেক মালিকদের হাতে তুলে দেন । পাকিস্তান থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা এদেশে এসে সেসব প্রতিষ্ঠানগুলো সাবেক পূর্ব পাকিস্তান আমলের বাঙালি উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে টাকা-পয়সা নিয়ে আবার পাকিস্তানে ফিরে যান । এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জেনারেল জিয়া তাদের কাছ থেকে তার পার্টি বিএনপির নামে বিপুল অর্থ কমিশন লাভ করেন । অপরদিকে রাজনীতিকদের জন্য রাজনীতিকে জটিল করে দিয়ে নিজের একক ক্ষমতা পাকাপোক্ত রাখার লক্ষ্যে ঐ অর্থ দিয়ে বিভিন্ন দলের রাজনীতিকদের ক্রয় করে তাদের দিয়ে বিএনপিকে সাজান এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে দুর্বল করার জন্য অর্থ ছিটিয়ে সেই দলের মধ্যে আন্ত: দলীয় কোন্দল সৃষ্টি করেন যাতে কোনো দল তার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংঘটিত করতে না পারে । অন্যদিকে ছাত্র ও যুব সমাজের মধ্যে বিপুল অর্থ, মাদক ও অস্ত্র তুলে দিয়ে দেশকে সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করেন যাতে অন্য কোনো দল বিশেষ করে আওয়ামী লীগ রাজনীতির মাঠে দাঁড়াতে না পারে ।
দেশের বুকে এ অবস্থা যখন চলমান, এ সময় বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে আসেন । পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক, মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী, ছাত্র-শ্রমিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক শক্তির দীর্ঘ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমের পথ বেয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফিরে আসে । প্রাথমিক দিকে আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে অবস্থান নিয়ে অগ্রসর হলেও অনতিকালের মধ্যে তার অভ্যন্তরে একটি দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাচক্রের উত্থান ঘটে । সে-উত্থানের ধাক্কায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সৎ মেধাবী ও ত্যাগী রাজনৈতিক নেতা-কর্মী-শুভানুধ্যায়ীরা ছিটকে পড়ে ।
নেতৃত্বের সীমাহীন ক্ষমতার লোভ, উগ্র-আর্থবৈষয়িক চিন্তাচেতনা, আত্মীয়তা ও সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের টানে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধ অপশক্তি, বিভিন্ন দলের অপরাধীচক্র, সমাজের বিষধর দুর্নীতিবাজ, শেয়ারবাজার-ব্যাঙ্ক লুটেরা ও মাফিয়া দুর্বৃত্তচক্র বিপুল অর্থ ছিটিয়ে আওয়ামী লীগের দুর্নীতিপরায়ণ নেতাদের মাধ্যমে দলের মধ্যে ঢুকে পড়ে । তারা দলের মধ্যে ঢুকে পর্যায়ক্রমে দলের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদ বাগিয়ে নেয় এবং অনেকেই এমপি মন্ত্রী ও উপদেষ্টা পদেও আসীন হন । আর এভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অঙ্গীকার মুখ থুবড়ে পড়েছে ।
বর্তমান আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার কৌশল হিশেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গালভরা শ্লোগান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি বলে নিজেদের চিহ্নিত করলেও তারা মূলত: স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির কাজগুলোই করে যাচ্ছে । মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক শক্তি, বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধারা এখন তাদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছে ! বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে প্রশাসনকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অবস্থানে নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের ষোলকলা পূর্ণ করা হয়েছে ।
অপরদিকে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় প্রায় ৫০ হাজার অমুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের যে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে গিয়েছিলো, সেটি জেনেও আওয়ামী লীগ সরকার তাদের পথ অনুসরণ করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাহাত্তর সালের মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা পাশ কাটিয়ে একটা গোঁজামিল সংজ্ঞায় অমুক্তিযোদ্ধা এমনকি হাজার হাজার রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ভুলুণ্ঠিত করেছে ! যে মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানী মুক্তিযোদ্ধাদের সীমাহীন শৌর্য ত্যাগ রক্ত ও বীরত্বে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত-----যাদের ত্যাগের বিনিময়ে জীবনে যিনি যা কল্পনাও করেননি তিনি তাই হয়েছেন হচ্ছেন ও হতে থাকবেন-----সেই মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি না দিয়ে আওয়ামী লীগ নিজের সৃষ্টির সাথে চরম দুরাচারিতা করে চলেছেন । এসব জাতীয় অপরাধ ও অপকর্ম বিএনপি-জামায়াত জোট করতে পারে, কারণ তাদের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা আশা করা যায় না ! কিন্তু আওয়ামী লীগ এ জাতীয় অপরাধ ও অপকর্ম করে কোন আক্কেলে, তা আমাদের কাছ কোনোক্রমেই বোধগম্য নয় ।
এভাবে বলা যায় যে, আজ আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পদদলিত করার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদাকে ধূলিসাত্ করে তারা স্বাধীনতাবিরোধী ও ধর্মান্ধ অপশক্তিকে খুশি করে চলেছে ! আরো পরিষ্কার করে বলা যায় যে, স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির যেসব সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অপরাধ করার কথা, সেগুলো তারাই অত্যন্ত সুচারুরূপে করে যাচ্ছে । অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, স্বাধীনতাবিরোধী হেফাজত ও চরমোনাই সমিতির মোল্লারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ করার লাগামহীন হুমকি দিলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার সরকার তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে গভীর নীরবতা পালন করে প্রমাণ করেছে যে, তারা ঐসব মোল্লাদের ভয় পান !
অবশ্য গত মার্চ-২১ মাসে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলাম সারা দেশব্যাপী যে তাণ্ডব চালায় এবং তৎপরবর্তী হেফাজত পাণ্ডা মামুনুল হকের নারীঘটিত কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে হেফাজতে ইসলাম চরম কোণঠাসা অবস্থানে পড়ে যায় । মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষ তাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একশ্রেণীর সুবিধাবাদী ও লুটেরা রাজনীতিক সেই কোণঠাসায়-পড়া হেফাজতের সাথে কী একটা সম্পর্ক বজায় রেখে চলার লক্ষ্যে পর্দার আড়ালে নানান তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে মিডিয়াতে খবর প্রকাশ পাচ্ছে । এতেই বুঝা যায় দল হিশেবে আওয়ামী লীগ ও তার সরকার তাদের নৈতিক ভিত নষ্ট করে ফেলেছেন । সুতরাং এখন দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে কিছুই নেই ! কোনো রাজনীতি নেই, কোনো নীতি, আদর্শ ও তন্ত্রমন্র নেই-----আছে শুধু একটি মাত্র অপ-আদর্শ, আর সেটি হলো : রাষ্ট্রীয় অবাধ ক্ষমতা, দুর্নীতি, লুটপাট, ধর্মান্ধতা ও মাফিয়াতন্ত্র ! অর্থাত্ বাংলাদেশ আজ আদর্শহীনতার অন্ধকারে হাবুডুবু খাচ্ছে ! এ অন্ধকার থেকে আলোর দিকে ধাবিত হওয়ার প্রক্রিয়া ঐতিহাসিক কারণে বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকেই গ্রহণ করতে হবে । এ লক্ষ্যে এক্ষুনি তাঁর দল ও সরকারের ভেতরকার দুর্নীতিবাজ লুটেরা ও হাইব্রিডদের কঠোর হস্তে অপসারণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সৎ ত্যাগী ও মেধাবীদের দল ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্তরে বসাতে হবে ।
লেখক :চেয়ারম্যান, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
পাঠকের মতামত:
- সিলেটে সরকারি গাছ কাটার মামলা নিয়ে পুলিশের গড়িমসি
- মাইকে গান বাজিয়ে ১০-১৫ টাকায় লাউ বিক্রি
- 'জায়গা বরাদ্দ পেলেই ফরিদপুরকে স্পেশাল ইকোনমিক জোন হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু করবো'
- সাতক্ষীরায় আত্মহত্যার চেষ্টা করা স্ত্রীকে বাঁচিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা
- টাঙ্গাইলের হাতে ভাজা মুড়ির কদর বেড়েছে সারাদেশে
- যশোর নিউ মার্কেটে স্বর্ণের বারসহ দুই যুবক আটক
- সুলভ মূল্যে মাছ-মাংস-ডিম, জনমনে স্বস্তি
- পুতুল সরকার না পাওয়া পর্যন্ত তাদের কোনও ভোটই পছন্দ হবে না : জয়
- যে কারণে ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- চুয়াডাঙ্গা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
- কাপাসিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু
- মামলা করায় বনবিভাগের কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি
- টাকার বিনিময়ে রেল কেটে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না : রেলমন্ত্রী
- ফরিদপুরে জেলা প্রশাসনের চারটি প্রকাশনা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
- সাতক্ষীরার হতদরিদ্র সুজিত হালদারের লেখা চতুর্দশপদী কবিতা মন কেড়েছে মানুষের
- শ্রীমঙ্গলে মসজিদের নামের পানির পাম্প যুবলীগ নেতার বাড়িতে
- বাগেরহাটে ৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক
- বাগেরহাটে নাশকতা মামলায় যুবদলের ১৩ নেতাকর্মী কারাগারে
- সোনারগাঁয়ে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি, নিহত ৪
- পলাশবাড়ীতে দোকান বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন
- ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ৩২তম মিলিয়নিয়ার হলেন কুমিল্লার ভ্যানচালক হুমায়ুন
- ই-ভিসা প্রকল্প: বেশি খরচে বিদেশি কোম্পানিকে কাজ দেওয়ার পাঁয়তারা
- মহম্মদপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আওয়ালের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
- ত্রিশালে ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে আসামি ছিনতাই
- এক্সিম-পদ্মা একীভূত, যেভাবে চলবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ
- আলোচি আরবিটেটর প্রত্যাহার সংক্রান্ত আপিল হাইকোর্টে খারিজ
- সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ
- সাভারে সাংবাদিক পুত্রকে হত্যার চেষ্টা, নেপথ্যে কিশোর গ্যাং
- ভাষা সৈনিক কাজী গোলাম মাহবুব’র মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার
- গৌরনদীতে ৪ ওষুধ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- বাংলাদেশের শ্রম অধিকার নিয়ে ২ দেশের সমালোচনা
- ‘কনকাশন’ তামিমের ফিফটি
- ‘হয়রানি বন্ধ হলে ৫০০ টাকার কমে গরুর মাংস বিক্রি সম্ভব’
- সহকারী প্রক্টর একদিন ও আম্মান দুদিনের রিমান্ডে
- মসজিদ-মাদ্রাসায় যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ, এলাকায় উত্তেজনা
- খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার: আইনমন্ত্রী
- অবশেষে কেন্দুয়ার সেই শিক্ষা কর্মকর্তাকে সিলেটের নবীগঞ্জে বদলি
- শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসবে বাংলাদেশের অতিথি
- ‘প্রধানমন্ত্রী মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টা ঘুমান, বাকি সময় দেশ নিয়ে ভাবেন’
- থার্ড-পার্টি প্রার্থী বাইডেনের বিপদ ডেকে আনতে পারে?
- পিকআপ-লেগুনা মুখোমুখি সংঘর্ষে এক পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু
- ইফতার খায় আর আ.লীগের গিবত গায় : প্রধানমন্ত্রী
- ভেজাল দুর্নীতির রকমফের
- তোমাতে বাংলাদেশ হাসে
- ১৭ মার্চ
- ইফতারে স্বাস্থ্যকর বেলের শরবত
- ‘বিএনপি মানে খাই খাই, আর আওয়ামী লীগ মানেই দেই দেই’
- ‘শিল্পী পরিষদ প্রকৃত শিল্পীদের নিয়েই গঠন করা হবে’
- আতলেতিকোর মাঠে দুর্দান্ত জয়ে দুইয়ে বার্সেলোনা
- হাইকোর্টে ড. ইউনূসের সাজা স্থগিতের আদেশ বাতিল
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !