E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মুক্তিযোদ্ধা তালিকার নামে আরেকটি বেআক্কুলে অপকর্ম সংঘটিত হতে যাচ্ছে

২০২১ জুন ২০ ১৬:২১:৩৮
মুক্তিযোদ্ধা তালিকার নামে আরেকটি বেআক্কুলে অপকর্ম সংঘটিত হতে যাচ্ছে

আবীর আহাদ


মুক্তিযোদ্ধা তালিকা। এটা মহান মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে পাকি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় সশস্ত্র সহযোগী রাজাকার আলবদর আলশামস আলমুজাহিদ বাহিনীর বিরুদ্ধে রক্ত দেয়া-নেয়ার মরণপণ যুদ্ধে লিপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদার প্রশ্ন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্ন। এটা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শৌর্য ত্যাগ রক্ত ও বীরত্বের প্রশ্ন। জাতীয় ইতিহাসের গৌরবের প্রশ্ন। এটা নিয়ে ছলচাতুরি, তালবাহানা, গোঁজামিল ও জালজালিয়াতি চলবে না। চলতে দেয়া হবে না। যিনি বা যারা আদৌ মুক্তিযোদ্ধা নন, তাদের দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি গঠন এবং তথাকথিত যাচাই বাছাই কমিটিকে অর্থ দিতে না পারায় প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অমুক্তিযোদ্ধা বলে আখ্যায়িত করে সামাজিকভাবে হেয় করা, পক্ষান্তরে রাজনৈতিক বিবেচনা, আত্মীয়তা ও অর্থের বিনিময়ে অমুক্তিযোদ্ধাসহ স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধা বনে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় স্থান পাবে এসব কোনো অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না। বিভিন্ন সময়ে ঐসব বিতর্কিত যাচাই বাছাই কমিটির সুপারিশ ও জামুকার জাদুর পরশে মুক্তিযোদ্ধা বনে-যাওয়া অমুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ইতিমধ্যে পরপর তিন পর্বের মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আরো কতো পর্ব অপক্ষেমান কে জানে! এ তিন পর্বের মুক্তিযোদ্ধা তালিকার গতিপ্রকৃতি দেখে এটাই প্রতিভাত হচ্ছে যে, মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকার নামে হাজার হাজার অমুক্তিযোদ্ধা এমনকি রাজাকারদের নামও মুক্তিযোদ্ধা হিশেবে পরিগণিত হচ্ছে ! বিশেষ করে তিন পর্বের তালিকার মধ্যে যখন ভারতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকের নাম প্রকাশিত না হলেও শুধুমাত্র গেজেট বা লাল তালিকার অনেক বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধার নাম চূড়ান্ত তালিকায় চলে আসছে, তখন তালিকাটা যে স্বচ্ছ হচ্ছে না, সেটাই প্রমাণিত হয়।

এখানে সংগতকারণে মুক্তিযুদ্ধকালীন ঢাকা শহরে অনেক দুর্ধর্ষ অপারেশনের সাথে জড়িত বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরউদ্দিন জালাল ওরফে বিচ্ছু জালালের কথা বলতে হয়। ঢাকার দুর্ধর্ষ ক্রাক প্লাটুনের সদস্য বীরপ্রতীক মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল আলমসহ বহু বীর মুক্তিযোদ্ধা, এমনকি ভারতীয় মিত্রবাহিনীর কোনো সদস্যের লিখিত বিভিন্ন গ্রন্থে বিচ্ছু জালালের বীরত্বের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে, সেখানে হঠাত্ করে তথাকথিত যাচাই বাছাই কমিটির ঢাকা মহানগরের সভাপতি সিদ্ধান্ত দিয়ে বসলেন যে, বিচ্চু জালাল মুক্তিযোদ্ধাই নন! বিচ্ছু জালাল মুক্তিযোদ্ধা কিনা সেটা জানেন তার সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ। যেখানে সেই গ্রুপের কমান্ডার, টুআইসি ও অন্যান্য সদস্যদের অনেকে নিশ্চয়ই এখনো জীবিত আছেন বিচ্চু জালাল মুক্তিযোদ্ধা কিনা সেটি ভালো জানেন তার সেসব মুক্তিযোদ্ধা সাথী ও তৎসময়কার তদাঞ্চলের জনগণ। সেক্ষেত্রে তথাকথিত যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি যেখানে নিজেই মুক্তিযোদ্ধা কিনা সে-ব্যাপার বিস্তার সন্দেহ দেখা দিয়েছে, তিনি কী করে একজন প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অমুক্তিযোদ্ধা আখ্যায়িত করে অপমান করতে পারেন তা বোধগম্য নয়। এখানে নিশ্চয়ই কোনো গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে ! যেমন, উল্লিখিত যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি নিজেই ২০১৪ সালে মুক্তিযোদ্ধা হিশেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্যে অনলাইনে জামুকায় আবেদন করে, আবেদন ক্রমিক নং ২০১৬৯৩। অথচ কী বিস্ময়কর বিষয় এই যে, সেই আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাকেই (!) জামুকার চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক তখনকার ঢাকা মহানগরের যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি করেছিলেন!

জামুকার চেয়ারম্যান তথা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী জামুকা আইনের ২০২০ এর ৪ এর ২ ধারা লংঘন করে সেই একই ব্যক্তিকে পুনরায় ২০২১ সালে ঢাকা মহানগর যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি বানান! এ আইনে বলা হয়েছে, ভারতীয় ও লাল তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্য থেকে যাচাই বাছাই কমিটি গঠিত হবে। উল্লিখিত সভাপতির মুক্তিযোদ্ধাশীপ যেখানে অমীমাংসিত, যিনি মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য জামুকায় আবেদন করেছেন, তিনি কিসের ভিত্তিতে কী জাদুর পরশে জামুকার চেয়ারম্যান কর্তৃক যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি হন তা বিস্ময়কর বটে! এ সভাপতির মুক্তিযোদ্ধাশীপ এখনো অমীমাংসিত থাকলেও ২০২১ সালের তথাকথিত যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতিও তিনি হন জামুকার চেয়ারম্যান তথা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মহোদয়েরই অনুমোদনে! এভাবে ২০১৭ ও ২০২১ সালের মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটিতে বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পৃক্ত করে পুরো প্রক্রিয়াটিকে বাণিজ্যিকীকরণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদায় কালিমালিপ্ত করা হয়েছে! এতে সন্দেহ হয় যে, এসব অপকীর্তির পশ্চাতে কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে। এক্ষেত্রে আমাদের মনে হয় জামুকার চেয়ারম্যান মন্ত্রী মহোদয় নিজেই নিজের সৃষ্ট আইনকে পদদলিত করে নিজেকে একজন অযোগ্য অদক্ষ ও আইন ভঙ্গকারী ব্যক্তি হিশেবে চিত্রিত করেছেন। গত বছর রাজাকার তালিকা প্রকাশের নামে তিনি অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার তালিকাভুক্ত করে দেশের মধ্যে একটা তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছিলেন। এতে তাঁর মনে কোনো অপরাধবোধ জাগ্রত না হলেও স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এজন্য দু:খ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে মন্ত্রী মহোদয় বলেছিলেন যে, তিনি বেআক্কুলের মতো কাজটি করে ফেলেছেন! এমন একজন স্বঘোষিত বেআক্কুলে ব্যক্তির হাতে পড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঐতিহাসিক মর্যাদা আজ ধুলায় লুণ্ঠিত হয়ে পড়েছে! অথচ কী আশ্চর্য তিনি এখনো বহাল তবিয়তে মন্ত্রীর মতো সাংবিধানিক পদে বহাল রয়েছেন! ধারাবাহিক প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকার গতিপ্রকৃতি লক্ষ্য করে আমাদের কাছে এটিই প্রতিভাত হচ্ছে যে, মুক্তিযোদ্ধা তালিকার নামে আরেকটি বেআক্কুলে অপকর্ম সংঘটিত হতে যাচ্ছে!

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপর্যুপরি আন্দোলন, সংগ্রাম ও লেখালেখির পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ( জামুকা) গত কিছুদিন আগে বেসামরিক ও বাহিনী গেজেটধারীদের যাচাই বাছাইয়ের যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলো, সেটির ওপর আমরা দৃষ্টি রেখেছিলাম । যদিও গৃহীত যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার প্রতি আমাদের বিন্দুমাত্র আস্থা ছিলো না, তারপরও আমরা চেয়েছি যাচাই বাছাই হোক । তবে আমাদের কাছে খবর আছে, তাদের মনোনীত নতুন যাচাই বাছাই কমিটিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ২০১৭ সালের বিতর্কিতরা ধর্ণা দিয়ে পুনরায় কমিটিতে অবস্থান নিয়ে পুরাতন বাণিজ্যিক অভিজ্ঞতায় হাজার হাজার ভুয়াদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ নিয়ে তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা বলে সুপারিশ করেছে । যাচাই বাছাইয়ের তিন/চার মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত বহু এলাকার ফলাফল কেন্দ্রে না আসার মূলেই রয়েছে অর্থের খেলা ! আর এসবের পেছনে শক্তি সাহস ও কলকাঠি নাড়ছেন স্থানীয় বেশকিছু আওয়ামী লীগ নেতা, এমপি, বড়ো বড়ো আমলা ও মন্ত্রীরা ।

অপরদিকে এ তালিকার ভুয়ারা অর্থ নিয়ে একশ্রেণীর লোভাতুর ভারতীয় ও লাল তালিকার মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরঘুর করেছে ! এ অবস্থায় বাণিজ্যিক ধান্দায় যাচাই বাছাই ভেস্তে গিয়ে ভুয়ারা আবার ক-তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা হিশেবে পুনর্বহাল হয়েছে । এর সব দায়-দায়িত্ব মন্ত্রী মহোদয়কেই নিতে হবে । এ অপ্রীতিকর অবস্থা যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতি আমার পরামর্শ ছিলো, যাচাই বাছাই এলাকার মধ্যে এনএসআই এসবি, ডিবি, ডিজিএফআই ও দুদকের গোয়েন্দা জাল বিস্তার করুন যাতে কমিটির কোনো সদস্য, অমুক্তিযোদ্ধা ও সাক্ষীরা আর্থিক লেনদেন করতে না পারে । এছাড়া যাচাই বাছাইয়ের দিন ও স্থলে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনসহ আইন-শৃঙ্খলারক্ষাবাহিনী মোতায়েন রাখুন । কেউ ভুয়া প্রমাণিত হলে বা মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে সঙ্গে সঙ্গেই তাকে গ্রেফতার ও তার গেজেট বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে । এ রকম ২/১টা উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারলে কোনো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ভুয়া সাক্ষ্যদাতা যাচাই বাছাই স্থলে হাজিরই হতো না । আর কেউ যদি উপযুক্ত কারণ ছাড়া যাচাই বাছাই স্থলে গরহাজির থাকে তাহলে তাৎক্ষণিক তাকে অমুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করার ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিলো । যেমন আমার জানা মতে, অতীতে যতোবার যাচাই বাছাই হয়েছে ততোবারই একজন প্রভাবশালী অমুক্তিযোদ্ধা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আত্মীয় মারফত 'গুরুতর হৃদরোগে'র প্রেসক্রিপশন পাঠিয়ে দিয়ে যাচাই বাছাই বোর্ডে অনুপস্থিত থেকে পার পেয়ে এসেছে ! এ ধরনের পরিস্থিতিতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যায় সে-বিষয়টির দিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখাও উচিত ছিলো । কিন্তু অজ্ঞাত কারণে যাচাই বাছাই কমিটিকে তাদের মর্জিমাফিক কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে, ফলে সর্বত্রই ফ্রিস্টাইলে বাণিজ্য সংঘটিত হয়েছে !

শুধুমাত্র বেসামরিক ও বাহিনী গেজেট যাচাই বাছাই করে ক্ষান্ত দিলে হবে না, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সব তালিকার অমুক্তিযোদ্ধাদের উচ্ছেদের জন্যে উপরোক্ত প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে । মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র বেসামরিক ও বাহিনীগেজেট নয়, অন্যান্য সব তালিকা বিশেষ করে লাল মুক্তিবার্তা তালিকার মধ্যে বিপুলসংখ্যক অমুক্তিযোদ্ধা অবস্থান করছে ।

আমাদের জানা মতে, সম্প্রতি একটি শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে বিদ্যমান মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বিপুলসংখ্যক অমুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে যে তালিকা প্রস্তুত করেছে তাতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড় লক্ষের মতো, যে সংখ্যাটার কথা আমি আজ কয়েক বছর ধরে বলে আসছি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় তথা জামুকা সেই গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ও সুপারিশ আমলে না নিয়ে তাদের মনগড়া তালিকা প্রকাশের যাবতীয় ব্যবস্থা প্রায় সম্পন্ন করে এনেছে যে তালিকায় স্থান পাবে হাজার হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা এমনকি অগণন রাজাকাররাও যার আলামত ইতোমধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে। এর পশ্চাতে রয়েছে যাচাই বাছাই কমিটির সদস্য ও জামুকার বাণিজ্যিক কারসাজি! বেশকিছু ক্ষমতাসীন দলের নেতা এমপি মন্ত্রীও এ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত। এরা ঐসব কারণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের ভাগ তুলে দিতে চায় অমুক্তিযোদ্ধা এমনকি রাজাকারদের হাতে ! আর দু:খজনক সত্য এই যে, এহেন গোঁজামিল, অনৈতিক ও আসল-নকল মিশ্রিত বীর মুক্তিযোদ্ধা তালিকাটি বৈধতা পেতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে ! আমাদের আরো দু:খ এই যে, এসব জালিয়াতি গোঁজামিল অনৈতিক কার্যকলাপ সম্পর্কে তিনিও কোনো খোঁজখবর নিয়েছেন বলে আমাদের জানা নেই !

এতো দাবি, এতো প্রতিবাদ ও এতো সুপরামর্শ দেয়ার পরও যদি বহুল সাধনা ও প্রত্যাশিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অমুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার থেকে যায় তাহলে কিন্তু খবর আছে, মন্ত্রী সাহেব ! আমাদের হিসেব মতে দেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কোনো অবস্থাতেই দেড় লক্ষের ওপর নয় । দেখি, আপনার তালিকার সংখ্যা কতো দাঁড়ায় ? আমরা আপনার ফাইনাল খেলার ফলের অপেক্ষায় আছি। অসংগতি ও অপমান অবশ্যই বরদাস্ত করা হবে না।

লেখক :চেয়ারম্যান, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test