মুক্তিযোদ্ধাদের মনের চাপা দুঃখ ও ক্ষোভ
আবীর আহাদ
গতকাল ৯ জুলাই। রাত আটটার দিকে। পাবনার বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান সাচ্চু ফোন করে তীব্র দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, 'আমি একাত্তরের বীরঙ্গনা বা দেশ-বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টিকারীদের সম্মান করি। কিন্তু তাদেরকে বীর মুক্তিযোদ্ধা নামে অভিহিত করা হবে, এটা একজন রণাঙ্গনের জীবনপণ যুদ্ধকরা মুক্তিযোদ্ধার জন্য চরম অপমান! তাদের অবদানের স্বীকৃতি দিন তাতে কারো আপত্তি নেই, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হিশেবে নয়। মুক্তিযোদ্ধা হতে হলে প্রশিক্ষণ,অস্ত্র ও যুদ্ধ থাকতে হবে যেটা প্রায়শই আপনি বলে থাকেন, লীডার! তাদের সেসব নেই। এটা মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত প্রান্তরে রক্ত দেয়া-নেয়া আমার মতো একজন মুক্তিযোদ্ধার জন্য বড়োই দু:খ ও অমর্যাদাকর। আপনি অনুমতি দিলে এর প্রতিবাদে আমি আমার মুক্তিযোদ্ধা পদবী বর্জন করে সনদগুলো জনসম্মুখে পুড়িয়ে ফেলতে চাই'। তাঁকে নিবৃত্ত করতে আমাকেও অনেক কথা বলতে হয়েছে। এমন তীব্র ক্ষোভ ও অভিমানভরা মুক্তিযোদ্ধা শুধু একাই এ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান নন, হাজারো বীর মুক্তিযোদ্ধা একই ক্ষোভ, দুঃখ ও অভিমানে জর্জরিত হয়ে নিরবে চোখের জল ফেলছে। কে দেবে তাদের এ চোখের জলের উত্তর?
স্বাধীনতার সূর্যসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধারা আজ জীবনের শেষ প্রান্তে অবস্থান করছেন। অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। তারা নানান রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত। অনেকেরই মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। পরিবার-পরিজনসহ তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আর্থিক কারণে অনেকেই সন্তানদের লেখাপড়া করাতে পারেননি। যদিও বা কষ্টের ভেতরে থেকেও কিছু মুক্তিযোদ্ধা সন্তান উচ্চশিক্ষা নিতে পেরেছে কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি পরশ্রীকাতর আমলাতন্ত্র ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের প্রতিহিংসাসহ বিশাল অঙ্কের ঘুষ দিতে না-পারার কারণে সবরকম যোগ্যতা থাকা সত্বেও তাদের অনেকের চাকরি হয়নি। কোনো সরকার এমনকি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ সরকারও মুক্তিযোদ্ধা কোটা যথাযথভাবে প্রয়োগ করেননি। উপরন্তু হৃদয়বিদারক বিষয়টি হলো, তাদের হাতেই বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটাটি বাতিল হয়েছে! পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় মর্যাদা ভুলুণ্ঠিত। জাতীয় সংবিধানে তাদের অবদানের স্বীকৃতি নেই। বিশাল সংখ্যক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা অকারণে তাদের বীরত্বে ভাগ বসিয়ে চলেছে; রাষ্ট্রীয় ভাতাসহ সবরকম সুযোগ সুবিধা সবার আগে তারাই ভোগ করছে! ফলশ্রুতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সার্বিকভাবে চরম মনোকষ্ট নিয়ে আহাজারি করে মরছেন! কোনো সরকার ও রাজনৈতিক দল এসব বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি! সবাই মনে হয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি হীনমন্যতায় ভুগছেন!
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় বঙ্গবন্ধুর বাহাত্তর সালের মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে প্রায় পঞ্চাশ হাজার অমুক্তিযোদ্ধা এমনকি রাজাকার-আলবদরদের মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে যা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রী জাতীয় সংসদে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে একনাগাড়ে চলমান এক যুগের উর্দ্ধে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ সরকারও বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞা এড়িয়ে গোঁজামিলের সংজ্ঞায় মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েই চলেছেন। আমাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দেড় লক্ষের নিচে। কিন্তু বিদ্যমান তালিকায় সংখ্যাটি দু'লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজারের মতো। অর্থাত্ তালিকায় আশি/পঁচাশি হাজারই অমুক্তিযোদ্ধা।
আমাদের এতো অনুনয় বিনয় যুক্তি ও আন্দোলন সত্বেও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জামুকা এবং সরকারের উচ্চমহল একেবারেই নির্বিকার। তারা তাদের ইচ্ছা মাফিক মুক্তিযোদ্ধা তালিকাকরণ তো বটেই, এতো হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় স্থান দিয়ে প্রকৃত বীরদের মর্যাদার ওপর আঘাত হেনে চলেছেন। এটা কোন ধরনের সভ্যতা ও নৈতিকতা যে, ভুয়াদের বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করার পাশাপাশি তাদেরকে জনগণ তথা সরকারের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধাদি দিতে হবে? এটা যেনো তেল আর জলকে একত্রে মেশানোর সামিল।
অনেকেই বলেন, মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অতীতে যেসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে তার মূল কারিগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বিভিন্ন সময়ের ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ। কথাটি অস্বীকার করার উপায় নেই। এবং সত্যিকার তদন্ত করলে কারা সেসব ভুয়ার কারিগর তা বের করা মোটেই কঠিন নয়। কিন্তু মূল কথাটি কিন্তু অন্যত্র। সরকার যখন বঙ্গবন্ধু সরকারের সংজ্ঞাটি এড়িয়ে নানান গোঁজামিলের সংজ্ঞা ও নির্দেশিকায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই -বাছাইয়ের নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন সে-নীতিমালার ফাঁকফোকর দিয়েই সুযোগসন্ধানী চক্র অর্থ, আত্মীয়তা ও রাজনৈতিক বিবেচনায় অমুক্তিযোদ্ধা এমনকি রাজাকারদেরও মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দিয়েছে। এখানে তো মূল অপরাধী ঐসব গোঁজামিল সংজ্ঞার প্রণেতারা। তথা সরকার নিজেই!
প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়নের জন্য দরকার ছিলো সরকারের সদিচ্ছা। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকার যখন বঙ্গবন্ধু সরকারের "মুক্তিযোদ্ধা মানে এমন একজন ব্যক্তি যিনি যেকোনো একটি সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য হিশেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন" সংজ্ঞাটি পাশ কাটিয়ে অন্য একটি গোঁজামিলের সংজ্ঞায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ের আয়োজন করে তখন আমাদের দু:খের অন্ত থাকে না। যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ, সেই মুক্তিযুদ্ধের যোদ্ধাদের তালিকা করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগই যখন বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞা মানে না তখন কী বলার থাকে? যখন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এমএনএ, এমপিএ, আওয়ামী লীগ-ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টির নেতা, মুজিবনগর সরকারের সচিব, কেরানী, বিদেশী দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, গীতিকার-গায়ক-দোহার, কবি-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, ফুটবলার, শরণার্থী, গণশহীদ, বীরঙ্গনাসহ মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র যুদ্ধের সাথে সম্পর্কহীনদেরকেও তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা নামে অভিহিত করা হয় তখন মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি তাদের অবদানকেও অবমূল্যায়ন করা হয়। আমি আগেই বলেছি, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের তিনটি বিশিষ্ট শ্রেণীর অবস্থান ছিলো। এরা হলো, মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী। তৎকালীন মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদ, এমএনএ, এমপিএ, উচ্চপর্যায়সহ জেলা মহকুমা ও থানার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ প্রভৃতিরা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধের জন্য অস্ত্র প্রশিক্ষণ ও রণাঙ্গনে যারা বিভিন্ন ছোট-বড় ফোর্সের কমাণ্ডে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তারাই মুক্তিযোদ্ধা। মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে অ-সশস্ত্র ব্যক্তিসহ অন্যান্য আর যারা বিভিন্নভাবে জড়িত ছিলেন তারা মুক্তিকামী বলে অভিহিত হতে পারেন। এ-প্রক্রিয়ায় মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব শ্রেণীকে এভাবে মূল্যায়ন করা হলে কারো কিছু বলার থাকে না। কারণ এখানে সবার ভূমিকাকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়েছে।
আর সবচে' দু:খের বিষয়টি হলো, মুক্তিযুদ্ধের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রাজনৈতিক সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিকামী ও সিংহভাগ বাঙালির সমর্থিত যে মহান মুক্তিযুদ্ধ, সেই মুক্তিযুদ্ধের কথাটি আমাদের জাতীয় সংবিধানের মূলস্তম্ভ 'প্রস্তাবনা'য় সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। অপরদিকে শহীদ ও জনগণের প্রাণোৎসর্গের কথাটি উল্লেখ করা হলেও যাদের মহা শৌর্য ত্যাগ ও বীরত্বে অর্জিত স্বাধীনতা সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথাও সংবিধানে অনুপস্থিত! সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা স্থান না পাওয়ায় একটি স্বাধীনতাবিরোধী মতলববাজ মহল আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে মুক্তিযুদ্ধ না বলে একাত্তর সনটিকে গণ্ডগোলের বছর, গৃহযুদ্ধ, ভাইয়ে-ভাইয়ে যুদ্ধ, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ইত্যাদি অপবিশেষণে ভুষিত করে মুক্তিযুদ্ধের মহিমাকে ম্লান করে ইতিহাস বিকৃতি করার সুযোগ পাচ্ছে। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবের স্বীকৃতি ও সুরক্ষা না থাকায় মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও অমুক্তিযোদ্ধা এমনকি রাজাকারও মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এ-প্রক্রিয়ায় আজ মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় প্রায় আশি/পঁচাশি হাজার অমুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা হিশেবে স্বীকৃত হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ভুলুণ্ঠিত করার পাশাপাশি তারা রাষ্ট্রের অর্থ ও অন্যান্য সুবিধাদি ভোগ করে আসছে।
এ-বিষয় দু'টির কুফল দূরীকরণের লক্ষ্যে আজ থেকে প্রায় তিন বছর পূর্বে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ব্যানারে আমরা সর্বপ্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধানে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ শব্দ দু'টির সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞার ভিত্তিতে ভুয়ামুক্ত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়নের জন্য নানান সভা সমাবেশ পদযাত্রা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপির মাধ্যমে আমাদের সুপারিশ ও দাবি পেশ করেছি। এমনকি একদা জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়ের সামনাসামনি অবস্থান নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁর কাছে দাবি দু'টি তুলে ধরেছি। পাশাপাশি অনবরত এ-বিষয়ে প্রচুর লেখালেখি করে চলেছি। অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধারাও এসব বিষয় নিয়ে লেখালেখি করছেন। বিষয় দু'টি আজ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আমাদের দুঃখ, আমাদের দাবি দু'টির ব্যাপারে সরকার কোনো ভ্রুক্ষেপই করছেন না, উপরন্তু জামুকা নামক দানবটি সেই গোঁজামিল সংজ্ঞায় যাকে তাকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় মর্যাদা ও গরিমা ভুলুণ্ঠিত করে চলেছেন!
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি মূলত: তিনটি। এক. মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, দুই. বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা ও মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে অমুক্তিযোদ্ধাদের উচ্ছেদ এবং তিন. মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নত আর্থসামাজিক নিরাপদ জীবন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। অথচ এসব দাবি বাস্তবায়নের কোনো পদক্ষেপই লক্ষণীয় নয়। বরং মুক্তিযোদ্ধাদের নানাবিধ বিড়ম্বনা নিয়ে মনে হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) ও মন্ত্রী মহোদয় কেবল তামাশাই করে যাচ্ছেন। জাতীয় পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দিকে দৃষ্টিপাত করলে বুঝা যায় যে, মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও ভুয়ামুক্ত মুক্তিযোদ্ধা তালিকাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কতিপয় ন্যায্য মানবিক দাবি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত প্রজন্ম এবং জনগণের মধ্যের একটি সচেতন মহল কীভাবে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে আসছেন। বিশেষ করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের মর্যাদা ভুলুণ্ঠিত হওয়া ও ন্যায্য দাবি-দাওয়া সরকার বাস্তবায়ন না করা এবং সাম্প্রতিক মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর মহলবিশেষের হত্যা, বাড়ি দখলসহ নানাবিধ অত্যাচারের ফলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু-কন্যার ওপর একধরনের চাপা অভিমান বর্ষণ করে চলেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ। কিন্তু আজ দু:খের সাথে বলতে হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনায় সেই মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধাদের তেমন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! অথচ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ও লুটেরাদের অনেককেই দল ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে! মুক্তিযোদ্ধারা প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুকে তাদের আদর্শিক পিতা হিশেবে গণ্য করেন, সে-নিরিখে তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের অনন্য আপনজন হিশেবে তাদের সুখদুঃখের সাথী জ্ঞান করেন সেখানে তাঁর প্রতি তাদের অভিমান কাম্য হতে পারে না। আর মুক্তিযোদ্ধাদের সীমাহীন দুর্গতি ও দুঃখের কথা তো আগেই যৎকিঞ্চিত উল্লেখ করা হয়েছে।
লেখক :চেয়ারম্যান, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
পাঠকের মতামত:
- আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম, ভরি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা
- মন্ত্রী এমপিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বার্তা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে
- শ্রীনগরে মসিউর রহমান মামুনের উঠান বৈঠক
- কালিয়াকৈরে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
- তৃণমূলকে বুঝতে ব্যর্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা
- ‘প্রবাসীদের রেমিট্যান্স উন্নয়নের একটি মূল চালিকা শক্তি’
- সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ফাঁদসহ শিকারি আটক
- ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪
- ফরিদপুরে ভ্যান চালক হারুন হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেফতার
- প্রচ্ছদশিল্পী ধ্রুব এষ আইসিইউতে
- ফরিদপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনের সময় ২৩টি ট্রাক ও ৮টি স্কেভেটর জব্দ
- দিনাজপুরে প্রচন্ড তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন
- সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী মাহাবুবর রহমান জেল হাজতে
- সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে এসিডে ঝলসে দিলো প্রবাসীর স্ত্রীর শরীর
- মোবাইল চুরির ঘটনা জানাজানি হওয়ার জের ধরে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ
- ‘ফরিদপুরে প্রাণিসম্পদ উদ্যোক্তা বাড়াতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে’
- সালথায় স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় নববধূকে হাতুড়ি পেটা, পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার
- মহম্মদপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শণী উদ্বোধন
- এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ
- পাংশায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী
- পাংশায় মাদক ব্যবসায়ীসহ গ্রেফতার ৪, ইয়াবা-গাঁজা উদ্ধার
- গরিব দেশে নিডো-সেরেলাকে বেশি চিনি মেশাচ্ছে নেসলে
- ‘বৈষম্য ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলকেও ছাড়িয়ে গেছে’
- প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন
- গৌরনদীতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী
- অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গৃহবন্দী থেকে মুক্ত করতে এসপির কাছে আবেদন
- ঈশ্বরগঞ্জে ইউএনওর বিদায় অনুষ্ঠান
- বড়াইগ্রামে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন
- ঈশ্বরদীতে প্রাণিসম্পদের সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন
- সময় পেলেই সাঁতার কাটুন
- জাতির পিতার সমাধিতে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা
- ঈশ্বরগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী
- রাজৈরে প্রাণিসম্পদ সেবা ও প্রদর্শনী
- সুন্দরবন সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী ও স্থানীয় সুধী সমাজের সাথে জনসচেতনতামূলক মতবিনিময়
- গোপালগঞ্জে থ্রি হুইলার ও ট্রলির সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত
- ৫ লাখ টাকায় সালমানের বাসায় গুলির নির্দেশ!
- ‘দেশ সবার আগে’, মোস্তাফিজ ইস্যুতে সুজন
- গোপালগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শণী
- ডিএমপির ৬ এডিসি-এসির বদলি
- গরমে দুর্ঘটনা এড়াতে গতি কমিয়ে চলছে ট্রেন
- কালকিনিতে পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে প্রাণ গেলো আসামির
- ‘অপপ্রচার রোধে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেব’
- ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক
- তীব্র গরমে নিরাপদ থাকতে করণীয়, যা বলছেন চিকিৎসকরা
- ‘সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক, বিচারের মুখোমুখি হতে হবে’
- ‘প্রভাব খাটিয়ে আর পরিবেশের ক্ষতির সুযোগ নেই’
- নগরকান্দায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
- পানি উঠছে না নলকূপে
- ‘মানুষের পুষ্টির যোগান দিচ্ছে খামারি মালিকরা’
- সালথার মাঝারদিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ৩২ লাখ টাকার ক্ষতি
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !