দুর্নীতিবাজ-মাফিয়া কালসাপদের নির্মূল করতে হবে
আবীর আহাদ
কালসাপকে হাজারো দুধ-কলা খাওয়ালেও সে পোষ মানে না। সুযোগ পেলে সে ছোবল মারবেই। এটা তার স্বভাব। তার ছোবল মানে নির্ঘাত মৃত্যু। তাই কালসাপকে মেরে ফলতে হয়, এমনকি তার বালবাচ্চা থাকলে, তাদেরকেও। কারণ তারাও বড়ো হয়ে ঐ কালসাপই হয় ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের কালসাপ ছিলো রাজাকার আলবদর আলশামস ও তথাকথিত শান্তি কমিটি,যারা ছিলো পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর এদেশীয় সহযোগী বাংলাদেশের কালসাপ, যারা হানাদার বাহিনীর সহযোগী হয়ে আমাদের মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলো, যারা ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা ও তিন লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমহানি করেছিলো, কোটি কোটি ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের হোলি খেলেছিলো। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সাথে তারাও আত্মসমর্পণ করে। জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী তাদের সবাইকে যুদ্ধবন্দির মর্যাদা দেয়া। পরবর্তীতে বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার চুক্তির ফলশ্রুতিতে বন্দি হানাদারদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বিশেষ করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর এদেশীয় রাজাকার-দালালদের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বঙ্গবন্ধু সরকার তাদের বিচার অব্যাহত রাখেন। ফলে সুযোগ পেয়েও বহির্বিশ্ব ও দেশীয় রাজনৈতিক চাপসহ নানাবিধ কারণে সেসব কাল সাপদের আমরা মেরে ফেলতে পারিনি । উপরন্তু বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক তিরোধানের পর খুনি জিয়া দালাল আইন ও বিচার ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দিয়ে রাজাকার-দালালদের ছেড়ে দেন।
সেই রাজাকার আলবদর আলশামস ও তথাকথিত শান্তি কমিটির সদস্য ও তাদের উত্তরাধিকাররাই পরবর্তীকালে জিয়া এরশাদ খালেদা হয়ে হাসিনা সরকারের কাঁধে সওয়ার হয়েছে। তারাই ঐসব সুবিধাবাদী ও অর্থলিপ্সু সরকারের লোকদের যোগসাজশে রাষ্ট্রের ভেতর দুর্নীতিবাজ লুটেরা মাফিয়া ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি হিশেবে সরবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আর এসব দুর্নীতিবাজ লুটেরা মাফিয়া ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও আর্থিক লাভালাভের স্বার্থে সেসব সরকারগুলো প্রচ্ছন্নভাবে তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতাসহ আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে। তবে একথা নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারে, অতীতের অন্যান্য সরকারের চেয়ে বর্তমান সরকারের সময়েই দুর্নীতিবাজ লুটেরা মাফিয়া ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির অভয়ারণ্য চরম দৃশ্যমান।
আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া সংগঠন। এ সংগঠনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়ছে। এ সংগঠনের চলার পাথেয় হিশেবে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। কিন্তু তারা সেই আদর্শ ও চেতনাকে পদদলিত করে ক্ষমতা ও আর্থিক লাভালাভের স্বার্থে আদর্শবাদী আওয়ামী লীগার ও মুক্তিযোদ্ধাদের ধাক্কা মেরে দূরে সরিয়ে দিয়ে অর্থশালী রাজাকার তো বটেই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াত বিএনপি ফ্রিডমপার্টি হেফাজতসহ সমাজের অপরাধীচক্রকে জামাই আদরে দলে ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে দেশটাকে লুটেপুটে চেটেচুটে খাওয়ার অভয়িত সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।
সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে সমাজের কীট বলে বহুল সমালোচিত, মুক্তিযুদ্ধের রক্তস্নাত পবিত্র দেশের মাটিতে কোথাকার কোন দরবেশ লোটাস সম্রাট খান কাজী বদি তারেক মামুন ফালু বাচ্চু মিঠু ভূঁইয়া শামিম, পাপিয়া, পাপলু, শাহেদ, আরিফ, সাবরিনাসহ যে মাফিয়াডনরা অবাধে লুটপাটযজ্ঞ চালিয়ে দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে, দেশে-বিদেশে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বিনাশ করছে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের রক্তের সাথে, চেতনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে, তাদের মূলত: এই দেশে থাকারই অধিকার নেই ; অথচ বিভিন্ন সময় দুর্নীতি ও লুটপাটের সমর্থক সরকার তাদের জাতিদ্রোহ অনৈতিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তেমন কোনোই ব্যবস্থা নেয়নি। করোনা সনদ কেলেঙ্কারির অন্যতম হোতা আরিফ-সাবরিনাকে গ্রেফতার করা হলেও মূলহোতা ও বহু লোমহর্ষক অপরাধের সাথে জড়িত রাঘবরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে অবস্থান করছে। পুলিশ, র্যাব ও সবকটি গোয়েন্দা বাহিনী নাকি ক্রিমিনাল মিঠুদের খুঁজে পাচ্ছে না! এ অবস্থায় জনমনে নানান গুজব ও গুঞ্জন উঠেছে, নিশ্চয়ই তারা পাওয়ারফুল কারো সেল্টারে রয়েছে যেখানে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দারা পর্যন্ত যেতে পারছে না!
অতীতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, কেনাকাটা, ব্যাঙ্ক ও শেয়ারবাজারসহ নানান সাগরসম চুরি-ডাকাতি সংঘটিত হলেও সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনোই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। যদিও বা কোনো সময় কোনো কেলেঙ্কারির হোতা পাকড়াও হলেই একটা কথা তারস্বরে চিৎকার করে বলা হয় যে, ও বেটা বিএনপি করতো! সত্য বটে বিএনপি করতো, তবে জেনেশুনে তাকে আওয়ামী লীগে ঠাঁই দেয়া হয়েছিলো কেনো এ প্রশ্নের জবাব নেই! মূলত: আওয়ামী লীগের উর্দ্ধমহলের ক্লিয়ারেন্স ও বিপুল অর্থ নিয়েই অন্য দলের ক্রিমিনালদের আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জায়গায় পদপদবী দেয়া হয়েছে।
করোনা সনদ কেলেঙ্কারির হোতা জাত ক্রিমিনাল শাহেদ কী করে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সাথে ছবি তুলেছে, গণভবনে যেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে তুলে তুলেছে? কী করে, কোন যাদুমন্ত্রের গুণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতা, মিডিয়া জগতের স্বনামধন্য সম্পাদক-সাংবাদিকসহ রাষ্ট্রের হাইপ্রোফাইল আমলাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে বিশাল বিশাল প্রতারণা করে এলো পুলিশের খাতায় ঘৃণ্য প্রতারক ও অপরাধী বলে চিহ্নিত এমন একজন ক্রিমিনাল সবার নাকের ডগার ওপর দিয়ে সগর্বে বিচরণ কী করে এলো, তা হিসেবে মেলে না! তবে কি সবাইকে সে পয়সা বিলিয়ে বশ করে রেখেছিলো এ-প্রশ্ন উঠতেই পারে।
সরকারের আরেকটা সেক্টর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। জামুকা নামক জাদুকাঠি অতীতে বিএনপি-জামায়াতের তৈরিকৃত হাজার হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ষার পাশাপাশি আজ বহুকাল ধরে অর্থ আত্মীয়তা ও রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে যাকে তাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে একদিকে রাষ্ট্রীয় অর্থ লুটপাট করাচ্ছে, অপরদিকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অপবাদ দিয়ে স্বাধীনতার সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঐতিহাসিক মর্যাদা ভুলুন্ঠিতসহ মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও চেতনাকে বিনষ্ট করছে!
ওপরে যাদের কথা বলা হলো, এর বাইরেও শত শত ক্রিমিনালের যোগসাজশে সরকারের রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিরাও দুর্নীতি ও লুটপাটের সঙ্গী হয়েছে। দিনে দিনে সে-দুর্নীতি ও লুটপাট সাগরচুরি রূপ ধারণ করে আসছে। এসব ক্রিমিনালরা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে বিদেশ সফরে যাওয়ার সুযোগ পায়, অবাধে বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবন, মন্ত্রী-এমপি-সচিব-জেনারেলদের কার্যালয় ও বাসভবনে যাওয়া সুযোগ পায়, বিভিন্ন পোজের ছবি তোলে যা পরবর্তীতে তারা এসব যোগাযোগ ও ছবি হরেক রকম প্রতারণার কাজে লাগায়। অথচ দুঃখজনক সত্য এই যে, যাদের বদৌলতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, সচিব, জেনারেলসহ আরো আরো অনেককিছু সেই মুক্তিযোদ্ধারা এসব জায়গায় যেতে পারে না, যাওয়ার অনুমতি মেলে না, তাদের কোনো কথা শোনা হয় না বা আমলে নেয়া হয় না! ঐসব ক্রিমিনালরা সরকারি ব্যাঙ্ক শেয়ারবাজার প্রকল্প ও কেনাকাটায় সাগরচুরির মাধ্যমে শত শত হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করলেও রাষ্ট্রের তহবিলে টান পড়ে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না! কারণ সেখানে ভাগাভাগির ব্যাপার আছে। অথচ যাদের বদৌলতে রাষ্ট্র, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধার কথা উঠলে রাষ্ট্রীয় তহবিলে টান পড়ে। বিভিন্ন জাতীয় দিবস বা অন্য কোনো অকেশনে বঙ্গভবন ও গণভবনে অন্যান্যের সাথে শত শত ক্রিমিনালরা আমন্ত্রিত হয়ে আড্ডা জমালেও, মুক্তিযোদ্ধারা আমন্ত্রণ পায় না। তবে গণভবনের পাশে অবস্থানরত ২/৪ জন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে হুইলচেয়ারি আমন্ত্রিত হতে দেখা যায়। সরকারের নাকের ডগার কাছ দিয়ে কিছু কিছু ক্রিমিনাল আস্ত বিমান উড়িয়ে বিদেশে পালিয়ে গেলেও সরকার নাকি কিছুই জানে না। কোন কোন লুটেরা- মাফিয়া দেশের অর্থ লুটপাট করে বিদেশী ব্যাঙ্কে পাচার করে, কারা আমেরিকা কানাডা লণ্ডন দুবাই সিঙ্গাপুর মালায়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বিশাল বিশাল বিনিয়োগসহ সেসব দেশে প্রাসাদোপম সেকেণ্ড হোম বানিয়ে রাজার হালে জীবন যাপন করছে, তা প্রকাশ পেলেও সরকার ও দুদক কিছুই জানে না! সবকিছু দেখেশুনেবুঝে মনে হয় যেনো রাষ্ট্রটিই দুর্নীতিবাজ লুটেরা ও মাফিয়াদের নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা, সুযোগ ও নিরাপত্তা দিয়ে আসছে!
জিয়া এরশাদ খালেদা। তাদের রাজনীতি ভিন্ন। তারা স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধার ধারেনি। তাদের কোনো রাষ্ট্রীয় আদর্শ ছিলো না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি, মুক্তিযোদ্ধাদের উচ্ছেদ, সমাজের সর্বস্তরের চোর ডাকাত রাজাকার দুর্নীতিবাজ লুটেরা মাফিয়া ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি লালন-পালন-পোষণ তথা অসততা মিথ্যাচার অসভ্যতা লুটপাট ও বিকৃতিই যাদের আদর্শ ও উদ্দেশ্য তাদের সাথে কোনো সচেতন মানুষ আওয়ামী লীগ ও তাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে একই পাল্লায় মাপে না। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল। এ দলের আদর্শ বঙ্গবন্ধু। এ দলের চেতনা মুক্তিযুদ্ধ। দুর্নীতি লুটপাট মাফিয়া সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা তার নীতিবিরুদ্ধ। সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা ও মূল্যবোধ, আইনের শাসন, অসাম্প্রদায়িকতা, সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠা করাই তার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। কিন্তু আমরা বিশেষ করে আওয়ামী লীগের একনাগাড়ে চলমান একযুগের শাসনের মধ্যে কী দেখছি? নির্দ্বিধায় বলা যায়, আমরা চরম হতাশ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোনো ছিটেফোঁটা চিহ্ন তার শাসনের মধ্যে নেই। সর্বগ্রাসী দুর্নীতি লুটপাট মাফিয়াতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িকতা অতীতের সব রেকর্ডকে ম্লান করে দিয়েছে।
সামাজিক রাজনৈতিক আর্থসামাজিক আমলাতান্ত্রিক ও ধর্মীয় অঙ্গন এখন দুর্বৃত্তায়িত। এতো কিছু অবক্ষয়ের মধ্যেও দেশের সাধারণ মানুষ এখনো বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকেই তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিশেবে গণ্য করেন। মহাদুর্নীতিবাজ লুটেরা ও মাফিয়াদের অবাধ অপকর্মের বিরুদ্ধে তিনি শুধু বায়বীয় হুংকার দিয়ে চলেছেন কিন্তু কার্যকারিতার প্রমাণ না পাওয়াতে জনগণ ঠিক ততোটাই হতাশ হচ্ছেন। আর্থিক খাতে যেসব সাগরচুরির ঘটনা ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে, সে-বিষয়ে জনগণের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী জানেন কিনা সন্দেহ। তাকে ঘিরে থাকা দুর্নীতিবাজ আমলারা সেসবের খবরাখবর তাকে দেয় বলে মনে হয় না। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বর্তমানে বিশাল সংবাদ মাধ্যম হিশেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের চাইতে ফেসবুক অনেক জনপ্রিয়। পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের খবর সংক্রান্ত পাঠক-শ্রোতার সংখ্যার চেয়ে ফেসবুকের পাঠকসংখ্যা অনেক বেশি। প্রতিদিন ফেসবুকে বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়ম ও লুটপাটের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কথাও প্রধানমন্ত্রী জানেন কিনা সন্দেহ। কারণ তাঁর গণমাধ্যম সংক্রান্ত পিএস, ডিপিএসসহ আর যারা যারা আছেন, তারা এসব ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর করাতে কোনোই যোগ্যতা রাখেন বলে মনে হয় না। কারণ তাদের অনেকেই দুর্নীতিবাজ লুটেরাদের কাছ থেকে নিয়মিত কমিশন পেয়ে থাকে।
আবারো বলি, সবকিছু দেখেশুনেবুঝে মনে হয় যেনো রাষ্ট্রটি দুর্নীতিবাজ লুটেরা ও মাফিয়াদের নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা, সুযোগ ও নিরাপত্তা দিয়ে আসছে! সরকারের মন্ত্রিসভা, সংসদ সদস্য, আমলাতন্ত্র ও অন্যান্য স্তরের কর্মকর্তাদের চরম ব্যর্থতাসহ দুর্নীতিবাজ লুটেরা ও মাফিয়া নামক কাল সাপদের দেশবিনাশী কার্যকলাপের কারণে শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব ও ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এসব কাল সাপ ইতোমধ্যে অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তাদের কার্যকলাপে বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশটি আজ ধ্বংসের শেষ সীমানায় অবস্থান করছে। এখন শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নসহ কাল সাপদের নির্মূল করার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সৎ সাহসী মেধাবী ও ত্যাগী লোকদের দলে ও সরকারে সম্পৃক্ত করতে হবে। এ-ছাড়া এদেশ ও জাতিকে রক্ষা করার আর কোনো উপায় নেই।
লেখক : চেয়ারম্যান, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
পাঠকের মতামত:
- অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা
- ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
- ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল আলম রকেট আর নেই
- বাগেরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ, স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু
- নড়াইলে নবগঙ্গা নদী থেকে প্রতিবন্ধী যুবকের মরদেহ উদ্ধার
- গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাব স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড
- টাঙ্গাইলে পচা মাংস বিক্রি করায় জরিমানা
- ‘এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নয়’
- টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে ইস্তিকার নামাজ আদায়
- ‘মানবাধিকার নিয়ে বাংলাদেশের অর্জন স্বীকার করেনি যুক্তরাষ্ট্র’
- টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন
- বাগেরহাটে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
- মহম্মদপুরে সড়কে দুর্ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু
- বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে অঝোরে কাঁদলেন মুসুল্লীরা
- পুলিশের সোর্স না হওয়ায় ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ
- সার্বজনীন পেনশন স্কিমের রেজিস্ট্রেশন বুথ উদ্বোধন গৌরনদীতে
- মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজান সহ ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে
- সাজেকে নিহত ঈশ্বরগঞ্জের ৫ শ্রমিকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম
- গৌরীপুরে ৩ দফা দাবীতে কৃষক সমিতির স্মারকলিপি প্রদান
- গাইবান্ধায় বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের নামাজ আদায়
- দিনাজপুরে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে পরিকল্পনা কর্মশালা
- কুষ্টিয়ায় নারী চিকিৎসককে হয়রানি, যুবকের কারাদণ্ড
- ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
- বঙ্গোপসাগরে কার্গো জাহাজডুবি, ভাসছেন ১২ নাবিক
- পার্বত্য জেলার এনজিওর বাজেট জানাতে হবে জেলা পরিষদকে
- মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়ের কারণে জনগণ জিম্মি: রিজভী
- টিসিবির জন্য কেনা হবে সাড়ে ৬১ কোটি টাকার মসুর ডাল
- মাগুরায় বৃষ্টির জন্য নামাজ ও দোয়া প্রার্থনা
- নড়াইলে বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ
- শয্যা সংকটে ফ্লোরসহ এক বেডে থাকছে দুই থেকে তিন শিশু
- বেনজীর ও তার পরিবারের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে বিএফআইইউতে দুদকের চিঠি
- প্রমাণে ব্যর্থ রাষ্ট্রপক্ষ, অস্ত্র মামলায় খালাস ‘গোল্ডেন মনির’
- জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে হবে: শিল্পমন্ত্রী
- যশোর পৌরসভায় তাপদাহে চাহিদার তুলনায় কমেছে পানি সরবরাহ
- বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পন্ন
- নড়াইলে খুনের ঘটনার ৫ মাস পরেও থামছে না বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট, আতঙ্কে গ্রামছাড়া মানুষ
- পাংশায় মাদক ব্যবসায়ীসহ পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার
- সোনার দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা
- চলতি বছর থাইল্যান্ডে হিটস্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু
- নিরাপদ সড়কের প্রয়োজনীয়তা
- তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তির আশায় সরিষাবাড়ীতে বিশেষ নামাজ আদায়
- ফরিদপুরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
- টঙ্গীবাড়িতে ভাই-ভাতিজার হাতে ভাই খুন
- পুতুল পোড়াতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ শিশু রিয়ার মৃত্যু
- বড়াইগ্রামে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ভ্যান চালকের মৃত্যু
- বহিস্কার করেও ভোটমুখী নেতাদের বাগে আনতে পারছে না বিএনপি
- ফুলপুরে ট্রাক চাপায় নিহত ১
- রাজনৈতিক সভা সমাবেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট
- কাপ্তাই হ্রদে ৩ মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা
- তাপদাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে ভাবনায় ‘তিন বিকল্প’
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !