বঙ্গবন্ধুপ্রেমী জাতীয় চার নেতার আত্মত্যাগ
অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ
৩ নভেম্বর জাতির জীবনে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। প্রতি বছরই এ দিনটি আসে। আমরা স্মরণ করি, শোক প্রকাশ করি ১৫ই আগষ্ট, ১৯৭৫-এ খুনী মোশতাক ও জিয়াউর রহমান চক্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর তাঁর ঘনিষ্ঠ চার সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জমানকে জেলে পাঠানো হয়। একই বছরে ৩রা নভেম্বর আবারো একদল বর্বর সেনা সদস্য মোশতাকের নির্দেশে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢুকে এই জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে গুলি করে খুঁচিয়ে হত্যা করে।
বেয়নেট দিয়ে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর কে ভেবেছিল এমন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী গোষ্ঠি -এই বীভৎসতায় মেতে উঠবে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে ফিরে আসার পর তাঁকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর মহানুভবতার সুযোগ নিয়ে বিরাট একটি পাকিস্তানপন্থী পরাজিত শক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সবরকমের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে সেই সম্পর্কে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করে এবং এটি নিয়ে একটি প্রতিক্রিয়াশীল স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি নানারকম মুখরোচক গল্প কাহিনী গুজব আকারে বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়াতে থাকে। সেনাবাহিনীতে যারা নেতৃত্বে ছিলেন তাঁদের মধ্যেও নানা চাওয়া পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ ছিল। পত্রিকাগুলোও কি এক অজানা কারণে বঙ্গবন্ধু সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য নানা অপপ্রচার শুরু করলো। সন্ধ্যা হলেই ’গণকণ্ঠ’ নামে একটি পত্রিকা মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ নিয়ে হাজির হতো। কেমন যেন এক ধরণের অস্থিরতা বিরাজমান ছিল। রক্ষীবাহিনী নিয়ে বিভিন্ন রকমের গল্প লেখা হতো। গুজব রটানো হতো। অর্থাৎ যে ধ্যান ধারনা নিয়ে ১৯৫২ থেকে সালের ভাষা আন্দোলনের পর ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছিল। সেখান থেকে জাতিকে বিচ্যুত করার জন্য পরাজিত রাজাকার আলবদর গোষ্ঠি দেশীয় চরদের নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। এখনো বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে যখন সবকিছু ঠিকঠাক চলে তখনো সেই ৭১-পরবর্তী ঘটনাগুলো সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করে এবং সেই পরাজিত করা ও শক্তির প্রেতাত্মারা উচিৎ। কারণ এখনো তৎপর ‘জয় বাংলার’ অর্জনকে ব্যহত করার। মনে হয় সব কিছু ঠিকঠাক আছে। কিন্তু মোস্তাক, তাহেরউদ্দীন ঠাকুর, জিয়াউর রহমান, শাহ মোয়াজ্জোম বিশ্বাসঘাতকতার ধারার কিন্তু মৃত্যু হয় নি। হোসেনের জয় বাংলার আলোটি জ্বালিয়ে রাখার জন্য সবসময় সচেষ্ট থাকতে হবে। প্রশাসনে, রাজনীতিতে এই বিশ্বাসঘাতকদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কঠোর দৃষ্টি রাখতে হবে। জাতীয় চার নেতাও হয়তো বুঝেননি কি গভীর ষড়যন্ত্র বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে চলেছিল।
পুরোনো ঢাকার জিন্দাবাহারের বাসায় থাকাকালীন সময়ে সেই উনসত্তুরে গণ আন্দোলনের সময় ছাদে উঠে আন্দোলনের ভয়াবহতা অবলোকন করার সুযোগ হয়েছিল। আগুনের কালো ধোঁয়া দেখলেই মনে মনে খুশী হতাম ভেবে যে আন্দোলন বেগবান হচ্ছে। কিন্তু স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ছাদে উঠে কালো ধোঁয়া দেখে এক ধরনের প্রশ্নও জেগেছিল। এখন কালো ধোঁয়া কেন? পরে শুনেছি স্বরাষ্টমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর বাড়ী ঘেরাও ও তোপখানায় USIS ঘেরাও কর্মসূচীতে পুলিশী এ্যাকশনের ফলেই ভাংচুর আগুন। দুঃখের বিষয় বামপন্থী অনেক সংগঠনও সেই সময় আওয়ামী লীগের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। তাদের সঙ্গে এক পর্যায়ে মৌলবাদী শক্তিও যোগ দেয় এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল অর্জনকে ব্যর্থ করার জন্য এক অপপ্রয়াস চালায়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর অনেক নেতৃস্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দকে সামরিক সরকার টার্গেট করেছিল। অনেকে ঝুঁকি নিয়েও প্রতিবাদ করেছিলেন। জাতীয় এই চার নেতা পালিয়ে যেতে পারতেন। হয়তবা বঙ্গবন্ধুর এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড তাঁরা এতটাই হতবিহবল হয়ে গিয়েছিলেন যে সেই চেষ্টাই করেননি। যারা নয় মাস মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা কি করে পালিয়ে যাবেন?
আর ঐ মুক্তিযুদ্ধ বিরুদ্ধ শক্তি এতটাই বেপোরোয়া ছিলেন যে বঙ্গবন্ধুর এই চার ঘনিষ্ঠজনকে কোনোভাবে সরিয়ে দিতে পারলেই যেন তাদের ষোলোকলা পূরণ হয়। এখন প্রায়শই মনে হয় কেন তাঁরা পালিয়ে গেলেন না বা আত্মগোপন করলেন না। বেঁচে থাকলে হয়তো বা বাংলাদেশ আরো আগেই আজকের এই বাংলাদেশের মতো সমৃদ্ধ হতো। তাঁদের হত্যাকাণ্ড পরিপূর্ণ বিচার এখনো হয়নি। আংশিক হয়েছে মাত্র। তাও বঙ্গবন্ধুর কণ্যা শেখ হাসিনার কারনেই তা সম্ভবপর হয়েছে। এখন আমাদের গবেষকদের, ইতিহাসবিদদের আরো করণীয় আছে যে এই হত্যাকান্ডের পেছনে মদদদাতা কারা ছিল। আমার মতে তারা এখনো ঘাপটি মেরে আছে। তাদের অনুসারীরা ব্যবসা, বানিজ্য মিডিয়া সব জায়গাতেই অত্যন্ত তৎপর আছে। তাদের গতিবিধি সম্পর্কে কড়া নজর রাখা, সর্তক থাকা আমাদের সকলের কর্তব্য। বছরের সব সময় মুুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রীয় আলোচনা, সেমিনার লেখালেখি চালিয়ে যাওয়া উচিত।
এই ঘৃণা কাজ যেন আর বঙ্গবন্ধুর বাংলায় সংগঠিত না হয় তার জন্য আমাদের সকলের অতন্দ্র প্রহরীর মত থাকা উচিৎ। বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতার আদর্শে দেশ পরিচালিত হবে এবং এভাবেই পরবর্তী প্রজন্মকে প্রস্তুত রাখতে হবে।
লেখক : ট্রেজারার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
পাঠকের মতামত:
- নড়াইলে আচরণ বিধি ভঙ্গের দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুর রহমান ভূইয়াকে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা
- লক্ষ্মীপুরে দোকান ঘর বিক্রির নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা
- হাত-পায়ে ঝি ঝি ধরে! যা খাবেন
- সাতক্ষীরার সীমান্ত গ্রাম মাহমুদপুর থেকে অস্ত্র-গুলি জব্দ
- মঙ্গলবার স্বজনদের কাছে ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা
- সাতক্ষীরায় ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্বোধন
- পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাচনে ১৫ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- বিয়ের প্রলোভনে শারিরিক সম্পর্ক, মোংলা থানার ওসি-তদন্ত ক্লোজড
- সুন্দরবনে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আরো একটি মৃত বাঘ উদ্ধার
- বাগেরহাটের ৩ উপজেলায় ৩০ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
- নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ১২ হাজার ৬০০ ফ্ল্যাট বানাবে সরকার
- বৃষ্টিও থামাতে পারছেনা প্রার্থীদের
- আগৈলঝাড়ায় ১১ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
- পাংশায় পূবালী ব্যাংকের ৫টি মার্চেন্ট পিওএস মেশিন হস্তান্তর
- লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ
- হজ ভিসা অনুমোদনে সময় বাড়াতে সৌদির প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- ‘গাছ থেকে অপরিপক্ক আম পারলে জরিমানা করা হবে’
- ফরিদপুরে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ও বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা
- শ্রীনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরুজা বেগমের প্রতীক কলস
- খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ
- হুয়াওয়ের ক্লাউড সেবা ব্যবহার করবে উৎকর্ষ
- ফরিদপুরে বিভিন্ন দাবিতে ইনস্টিটিউশন অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলন
- হাত-পা বেঁধে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট
- পাকিস্তানের পেসারদের ধুয়ে দিলেন রমিজ রাজা
- ‘কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজির কারণে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম’
- বাঁশের সাঁকোই ভরসা ৫ গ্রামের মানুষের
- বশেমুরকৃবিতে থিসিস লেখনির উপর দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ
- এসএসসির ফলাফলে শ্রেষ্ঠ শৈলকুপা সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়
- যে কারণে ৩৫ কেজি ওজন বাড়ালেন নাঈম
- লু’র ঢাকা সফর আমলে নিচ্ছে না বিএনপি
- হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মানববন্ধন
- মধুখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত
- রংপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ
- ঢাকঢোল পিটিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে কী বললেন মির্জা ফখরুল
- ধামরাইয়ে ভবা পাগলার আশ্রমে চলছে বাৎসরিক উৎসব
- গোপালগঞ্জে জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক কর্মশালা
- নোয়াখালীতে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় কিশোরীর আত্মহত্যা
- গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
- ট্রাম্প ঘুমায় কি করে?
- বাংলাদেশের শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে আইএলওর সাথে আলোচনা ও একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ
- ‘এনবিআর-কাস্টমসের হয়রানি মন্ত্রিসভায় তোলা হবে’
- মে মাসের ১০ দিনে প্রবাসী আয় এলো ৮১ কোটি ৩৭ লাখ ডলার
- হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি সৌদি রাষ্ট্রদূতের
- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
- রাফা ছেড়ে পালিয়েছেন ৩ লাখ ফিলিস্তিনি
- বেলকুচিতে নির্বাচনী সহিংসতায় পরাজিত প্রার্থীর চাচা নিহত
- মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় কিশোরের আত্মহত্যা
- নড়াইলে বজ্রপাতে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু
- মহম্মদপুরে এসএসসির ফলাফলে অকৃতকার্য ছাত্রীর আত্মহত্যা
- কালিগঞ্জে চোর ও গাঁজা ব্যবসায়ী আটক
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !