E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

৩ নভেম্বর : আমার চিন্তায় তার তাৎপর্য্য

২০২১ নভেম্বর ০৩ ২৩:২২:০৫
৩ নভেম্বর : আমার চিন্তায় তার তাৎপর্য্য

রণেশ মৈত্র


ঘটনার পর ঘটনা। সবগুলিই প্রায় একই ধরণের। এই ঘটনাগুলি কখনও জাতীয় বা স্থানীয় নেতাদের উপর অতর্কিতে সশস্ত্র হামলার মাধ্যমে দেশটাকে নেতৃত্বশূণ্য করার লক্ষ্যে নৃশংস হত্যালীলা-আবার চলছে ধর্মের নামে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর দেশজুড়ে একের এক হামলা-যা আদৌ কোন দিন বাংলাদেশে থামবে কি না তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।

হামলা আবার শুধুমাত্র রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত তা ঠিক না অথবা শুধুমাত্র ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যেই সীমিত তা-ও না। এ মৃত্যু নানাভাবে, নানা কারণে, নানা অজুহাতে ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। একই ধর্মে বিশ্বাসীদের মধ্যে হত্যাই কি কম? আহমদিয়াদের তো বাংলাদেশের মসজিদেই খুন হতে দেখেছি। খুনীদের বক্তব্য, ওঁরা নাকি মুসলমান নন। তাই মুসলমানদের মসজিদে নামায পড়ার অধিকার অমুসলিমদের নেই। আবার শিয়া সুন্নীর বিরোধ তো পৃথিবীর দেশে দেশেই দেখা যাচ্ছে। তালেবানী হত্যালীলা নানা দেশে অব্যাহত। ইদানীং আফগানিস্তানে দেখা গেল তাদের বিরুদ্ধে আইনএস কে নামক নতুন আর এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী বলে ঐ দেশে একের পর এক বোমাবাজি করে চলেছে। ব্যস্ততম কাবুল আন্তর্ঝাতিক বিমানবন্দর এলাকা নামায আদায়রত হাজার হাজার মুসলিম নির্বিচারে বোমাবাজী করে অর্ধশতাধিক খুন ও শতাধিক আহত করেছে ঐ আই.এস. কে নামক সংগঠনটি। বিমানবন্দরে ও মসজিদের হত্যালীলার দায় আইএস কে অবলীলাক্রমে স্বীকার করে নিয়েছে যেন কাজগুলি খুব যুক্তিসঙ্গত, স্বাভাবিক ও ধর্ম সম্মত।

না। আমি ধান ভানতে শিবের গীত গাইছি না। আমি সচেতন যে ৩ নভেম্বর, ১৯৭৫ এ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকাআমাদের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিক সফল নেতাকে কারাগারের সেলে আটকে রেখে গুলি করে মারার ঘটনা। কেন এ হত্যালীলা? যে কারণে ১৫ আগষ্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকেহত্যা করা হয়-ঠিক একই কারণে, একই কাকডাকা ভোরে রাতের অন্ধকার অপসৃত হতে না হতেই এই হত্যাগুলি সংঘটিত হয় অতর্কিতে। লক্ষ্য, দেশটাকে নেতৃত্বহীন করা।
আবার নেতৃত্বহীন করা কি উদ্দেশ্যে? এই উদ্দেশ্যটা ভাসাভাসা বুঝি আমরা। লোকেও সেভাবেই বুঝুক-তাও আমরা চাই। তাই সেদিকটার যথাযথ উল্লেখ না করে যথাযথ মর্য্যাদা সহকারে আমরা দিন দুটি পালন করি। যা এ উপলক্ষ্যে নতুন প্রজন্মকে বলে থাকি তা হলো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের রেকর্ড সর্বত্র বাজাও। বছরের পর বছর থেকে রেকর্ডটি যেখানে সেখানে যখন তখন বাজানো হয়। কিন্তু একটি লোককেও দেখি না-কোন চেয়ার বা বেঞ্চ বা চাটাই পেতে বসে বা দাঁড়িয়ে ভাষণটির শুরু থেকে শেষ অবধি শুনতে। আসলে কোন কিছু এক ঘেঁয়ে হয়ে গেলে যা হয়।

৩ নভেম্বরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত চার জাতীয় নেতার কারও তো ঐ ধরণের রেকর্ড নেই-যা প্রতি বছর নির্দিষ্ট দিনে বাজিয়ে শুনানো হবে। যা আছে তা হলো ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ মুজিবনগরের আ¤্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের মন্ত্রীসভার আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রদত্ত সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও তাজউদ্দিনের ভাষণ যা পরদিন অবরুদ্ধ বাংলাদেশ ব্যতীত পৃথিবীর সকল দেশের সংবাদপত্রে গুরুত্ব সহকারে প্রচারিত হয়েছিল। আজ মুজিবনগরের ঐ নয়মাসব্যাপী সরকারের মন্ত্রীরা কোথায় কি বলেছিলেন-সেগুলির সংকলন করে কোন গ্রন্থ প্রকাশের উদ্যোগ সরকারি বা বেসরকারি কোন ভাবেই তার উদ্যোগ নেই। আমরা মুক্তিযুদ্ধের অর্ধশত বার্ষিকী বা সুবর্ণ জয়ন্তী বছর ব্যাপী যখন পালন করছি-তখনও সে উদ্যোগ কোথাও পরিলক্ষিত হয় না। যেন সেটার কোন ঐতিহাসিক গুরুত্বই নেই।

আরও একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হতে পারে এবং হওয়া অত্যন্ত জরুরী। তা হলো ঐ নয়মাস ধরে পৃথিবীর নানা দেশে এবং বেতার টেলিভিষণে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে সকল প্রতিবেদন ও সংবাদ পর্য্যালোচনা প্রচারিত হয়েছিল-সেগুলিকেও গ্রন্থীভূত করা। সরকারের কর্তব্য, এ ব্যাপারে অবিলম্বে উদ্যোগী হয়ে এমন সব প্রকাশনার ব্যবস্থা করা কারণ তার দ্বারাই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস চাক্ষুষ প্রতিবেদন ও মন্তব্য জানা যেতে পারে। এ ব্যাপারে নিলম্ব হয়ে গেছে অনেক। কিন্তু এখনও সময় আছে। দ্রুত এ উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সরকারের সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমী ও অপরাপর প্রকাশনা সংস্থাগুলির প্রতি আবেদন জানাই।

মুক্তিযুদ্ধ কোন এক দলীয় ব্যাপার ছিল না। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্দ করেছে তা আদৌ ঠিক না। তার সাথে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। এই ভূমিকার সাথে মুজিবনগর সরকার, ভারত সরকার, সোভিয়েত ইউনিয়নের তৎকালীন সমাজতান্ত্রিক সরকার ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকার ফলেই নয় মাসের মধ্যেই দেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধকালে ধর্ষিতা নারীদের জীবন কথা, পাক-বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দালালদের নানা লালসা চরিতার্থ করার কাহিনী লেখা হয় নি আজও। মুক্তিযুদ্ধের এই গুরুত্বপূর্ণ দিকটি পরিপূর্ণভাবে অনুদঘাটিত এবং আলিখিত রয়ে গেল সকলের অজান্তে। ইতিহাসের প্রতি এ এক মর্মান্তিক অবহেলা ।

ঐতিহাসিক রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন আমাদেরকে অসাম্প্রদায়িকতা শিখিয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতা শিখিয়েছে শিখিয়েছে আন্দোলন সংগ্রাম ছাড়া কোন বিজয় অর্জিত হয় না। শিখিয়েছে সাম্প্রদায়িকতা বিষাক্ত পাকিস্তানের দ্বিজাতিতত্বের ভিত্তি যে সাম্প্রদায়িকতা, ভাষা আন্দোলন তার কবর রচনা করেছিল। শিখিয়েছে জীবন দিলে জীবন পাওয়া যায় ভাষা আন্দোলনের এই অমর শিক্ষাটি আজ অনালোচিত।

ভাষা আন্দোলন পরবর্তী যুগে যাবতীয় কালা কানুন প্রত্যাহারের নামে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবীতে, পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন ও পশ্চিম পাকিস্তানের এক ইউনিট বাতিলের দাবীতে, সামরিক শাসন ও আগরতলা যষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে, রাজবন্দীদের মুক্তির দাবীতে ২৩ বছরব্যাপী পাকিস্তান আমলে যে ধারাবাহিক গণ-আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান ঘটানো হয়েছিল-সে শিক্ষাও ভাষা আন্দোলনই শিখিয়েছে।

এই সকল দাবীর উত্থাপনের ও আপোষহীন আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদান করে যে ব্যাপকতম জাপতীয় ঐক্য গড়ে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান-তাই গোটা জাতিকে ১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অভূতপূর্ব বিজয় অর্জনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছিল। একই সাথে কর্তব্য, তিলে তিলে গড়ে তোলার এই বিশাল ঐক্য গড়ে তোলার পিছনে ন্যাপ নেতা অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক পংকজ ভট্টাচার্য্য, সি.পি.বি’র সভাপতি কমরেড মনি সিংহ ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ ও ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের অসংখ্য যোদ্ধার অবদান অনস্বীকার্য্য। কিন্তু এ যাবত প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংক্রান্ত অসংখ্য পুস্তক হলেও এ বিষয় কি কোন পুস্তকে যথার্থ গুরুত্ব লাভ করেছে?

যে মর্মান্তিক হত্যালীলাগুলির কথা পূর্বাহ্নে উল্লেখ করেছি তার উদ্দেশ্য এগুলিই। এগুলিই তারা আমাদেরকে ভুলিয়ে দিতে চেয়েছিল এবং দিব্যি আমরা সব ভুলেও গিয়েছি। তারা পেছনে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে দিব্যি তৃপ্তির হাসি হাসছে।
দেশে একটি সংবিধান অনুমোদিত হয়েছিল ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। তাতে চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছিল তাতে স্পষ্টাক্ষরে লিখিত হয়েছিল গণতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ।

ধর্মের নামে কোন সংগঠন করা বা তার অস্তিত্ব বজায় রাখা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ও খোন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসে ধর্মাশ্রয়ী দলগুলিকে বৈধ করে দিলেন; সংবিধানের শুরুতে “বিসমিল্লাহ” বসালেন, এরশাদ এসে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম বানালেন। এসবই বঙ্গবন্ধুর চিন্তা, ভাষা আন্দোলনের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পরিপন্থী। এই সব সংশোধনী যাঁরা অনুমোদন করলেন-তাঁরা সংসদের মাধ্যমে নয়-সামরিক আইনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে। ধর্মের প্রসারের জন্যে নয় নিজ নিজ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে।

পরবর্তী হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্ড এক এক রীটের রায় দান প্রসঙ্গে বললেন, উভয় সামরিক শাসকই অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন-তাই তাঁদের সকল কার্য্যকলাপ অবৈধ। ঐ সংশোধনীগুলিও অবৈধ।

তখন ক্ষমতায় মুক্তিযুদ্ধের প্রধান দল। বিরোধীদলে থাকাকালে তাঁদের স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি ছিল ঐ অবৈধ সংশোধনীগুলি বাতিল করে বাহাত্তরের মূল সংবিধান পুনরুজ্জীবিত করা হবে। তা আজও করা হয় নি-করার দাবীও প্রত্যাখ্যাত।
উল্টো জামায়াতে ইসলামী বৈধ দল হিসেবে কাজ করছে। হেফাজতে ইসলাম নামে নতুন ইসলামী জঙ্গীদল গড়ে উঠেছে তারা সরকারের সাথে সখ্য গড়েছে-বহু বাস্কর্য্য (বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য্যসহ) জামায়ত-হেফাজতীরা ভেঙ্গেছে। বাঙালি সংস্কৃতির বিরোধিতা করে চলেছে, পাঠ্য পুস্তক সাম্প্রদায়িকীকরণ করিয়ে শিশুদেরকে সাম্প্রদায়িক হিসেবে গড়ে তোলার পথ পাকা-পোক্ত করেছে, নববর্ষের মত অসাম্প্রদায়িক বাঙালি উৎসবকে হুংকার ছেড়ে খর্বিত করতে পেরেছে। এগুলির সুযোগ সৃষ্টি করার জন্যই ১৫ আগষ্ট ও ৩ নভেম্বররের দু:সাহসী ও নির্মম হত্যালীলা।

যে দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনা ঘটেছে, ঘটেছিল এবং আজও অব্যাহতভাবে ঘটে চলেছে সেগুলির বিচার ও দায়ী অপরাধীদের কঠোর শাস্তি প্রদান না করার যে সরকারি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে তা যেমন বছর বছর মন্দির ধ্বংস, মূর্তিভাঙ্গা, হিন্দুদের বাড়ীঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল ও হুমকি দিয়ে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করার অপচেষ্টা দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে তার বিরুদ্ধে গণ প্রতিবাদ, গণ-প্রতিরোধ গড়ে উঠছে না কেন? প্রধান কারণটি হলো আমাদের জাথীয় নেতাদের হত্যা করে দেশকে নেতৃত্বশূন্য করে সারা দেশে এক সাম্প্রদায়িকি আবহ গড়ে তোলা হয়েছে। আর এই গণ-প্রতিবাদ গণ-প্রতিরোধ গড়ে না ওঠার কারণে সাম্প্রদায়িক শক্তি ভাবতে পারছে যে তাদের এই কার্য্যকলাপের পেছনে যেমন সরকারের মৌন সমর্থন রয়েছে তেমনি আবার ব্যাপক সংখ্যক মুসলিম জনগণের সমর্থনও রয়েছে। তাই তারা বেপরোয়া হয়ে উঠতে পেরেছে এবং পারছে দিন দিন।

এমন একটি পাকিস্তান ধরণের পরিবেশ রচিত হয়ে বাংলাদেশ তার প্রতিষ্ঠা-পূর্ব অবস্থায় ফিরে যাক-তাও ছিল খুনীদের প্রধান লক্ষ্য। তাই আজ ৩ নভেম্বরে পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম. মনসুর আলী ও এ.এইচ. কামরুজ্জামানকে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের অবদানও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। তাঁদের জন্ম-মৃত্যু দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে স্মরণ করা হয় না দেখে ঐতিহাসিক ও মুক্তিযোদ্ধারা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।

এ কথা বললে বেশী বলা হবে না-যদি মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস লিখিত না হয়, জাতীয় বীর হিসেবে যথাযথ মর্য্যাদায় মজলুম জননেতা মওলানা ভাষানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, কমরেড মনি সিং, কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ, অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ, সৈয়দ আলতাফ হোসেন, পংকজ ভট্টাচাপর্য্য প্রমুখ সকলকে (মনোরঞ্জন ধর সহ) যথাযথ মর্য্যাদায় স্মরণ করে নতুন করে নতুন ধরণের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে বাহাত্তরের মূল সংবিধানকে অবিকৃতভাবে পুরুজ্জীবিত করা না হয়, জামায়াত-হেফাজতকে বে-আইনী ঘোষণা করে তাদের সকল সম্পত্তি বাজেয়াফত করা না হয়, পাঠ্যপুস্তকগুলিকে অসাম্প্রদায়িক করা না হয়, এক কেন্দ্রিক শিক্ষিাব্যবস্থা কায়েম করা না হয়, নারী-পুরুষের সম-মর্য্যাদা যথার্থভাবে প্রতিষ্ঠা করা না হয়, পুঁজিবাদকে বিদায় জানিয়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সকল সমাজতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অগ্রসর হওয়া না হয়-বঙ্গবন্ধুকে ও বাংলাদেশকে নামে না হোক, কাজে আমরা ইভয়কেই হারানোর আশংকার সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সহ সকল জাতীয় নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাকে স্যালিউট জানাই।

লেখক : সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ, একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক।

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test