৯ জানুয়ারি সকালেই যে বার্তা এলো
রণেশ মৈত্র
সংবাদপত্রকে সমাজের দর্পন বলা হয়। সমাজের সেই স্বীকৃত দর্পন বিগত ৯ জানুয়ারি (যেদিন নিবন্ধটি লিখতে বসেছি) যে যে বার্তা ভোর বেলায় বহন করে আনলো তার শিরোনামগুলি এবং তার প্রেক্ষিতে কোন কোন ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত আলোচনা এই নিবন্ধে তুলে ধরছি।
একটি পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার যে শিরোনামগুলি চোখে পড়লো সেগুলির শিরোনাম:
ৎএক. যুবককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা: নির্বাচনী সংঘাতে আরও তিনজন নিহত, পাঁচ ধাপের ভোটে প্রাণ গেল ১৩৩;
দুই. ২০২১ সালে সড়কে প্রাণগেছে ৬২৮৪ জনের;
তিন. নিয়োগ পরীক্ষাই হয় নি, খরচ ২ কোটি ২১ লাখ টাকা;
চার. রাজধানীতে প্রকাশ্যে গুলি আহত ৩;
পাঁচ. নিয়ন্ত্রণ হারালো বাস, দুই পথচারীর মৃত্যু, আহত ১২;
ছয়. নিখোঁজদের সন্ধান মিলছে না-নদীপাড়ে স্বজনদের বিক্ষোভ;
অপর একটি পত্রিকার শিরোনাম
এক. গুড় খায় পিঁপড়ায়:সবজি উৎপাদক ও ভোক্তার মাথায় হাত।
দুই. ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে মাদক সি-িকেট;
তিন. মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ, সেই সুরাইয়ার পাশে কেউ নেই;
চার. টাকা ফেরত চেয়ে আওয়ামী লীগ নেতা পদ হারালেন-মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ;
পাঁচ. চলন্ত বাসে গার্মেন্টস কর্মীকে হত্যার চেষ্টা;
ছয়. ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ১০ ডাক্তারকে উদ্ধার করলো পুলিশ;
সাত. হত্যার হুমকী মুরাদের:দু’দিন পর বাসায় ফিরলেন স্ত্রী-সন্তান;
অপর একটি পত্রিকার শিরোনা
এক. পথচারীর চলতে ভয়;
দুই. টাকা না পেয়ে পুলিশ হেফাজতে যুবককে হত্যার অভিযোগ;
তিন. তিতাসের সাবেক কর্মকর্তার কোটি কোটি টাকার সম্পাদ;
চার. ডা. মুরাদের স্ত্রী নির্য্যাতনের ঘরোয়া সুরাহা চায় পুলিশ;
অন্য একটি পত্রিকা
এক. কাপ্তান বাজারে আগুনে পুড়ে ছাই ৭০ দোকান, এক জনের মৃত্যু;
অপর পত্রিকা
এক. তৈমুরের শক্তির পিছনেও ওসমান পরিবার;
দুই. বেপরোয়া হাতি, সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে;
তিন. ময়মনসিংহে দুই গারো কিশোরীকে সংঘবন্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৬, মূল আসামী রিয়াদ জেল থেকে বেরিয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে;
চার. রোগী ও স্বজনদের জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় চলছিল আগে থেকেই (শ্যামলীর আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে);
পাঁচ. পদ্মা ব্যাংকে অনৈতিক সুবিধা আদায়ে ‘অনৈতিক’ সুবিধা দেওয়ায় টিআইবির উদ্বেগ;
ছয়. রসিকে প্রকল্পের অর্থ জালিয়াতি তৃতীয় দফা তদন্ত করেও প্রতিবেদনে গরমিল; প্রকৌশলী ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা হলেও আমলে নেয়া হচ্ছে না।
অন্য একটি পত্রিকা
এক. বেড়েছে অজ্ঞান পার্টি সহ ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম-ঝামেলার ভয়ে অভিযোগ করেন না অনেকেই।
এখানেই শেষ। আমি মাত্র সাতটি দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠার শিরোনাম উল্লেখ করলাম। বাদ-বাকী অসংখ্য দৈনিক আমার হাতের নাগালে নেই। থাকলে সেগুলি থেকে শিরোনামের উদ্বৃতি দিলে হয়তো ছোট-খাটো একটা পুস্তিকা প্রকাশ করতে হতো।
কেউ কেউ হয়তো অভিযোগ করবেন-আমি শুধুমাত্র নেতিবাচক খবরের শিরোনামগুলির উল্লেখ করলাম-ইতিবাচক খবরগুলি এড়িয়ে।
উত্তরে বলি, হ্যাঁ, ইচ্ছে করেই জনগণের দুর্দশা, অসহায় মৃত্যু, দুর্নীতি, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির বিষয় এবং আইনের শাসনের খবর আমাদের দেশের সংবাদপত্রগুলির হাতে একদিনেই এসে পৌঁছেছে জনগণের স্বার্থে, জনগণের সামলেই তা তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছি মাত্র। ১২-১৬ পৃষ্ঠা থাকে এক একটি পত্রিকায়। তার মধ্যে সাতটি পত্রিকার মাত্র দুটি করে পৃষ্ঠায় প্রকাশিত খবরের শিরোনাম উল্খে করেছি। বাদ-বাদী বহু সংখ্যক পৃষ্ঠাতেও রয়েছে এ জাতীয় অনেক খবর যা প্রকাশ করা থেকে স্থানাভাবে বিরত থেকেছি। কিন্তু সেগুলির মধ্যে দৃষ্টি আকর্ষণ যোগ্য অনেক মারাত্মক খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এবারে সংক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি খবর নিয়ে আলোচনা করা যাক। মন্ত্রীসভা থেকে সম্প্রতি অজস্র নারী নির্য্যাতন সংক্রান্ত খবর ও ভিডিওতে অশ্লীল আলোচনা এবং তা ব্যাপক প্রচারের পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগের পর ডা. মুরাদ দুটি বেদেশে গোপনে গিয়েও সে দেশ দুটিতে প্রবেশাধিকার নসা পেয়ে বাধ্য হয়ে দেশে ফিরে এসে কোথায় এতদিন ছিলেন জানা যাচ্ছিল না। হঠাৎ যখন তাঁর স্ত্রী ঐ ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে নির্য্যাতনের অভিযোগ ৯৯৯ এ ফোন করে জানালেন এবং পর পরই থানায় জিডি করলেন তখনই তাঁর সন্ধান এবং সাম্প্রতিক খবর জানা গেল। সহজে কোন নারী স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে না-তারপর সমাজে মর্য্যাদাশীল পরিবারের হয় তবে তো কথাই নেই। তাই বুঝতে অসুবিধা হয় না যে সহ্যের সীমা অতিক্রম করাতেই ডা. মুরাদের স্ত্রী থানা পর্য্যন্ত দৌড়াতে বাধ্য হয়েছেন।
আর থানা কি করছে? ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে ঘরোয়াভাবে ঘটনাটির পরিবারিক সুরাহা চাইছেন । এমন কোন আইন আছে কি? থাকে যদি তবে প্রথমে নারী নির্য্যাতন হলে গ্রাম্য শালিশের মীমাংসাকে বে-আইন বলে পুলিশ অভিহিত করে কেন শালিসকারীদের বহু ক্ষেত্রে বিচারের সম্মুখীন করা হয় কেন? দেশে আইনের শাসন এবং আইন প্রয়োগে বৈষম্যের এটি একটি জ্বলন্ত নজির। যে স্বামী বহু নারীর সাথে অবৈধ ঘটনা ঘটালো-সেই স্বামীর সাথে স্ত্রীর ঘরোয়া মীমাংসা চাইলো পুলিশ? এতে কি ডা. মুরাদকে প্রকারান্তই “Go ahead” বলা হলো না? আর একটি খবরে জানা যায়, লালমনিরহাটে হাতীবান্ধায় সাবিত্রী রানী নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর পর পুলিশ হেফাজতে তাঁর স্বামী হিমাংশু চন্দ্র বর্মনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ হিমাংশুর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবী করেছে। তবে পরিবারের দাবী, স্ত্রী মৃত্যুর পর স্বামীকে থানায় নিয়ে এক লাখ টাকা দাবী করে পুলিশ। পরে পুলিশই তাকে মেরে ফেলেছে।
প্রশ্ন হলো পুলিশ যে হিমাংশু বর্মনের আত্মহত্যার কথা বলছে-তাহলে স্বাভাবিক প্রশ্ন জাগে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর কোন অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজনের আত্মহত্যার সরঞ্জামাদি মওজুদ ছিল? আত্মহত্যার সময় (যদি দাবীটিকে সত্যি বলে ধরা হয়) পুলিশ কি চোখ বুঁজে ছিল এবং সে কারণে ঘটনা দেখতে না পাওয়াতে আত্মহত্যা প্রতিরোধ করতে পারে নি? সত্য উদঘাটনের জন্য সংশিল্ষ্ট পুলিশ ও কর্মকর্তাদেরকে চাকুরীচ্যুত বা বহুদুরে বদলি করে নিরপেক্ষ তদন্ত করা প্রয়োজন।
তিতাসের সাবেক কর্মকর্তা: দুর্নীতি
দুর্নীতিতে বাংলাদেশ অনুন্নত বিশ্বের টপ অর্ডারে আছে-এখবর সবারই জানা। ৯ জানয়ারী প্রকাশ পেলো তিতাসের সাবেক কর্মকর্তার কোটি কোটি টাকার সম্পদের কাহিনী। তাতে বলা হয়েছে, দুদক ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ পেয়েছে তাতে বলা হয়, শাহাদাত হোসেন কর্মকর্তা কর্মরত অবস্থায় থাকাকালে গ্যাস সংযোগ দিয়ে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। ঢাকার মীরপুর ডেমরা, গাজীপুর, সাভার, রূপগঞ্জসহ নানা এলাকায় হোটেল, মিল-কারখানাসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক, আবাসিক ভবন, বাসাবাড়ীতে সংযোগ দিয়েছে। সূত্র জানায়, শাহাদাত হোসেন ডেমরার হাজিনগরে বসবাস করেন। সেখানে “ক্ষণিক নীড়” নামে তার একটি পাকা বাড়ী আছে। আর কোন সম্পদ নেই বলে তিনি জানান।
অপরপক্ষে দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগে প্লট, পাকা বাড়ী, একাধিক মার্কেটে তার নামে দোকান সহ বহু স্থানে তাঁর নামে নানা ধলণের সম্পদের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
দুদক এ ব্রাপারে কতদূর অগ্রসর হয় দেখা যাক। কিন্তু যখন তিনি কর্মরত ছিলেন এবং এখনও যাঁরা কর্মরত আছেন তাঁদের মধ্যেও তো সম্ভবত: শাহাদাতের অভাব নেই। শুধুই বা তিতাস গ্যাস কার্য্যালয় কেন, সড়ক-সেতু নির্মাণ, সরকারি অর্থে ছাপানো অসংখ্য বই-পুস্তক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ কত জায়গায় যে দুর্নীতি নামক বিষবৃক্ষটি বিশাল আকারে গড়ে উঠেছে-তার কতটুকু হিসাব রাখে দুদক? হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংকলুট করে যারা বিদেশে পাচার করে সেখানে বাড়ী, গাড়ী, বিপণীকেন্দ্র গড়ে তুলেছেন, সরকার সংশ্লিষ্ট বলেই কি তাঁরা রেহাই পেয়ে যাবেন? দুর্নীতি দম আইনের হাত কি এতই খাটো?
মানুষে মানুষে বিভাজন-বৈষম্য
৯ জানয়ারি যে সাতটি দৈনিক আমি দেখেছি তার মধ্যে এই খবরটিই আমাকে বেশী আকৃষ্ট করেছে। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের শহরগুলিতে ধর্ম, উপার্জনের সক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধাসহ নানা ধরণেল বিষয়কে ঘিরে গত দশ বছরে আশংকা জনক বিভাজন লক্ষ্য করা গেছে। একই সঙ্গে শহরতলিতে অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত বসতি স্থাপনের ফলে শ্রেণী বৈষম্য বাড়ছে।
আটটি দেশের নয়টি সংস্থা এই বৃহৎ প্রকল্পে কাজ করছে। এর মধ্যে স্কটল্যাণ্ডের ইউনির্ভসিটি অফ প্ল্যাসগো মূল অর্থদাতা প্রতিষ্ঠান। সেন্টার ফর সাসটেইনেবল, হেলদি এ- লার্নিং সিটিজ এ- নেবারহুড্স্। আন্তর্জাতিক কনসোটিয়ামের প্রকল্পটির কাজ চলছে সাতটি উন্নয়নশীল দেশে। এর জন্যে প্রতিটি দেশের দুটি করে ছোট ও বড় শহর বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং নগরায়নের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে বেছে নেওয়া হয়েছে সেগুলোর টেকসই স মাধানে গত চার বছর ধরে কাজ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত আছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিন।
গবেষণায় দেখা যায়, ঢাকা শহরে আশংকাজনকহারে নগরায়ন হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকা শহরের আয়তন ৩০৭ বর্গ কিলোমিটার। গত ৩০ বছরে ঢাকার আশপাশে ২৫৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে বসতি গড়ে উঠেছে। একই সময়ে খুলনায় বেড়েছে ১৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা, মোট আয়তন ৫৬ বর্গ কিলোমিটার। ঢাকায় গড়ে প্রতি বছর ৮ শতাংশ হারে নগরায়ন হচ্ছে, খুলনায় হচ্ছে ৫০ শতাংশ হারে।
নতুন গড়ে ওঠা এসব বসতি কেড়ে নিয়েছে কৃষি জমি ও জলাভূমি। নগরায়নের এই প্রক্রিয়ায় শহরের বাইরে দ্রুত গতিতে অপরিকল্পিতভাবে নতুন বসতি গড়ে উঠেছে। সুপেয় পানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সড়ক যোগাযোগের মতো গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সেবার অপ্রতুলতা রয়েছে। শহরের প্রতিটি এলাকাগুলিতে উন্নয়নের ছোঁয়া তেমন একটা লাগে নি।
সামাজিক বিভাজন-ঢাকা এবং খুলনা উভয় শহরেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান শহর জুড়ে বাস করে। তবে সনাতন ও খৃষ্টান ধর্মের অনুসারীরা নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় যেমন পুরান ঢাকা ও খুলনার বড় বাজার এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বসবাসের হার মূল শহরের তুলনায় যথাক্রমে দশগুণ ও দ্বিগুণের বেশী। ধর্মের এই প্রান্তিকতা বাড়তে থাকলে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার সময় ভুঁকি বহুগণ বড়েে যাওয়ার শঙ্কা আছে।
ধর্ম ছাড়াও ঢাকা শহর সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে অনেক বেশী বিভাজিত। নগরীর কিচু জায়গা অভিজাত সম্প্রদায়ের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। আয়ের ভিত্তিতে ঢাকা শহর ৮ এবং খুলনা শহর ৫ শ্রেণীতে বিভক্টত হয়ে পড়েছে।
উভয় শহরেই নাগরিক সুবিধা প্রান্তির ক্ষেত্রে স্থানিক বৈষম্য বেড়ে চলেছে। ঢাকার ক্ষেত্রে ১৭ শতাংশ বাড়ীতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই। খুলনায় এই চিত্র আরও ভয়াবহ। ঢাকা শহরে গত ২০ বছরের সরকারি উদ্যোগে কোন বিদ্যালয় গড়ে ওঠে নি। বেশীর ভাগ মধ্য ও নিম্ন আয়ের এলাকায় প্রয়োজনের তুলনায় মানসম্মত স্কুল অপ্রতুল।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উভয় শহরে নাজুক। ঘন বসতিদপূর্ণ এলাকায় সবচেয়ে বেশী স্বাস্থ্য কেন্দ্র ক্লিনিক, ফার্মেসী ইত্যাদি গড়ে ওঠায় যানজট সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আবার প্রান্তিক এলাকায় মানুষদের এ সুবিধা নিতে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে।
দেশের নীতি নির্ধারকেরা এই ক্রমবর্ধমান সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে তার সমাধানে এগিয়ে আসবে এই প্রত্যাসা।
এই হলো আমার ৯ জানুয়ারি সাতটি পত্রিকার প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত খবরগুলির পর্য্যালোচনা।
লেখক : সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ, সাংবাদিকতায় একুশে পদক প্রাপ্ত।
পাঠকের মতামত:
- চিত্রনায়ক সিয়ামের জন্মদিন আজ
- ‘সবার সমর্থন পেলে শান্ত অসাধারণ অধিনায়ক হবে’
- যশোরে অস্ত্র ও মাদক মামলায় দুইজনের কারাদণ্ড
- যশোরে পাচারকারীর পায়ূপথে পাওয়া গেল ৭০ লাখ টাকার স্বর্ণেরবার
- ষষ্ঠ দিনে ১ ঘণ্টাতেই শেষ রেলের ১৪ হাজার টিকিট
- উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, স্বস্তির হবে ঈদযাত্রা
- কাপাসিয়ায় গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুইজন নিহত
- পরিবহন সেক্টরে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধে বিএমপির কঠোর হুঁশিয়ারি
- সাভারে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু
- ‘বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান’
- ফরিদপুরে ঐক্যের ডাক দিয়ে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় নেতা বিপুল
- দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫
- ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৪০
- জাতিসংঘে স্থায়ী মিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
- রমনা কালিবাড়িতে শতাধিক বাঙালি ইপিআরকে পাক সেনারা নৃশংসভাবে হত্যা করে
- আরও কমলো দেশের রিজার্ভ
- ‘যত জঙ্গি ধরেছি, একজনও মাদরাসার ছাত্র নন’
- গাজায় নিহত আরও ৭৬, প্রাণহানি বেড়ে প্রায় ৩২৫০০
- ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলবে ১৫ টি ফেরি ও ২২ টি লঞ্চ
- শাশুড়ীকে হত্যার দায়ে পুত্রবধূ ও পরকীয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড
- বিধবা মাকে ভরণপোষণ না দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় শিক্ষক ছেলে গ্রেপ্তার
- বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যানিং দপ্তরের উপ-পরিচালককে সাময়িক বহিষ্কার
- জামালপুরে মৎস্যজীবী দলের ইফতার মাহফিল
- পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু
- সোমালিয়ায় জিম্মি জাহাজ উদ্ধার নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইন আত্মঘাতী: টিআইবি
- নগরকান্দায় সুলভ মূল্যে ডিম-দুধ-মাংস বিক্রি
- ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
- কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর হাইস্কুলে নিয়োগ বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে বিভক্ত পরিচালনা পরিষদ
- মহম্মদপুরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
- টাঙ্গাইলে ফেনসিডিলসহ আটক ৪
- এবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেন কলেজ অধ্যক্ষ
- ভারতীয় নাগরিক দীপককে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
- বিলাইছড়ি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
- বিভীষিকার ১২ বছর: বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশায় ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুরা
- দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছেন সালথা থানার ওসি
- বাগেরহাটে তিন শতাধিক অসচ্ছল পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
- গাছে ঝুলছিল আম্বিয়া বেগমের মরদেহ
- ‘খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধূলিস্যাৎ করে’
- বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুইদল জেলের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৬
- ভোলার তজুমদ্দিনে সরকারি খাল বিক্রি, নীরব প্রশাসন
- লালপুরে অবৈধভাবে বালু ও ভরাট উত্তোলন বন্ধে পাহারার নির্দেশ
- টঙ্গীবাড়ীতে কুরবানির গরুর ১৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাৎ, সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
- চেউটিয়া খাল উন্মুক্ত করে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে আশাশুনিতে মানববন্ধন
- মায়ের জানাজা পড়ালেন প্রধান বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম
- নড়াইলে ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হোসনেয়ারা গ্রেফতার
- প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত
- ‘এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট কাউন্সিল’র বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কমিটি গঠন
- কান্তজী মন্দিরের জমিতে মসজিদ নির্মাণ ঘটনাটি যথেষ্ট সমালোচিত হচ্ছে?
- চাহিদার তুঙ্গে সিকুয়েন্স পাঞ্জাবি, বাহারি পোশাকে মেতেছে নারীরা
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !