আগামী নির্বাচন : বামপন্থীরা কী ভাবছে?
রণেশ মৈত্র
এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ইতোমধ্যেই নানাভাবে আলোচনার সূত্রপাত ঘটেছে যদিও নির্বাচনের প্রায় দু’বছর এখনও বাকি। তেমনই এ কথাও সমভাবে সত্য যে, দেশের জনগণের বা ভোটারদের মধ্যে ওই নির্বাচন নিয়ে কোন উৎসাহ উদ্দীপনা নেই-তাঁরা নিষ্পৃহ। কারণ ভোটাররা যে করুণ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন বিগত দুইটি সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে তা তাঁদেরকে রাজনৈতিক ও নির্বাচনী চিন্তা-ভাবনা থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে।
তাঁদের অভিযোগ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে অবাধে ভোট প্রদানের কোন পরিবেশ ছিল না। তবুও যাঁরা ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়েছিলেন-তাঁরা গিয়ে দেখেন তাঁদের এবং আরও বহু ভোটারের ভোট আগেই সমাধা হয়েছে। অনেকেই জানতে পেরেছিলেন, ভোটের আগের রাতেই পুলিশ ক্ষেত্রবিশেষে প্রায় সকল ভোটারের ব্যালট পেপারগুলিতে বিশেষ একটি প্রতীকে সিল মেরে ব্যালটবাক্স ভর্তি করে রেখে দিয়েছে। একটি টিভি চ্যানেলেও খবরটি প্রচারিত হয়েছিল।
তবু শাসকদল বা বিদায়ী নির্বাচন কমিশনের মনে কোন বোধোদয় হয় নি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বেশ কয়েকটি ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞতাও ভোটারদের নিষ্পৃহতার যৌক্তিকতাই প্রমাণ করেছে। ওই নির্বাচনগুলিতে নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত তথ্যমতেই শতাধিক মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। কথিত ‘সন্ত্রাসীদের হাতে। কিন্তু কদাপি ব্যাখ্যা করা হয় নি এই ‘সন্ত্রাসী’ কারা? প্রত্যক্ষ দর্শনেই স্পষ্ট করেই বলেন, নৌকার মনোনীত প্রার্থী বনাম ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের সমর্থকেরাই এই সন্ত্রাসী কর্মকা- ঘটিয়ে থাকে। এটা তো মিধ্যে নয় কারণ বি.এন.পি নিজ দলীয় প্রতীকে দাঁড়ায় নি। জাসদ, ওয়ার্কস্ পার্টি, কমিউনিষ্ট পার্টি, ন্যাপ, গণতন্ত্রী পার্টিতে দু’এক জায়গায় প্রতীকী অংশগ্রহণ করেছে মাত্র। মাঠে গিয়ে ওই প্রার্থীরা শান্তসিষ্ট কর্মীদের নিয়ে পাত্তাই পায় নি।
এর পরেও নৌকা মনোনীত প্রার্থী কমপক্ষে ৪০ ভাগ আসনে পরাজিত হয়েছেন এবং বিজয়ীরা অনেকে কানের কাছ দিয়ে কষ্টে সৃষ্টে জিতেছেন।
তাই বর্তমানের কথা ভাবলে স্পষ্টত:ই উপলব্ধি করা যায়, আওয়ামী লীগ আর তেমন জনপ্রিয় কোন রাজনৈতিক দল নয়। দলীয় শৃংলাবোধ সম্পন্ন কোন সংগঠন নয়। আগামী সংসদীয় নির্বাচনে তার চরম বহি:প্রকাশ ঘটার আশংকা। এই আশংকা দূর করা কোন অনুরোধ উপরোধে হবে না। অতীতেও হয় নি। একমাত্র তা সম্ভব হতে পারে সংগঠিত শক্তিশালী গণ আন্দোলনের মাধ্যমেই।
ইতিহাসও তাই বলে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনও কঠিন ও ধারাবাহিক আন্দোলনের মাধ্যমেই অর্জিত হয়েছিল। আবার তার চাইতে কঠিন, অনেক বেশী মেয়াদের ধারাবাহিক ও তীব্র গণ-আন্দোলন, অসংখ্য আত্মদান, কারা ও অপরাপর নির্য্যাতনের মাধ্যমেই আদায় করা সম্ভব হয়েছিল ১৯৭০ এর নির্বাচন। আর এই ২৩ বছরব্যাপী ধারাবাহিক গণ আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান, অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমিতে নয় মাস ব্যাপী সশন্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা সারা দেশে রক্তবন্যা বইয়ে দিয়ে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল গণতন্ত্র প্রথমবারের মত।
এসবই সকলের জানার কথা যদিও প্রকাশ্যে বলতে বা লিখতে অনেকেই দ্বিধাগ্রস্ত হন। কারণ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং যত্র তত্র তার প্রয়োগ। এর অতি সাম্প্রতিক প্রমাণ আমরা দেখছি গাইবান্ধার কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা মিহির কান্তি ঘোষের নেতৃত্বে সেখানকার আরও জনাকয়েক কমিউনিষ্ট কর্মীর এবং অধ্যাপিকা রুমা সরকারের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থার মাধ্যমে। আরও পেছনে ফিরে গেলে এ জাতীয় গ্রেফতার এবং ওই স্বাধীনতা হরণকারী আইনের যথেচ্ছ প্রয়োগ আমাদের চোখে পড়বে।
লিখছি আসন্ন নির্বাচন এবং বামপন্থী ভাবনা নিয়ে। এ ভাবনা বামপন্থীদেরকে এখন থেকেই ভাবতে হবে। ভাবতে হবে সরকার বিরোধী সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকেও। কারণ বিদ্যমান পরিস্থিতি বজায় রেখে যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তবে নির্ঘাত তা এক মাত্র প্রহসনে আবারও পতিত হবে।
সরকারি কার্য্যক্রম দেখে বুঝতে কষ্ট হয় না যে সরকার তা-ই চায়। জনমতের প্রবল বিরোধিতাকে অগ্রাহ্য করে সার্চ কমিটি গঠন করে ওই কমিটির নামে বিভিন্ন দলের কাছ থেকে নাম নিয়ে তা বাছাই করে ১০টি নাম পাঠানো হলো রাষ্ট্রপতির কাছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে ৫ জনকে নিয়ে আমলা কেন্দ্রিক একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করলেন। যেভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ কমিশন গঠিত হলো তাতে কমিশনটি যে নিরপেক্ষ হবে না বা হতে পারবে না তা প্রায় নিশ্চিত।
এহেন পরিস্থিতিতে কী করা? ঘরে দরজা বন্ধ করে বসে থাকা? নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা? বা নির্বাচন বর্জন করা? এমন কোন ভাবনা কোন মহল পোষণ করলে তা হবে আত্মঘাতি আবার, অনুরূপভাবে বিদ্যমান পরিবেশে সরকারি ফাঁদে পাদেওয়াও বিপজ্জনক। তাই, একমাত্র পথ হলো সম্ভাব্য সকল প্রতিকূলতা সত্বেও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবীকে ব্যাপক গণ আন্দোলনের রূপ দেওয়া। কোন নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের অধীনে অনুষ্ঠিত না হলে সে নির্বাচন গোটা বিশ্বেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
সুতরাং আন্দোলনের পথই একমাত্র পথ। কিন্তু দেশে এমন একটি দলের অস্তিত্ব দেখা যায়, যে দল বর্তমান মুহুর্তে এককভাবে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য। তেমন শক্তিশালী কোন দলের অস্তিত্বও নেই। এ পরিস্থিতিতে ঐক্যবন্ধ আন্দোলন করতে হবে এক দিকে নির্বাচন অপরদিকে জনজীবনের অসংখ্য সমস্যা নিরসনের দাবীতে। কাদেরকে সঙ্গে নিয়ে?
অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হলো। গঠনতন্ত্রের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নেতৃত্বের বদল ঘটেছে এমনটি দেখা গেল। কিন্তু দলটি যে রাজনৈতিক দলিল গ্রহণ করলো-তা মানুষ আজতক জানে না। ছোট দল হলেও এই দলটি এ দেশেল প্রাচীনতম দল বিপুল ঐতিহ্যবাহী দল। তাই ঐক্যের প্রশ্নের তাদের কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তাঁদের নেতৃত্বের অনেকের উক্তিতে বামপন্থীদের নেতৃত্বে বাম-গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করতে হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। তাঁরা, আরও কতিপয় দলের মত, সার্চ কমিটির আলোচনায় অংশগ্রহণ বা দলের পক্ষকে কোন নাম ও প্রস্তাব করেন নি। এর পর জানা দরকার তাঁরা সুনির্দিষ্টভাবে কাদেরকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে চান।
বিএনপি জামায়াত হেফাজত মুক্তিযুদ্ধ বা আদর্শের পরিপন্থী দল না হওয়ায় এবং বাহাত্তরের সংবিধান অবিকল পুনরুজ্জীবনের পক্ষে না হওয়ায় তাঁদের নিয়ে কোন আলোচনারই অবকাশ নেই। সরকার যা করে, বি.এন.পি তাই বিরোধিতা করে সর্বাগ্রে কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের যে সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হলো তার বিরুদ্ধে একটি কথাও তারা বলে নি। কোথাও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটলে সরকারি দলের নিন্দাটুকু এবং অপরাধীদের বিচারের দাবীও তারা কদাপি তোলে নি।
সুতরাং সকল বামদলকে একমত হওয়া প্রয়োজন এদের ব্যতিরেকেই বাদ-বাকী সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিকে বাহাত্তরের সংবিদানের অবিকল পুনরুজ্জীবন অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হলো। গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নেতৃত্বের বদল ঘটেছে এমনটি দেখা গেল। কিন্তু দলটি যে রাজনৈতিক দলিল গ্রহণ করলো তা মানুষ আজও জানে না। ছোট দল হলেও এই দলটি এ দেশের প্রাচীনতম দল বিপুল ঐতিহ্যবাহী দল। তাই ঐক্যের প্রশ্নের তাদের কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তাঁদের নেতৃত্বের অনেকের উক্তিতে বামপন্থীদের নেতৃত্বে বাম-গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করতে হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। তাঁরা, আরও কতিপয় দলের মত, সার্চ কমিটির আলোচনায় অংশগ্রহণ বা দলের পক্ষ থেকে কোন নামও প্রস্তাব করেন নি। এর পর জানা দরকার তাঁরা সুনির্ধিষ্টভাবে কাদেরকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে চান।
বিএনপি, জামায়াত-হেফাজত মুক্তিযুদ্ধ বা আদর্শের পরিপন্থী দল না হওয়ায় এবং বাহাত্তরের সংবিধান অবিকল পুনরুজ্জীবনের পক্ষে না হওয়ায় তাঁদের নিয়ে কোন আলোচনারই অবকাশ নেই। সরকার যা করে, বি.এন.পি তারই বিরোধিতা করে সর্বাগ্রে কিন্তু পঞ্চদল সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের যে সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হলো তার বিরুদ্ধে একটি কথাও তারা বলে নি। কোথাও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটলে সরকারি দলের নিন্দাটুকু এবং অপরাধীদের বিচারের দাবীও তারা কদাপি তোলে নি।
সুতরাং সকল বামদলকে একমত হওয়া প্রয়োজন এদের ব্যতিরেকেই বাদ-বাকী সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিকে বাহাত্তরের সংবিধানের অবিকল পুনরুজ্জীবন এবং অপরাপর দাবীতে অস্থায়ী নয়, স্থায়ী মোর্চা গঠন করে দলীয় বা নেতৃত্বের সংকীর্ণতা পরিহার করে ব্যাপক ভিত্তিক ঐক্য গঠন করে আন্দোলকে ঝঁপিয়ে পড়া। মোর্চার নেতৃত্বে কোন বামনেতা থাকবেন না কি অন্যকোন গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক কেউ থাকবেন সে বিরোধ সযতনে এড়িয়ে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সক্রিয় মোর্চা দ্রুত গঠন করা।
মনে রাখা প্রয়োজন, এমন কোন মোর্চাই এই মুহুর্তে প্রয়োজনীয় শক্তি অর্জনে সক্ষম হবে না-প্রয়োজন হবে ধারাবাহিক আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিজেদেরকে গ্রহণযোগ্য করে তুলে নতুন নতুন দল বা ব্যক্তিকে ওই আন্দোলনে সম্পৃক্ত করা। এভাবে আন্দোলনের মাধ্যমেই মূল মূল দাবীগুলি আদায় করা। বিজয় অর্জিত হতে পারে-এমন কথা মাথায় রেখেই বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাই করে রাখা। একাই সাথে ঐ এলাকাগুলিতে কর্মী বাহিনী গড়ে তোলা, নির্বাচন ও আন্দোলনের জন্য সাধ্যমত তহবিল সংগ্রহ করার প্রভৃতি গ্রহণ এ সব কিছুই একই সাথে করতে হবে।
দেশের সচেতন রাজনৈতিক অংশ ভারতের পাঁচ রাজ্যে অনুষ্ঠিত বিধান সভার নির্বাচন ও তার ফলাফল নিশ্চয়ই গুরুত্ব সহকারে লক্ষ্য করেছেন। ওই বি.এন.পি মূল শক্তি হয়ে বেরিয়ে আসা ভারতবাসীর যেন যেমন অকল্যাণকর তেমনই আবার আমাদের দেশের বাম-গণতান্ত্রিক শক্তির দ্রুত ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। যে যে কারণে বিজেপির মত উগ্র হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক দল আজ প্রায় এক দশক ধরে দেশটি শাসন করে আসতে এবং ভোটে ব্যাপক আসন সংখ্যা অর্জন করতে পারছে-তার কারণগুলি প্রথমত: হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িকতার শক্তিশালী ভিত্তি, দেশের বৃহৎ ধনীগোষ্ঠীর অঢেল টাকা বিজেপিকে ক্ষমতায় রাখতে সহায়তা করা এবং বাদ-বাকী বিজেপি বিরোধী অসাম্প্রদায়িক দলগুলির গণভিত্তিক আসংকাজনকভাবে হ্রাস পাওয়া ও তাদের মধ্যে বিরাজমান অনৈক্য।
সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই-ই ঘটাতে পারে এই অবস্থার অবসান। এবং তা একমাত্র সম্ভব সর্বভারতীয় ভিত্তিতে সকল অসাম্প্রদায়িক শক্তির ঐক্যবদ্ধ, দৃঢ় ও ধারাবাহিক আন্দোলন।
বাংলাদেশের রাজনীতির একদিককার অবস্থা এই নিবন্ধের শুরুতে তুলে ধরেছি। কিন্তু সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমাদের দেশে সরকারি ও সরকার বিরোধী বলে পরিচিত দুটি বড় দলের সাম্প্রদায়িক শক্তি তোষণ-যার ফলে জামায়াতে ইসলামী আজ বৈধ সংগঠন হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। অপরপক্ষে উগ্র সাম্প্রদায়িক জঙ্গীবাদী ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ব্যাপক উত্থান। এদেরকে আইনী পথেই শুধু মোকাবিলা করা যাবে না-আদশিক লড়াই যদি একই সাথে শুরু করা না হয়।
এ কাজে ‘বড়’ দলগুলির আসার প্রশ্নই আসে না। তাই প্রস্তাবিত বাম গণতান্ত্রিক ব্যাপক ঐক্যই এবং তার উদ্যোগে সর্বাত্মক ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। একে প্রাধান্য দিতে হবে নইলে তারা যে এদেশে ক্ষমতাসীন হবে না-তা জোর দিয়ে বলা যাবে না।
আমাদের দেশের (এবং বিদেশের) ধনিক শ্রেণী বড় দুটি দল ছাড়াও ধর্মান্ধ পূর্বোক্ত দলগুলিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়াতেই তাদের এমন উত্থান।
কাজেই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কর্তব্য নির্ধারণ অত্যন্ত জরুরী। ভাষা আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মহান আদর্শ রক্ষা বা তার পুনরুত্থান ঘটানোর জন্য গণ আন্দোলনের বিস্বোরণ ঘটানোর মাধ্যমেই তা সম্ভব। নইলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম যেমন থেকে যাবে পরিবারতন্ত্র অব্যাহত থাকবে-দেশটা আরও বেশী করে পাকিস্তান মুখী হয়ে পড়বে।
লেখক : সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ, সাংবাদিকতায় একুশে পদক প্রাপ্ত।
পাঠকের মতামত:
- বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত-যুক্তরাষ্ট্র
- যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল
- ‘বিএনপির সময় ঋণ খেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল’
- ‘ইট মারলে পাটকেল খেতে প্রস্তুত থাকবেন’
- গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা
- চৌদ্দগ্রামে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫, আহত ১৫
- নাইজেরিয়ায় নামাজের সময় মসজিদে তালা দিয়ে আগুন, নিহত ১১
- ইংল্যান্ডে স্কুলে লিঙ্গ পরিচয় শিক্ষা দেওয়া যাবে না
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৯
- ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন’
- সৌদিতে পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী
- ‘৬ জুন বাজেট দেব, বাস্তবায়নও করব’
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
- শান্তি কমিটির নাম পরিবর্তন করে ‘শান্তি ও সংহতি কমিটি’ রাখা হয়
- রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মাইক মার্কার ব্যাপক প্রচারণা
- কেন্দুয়ায় অভ্যন্তরিন বোরো সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন
- কেন্দুয়ায় বোরোর বাম্পার ফলন, দামে অখুশি, ফলনে খুশি কৃষক
- ‘সার্বজনীন পেনশন স্কীমের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে হবে’
- কাপাসিয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- নহাটা শ্মশান কালীবাড়িতে বৈশাখ মাসব্যাপী প্রভাতী কীর্তন সম্পন্ন
- জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- হাজীগঞ্জে আগুনে পুড়লো ৮ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
- ফরিদগঞ্জে ঋণের ভার সইতে না পেরে সিনিয়র সিটিজেনের আত্মহত্যা
- 'প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যাওয়ার মত পরিবেশ ইসি করেছে'
- এসএসসি পরীক্ষায় শ্যামনগর উপজেলা পর্যায়ে প্রথম হলেন মহুয়া রানী গায়েন সৃষ্টি
- 'ফসলের নিবিড়তা ও উৎপাদন বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে’
- তারাকান্দায় নির্যাতিত ও অসহায় পরিবারের পাশে ওসি ওয়াজেদ
- টাঙ্গাইলে ফারাক্কা লংমার্চের ৪৮তম দিবসে আলোচনা সভা
- কালিয়াকৈরে মোটরসাইকেলের কর্মীকে মারধরের অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- হোসেনপুরে তীব্র গরমে ক্লাসেই অসুস্থ ৩০ শিক্ষার্থী
- কাপাসিয়ায় মাদকের বিরুদ্ধে সেমিনার
- শ্যামনগরে রোগীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ
- ফরিদপুরে ডিবির হাতে ৬ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- সুন্দরবনে বার বার আগুনের নেপথ্য কাহিনি
- গোপালগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার আন্দোলনে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
- ‘ডোনাল্ড লুর বক্তব্যের পর ফখরুলের কথার দাম নেই’
- সালথার জয়ঝাপ স্কুলে ওয়াদুদ মাতুব্বরের পক্ষে নির্বাচনী পথসভা
- প্রতিকার না পেয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা আনারস প্রতীকের প্রার্থীর
- বিশ্বের একমাত্র ভাসমান এনপিপিতে পিয়ার রিভিউ মিশন সম্পন্ন
- সাবেক যুব মহিলা লীগ নেত্রী স্বপ্না খন্দকারের সংবাদ সম্মেলন
- মাদারীপুরে রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয় ও ঠিকাদারের সাথে হাতাহাতির ভিডিও ভাইরাল
- ‘প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে’
- গোয়ালন্দে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান
- শায়েস্তাগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে মুখোমুখি দুই সাংবাদিক
- পর্যটন খাতে তুরস্ককে বিনিয়োগের আহ্বান
- বোয়ালমারীতে হাসামদিয়া গণহত্যা দিবস পালন
- মহম্মদপুরে চায়না ৩ সিডলেস লেবু চাষে সফল রিয়াজুল ইসলাম
- ১০ প্রকল্পেই বরাদ্দ ৫২ হাজার কোটি টাকা
- ঈদ উপলক্ষে ওয়ালটনের নতুন মডেলের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উন্মোচন
- ফরিদপুরে মৎস্য উৎপাদনে বার্ষিক পর্যালোচনা বিষয়ক কর্মশালা
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !