স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নীলফামারীর রাজনৈতিক নেতৃবর্গের ভূমিকা
ওয়াজেদুর রহমান কনক
নীলফামারীর মানুষ আবহমান কাল থেকেই শোসিত ও নির্যাতিতের পক্ষে। পাকিস্থানী শাসকদের শোষণের বিরুদ্ধে বাংলা ও বাঙ্গালীর নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ঘোষিত কর্মসূচি এখানকার মানুষ কায়মনবাক্যে গ্রহণ, লালন এবং পালন করেছেন।
১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করে মূলত তার সাধের স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি রচনা করেছিলেন। ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরিপূর্ণ রাজনৈতিক রুপদান করেন ।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট, ১৯৫৫ সালে ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ থেকে আওয়ামী লীগ নামকরণ, ১৯৬২ হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাতিলের আন্দোলন, ১৯৬৫ সালে আন্দোলনের অংশ হিসেবে ফাতেমা-জিন্নাহর নির্বাচনে অংশগ্রহণ, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৮ আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা, ছাত্রদের ১১ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচন সর্বপরি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নীলফামারীবাসী সর্বাত্মকভাবে গেরিলা ও সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে স্বাধীন-সার্বভৌম বাঙ্গালী জাতিরাষ্ট্র, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
১ মার্চ ১৯৭১ কমনওয়েলথ বনাম পাকিস্থানের ক্রিকেট খেলা ঢাকা স্টেডিয়ামে চলছিল, খেলা চলমান অবস্থায় বেতার মাধ্যমে জানা যায় ইয়াহিয়া খান পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন।
ফলে স্টেডিয়ামে উপস্থিত জনগণ বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। উপস্থিত অগ্নিন্মুখ জনতা মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়ে উপস্থিত হয় এবং ঢাকার চারদিক থেকে মিছিল আসতে থাকে। উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আগামী ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে আমি পরবর্তী নির্দেশ দেব। ‘
১ মার্চ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত হরতালসহ লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে নীলফামারীতেও একই কর্মসূচি পালন করা হয়।
৭ মার্চ এই বাংলাদেশের তামাম দুঃখ বেদনার বহি:প্রকাশ ঘটিয়ে, যুদ্ধকালীন সময়ে গেরিলা ও সম্মুখযুদ্ধসহ সমস্ত দিক নির্দেশনা দিয়ে বাংলার মানুষের রাজনৈতিক স্বাধীনতা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে দিকনির্দেশনা বঙ্গবন্ধু দিলেন আমরা নীলফামারীবাসীও একাত্ম হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লাম এই আন্দোলন-সংগ্রামে।
এরই ধারাবাহিকতায় ৯ মার্চ থেকে নীলফামারী মহকুমাসহ অন্যান্য থানায় সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। নীলফামারীর চৌরঙ্গী মোড়ে ল্যাম্পপোস্টে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করেন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা সমীর কুন্ডু, নুরুল আমিন (নীলফামারী বাজার), মতিয়ার রহমান, শওকত আলী টুলটুলসহ অন্যান্যরা।
১৫ মার্চ শহরের লাঠি মিছিল । টাউন ক্লাব মাঠে মুক্তিকামী জনতার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ১৬ মার্চ সৈয়দপুরের এমপি ডাঃ জিকরুল হক মানচিত্র খচিত বাংলাদেশের পতাকা উত্তেলন করেন। ১৯-২০ মার্চ সৈয়দপুর ও এর আশপাশের এলাকার অবাঙ্গালীরা বাঙ্গালীদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজে মেতে ওঠে।
২১ মার্চ ডোমার-ডিমলা-জলঢাকার এমএনএ জনাব আব্দুর রউফ নিজের জিপ গাড়ীতে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা নিয়ে সৈয়দপুর গমন করলে অবাঙ্গালীরা পতাকা ছিঁড়ে ফেলে ও তাঁকে লাঞ্ছিত করে। ২২-২৩ মার্চ নীলফামারীর প্রায় সর্বত্রই বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সেনাবাহিনী ও অবাঙ্গালীদের নির্যাতনের প্রতিবাদে পাশ্ববর্তী চিরিরবন্দর আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মাহাতাব বেগ এর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক স্বাধীনতাকামী মানুষ তীর-ধনুক, লাঠি-শোঠা ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট দখলের জন্য আক্রমণ চালায় । এই আক্রমণের নেতা মাহাতাব বেগ শহীদ হন । তিনিই মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ।
সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ
জনাব আফসার আলী আহমেদ (এমএনএ, তৎকালীন সভাপতি, মহকুমা আওয়ামী লীগ) জনাব আ্যাডভোকেট দবীর উদ্দীন আহমেদ (ন্যাপ-ওয়ালী, সহ-সভাপতি পাকিস্থান ন্যাপ, কেন্দ্রীয় কমিটি, জনাব খয়রাত হোসেন(সাবেক মন্ত্রী), জনাব আব্দুর রউফ (এমএনএ), জনাব আবুল কালাম (জাতীয় লীগ), জনাব আবু নাজেম মোহাম্মদ আলী (ন্যাপ-ভাসানী), জনাব আব্দুর রহমান চৌধুরী (এমপিএ), জনাব আমিন বিএসসি (এমপিএ), জনাব কাজী আমিনুল হক (আওয়ামীলীগ), জনাব আ্যাডভোকেট জোনাব আলী (আওয়ামী লীগ), জনাব মহসিন আলী টুলু, জনাব ইয়াকুব আলী, জনাব এম এম সোলায়মান, জনাব কানু ঘোষ, জনাব আহসান আহমেদ, জনাব গোলাম সারওয়ার আবু। বাদশাহ সহ আরো বেশকিছু ব্যাক্তিকে সদস্য করে সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, নীলফামারী।
১৯৭১ সালে নীলফামারীতে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। যাঁরা এই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন..
জনাব দোলোয়ার হোসেন বুলবুল, শওকত আলী টুলটুল, জনাব এম এম সোলায়মান, জনাব আসাদুজ্জামান নূর, গোবিন্দ চন্দ্র রায়, জনাব ইয়াকুব আলী, জনাব আবু হাসান মোঃ ইলিয়াস, জনাব একেএম আমিনুল হক, জনাব আনছারুল আলম সানু, জনাব তবিবুল ইসলাম, জনাব নুরুল আমিন, জনাব কাজী জাহিদুল ইসলাম, জনাব হযরত আলী, জনাব হবিবর রহমান, জনাব দেলোয়ার হোসেন, জনাব এনায়েতুল কবীর লুলু, জনাবা আমিনা আক্তার মেরিনা, জনাবা দৌলত জাহান ছবি, জনাব কান্তি ভূষণ কুন্ডু, জনাব সমীর কুমার কুন্ডু।
আরও বেশ কিছু ছাত্রনেতাকে সদস্য করে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। অন্যান্য থানায় যেমন জনাব আব্দুর রউফের নেতৃত্বে ডোমারে, জলঢাকায় আমিন বিএসসি এমপিএ-এর নেতৃত্বে, কিশোরগঞ্জ থানায় জনাব আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে, ডিমলায় আব্দুর রহমান চৌধুরীর এমপিএ এবং সৈয়দপুরে ডাঃ জিকরুল হকের নেতৃত্বে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের ভূমিকায় নীলফামারী মহকুমার রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, ছাত্রনেতা, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব ও সমাজসেবকগণ গুরু দ্বায়িত্ব পালন করেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিগণ হলেন..কমরেড আমজাদ হোসেন, জনাব গোলাম সারওয়ার আবু, জনাব রাহাত হোসেন, সামসুদ্দোহা. আবুল কালাম, ডাঃ মকবুল হোসেন, জনাব আসাদুজ্জামান নূরসহ আরও অনেকে।
সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ এবং ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মাধ্যমে প্রতিদিন মহকুমা শহর ও থানা গুলোতে মিছিল মিটিং অব্যাহত থাকে। নীলফামারীতে সংগ্রাম পরিষদের মাধ্যমে বিরাট একটি মিছিল বের করা হয় এবং জনগণকে জানিয়ে দেওয়া হয় সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া বাঙ্গানীর মুক্তির আর কোন পথ খোলা নাই।এরপর নীলফামারী হাই স্কুল মাঠে কাঠের রাইফেল দিয়ে অস্ত্র চালনা প্রশিক্ষণ শুরু হয়। আবুল কামাল, আলী হোসেন, লোকমান হোসেন লোকোর নেতৃত্বে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এখানে উল্লেখ্য যে, ৯ মার্চ নীলফামারী শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে একটি ল্যাম্পপোস্টে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা ছাত্রনেতা শওকত আলী টুলটুল, মতিউর রহমান, সমীর কুমার কুন্ডু, নুরুল আমিন, আমিনুল হক, আবু হাসান মোঃ ইলিয়াস, কান্তি ভূষণ কুন্ডু এবং অন্যান্য ছাত্রনেতাদের অংশগ্রহণে পতাকা উত্তোলন করা হয়।
১০ মার্চ থেকে শুরু করে ১৪ মার্চ পর্যন্ত নীলফামারী মহকুমা ও অন্যান্য থানা গুলোতে ঢাকার কর্মসূচির সাথে সংগতি রেখে ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রাম চলতে থাকে। ১৫ মার্চ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দল-মত নির্বিশেষে প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা শহরের টাউন ক্লাব মাঠে হাতে লাঠি-শোঠা নিয়ে এবং কন্ঠে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ১৬ মার্চ সৈয়দপুরে ডাঃ জিকরুল হক এমএনএর নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়।
১৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ঢাকার কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে মহকুমা এবং থানা গুলোতে সমস্ত কর্মসূচি পালন করা হয়।
২৫ মার্চ রাতের গণহত্যার খবর এবং বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের খবর পেয়ে নীলফামারীবাসী আরও প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে। এইসব দিন গুলোতে সৈয়দপুর অবাঙ্গালী অধ্যুষিত হওয়ায় তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সৈয়দপুর ও এর আশপাশের এলাকায় বাঙ্গালীদের ওপর অত্যাচার-নিপিড়ন চালাতে থাকে।
নীলফামারীতে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণ করার জন্য গোপনে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে থাকে।এর প্রেক্ষিতে বাঙ্গালী ইপিআর এবং স্বাধীনতার পক্ষের পুলিশ সদস্যদের সাথে গোপনে পরিকল্পনা করে। এর ফলশ্রুতিতে ৮ এপ্রিল ইপিআর, আনসার, মুজাহিদ এবং স্বত:স্ফূর্ত জনতা সম্মীলিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র যেমন লাঠি-শোঠা, তীর-ধনুক নিয়ে ধোরধোরোর ব্রিজের নিকট জমায়েত হয়। পাকিস্থান সেনাবাহিনী ট্যাংক এবং কামান নিয়ে নীলফামারীর দিকে অগ্রসর হতে থাকে এবং কামান দাগাতে থাকে, এই অবস্থায় জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, এবং বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় গ্রহণ করে। দেশের ভেতরে এবং ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে আশ্রয় গ্রহণ করে। ভারত সরকারও বিভিন্ন শরণার্থি শিবিরে আশ্রয় প্রদান করে এবং বাংলার দামাল ছেলেরা বিভিন্ন ট্রেনিং ক্যাম্পে অস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। নীলফামারী অঞ্চল সে সময় ছিল ৬ নং সেক্টরের অধীন এবং সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন উইং কমান্ডার খাদেমুল বাসার।
উল্লেখ্য যে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাক হানাদার বাহিনী নীলফামারী কলেজ এবং ভকেশনাল স্কুলে তাদের ক্যাম্প স্থাপন করে। পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় ছাত্রলীগ নেতা মাহাবুবুর রহমান দুলু চৌধুরী (নিকসু ভিপি), বোথা ঘোষ ও তার দুই মেয়ে মিনা ঘোষ, সীমা ঘোষ ও এক ছেলে খোকন ঘোষ, ঘিনা শাহা, অহি ঠাকুর, ভোন্দা বাবু সহ আরও অনেককেই অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। শহরের সবুজ পাড়ার আবুল কাশেম খান এবং পাবনাপট্টির কছিমুদ্দিন আহমেদ (কেরানী)সহ আরও কিছু লোককে ধরে নিয়ে টার্চার সেলে বন্দী করে রাখে এবং নির্যাতন করে এক পর্যায়ে অর্থের বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেয় এবং যারা টাকা দিতে পারেনি তাদেরকে হত্যা করা হয়।
পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা নীলফামারীর অনেক বাঙ্গালী মহিলাদের ধরে নিয়ে মিলিটারী ক্যাম্পে (নীলফামারী কলেজ) পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছিল।
পাক আর্মির হত্যালিলার নিদর্শন হিসেবে নীলফামারী জেলায় অনেক গুলি বধ্যভূমি আছে, এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য সৈয়দপুর গোলাহাট বধ্যভূমি, নীলফামারী কলেজ বধ্যভূমি, জলঢাকা কালিগঞ্জ বধ্যভূমি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শত প্রতিকূলতার মাঝেও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থেকে ও মুজিবনগন সরকারের দক্ষ পরিচালনায় ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লাখ ৬৯ হাজার মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ বিশ্ব দরবার প্রতিষ্ঠা করেছি।বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের দিকে ধাবিত হচ্ছে। নীলফামারীও উন্নয়নের রোল মডেলের অংশীদার।
নীলফামারীতে স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে মুক্তির উৎসব ও সুবর্নজয়ন্তী মেলা-২০২২-এ মহান মুক্তিযুদ্ধে নীলফামারী শীর্ষক আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধা-শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমাবেশে আলোচকরা মুক্তিযুদ্ধে নীলফামারীর রাজনৈতিক নেতৃবর্গের অবদান নিয়ে উল্লেখিত কৃতিত্বের কথা স্মরণ করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিনের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান, সাবেক উপসচিব একেএম আমিনুল হক, নীলফামারী সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কান্তি ভূষণ রায় প্রমুখ।
লেখক : গণমাধ্যম কর্মী।
পাঠকের মতামত:
- বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত-যুক্তরাষ্ট্র
- যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল
- ‘বিএনপির সময় ঋণ খেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল’
- ‘ইট মারলে পাটকেল খেতে প্রস্তুত থাকবেন’
- গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা
- চৌদ্দগ্রামে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫, আহত ১৫
- নাইজেরিয়ায় নামাজের সময় মসজিদে তালা দিয়ে আগুন, নিহত ১১
- ইংল্যান্ডে স্কুলে লিঙ্গ পরিচয় শিক্ষা দেওয়া যাবে না
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৯
- ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন’
- সৌদিতে পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী
- ‘৬ জুন বাজেট দেব, বাস্তবায়নও করব’
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
- শান্তি কমিটির নাম পরিবর্তন করে ‘শান্তি ও সংহতি কমিটি’ রাখা হয়
- রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মাইক মার্কার ব্যাপক প্রচারণা
- কেন্দুয়ায় অভ্যন্তরিন বোরো সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন
- কেন্দুয়ায় বোরোর বাম্পার ফলন, দামে অখুশি, ফলনে খুশি কৃষক
- ‘সার্বজনীন পেনশন স্কীমের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে হবে’
- কাপাসিয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- নহাটা শ্মশান কালীবাড়িতে বৈশাখ মাসব্যাপী প্রভাতী কীর্তন সম্পন্ন
- জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- হাজীগঞ্জে আগুনে পুড়লো ৮ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
- ফরিদগঞ্জে ঋণের ভার সইতে না পেরে সিনিয়র সিটিজেনের আত্মহত্যা
- 'প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যাওয়ার মত পরিবেশ ইসি করেছে'
- এসএসসি পরীক্ষায় শ্যামনগর উপজেলা পর্যায়ে প্রথম হলেন মহুয়া রানী গায়েন সৃষ্টি
- 'ফসলের নিবিড়তা ও উৎপাদন বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে’
- তারাকান্দায় নির্যাতিত ও অসহায় পরিবারের পাশে ওসি ওয়াজেদ
- টাঙ্গাইলে ফারাক্কা লংমার্চের ৪৮তম দিবসে আলোচনা সভা
- কালিয়াকৈরে মোটরসাইকেলের কর্মীকে মারধরের অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- হোসেনপুরে তীব্র গরমে ক্লাসেই অসুস্থ ৩০ শিক্ষার্থী
- কাপাসিয়ায় মাদকের বিরুদ্ধে সেমিনার
- শ্যামনগরে রোগীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ
- ফরিদপুরে ডিবির হাতে ৬ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- সুন্দরবনে বার বার আগুনের নেপথ্য কাহিনি
- গোপালগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার আন্দোলনে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
- ‘ডোনাল্ড লুর বক্তব্যের পর ফখরুলের কথার দাম নেই’
- সালথার জয়ঝাপ স্কুলে ওয়াদুদ মাতুব্বরের পক্ষে নির্বাচনী পথসভা
- প্রতিকার না পেয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা আনারস প্রতীকের প্রার্থীর
- বিশ্বের একমাত্র ভাসমান এনপিপিতে পিয়ার রিভিউ মিশন সম্পন্ন
- সাবেক যুব মহিলা লীগ নেত্রী স্বপ্না খন্দকারের সংবাদ সম্মেলন
- মাদারীপুরে রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয় ও ঠিকাদারের সাথে হাতাহাতির ভিডিও ভাইরাল
- ‘প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে’
- গোয়ালন্দে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান
- শায়েস্তাগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে মুখোমুখি দুই সাংবাদিক
- পর্যটন খাতে তুরস্ককে বিনিয়োগের আহ্বান
- বোয়ালমারীতে হাসামদিয়া গণহত্যা দিবস পালন
- মহম্মদপুরে চায়না ৩ সিডলেস লেবু চাষে সফল রিয়াজুল ইসলাম
- ১০ প্রকল্পেই বরাদ্দ ৫২ হাজার কোটি টাকা
- ঈদ উপলক্ষে ওয়ালটনের নতুন মডেলের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উন্মোচন
- ফরিদপুরে মৎস্য উৎপাদনে বার্ষিক পর্যালোচনা বিষয়ক কর্মশালা
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !