হৃদয় মণ্ডল, লতা সমাদ্দার এবং অধুনা বাংলাদেশ
রণেশ মৈত্র
আঠার জন বিশিষ্ট নাগরিক যৌথভাবে বিগত ৭ এপ্রিলের বিভিন্ন সংবাদপত্রে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিটি হয়তো দেশে কিছুটা আােড়ন সৃষ্টি করবে-অন্তত: পক্ষে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ও ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং বাহাত্তরের সংবিধানের চার মৌল নীতিতে দৃঢ়ভাবে আস্থাশীল মানুষদের মধ্যে। কিন্তু আমি বুঝতে অক্ষম, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান দলটি দীর্ঘকাল একটানা ক্ষমতায় থাকলেও তাঁদের মূল নেতৃত্ব এই যৌথ বিবৃতি এবং আমার মত ক্ষুদ্র একজন ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধার লিখিত এই নিবন্ধটিকে আদৌ আমলে নেবেন কি না।
দেশের প্রথম সারির আঠারজন বিশিষ্ট নাগরিক হলেন আবদুল গফফার চৌধরী, সৈয়দ হাসান ইমাম, অধ্যাপক অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, ডা. সরওয়ার আলী, আবেদ খান, সেলিনা হোসেন, লায়লা হাসান, অধ্যাপক আবদুস সেলিম, মফিদুল হক, অধ্যাপক শফি আহমেদ, শাহরিয়ার কবির, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, অধ্যাপক মুনতাসিন, মামুন, সারা যাকের ও শিমুল ইউসুফ।
তাঁরা এক যোগে বলেছেন, আসুন, আমরা যে যার অবস্থান থেকে বিজ্ঞান ভিত্তিক, সম্প্রীতি ও ন্যায়ের সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একযোগে কাজে নেমে পড়ি। এখন সময় হয়েছে ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের এ দেশ থেকে বিতাড়িত করার।
বিবৃতিতে বলা হয়। সম্প্রতি দেশে সংঘটিত বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধ ঘটনা আমাদের উদ্বিগ্ন ও শংকিত করেছে, যা জাতির জন্য বহন করছে অসানি সংকেত। এর মধ্যে আছেন বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় ম-লকে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার ও জামিন না দেওয়া, কলেজ শিক্ষক লতা সমাদ্দারকে টিপ পরার কারণে পুলিশ সদস্যের লাঞ্ছনা, মুজিব শতবর্ষে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাস্কর্য্য ভাঙা সমর্থন করে ভাস্কর্য্য ইসলাম বিরোধী কাজ বলে চিহ্নিত করে পুলিশ সদস্যের ফেসবুক ও সরাসরি মাইকে ঘৃণ্য বক্তব্য, ইতোপূর্বে পঞ্চম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষকে ঘৃণা করার শিক্ষা সম্বলিত রচনার অন্তর্ভূক্তি, দু’বছর আগে একজন সচিবের ‘টাকনুর উপরে কাপড় পরার’ বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারী করা এবং বাংলা নববর্ষের প্রভাতে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বেদাত বলে ঘোষণা।
বিবৃতি দাতারা এমন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় গভীর উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে বলেছেন, এমন পরিস্থিতি মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে কাম্য নয়। মৌলবাদ জঙ্গীবাদের স্থান বাংলাদেশে নেই। অথচ তারা আজ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে-এমন কি পুলিশ ও প্রশাসনের একটি অংশও তাদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। তাঁরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এই অপশক্তিগুলি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের নেতৃত্বের অজান্তেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
বিবৃতিদাতা আবার জন দেশের অমূল্য সম্পদ এমন ব্যক্তিত্ব শুধু এঁরা নন, আরও অনেক আছেন। বিবৃতিটিতে তাঁদের স্বাক্ষর সম্মতি গ্রহণ করতে হলে এটি প্রকাশে আরও বেশ কিছু বিলম্ব হতো। বিলম্ব অবশ্য কিছুটা হয়েই গেছে। তবু এই সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিবৃতিদাতা সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন।
মাত্র দু’তিন মাস হলো অধ্যাপক রুমা সরকারকেও রাষ্ট্রদ্রোহীতার মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করলে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। যেমন উঠেছে অধ্যাপক লতা সমাদ্দারকে টিপ পরার দায়ে লাঞ্ছনার ঘটনায়। রুমা সরকারকে ডিজিট্যাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা তদন্তাধীন। প্রভাবশালীদের চাপে তাঁকে কলেজের অধ্যাপক পদ থেকে সাময়িক বহিস্কারও করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এ জাতীয় কয়েক হাজার ঘটনা বা এগুলির চাইতেও আরও ভয়াবহ ঘটনা বাংলাদেশের নানাস্থানে বিগত ১০টি বছরে দিব্যি সংঘটিতে হয়েছে এবং এই ঘটনাগুলির খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিতও হয়েছে। মসজিদে প্রকাশ্য দিবালোকে বা রাত্তিরে মাইকে উগ্র সাম্প্রদায়িক উত্তেজনামূলক বক্তব্য দিয়ে হাজার হাজার লোক জড়ো করে মন্দির গীর্জা, হিন্দু পল্লী আক্রমণ, লুঠপাট নারী-অপহরণ, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ করার ঘটনাও দিব্যি ঘটতে পেরেছে। এমন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে আওয়ামী লীগেরও অনেকে ঐ সংঘাত সৃষ্টিকারীদের সঙ্গী হয়েছে বা নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে।
পুলিশ? বাখানা এই যে মাইকের ঘোষণা, হাজার হাজার লোক সমবেত হয়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাকর শ্লোগান দিলেও তাঁদের কর্মজুহবে তা প্রবেশ করে না। টেলিফোনে আতংকিত লোকজন খবর জানালেও পুলিশের নড়ন-চরন চোখে পড়ে না। জিজ্ঞেস করলে জবাব পাওয়া যায়, ঘটনা কিছুটা শুনেছি-তবে এখনও কেউ কোনো মামলা দায়ের করে নি। করলেই উপযুক্ত তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ধর্মীয় উগ্র মৌলবাদীরা আজ সরকারের মধ্যে সরকারের দুর্বলতার কারণেই তাদের অবস্থান মজবুত করে নিতে সক্ষম হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের সাম্প্রদায়িকীকরণ একটি সুদুরপ্রসারী চিন্তার ফসল-তাতে সন্দে নেই। পঞ্চম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক থেকেই শিশুরা একটু একটু করে বুঝতে শুরু করে-বুঝবার ক্ষমতা অর্জন করে। তখনই যদি তাদের বইতে সাম্প্রদায়িক চিন্তা নিয়ে লেখা গল্প, কবিতা, উপদেশ প্রভৃতি শেখানো হয় তবে সাম্প্রদায়িকতা যে তাদের মননে স্থায়ী বাসা বাঁধবে এবং অমুসলিমদের হেয় জ্ঞান করাই শুধু নয়-তাদেরকে ঘৃণা করতে শিখবে তা সহজেই উপলব্ধি করা যায়। এভাবে ব্যাচের পর ব্যাচ-বছরের পর বছর ধরেই ঐ শিশুরা ঐ চিন্তাধারা নিয়ে বড় হতে থাকবে।
মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা, পশ্চাৎপদতা, কূপমণ্ডুতা পাকিস্তানের মত স্থায়ী আসন করে নেবে। তখন নামেই শুধু দেশটা বাংলাদেশ থাকবে কার্য্যত: তা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মত একটি আধুনিক-বর্জিত, সভ্যতা-বর্জিত, হাজার বছর ধরে লালিত, বিকশিত বাঙালি সংস্কৃতি পরিত্যক্ত হবে। এবং তার সুস্পষ্ট লক্ষণ নানাভাবে ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য্য নির্মাণের যে পরিকল্পনা মুজিব শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকায় নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল-জানামাত্র উগ্র মৌলবাদী হেফাজতে ইসলাম হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেছিল-এমন ভাস্কর্য্য যদি নির্মাণ করা হয় তবে তা ভেঙে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করা হবে। এই হুঁশিয়ারী দ্বারা এক ঢিলে দুই পাখী মারলো। বাঙালী সংস্কৃতির স্মারক ভাস্কর্য্য তারা সহ্য করবে না এবং দ্বিতীয়ত: বঙ্গবন্ধুর প্রতি তারা বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা পোষণ করে না।
এই সংগঠনের আবির্ভাব কী ভয়ংকর মূর্তি নিয়ে হয়েছিল তা এ প্রসঙ্গে স্মরণ যোগ্য। তারা হঠাৎ করে সারা দেশ থেকে বাড়ীতে করে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ইসলামের নামে বিভ্রান্ত করে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত করে ঢাকা মহানগরীর অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্রে। সেখান থেকে তারা তাদের ১৩ দফা দাবীনামা প্রকাশ করে যাতে সরকার গ্রহীত নারী নীতি, শিক্ষানীতি বাতিল করার দাবী জানিয়ে বলেছিল- এই ১৩ দফা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি না দিলে তারা এই “ইসলাম-বিরোধী সরকার”কে উৎখাত করে ছাড়বে।
অতঃপর তারা ঢাকা ঘিরে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে এবং তাদের দাবী না মানা পর্য্যন্ত তারা ঢাকা ছাড়বে না বলে ঘোষণা দেয়। এই অবস্থা গভীর রাত পর্য্যন্ত চলতে দেখে পুলিশ দিয়ে তাদের অবস্থান সমাবেশ ভেঙে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এভাবেই হেফাজত তাদের কর্মসূচী ঘোষণা করে ত্রাসের সৃষ্টি করে।
অতঃপর যাদুকরী ঘটনা ঘটলো। হেফাজতের সাথে সরকারের গোপনে আপোষ হয়ে গেল এবং তারা প্রকাশ্যে বলে উঠলো-এই সরকার আমাদের বন্ধু-তবে আমরা আমাদের ঘোষিত ১৩ দফা কর্মসূচী বাস্তবায়নের দাবী ছাড়বো না।
সময়ের ব্যবধানে দেখা গেল তাদের আমিরের মতানুযায়ী রাতারাতি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে জাষ্টিসিয়া নামক ভাস্কর্য্যটিকে “দেবীমূর্তি” অভিযোগে অপসারণ করে লোকচক্ষুর অন্তরালে নিয়ে যাওয়া হলো। দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাকামী মানুষ এতে স্তম্ভিত হলেন।
কুষ্টিয়া শহরে নির্মীয়মান বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য্য সন্ধ্যাবেলায় কতিপয় মাদ্রাসা ছাত্র ভেঙে ফেললো। পরবর্তীতে গণদাবীর ভিত্তিতে তাদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করলে জিজ্ঞাসাবাদ কালে তারা বললো-সম্প্রতি হেফাজতের যুগ্ম আমির মওলানা মুমিনুল হকের ভাষণ শুনে তাদের মনে বিশ্বাস জন্মেছিল যে ভাস্কর্য্য নির্মাণ ইসলাম বিরোধী। তাই তারা ভাস্কর্য্যটি ভেঙেছে ইসলাম রক্ষার তাগিদে।
তাদের প্রয়াত আমির মওলানা শফি এক বক্তৃতায় বললেন, পঞ্চম শ্রেণীর পরে আর মেয়েদের লেখাপড়ার দরকার নেই কারণ তার চাইতে বেশী বয়সের মেয়েদের দেখলে পুরুষদের জিভে পানি আসে-যেমন আসে তেঁতুল দেখলে। অত:পর দেশব্যাপী মাওলানা শফির নামই হয়ে গিয়েছিল “তেঁতুল হুজুর”। এই তেঁতুল হুজুরের অপর এক বিশাল সমাবেশ ডেকে প্রধান মন্ত্রীকে প্রধান অতিথি করে নিয়ে গিয়ে দাবী তোলে মাদ্রাসা শিক্ষার সরকারী স্বীকৃতি এবং তাদের সর্বোচ্চ ডিগ্রীকে সাধারণ শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্থাৎ মাষ্টার্স ডিগ্রীর সমতুল্য করা হোক। সঙ্গে সঙ্গে সে দাবী মেনে নেওয়া হলো-শিক্ষাবিদদেরা সাথে সংসদে কোনপ্রকার আলোচনা ছাড়াই। ফলে উগ্রবাদী শক্তির প্রভাব বেড়েছে এবং বাড়ছে ক্রমাগত।
এবারে আসি জামায়াতে ইসলামী প্রসঙ্গে। বি.এন.পি নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী জোটে থাকায় বি.এন.পি ন্যার্য্যত:ই কঠোর সমালোচনার পাত্র। কিন্তু বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত জামায়াত নেতা-কর্মী (যাদের বিরুদ্ধে গাড়ী পোড়ানো এবং অন্যান্য অভিযোগে মামলা ছিল) আওয়ামী লীগে যোগদান অনুষ্ঠান করে যোগ দিয়ে আজ তাদের একটি অংশ নৌকা প্রতীকে মনোনীত হয়ে ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বর নির্বাচিত হয়ে বসেছে।
কিন্তু কথা ছিল তাদেরকে বে-আইনী ঘোষণা করার। আইন মন্ত্রী আনিসুল হক অসংখ্যবার বলেছেন-আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে শীঘ্রই জামায়াতে ইসলামীকে বে-আইনী ঘোষণা করা হবে। অথচ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ট্রাইব্যুনাল গণহত্যার দায়ের জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচার করে রায় দানকালে স্পষ্টত:ই কয়েকটি মামলার রায়ের মন্তব্য দিতে গিয়ে জামায়াতে ইসলামীকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মন্তব্য করে তার বিচার করার পক্ষে মতামত প্রকাশ করেচেন। কিন্তু বিচারকদের এই অভিমতকেও আমলে নেওয়া হয় নি।
বাহাত্তরের মূল সংবিদান অনুযায়ী জামায়াত এবং ধর্মাশ্রয়ী সকল দল (আজকের হেফাজতে ইসলাম ও অন্যান্য সংগঠন) বে-আইনী। বঙ্গবন্ধু এগুলিকে বে-আইনী ঘোষনা করেছিলেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে জামায়াত এবং তাদের সৃষ্ট সংগঠনগুলি পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে লক্ষ লক্ষ নারীর সম্ভ্রম হানি, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট প্রভৃতি যা করেছিল তা তখনকার আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যম ও বই পুস্তক খুঁজলে পাওয় যায়। ৭/৮ বছর আগে আমাদের সর্বোচ্চ আদালতও তাদেরকে বে-আইনী ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এসব সত্বেও পঞ্চদশ সংশোধনী মারফত জিয়ার পঞ্চম সংশোধনী ও জামায়াত আজ স্থায়ীভাবেই বৈধ সংগঠন। ঐ সংশোধনী মারফত এরশাদের অষ্টম সংশেঅধনীতে বর্ণিত রাষ্ট্রধর্ম ইসলামও রীতিমত বৈধতা অর্জন করেছে-আদালতের রায় ভিন্নরকম হওয়া সত্বেও।
এই জাতীয় পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িকতার প্রসার কেন ঘটবে না? মাননীয় শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল, রুমা সরকার কেন গ্রেফতার হবেন না? কেনই বা অধ্যাপক লতা সমাদ্দার টিপ পরার দায়ে লাঞ্ছিত হবেন না?
সার্বিক বিবেচনায় দেশ আজ এক ভয়াবহভাবে সাম্প্রদায়িকতার প্রসার ঘটে চলেছে-কখনও লোকচক্ষুর অন্তরালে আবার কখনও প্রকাশ্যে। আজ মোহমুক্তির দিন এসেছে।
তাই মুক্তিযুদ্ধের ও ভাষা আন্দোলনের আদর্শ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাঁচাতে, বাঙালি সংস্কৃতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে, সকল অহংকার ও জাতীয় মর্য্যাদা রক্ষা করতে, শিশুদেরকে সাম্প্রদায়িক শিক্ষার কবল মুক্তি করতে একদিকে জাতীয় ঐক্য অপরদিকে আর একটি ৬৯ এর বিকল্প নেই।
লেখক : সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ, সাংবাদিকতায় একুশে পদক প্রাপ্ত।
পাঠকের মতামত:
- নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে হাজার হাজার ইসরায়েলির বিক্ষোভ
- ঢাকায় ১৮ মে থেকে শুরু হচ্ছে জাপানিজ ক্যালিগ্রাফি
- এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- ননিয়া নামক স্থানে পাক সেনাদের পৈশাচিক নির্যাতনে ২৬ জন মানুষ নিহত হয়
- গরমে আইস ফেসিয়ালে যে উপকার পাবেন
- মে দিবসের কবিতা
- টানা ৮ দফা কমার পর বাড়লো স্বর্ণের দাম
- জালাল মেলায় গান শুনে অন্ধ বাউল প্রদীপ পালের ভাগ্য বদলের উদ্যোগ
- কেন্দুয়ায় খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধন
- শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগে আওয়ামীলীগে ত্রিমুখী লড়াই
- বেলকুচিতে বোমা বিস্ফোরণ মামলার আসামি আবু তালেব গ্রেফতার
- বহিস্কারের পর বিএনপির প্রার্থী আরও বেড়েছে
- প্রার্থী হয়েছেন ভাই, প্রচারণায় সংসদ সদস্য
- বরিশালে গৃহবধূকে পিটিয়ে আহত
- সড়ক দুর্ঘটনায় শাহরাস্তির বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩
- বরিশালে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
- পাল্টাপাল্টি মামলায় আ.লীগের শতাধিক নেতাকর্মী আসামি, থমথমে গৌরনদী
- সাতক্ষীরা শহরের ফারাজানা ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যু
- বেলকুচিতে থানায় ঢুকে প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ ইসির
- ডিবি ও সাংবাদিক পরিচয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আটক ৭
- বেলকুচিতে থানায় ঢুকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর হামলা, ইন্জিনিয়ার আমিনুল শোকজ
- জুয়েলারি শিল্পে বিপ্লব ঘটাতে বাজুসের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান
- বোয়ালমারীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্বাচন স্থগিতের অভিযোগ
- ফুলপুরে ট্রলি-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে যুবক নিহত
- দেশের আলোচিত কিশোরী ইয়াসমিনের মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু
- নিঃস্ব কামালের মুখে হাসি ফোটালেন মেয়র ও মানবিক মানুষ
- বিদেশে বসে টাকার বিনিময়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা
- ‘কাপ্তাই লেকের হারানো যৌবন ফিরিয়ে আনা হবে’
- পাংশাকে স্মার্ট উপজেলা করতে নিরলস কাজ করছেন ইউএনও জাফর সাদিক
- লংগদু গণহত্যা দিবস উপলক্ষে স্মরণ সভা
- শেখ হাসিনা: পঙ্কিল রাজনীতির পথ অতিক্রম
- কানাডার এশিয়ান হেরিটেজ মাস
- খনি শ্রমিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত প্রয়োজন
- অসাধু জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের তালিকা করবে বাজুস
- সুদানে ক্ষুধার জ্বালায় ঘাস খাচ্ছে মানুষ
- নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা রবিবার
- নিরাপদ সড়কের দাবিতে নড়াইলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত
- ‘সমৃদ্ধশালী ন্যায় বিচার ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে নাগরিক সচেতনতার বিকল্প নেই’
- কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ হত্যাকাণ্ডে ৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার
- সবজির বাজারে গরমের তাপ
- ‘ভোটারবিহীন নির্বাচনে আনন্দ নেই, সৌন্দর্য্য নেই’
- ঢাকাসহ ৫ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস
- চামড়াখাতে ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকার প্রস্তাব সিপিডির
- কাপ্তাইয়ে চিৎমরম নদীর ঘাট পারাপারে দুর্ভোগ, সিঁড়ি বর্ধিতকরণ ও ছাউনি নির্মাণ দাবি এলাকাবাসীর
- ফরিদপুরের সিং পাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৮ দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান সমাপ্ত
- ফরিদপুর পৌরসভার একটি ইটের রাস্তা পাকা করার দাবিতে মানববন্ধন
- সালথায় মানবপাচার মামলায় এক নারী গ্রেপ্তার
- এক যুগ কাটিয়ে ডর্টমুন্ড ছাড়ছেন রয়েস
- রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে ভাঙ্গা ও চন্দনা কমিউটার ট্রেনের উদ্বোধন
- পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !