E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বঙ্গবন্ধু হত্যার পটভূমি : পর্ব-১৩

২০২২ আগস্ট ১৯ ১৩:৫৩:১৪
বঙ্গবন্ধু হত্যার পটভূমি : পর্ব-১৩

আবীর আহাদ



বিভীষিকাময় পনেরো আগস্ট : বঙ্গবন্ধু হত্যাযজ্ঞ

(ক) প্রশিক্ষণ মহড়ার নামে সেনা একত্রিকরণ।

মেজর ফারুকের পূর্বনির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী ১৪ আগস্ট রাত দশটায় প্রথম-বেঙ্গল লান্সার ও মেজর রশিদের দ্বিতীয়-ফিল্ড আর্টিলারী যৌথ মহড়ার নিমিত্তে ৬০০ সৈন্যকে নির্মিয়মাণ নতুন এয়ারপোর্ট জড়ো করা হয়। তখনো সাধারণ সৈন্যরা জানে না তাদের কমান্ডারদের মনে কী আছে। ফারুক ও রশিদ অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করছিল যাতে সাধারণ সৈন্যরা ঘাবড়ে গিয়ে সব আয়োজন পণ্ড করে না দেয়। অন্যান্য সময়ের মতো সৈন্যরা এটাকে গতানুগতিক মহড়া ভেবেছিল। তবে অদ্যকার মহড়ার মধ্যে যে নানান অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে তা সাধারণ সিপাই ও নন-কমিশন্ড অফিসাররা টেরই পেল না। যেমন একটি অস্বাভাবিক বিষয় ছিল, আর্টিলারী রেজিমেন্টর তিন কোম্পানি ব্যাটারিকে মেজর রশিদ নির্দেশ দেয় তারা যেন রাইফেলসহ বারোটি ট্রাকে মহড়ার স্থানে চলে যায়। এহেন অসংগতিপূর্ণ অবস্থাতেও কারো মনে কোনোরকম ভাবান্তর হলো না। কারণ মেজর রশিদ প্রায়শ:ই রুটিনবিরোধী কার্যকলাপ করে থাকেন, যার ফলে এটিকেও তারা স্বাভাবিক ধরে নেয়।

রশিদ ৬টি 105 MM ইয়াগোশ্লাব হাউটজার এবং পর্যাপ্ত গোলাবারুদ সংগ্রহ করে আনে। এর ক্রুরা ঘূর্ণাক্ষরেও বুঝতে পারলো না যে, তাদের কামানের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে শেরেবাংলা নগরস্থ জাতীয় রক্ষিবাহিনীর হেডকোয়ার্টারের দিকে। এগারোটি ফিল্ড মেশিনগান আনা হলো ইউনিট হেডকোয়ার্টারে। আঠারোতম কামানটি ক্রুসহ নেয়া হলো কোয়ার্টার মাইল দূরবর্তী লান্সার গ্যারেজের কাছে যেখানে মেজর ফারুকের বেঙ্গল লান্সারের ২৮টি ট্যাঙ্ক মোতায়েন রয়েছে। উল্লেখ্য যে ঢাকায় তখন সর্বমোট ত্রিশটি ট্যাঙ্ক ছিল। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে দু'টি পরিত্যক্ত হয়। উক্ত মহড়াস্থলে কমান্ডিং অফিসারসহ প্রত্যেক ইউনিটের ৪ জন করে মোট ১৩ জন অফিসার সেখানে উপস্থিত ছিল। বাকি অফিসারদের আজকের মহড়া থেকে বাদ দেয়া হয় যাদের ওপর ফারুক-রশিদের আস্থা ছিল না।

যে ছয়শ' সৈন্যকে ব্যবহার করা হবে তাদের ওপর ফারুক-রশিদের পরম আস্থা ছিল। প্রথম কারণ, ফারুক ও রশিদ তাদের কমান্ডিং অফিসার। কমান্ডিং অফিসারের যে-কোনো কমান্ড মানতে নীতিগতভাবে সাধারণ সৈন্যদের কোনো আপত্তি চলে না। দ্বিতীয়ত: বহুদিন পূর্ব থেকে তারা তাদের অধীনস্থ সৈন্যদের মগজ কৌশলে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত করে রেখেছিল। তৃতীয়ত: তারা ছিলো পাকিস্তান প্রত্যাঘাত। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী। চতুর্থত: ফারুক-রশিদ সাধারণ সৈন্যদের জন্য এমন একটি বক্তব্য তৈরি করে রেখেছে যার মর্মার্থ হলো, আগামীকাল পনেরো আগস্ট শেখ মুজিব সামরিক বাহিনীকে বাতিল করে দিচ্ছেন। এ-জাতীয় চাকরিভীতি সৈন্যদেরকে যে-কোনো পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। পঞ্চমত: সৈন্যদেরকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে লোভনীয় অর্থপ্রদানসহ শাসনক্ষমতা দখল করে তাদের প্রতিপত্তি সংরক্ষণ করা। এভাবেই আস্থাসৃষ্টির সব পরিপ্রেক্ষিত অত্যন্ত সুকৌশলে সম্পন্ন করেই ফারুক-রশিদ তাদের সামরিক পরিকল্পনায় প্রবৃত্ত হয়।

মেজর রশিদ এই ক্যু-কে সামরিক অভ্যুত্থানে পরিণত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ইউনিটকে সংশ্লিষ্ট করতে প্রচেষ্টা চালায়। সে পদাতিক বাহিনীকে এই ক্যু-তে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জয়দেবপুরস্থ ষোলোতম পদাতিক ইউনিটকে অদ্যকার মহড়ায় অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানায়। রশিদের বন্ধু ঐ ইউনিট অধিনায়ক মেজর শাজাহান তাতে রাজিও হয়। কিন্তু রশিদ ঘূর্ণাক্ষরেও তার উদ্দেশ্য তাকে জানায়নি। রশিদ জানতো, তারা এলে ঘটনা পরম্পরায় তারাও এতে সামিল হতে বাধ্য হবে। রশিদ তাই অধীর অপেক্ষায় থাকে কখন মেজর শাজাহান তার ইউনিট নিয়ে রিপোর্ট করবে। ওদিকে মেজর ডালিম, শাহরিয়ার ও নূরের কোনো হদিস নেই। রশিদ তাই উদ্বিগ্ন।

রাত সাড়ে দশটায় মেজর শাহজাহানের ফোন এলো। সে দু:খের সঙ্গে জানায় যে, তার ইউনিটের সৈন্যরা খুবই ক্লান্ত, তারা যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে পারবে না। এ-সংবাদে রশিদ একটু ঘাবড়ে গেল।

রাত এগারোটার পরে মেজর ডালিম নূর, শাহরিয়ার, আজিজ পাশা ও মেজর বজলুল হুদাকে নিয়ে রশিদের কাছে এলো। মেজর হুদা মিলিটারি ইনটেলিজেন্সের একজন কর্মরত অফিসার। ডালিমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এসব মেজরদের দেখে রশিদ উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। এদেরকে নিয়ে রশিদ তার বারোটি ট্রাক বোঝাই সৈন্যদের নিয়ে অনতিদূরে অবস্থানরত ট্যাঙ্ক গ্যারেজে মেজর ফারুকের সাথে যোগ দেয়।

সামরিক অপারেশনের প্রধান হোতা মেজর ফারুক তার এসব সহযোগীদের উদ্দেশে পরিকল্পনা পেশ করে নিজেদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সেরে নেয় এবং তারা প্রতিটি বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করে। এ-সময়ে উপস্থিত সামরিক অফিসারদের সর্বশেষ পদবীভিত্তিক তালিকা প্রদত্ত হলো:

১. লে: কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান
২. লে: কর্নেল খোন্দকার আবদুর রশিদ
৩. লে: কর্নেল শরীফুল হক ডালিম
৪. লে: কর্নেল আজিজ পাশা
৫. মেজর মহিউদ্দিন
৬. মেজর বজলুল হুদা
৭. মেজর নূর
৮. মেজর শাহরিয়ার
৯. মেজর রশিদ চৌধুরীর
১০. মেজর শরিফুল হোসেন
১১. ক্যাপ্টেন কিসমত হোসেন
১২. লে: খায়রুজ্জামান
১৩. লে: আবদুল মজিদ

হাবিলদার জহুরুল হকের মতে, মেজর ফারুকের সহযোগী অফিসাররা যখন বৈঠক শেষে যে যার জায়গায় চলে যায় ঠিক তখনি একটা টেলিফোন আসে। মেজর ফারুক একটু দূরে রিসালদার মোসলেহউদ্দিনের সাথে একান্ত কথা বলছিল। আমিই রিসিভার তুলি। টেলিফোনের অপরপ্রান্ত থেকে একটা ভারি কন্ঠস্বর ভেসে এলো : মেজর ফারুককে দাও ! আমি তার নাম ও পরিচয় জানতে চাইলে তিনি আমাকে ধমক দেন : ফারুককে দাও! আমি এবার তার কন্ঠস্বর চিনে ফেললাম। তিনি জেনারেল জিয়া।

ফোনের আওয়াজ পেয়ে মেজর ফারুক প্রায় দৌঁড়ে এসে আমার হাত থেকে রিসিভারটা ছোঁ মেরে নিয়ে ত্রস্তকন্ঠে বললো : মেজর ফারুক, স্যার ! স্যার। স্যার, ইয়েস স্যার !এভরিথিং ইজ কোয়াইট, স্যার! নো নো প্রব্লেম, স্যার ! ওকে স্যার, দ্যাটস গুভ, স্যার ! ইয়েস স্যার ! থ্যাঙ্কস স্যার! এভাবেই মেজর ফারুক জিয়ার সাথে কথা বলছিল। তাকে খুব খুশি খুশি মনে হলো।

(খ) হত্যাযজ্ঞে অর্থের প্রলোভন ও ফারুকের উস্কানিমূলক বক্তৃতা।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রকাশ, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে তৎকালে বহু কোটি মার্কিন ডলারের একটি আন্তর্জাতিক তহবিল গঠন করা হয়। এই তহবিলের অর্থ মার্কিন সরকারের উচ্চমহলের নির্দেশে ইরানের তৎকালীন সম্রাট রেজাশাহ পাহলবি প্রদান করেন। সেই অর্থ ইরানস্থ বাংলাদেশের একজন কূটনীতিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নির্দেশ মোতাবেক সেই অর্থ বাংলাদেশের একটি প্রভাবশালী পত্রিকা মালিকের কাছে দেশে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক অব্যবস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যবহার করার জন্য পাঠানো হয়। সেই অর্থের একটি বিরাট অংশ বঙ্গবন্ধু হত্যাযজ্ঞে নেতৃত্বপ্রদানকারী ও অংশগ্রহণকারী সামরিক কর্মকর্তা ও সৈনিকদের মধ্যে বন্টন করা হয়। কিছু অর্থ মোশতাকচক্রের কাছে হস্তান্তরসহ বাকি বিশাল অংশ সেই পত্রিকা মালিক একাই আত্মসাত্ করেন। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, জেনারেল জিয়া ক্ষমতা গ্রহণ করার প্রায় সাথে সাথে সেই পত্রিকা মালিককে গ্রেফতার করেন এবং তার সাথে সমঝোতায় আসেন। কিছুদিন পরেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। সেই সমঝোতার অর্থ দিয়ে জেনারেল জিয়া পরবর্তীতে একটি রাজনৈতিক ফ্রন্ট ও দল গঠন করেন।

পনেরো আগস্ট হত্যাযজ্ঞে অংশগ্রহণকারী ছয়শত সৈন্যকে প্রত্যেককে দুই লক্ষ টাকা পুরস্কারসরূপ প্রদানের অঙ্গীকার করা হয় এবং তাৎক্ষণিক প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা নগদ দেয়া হয়। ঐ ক্যুতে অংশগ্রহণকারী জনৈক নন-কমিশনড অফিসার সূত্রে জানা গেছে, এতো গোপনীয়তার মাঝেও সৈন্যরা জেনে যায় যে, তাদের ওপর ভর করে সামরিক অফিসাররা দেশের রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজেরা লাভবান হতে যাচ্ছ। সমস্ত আয়োজন যখন সম্পন্ন তখনি এ-বিষয়ে সৈন্যদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হলে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক এ-অর্থ প্রদান করা হয়।

হাবিলদার জহুর আরো বলেছে, সৈন্যদেরকে ক্ষেপিয়ে তোলার লক্ষ্যে মেজর ফারুক খুবই উত্তপ্তপূর্ণ আবেগঘন কন্ঠে বলেন, আগামীকাল ইসলামের দুশমন, ভারতের দালাল ফেরাউন শেখ মুজিব সামরিক বাহিনী ভেঙে দিতে যাচ্ছেন, ভারতীয় বাহিনী সামরিক বাহিনীর দায়িত্ব পাবে। বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য ঘোষণা করে শেখ মুজিব এখানকার বাদশা হবেন এবং অঙ্গরাজ্যের আজীবনের রাজ্যপাল হবেন। শেখ মুজিবের ভাগ্নে শেখ মণি হবেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তার ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত আজীবনের মন্ত্রী হবেন অপর ভগ্নিপতি সৈয়দ হোসেন হবেন অঙ্গরাজ্যের চীফ সেক্রেটারি। রক্ষিবাহিনীকে বিশেষ রিজার্ভ ফোর্স করা হবে। আমরা সম্মিলিত সামরিক বাহিনী এ-অবস্থায় দেশকে রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছি। জেনারেল ওসমানী, জেনারেল সফিউল্লাহ, জেনারেল জিয়া, জেনারেল খলিল, এয়ার ভাইস মার্শাল একে খন্দকার, রিয়ার এডমিরাল মোশাররফ হোসেনসহ সম্মিলিত সামরিক বাহিনী ও বিডিআর একত্রে এ-দায়িত্ব পালন করছে। আমাদের লান্সার ও পদাতিক বাহিনীর ওপর দায়িত্ব পড়েছে শেখ মুজিব, শেখ মণি ও আবদুর রব সেরনিয়াবাতকে আটক করে জিম্মি করবো, তাদেরকে হত্যা করা হবে না। তবে কমান্ডার অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন। ভারত যাতে আমাদের ওপর আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য সমুদ্র ও আকাশপথে আমেরিকা এবং স্থলপথে চীন ও পাকিস্তান ভারতের ওপর একযোগে আক্রমণ করবে। আমরা আমাদের মুসলমানদের পবিত্র মাতৃভূমিকাকে দেশদ্রোহী শেখ মুজিব ও মালাউন ভারতের কবল থেকে রক্ষা করতে যাচ্ছি। তোমাদের বিরুদ্ধে কেউ টু-শব্দটি করতে পারবে না। এই অভিযানের লক্ষ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে একটি পুরস্কার। প্রত্যেকে একাজে দুই লক্ষ করে টাকা পাবে। এ-ব্যতীত শেখ মুজিবের বাড়িতে রয়েছে শত শত কোটি টাকা ও সোনাদানা। ঐ টাকা ও সোনাদানাও তোমাদের। আর আজকের এই মুহূর্তে তোমাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা। বাকি টাকা কাজ সমাধান হলে দেয়া হবে। এ-কথা শোনার পর সৈন্যদের মাঝে বেশ চিত্তচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এক পর্যায়ে মদ্যপ রিসালদার মোসলেহউদ্দিন উত্তেজিত কন্ঠ বলে ওঠে, আমরা ওদের আটক করবো কেনো, মেরেই ফেললে তো হয়!

মেজর ফারুক বলে, এটা আমাদের ইচ্ছাধীন নয়, এটা উপরের নির্দেশ। আমরা সৈনিক, কমান্ড আমাদের কাছে শিরোধার্য। দোহাই আল্লাহ্, দোহাই পীর-পয়গম্বর ও রাসুলের দোহাই, আমরা আমাদের দেশ জাতি ও নিজেদের রক্ষা করতে যাচ্ছি। তোমাদের উপর যে নির্দেশ দেয়া হবে, সে-অনুযায়ী চলবে। এসো আমরা একে-অপরের হাত ধরে পবিত্র কোরআন স্পর্শ করি।

বহু বছর আগে হাবিলদার জহুর মৃত্যুর বেশকিছু পূর্বে বলে গেছে, মুজিব হত্যাকাণ্ডের পর অস্তে আস্তে আমাদের কাছে ফারুকচক্রের জঘন্য মিথ্যাচার ও চক্রান্তের চেহারা পরিষ্কার হয়ে যায়। ততোদিনে আমরা অপরাধবোধে আক্রান্ত হয়ে পড়েছি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন সত্যই ফেরেস্তাতুল্য নির্মল হৃদয়ের এক মহামানব। তাঁর জন্যই আমরা পাকিস্তান থেকে জীবন নিয়ে বেঁচে এসেছি। চাকরি ফেরত পেয়েছি। বড়ো ভুল হয়ে গেছে তাঁকে হত্যা করে। বলতে দ্বিধা নেই, আমিও ঘাতকবাহিনীর একজন সদস্য ছিলাম। ধীরে ধীরে আমি যেন অবশ হয়ে যাচ্ছি। আজ আমারও মনে শান্তি নেই। আমি মহাপাপের প্রায়াশ্চিত্ত করছি।(চলবে)

লেখক : বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অসংখ্য গ্রন্থের লেখক।

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test