বঙ্গবন্ধু ও নেতাজী বাঙালির আত্মপরিচয়ের ঠিকানা
আবীর আহাদ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। নেতাজীর সাথে বঙ্গবন্ধুর কখনো কোনো যোগাযোগ সংঘটিত হয়েছিল কিনা কিংবা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নেতাজীর কোনো দেখা-সাক্ষাত ঘটেছিল কিনা তার স্পষ্ট প্রমাণ আমাদের হাতে নেই। তবে বঙ্গবন্ধু নেতাজীকে তাঁর জীবনের প্রথম প্রেরণা গণ্য করতেন, সেটার প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি তাঁর ৭ মার্চ ভাষণে ''রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো'' বলে যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন তা ছিলো যেন নেতাজীর ''তোমরা আমায় রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব'' বক্তব্যের প্রত্যুত্তর! এ ছাড়া নেতাজীর কোনো হদিস নেই, এমন কথা জানা থাকলেও ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতায় প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের সমাবেশ বঙ্গবন্ধু তাঁর আবেগায়িত ভাষণের একপর্যায় বলেছিলেন, নেতাজী বেঁচে আছেন, হয়তো দূর থেকে স্বাধীন বাংলাদেশকে দেখছেন! আমার যতো দূর মনে পড়ে, কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় এ বক্তব্যটি প্রকাশিত হয়েছিলো। বহুদিন থেকে ভারতীয় বিভিন্ন লেখক রাজনীতিক গবেষক আইনজীবী, সাংবাদিক মহল থেকে জোরালো দাবি তোলা হচ্ছে যে, নেতাজী ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হননি! তারপরেও তিনি বহুকাল পর্যন্ত জীবিত ছিলেন বা এখনো জীবিত আছেন বলে অনেকে মনে করেন।! এমনকি ১৯৭১ সালে নেতাজী ছদ্মবেশে থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নাকি পালন করেছিলেন! সে আরেক প্রসঙ্গ। আমরা মূল প্রবন্ধে ফিরে যাই।
বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার প্রকৃতি, রোদ, বাতাস তার নিজের প্রয়োজনেই জন্ম দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কেন না, তাঁর জন্ম না হলে বাংলাদেশ খুঁজে পেতো না নিজের স্বাধীন ও সার্বভৌম সত্তা। হ্যাঁ, শেখ মুজিবুর নামের প্রচণ্ড আবেগের বিস্ফোরণেই যেমন অভ্যুদয় হয়েছিলো বাংলাদেশ নামে বাঙালির একমাত্র স্বাধীন রাষ্ট্র, তেমনই এ দেশের প্রকৃতিও যেন নিজ হাতে গোপালগঞ্জের এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানকে ধীরে ধীরে তৈরি করে দিয়েছে অবিসংবাদিত নেতা হিশেবে! শুধু কি অবিসংবাদিত নেতা? বিশ্বের যুগান্তসৃষ্টিকারী যত নেতা রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে অনায়াসে যুক্ত করা যায় তাঁর নাম। হয়তো লেনিন, চার্চিল বা নেহরুর মতো ধী-শক্তি আর প্রজ্ঞা ছিল না, কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের জাতীয় আন্দোলনের নেতৃত্বের কারণে তাঁর নাম অবলীলায় স্থান পাবে মাওসেতুং, হো চি মিন, ফিদেল ক্যাস্ট্রো, সুকর্ণ, কামাল আতাতুর্ক কিংবা নাসেরের সঙ্গে!
আজকের প্রজন্মের কোনও বাঙালি তরুণ কল্পনাও করতে পারবেন না, বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা একদা কতটা সাগরের ঢেউয়ের মতো উত্তাল ছিল। কতটা বিস্তৃত ছিল আকাশের পরিসীমার মতো! যার সূচনা ঘটেছিল চল্লিশের দশকের শেষ প্রান্ত থেকেই। তারপর স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটাতেই যেন, তার নেতৃত্বের বিকাশ ত্বরান্বিত হয়েছিল ৫২ সালের মহান একুশের ভাষা আন্দোলনের চেতনার স্ফূরণের ভেতর দিয়ে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাংলা ভাষাভাষী মানুষ যতই উপলব্ধি করতে পারল মাতৃভাষাকে লালন করতে, নিজস্ব সংস্কৃতিকে পালন করতে স্বাধীনতার কোনও বিকল্প নেই, শোষণ নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার জন্য লড়াই অবশ্যম্ভাবী— ততই যেন বঙ্গবন্ধু ধীরে ধীরে পরিণত হয়ে উঠলেন তাঁদের আত্মিক নেতায়। ঘটনা পরম্পরায় ১৯৭০ সালের নির্বাচনকে ঘিরে তিনি রূপান্তরিত হলেন বাংলার জনগণের আশা-আকাঙ্খার মূর্তপ্রতীকে। তাঁকে ঘিরেই অবয়ব পেল বাঙালি জাতিসত্তা, ঐক্যবদ্ধ হল বাঙালি নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায়। রচিত হল বাঙালি জাতির মহামুক্তির পথ।
এই যে একমাত্র স্বাধীন বাঙালি রাষ্ট্রের উদ্বোধন হল তাঁর মাধ্যমে, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, লক্ষণীয় যে, বাঙালির আত্মার সঙ্গে তাঁর সংযোগটা যে কত নিবিড় আর গভীর তা ধরা পড়েছিল সেই চল্লিশের দশকের শেষপাদেই, যখন তিনি কেবল তারুণ্যের স্পর্ধিত অলংকার নিজের মধ্যে ধারণ করতে শুরু করেছেন! সে সময়ের কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করলেই যা পরিষ্কার হবে। কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কর্মকর্তা অজয়কুমার দে-র স্মৃতিগ্রন্থ ডাউন ফেডিং মেমোরি থেকে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হওয়ার আগেই বাঙালির পরম প্রিয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সুদূর গোপালগঞ্জ থেকে কলকাতা ছুটে গিয়েছিলেন। ২০০০ সালে প্রকাশিত ডাউন ফেডিং মেমোরি গ্রন্থ থেকে একটি অংশ ২০০৪ সালে অনূদিত হয়েছিল বাংলাদেশের দৈনিক সংবাদের ২৪ সেপ্টেম্বর সংখ্যায়। সেখান থেকে কিছু অংশ তুলে ধরা যাক, ‘আমার স্মৃতি যদি ঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে ১৯৩৪ বা ১৯৩৫ সাল হবে, যেহেতু আমি ডায়েরি রাখিনি, সুভাষ চন্দ্র বসু, যিনি পরবর্তীতে নেতাজী সুভাষ নামে খ্যাত, তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের সবচেয়ে তিক্ত সমালোচক ও শত্রু, কতিপয় ধারায় গ্রেফতার হয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে হেনরি মার্টিন ব্লকের একটি কেবিনে ভর্তি ছিলেন আমার বিশেষ দায়িত্ব ছিল শ্রী বসুর সঙ্গে বহিরাগত কারও সাক্ষাৎ করতে না দেওয়া। তার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে থাকার খবর স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল এবং প্রতিদিনই আমাকে এ ধরনের সাক্ষাৎ প্রার্থীকে থামাতে হতো একদিন সকাল দশটার দিকে একজন উঠতি বয়সের তরুণ শ্রী বসুর সঙ্গে সাক্ষাতের আবেদনপত্র পাঠায়। আমি হাসপাতালের বড় সিঁড়ির কাছে দক্ষিণ পাশে তার সাথে দেখা করি। তখন স্যার জন এন্ডারসন জরুরি ভবন নির্মিত হয়নি। আমি এসে দেখলাম সেই যুবকের বয়স ১৬/১৭ বছর হতে পারে। সে সাধারণ পাজামা ও শার্ট পরিহিত ছিল। আমি তার নাম জিজ্ঞাসা করলাম। সে বলল তার নাম শেখ মুজিবুর রহমান, একটি স্কুলে ক্লাশ নাইন বা টেনে পড়ে। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম কেন সে শ্রী বসুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চায়। সে বলল শ্রী সুভাষ বসুর বীরত্বের সে একজন ভক্ত, অনুরাগী। যেহেতু এই ভারতীয় মহান নেতা মানুষের প্রতি কোনো ভেদাভেদ করে না, তাই সে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে চায়। লেখাপড়ায় আরো মনোযোগ দেয়ার জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়ে আমি তাকে ফিরে যেতে বললাম। আমার শুভেচ্ছা নিয়ে সে চলে গেল।’
সে দিন ফিরে এসেছিলেন ঠিকই কিন্তু অদম্য মুজিব ঠিকই দেখা করে ছেড়েছিলেন সুভাষ বসুর সঙ্গে। আবারও অজয় কুমার দে-র ডাউন ফেডিং মেমোরি লেন থেকে উদ্ধৃতি, ‘কিছুদিন পর সুভাষ চন্দ্র বসুর ৩৮/২ এলগিন রোডের বাড়িতে দর্শণার্থীদের শনাক্ত ও নজর রাখার কাজে আমাকে ডিউটি দেয়া হয়। সুভাষ বসু তখন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এখানেও শেখ মুজিবুর রহমান নামে যুবকের দেখা পেয়ে অবাক হলাম। যখন সে ৩৮/২ এলগিন রোডের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল তখন আমি তাকে অনুসরণ করে এলগিন রোড পোস্ট অফিস পর্যন্ত যাই এবং তাকে জিজ্ঞাসা করি এবার শ্রী বসুর সঙ্গে তার সাক্ষাতের কারণ কি? সে সহজভাবে বলল, সুভাষ বসুর রাজনৈতিক আদর্শের সঙ্গে সম্পূর্ণ একাত্মতা ঘোষণা।’
অজয় কুমার দে ঘটনাকাল ১৯৩৪-’৩৫ সাল উল্লেখ করলেও সার্বিক বিবেচনায় প্রকৃত ঘটনাকাল ১৯৪০ সাল বলে শনাক্ত হয়েছে। সে বছরই ২ জুলাই সুভাষ বসুকে শেষবারের মতো গ্রেফতার করে হাসপাতালে অন্তরীণ রাখা হয়। এই যে সুভাষ বসু মিথে পরিণত হওয়ার আগেই তার প্রতি মুজিবের তীব্র আকর্ষণ বা অনুরাগ এটা নিছক আবেগপ্রসূত নয়, এটি ছিল তরুণ মুজিবুরের ভবিষ্যতে একজন অসাম্প্রদায়িক, প্রতিবাদী চেতনার এবং সর্বোপরি বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা হয়ে ওঠার সূর্যপ্রদীপ্ত পূর্বাভাসও।
যে সুভাষের প্রতি শেখ মুজিবুর রহমান এতটা আকৃষ্ট ছিলেন, কাকতালীয় ব্যাপার, সেই সুভাষ ১৯৪১ সালের জানুয়ারিতে ইংরেজ শাসকগোষ্ঠীর চোখে ধুলো দিয়ে কলকাতা থেকে অন্তর্হিত হলেন, আর তার অল্পকাল পরই কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হলেন ভবিতব্যের বাঙালি জাতির নব উথ্থানের স্বপ্নদাতা শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবের কথা বলতে গিয়ে সুভাষের কথা এ-কারণেই আসছে যে, সুভাষ ছিলেন বাঙালি জাতির আর এক স্বপ্নদ্রষ্টা। যিনি জীবিত থাকলে হয়তো বাঙালির ইতিহাস আজ অন্য ভাবে লেখা হতে পারতো। যার প্রবাহমানতা পরবর্তীতে বয়ে নিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।
নেতাজী সুভাষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর এই অনুরাগ শুধু তাঁর অসাম্প্রদায়িক চেতনা আর প্রতিবাদী সত্তারই প্রকাশ নয়, বাঙালি জাতিসত্তার প্রতি স্বরাগ স্ফুরিত প্রেমও, যার ধারা অব্যাহত ছিল আজন্মকাল। স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভারতের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপনের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফর করেন। কলকাতার বিগ্রেড প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত বিশাল জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, ‘পশ্চিম পাকিস্তানিদের আমি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছিলাম যে, ভুলে যেও না এ-বাংলা তিতুমীরের বাংলা, ভুলে যেও না এ-বাংলা সূর্য সেনের বাংলা, ভুলে যেও না এ-বাংলা নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের বাংলা, ভুলে যেও না এ-বাংলা এ কে ফজলুল হকের বাংলা, ভুলে যেও না সোহরাবর্দির বাংলা।’ এছাড়াও তিনি নাকি বলেছিলেন, নেতাজী এখনো আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন, হয়তো দূর থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দেখছেন! বক্তব্যটি কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল বলেও জানা যায়! এই সফরকালে তিনি সরকারি প্রোটোকলের বাইরে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এবং দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের ভাস্কর্যে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। সেটা ছিল এমন এক সময়, যখন কংগ্রেস শাসিত ভারতে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু বিতর্কিত ব্যক্তি হিশেবে পরিগণিত।
১৯৪১ সালে কলকাতা থেকে সুভাষ বসুর অন্তর্ধান ঘটল, আর কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে অভ্যুদয় হল বাঙালির প্রাণপুরুষ শেখ মুজিবের। মুজিব যে জন্ম থেকেই বাগ্মী, সাধারণ মানুষের প্রতি ভালবাসায় সমর্পিত, অসাম্প্রদায়িক সর্বোপরি রক্তে-মাংসে-মজ্জায় বাঙালি তা প্রকাশ পেতে সময় লাগল না। অচিরেই ইসলামিয়া কলেজের শিক্ষকদের সুনজরে পড়লেন, রাজনীতির ক্ষেত্রেও দেখাতে লাগলেন পারঙ্গমতা। আবুল হাশিম তো বটেই, এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী নৈকট্যও লাভ করলেন সহজে। ছাত্রাবস্থাতেই রাজনীতিতে শুরু হল তাঁর দ্রুত উত্থান। সোহরাওয়ার্দী ছায়াতলে থেকেও আপন ভাবধারায় তিনি এগিয়ে যেতে লাগলেন। সে কারণেই ১৯৪৭ সালে যখন দেশভাগ হল, পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে মুজিবের রাজনীতি উদ্ভাসিত হতে লাগলো স্বমহিমায়। পাকিস্তানিদের কাছে যে এদেশের মানুষ শোষিত হচ্ছে, বাংলা সংস্কৃতি যে বিপদাপন্ন, বুঝতে সময় লাগেনি মুজিবের। তাই অনিবার্য ভাবেই যেন দেশভাগের এক বছর পরেই, ১৯৪৮ সালে তিনি প্রথম বারের মতো গ্রেফতার হন। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী যেমন দেখতে পেল শেখ মুজিবুরের তর্জনীর ঝলক, বাংলার জনগণও যেন টের পেল তাদের মুক্তিদাতার আগমনী বার্তা। শুরু হল বাংলার জনগণ ও শেখ মুজিবের যুগপৎ সংগ্রামের সাধনা, সেই সাধনা সফল পরিণতি পেল ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনের মাধ্যমে।
স্বাধীনতা প্রাপ্তির সাড়ে তিন বছর যেতে না যেতেই যারা হত্যা করতে চেয়েছিল মুজিবকে, তাদের জানা ছিল না, পুরো বাংলা আর বাংলাদেশটাই ধারণ করে রয়েছে শেখ মুজিবের অবয়ব, তার অস্তিত্ব কখনও মুছে ফেলা সম্ভব নয়। বরঞ্চ দিন যত যাবে, বাংলা আর বাঙালির কাছে ততই মহান হয়ে উঠবেন তাদের প্রাণপুরুষ, অন্যদিকে সব বিতর্ক উর্ধ্বে ঠেলে আজ নেতাজি সুভাষ বসুও যেমন হয়ে উঠেছেন মহান। বাংলার আত্মপরিচয়ের ঠিকানায় তাই বঙ্গবন্ধু ও নেতাজী চিরভাস্বর হয়ে অনন্তকাল বাঙালি জাতির হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন।
লেখক :মুক্তিযোদ্ধা লেখক গবেষক,চেয়ারম্যান, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
পাঠকের মতামত:
- জুনের মধ্যে প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ: প্রতিমন্ত্রী
- নেচে-গেয়ে বরণ নিয়ে যা বললেন বিএসএমএমইউ ভিসি
- সবজিতে স্বস্তি, চাল পেঁয়াজ আলু চড়া
- ধনবাড়িতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- টাঙ্গাইলে কাভার্ড ভ্যানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালক নিহত
- ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন নিয়ে বিএনপির অন্দরে দ্বন্দ্ব
- ফাগুনের প্রকৃতিতে যেন আগুন লাগিয়েছে শিমুল ফুল
- ড. ইউনূসের মিথ্যাচারে বিস্মিত সুশীল সমাজ
- ‘নির্বাচনে যে টাকা খরচ হয়েছে সেটা আমি তুলব’
- দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
- ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে আতর সুরমা বিক্রি
- যশোরে কুড়িয়ে পাওয়া সাড়ে ৪ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিলেন ইজিবাইক চালক
- জীবিতকে ‘মৃত’ দেখানোয় ইউপি চেয়ারম্যান ও নারী সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা
- জাতির পিতার সমাধিতে বিএসএমএমইউ ভিসির শ্রদ্ধা
- চিত্রনায়ক সিয়ামের জন্মদিন আজ
- ‘সবার সমর্থন পেলে শান্ত অসাধারণ অধিনায়ক হবে’
- যশোরে অস্ত্র ও মাদক মামলায় দুইজনের কারাদণ্ড
- যশোরে পাচারকারীর পায়ূপথে পাওয়া গেল ৭০ লাখ টাকার স্বর্ণেরবার
- ষষ্ঠ দিনে ১ ঘণ্টাতেই শেষ রেলের ১৪ হাজার টিকিট
- উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, স্বস্তির হবে ঈদযাত্রা
- কাপাসিয়ায় গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুইজন নিহত
- পরিবহন সেক্টরে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধে বিএমপির কঠোর হুঁশিয়ারি
- সাভারে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু
- ‘বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান’
- ফরিদপুরে ঐক্যের ডাক দিয়ে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় নেতা বিপুল
- দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫
- ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৪০
- জাতিসংঘে স্থায়ী মিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
- রমনা কালিবাড়িতে শতাধিক বাঙালি ইপিআরকে পাক সেনারা নৃশংসভাবে হত্যা করে
- আরও কমলো দেশের রিজার্ভ
- ‘যত জঙ্গি ধরেছি, একজনও মাদরাসার ছাত্র নন’
- গাজায় নিহত আরও ৭৬, প্রাণহানি বেড়ে প্রায় ৩২৫০০
- ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলবে ১৫ টি ফেরি ও ২২ টি লঞ্চ
- শাশুড়ীকে হত্যার দায়ে পুত্রবধূ ও পরকীয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড
- বিধবা মাকে ভরণপোষণ না দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় শিক্ষক ছেলে গ্রেপ্তার
- বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যানিং দপ্তরের উপ-পরিচালককে সাময়িক বহিষ্কার
- জামালপুরে মৎস্যজীবী দলের ইফতার মাহফিল
- পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু
- সোমালিয়ায় জিম্মি জাহাজ উদ্ধার নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইন আত্মঘাতী: টিআইবি
- নগরকান্দায় সুলভ মূল্যে ডিম-দুধ-মাংস বিক্রি
- ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
- কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর হাইস্কুলে নিয়োগ বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে বিভক্ত পরিচালনা পরিষদ
- মহম্মদপুরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
- টাঙ্গাইলে ফেনসিডিলসহ আটক ৪
- এবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেন কলেজ অধ্যক্ষ
- ভারতীয় নাগরিক দীপককে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
- বিলাইছড়ি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
- বিভীষিকার ১২ বছর: বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশায় ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুরা
- দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছেন সালথা থানার ওসি
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !