E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নিষিদ্ধ কথা

২০২৩ জানুয়ারি ১৮ ১৫:২২:০৫
নিষিদ্ধ কথা

মীর আব্দুল আলীম


আমার পাড়ার জমসেদ চাচা বাড়ি থেকে বেড়িয়েই লেগুনাতে করে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। তিনি লক্ষ করলেন ঐ পরিবহনের নাম্বার প্লেটটিই নেই। এ কথা বলতেই পুচকে হেলপারের (৯/১০ বছরের) নিষিদ্ধ কথা- “বালা লাগলে ওডেন, নাইলে ফুডেন”। নিষিদ্ধ যানটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোডে (রূপগঞ্জ) যেতেই ট্রাফিক সার্জন হাত বাড়ালেন। ১৩/১৪ বছরের ড্রাইভার দৌঁড়ে গিয়ে কি যেন গুঁজে দিলো তাঁর হতে। নিষিদ্ধ ড্রাইভারে নিষিদ্ধ দাওয়াইয়ে মহাখুশি হয়েই এ যাত্রায় ছেড়ে দিলেন টাফিক সার্জন মহোদয়! চাচা বে-উপায় নিষিদ্ধ পরিবহন জনেও অগত্যা ঐ যানে চড়েই নিষিদ্ধ কাজটি করলেন সাতসকালে।

পাশের বাড়ির এক নেতা কিছিমের প্রতিবেশি চাচার জমিটা খাড়া দলিল করে বেঁচে দিয়েছেন এক শিল্পপতির কাছে। এই ঝগড়া করতে গিয়েই সেদিন রান্নাবান্না কর হয়নি চাচার। চাচার বউটা (চাচি) অসুস্থ্য নিষিদ্ধ ভেজাল খাবার খেয়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাই রান্নাবান্নার কাজটা চাচাকেই সারতে হয়। নিষিদ্ধ লেগুনাটা যখন মহাসড়কের তারাব বিশ্ব রোড এলো নেমেই চাচা আমার দুপুরের জন্য কিছু হালকা খাবার কিনতে রাস্তার পাশের নিষিদ্ধ দোকানে এলেন। ৮০ বছরের দোকানী নীল নিষিদ্ধ পলিথিনে ভরে পাউরুটি আর কেঁক চাচার হাতে গুঁজে দিলেন। বেচারা দোকানীর ছেলে আছে আধা ডর্জন; মেয়ে দু’জন। ছেলেরা বিয়েসাদী করে যে যার মতো আছে বেশ, বৃদ্ধ বাবার খবর রাখেনা কেউ। স্ত্রী কিডনি রোগে পরলোকগত হয়েছেন বছর ছয়েক আগে। তাই রাস্তার পাশে অনেক নিষিদ্ধ দোকান থাকলেও জমসেদ চাচা তাঁর দোকান থেকেই টুকটাক মালছামান কিনেন।

দিনটা ছিলো শুক্রবার, কারখানার পণ্যোর চাহিদা অনেক তাই বন্ধের দিনও ছুটি মেলেনি চাচার। প্রতিষ্ঠানটি মাঝে মধ্যেই ছুটির দিনে চাচার মতো অনেক শ্রমিক কর্মচারিকে খাটিয়ে নিলেও ওভারটাইম দেয় না। মালিকের নিষিদ্ধ কথা বিপদর সময় তোমাদের কাছে না পেলে কি চলে? মিষ্টি কথা আর চাকুরী যাবার ভয়ে নিষিদ্ধ সময়েও চাচাকে ডিউটি করতে হয়। অন্যদিন ১২ থেকে ১৬ ঘন্টা এ কারখানায় ডিউটি করলেও বিনে পয়সায় শুক্রবারে ৮ ঘন্টা কাজ করিয়ে নেন নিষিদ্ধ মালিক। টাকা পয়সা না দিলেও সেদিন কিন্তু বিকেলে কিছু নাস্তা পান শ্রমিক কর্মচারিররা। পোড়া তেলে ভাঁজা দু’পিস আলুপুরি আর কনডেন্স মিল্কের চা দেয়া হয় সেদিন। ওভারটাই পাবেন না জেনেও মহাখুশিতে সেদিন চাচা কর্মস্থলে গেছেন। কারন একটাই, তিন মাস পর বেতন পাচ্ছেন তিনি। মালিকপক্ষ বেশ চতুরকিছিমের লোক বলতে হয়। কর্মের জন্য নিষিদ্ধ দিনটাকেই বেঁছে নিয়েছেন বেতন দেবার জন্য, যাতে গোবোঁচার শ্রমিকরা কর্মস্থলে আসে ঠিকঠাক মতো।

অনেক আগের কথা। তখন থাকতাম রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে। ছোট ছেলে বায়না ধরেছে বাজারে যাবে বলে। বাইরে বৃষ্টি ঝরছে। কাক ভেজা করে ছেলেকে নিয়ে যাই রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে। কেনা কাটার এক পর্যায়ে নোনা ইলশে বিক্রেতা নীল একটি রঙ্গিন পলিথিন ব্যাগে তা ভরে দিতেই ছেলের প্রশ্ন- ‘বাবা ওটা না নিষিদ্ধ?' কোন জবাব দিলাম না আমি। কিছুক্ষণ পরেই তরকারি বিক্রেতা কাঁচামরিচ আর কাকরোল পলিথিন ব্যাগে ভরে দিতেই ছেলের ফের প্রশ্ন-‘বাবা নিষিদ্ধ জিনিস নিষিদ্ধ নয় কেন?' ছেলের প্রশ্নে বিবেকের দংশন হলো আমার। নিজেকে বড্ড অপরাধী মনে হলো। বিক্রেতা যেমন পলিথিন ব্যাগ দিয়ে অপরাধ করেছে, আমিও ঠিক তেমনি তা গ্রহণ করে সমঅপরাধী। আর তা ভেবেই ছেলে প্রশ্নবান থেকে মুক্তি পেতে চটের বেগে মালামাল ভরে চটজলদী বাসায় ফিরলাম। এ দেশে অনেক জিনিসই নিষিদ্ধ কিন্তু তা দস্তুরমত ব্যবহার হচ্ছে অনেকটা প্রকাশ্যেই। এসব যেন দেখার কেউ নেই। আর দেখবেই বা কেন? নগদ পেলেতো ওরা তুষ্ট। তখন ওদের চোখ হয় অন্ধ। আর এ সুযোগে যা হবার তাই হয়।

এ দেশে নিষিদ্ধ কিন্তু নিষিদ্ধ নয় এমন একটি দ্রব্যের নাম জানতে চাইলে অনেকেই অকপটে বলে ফেলবেন এই নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগের কথা। গত ২০০২ সালে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক বিবেচনা করে রফতানিমুখী শিল্প ব্যতিত সকল ধরনের পলিথিন ব্যাগ উৎপাদনকারী শিল্পের উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের ব্যাপক আকারে ব্যবহার আগের চেয়ে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মুদি দোকান থেকে শুরু করে কাঁচাবাজার, মাছের বাজার, কিচেন মার্কেট সর্বত্রই নিষিদ্ধ পলিথিনের ছোট-বড় ব্যাগে ছড়াছড়ি। ফলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে। তরকারির বাজারে একশ গ্রাম কাঁচামরিচ ক্রয় করলেও বিক্রেতা ছোট একটি পলিথিন ব্যাগে ভরে তা ক্রেতাকে দেয়। বর্তমানে দেশে কতগুলো পলিথিন ব্যাগ উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে এবং উৎপাদন পরিমাণ কত তার কোনো পরিসংখ্যান সরকারের কাছে দুর্ভাগ্যজনকভাবে নেই। পরিবেশ অধিদফতরের এক পূর্ববর্তী পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, ১৯৯৩ সালে সারাদেশে ৪.৫ মিলিয়ন পলিথিন ব্যাগ ব্যবহৃত হতো প্রতিদিন। ২০০০ সালে এর ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৯.৩ মিলিয়নে। ২০২১ এ এর পরিমান কত বেড়েছে তা বলা বাহুল্য।

বর্তমানে সর্বনাশা এই পলিথিনের ব্যবহার বেড়েছে ও বেড়ে চলছে লাগামহীনভাবে। প্রাথমিক এক হিসাবে এর পরিমাণ ২১.৭৫ মিলিয়ন। বাংলাদেশ পলিপ্রপাইলিন প্লাস্টিক রোল এন্ড প্যাকেজিং এসোসিয়েশন নামে বৃহৎ একটি পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে সারাদেশে এক হাজারেরও বেশী পলিথিন ব্যাগ উৎপাদনকারী ছোট-বড় অবৈধ কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ৭০০টি ঢাকাসহ পুরাতন ঢাকার কোতয়ালী, চকবাজার, সূত্রাপুর, বেগমগঞ্জ ও মৌলভিবাজারে। এছাড়া ঢাকা শহরের মিরপুর, কাওরান বাজার, তেজগাঁও, কামরাঙ্গিরচর ও টঙ্গীতেও প্রচুর কারখানা রয়েছে। বাকি কারখানাগুলো চিটাগাং ও দেশের অন্যান্য জেলায় অবস্থিত। বিদেশ থেকে প্লাস্টিকের দানা ও পাউডার এনে কারখানাগুলোতে প্রতিদিন অগণিত ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের ব্যাগ তৈরি হচ্ছে ও তা সকল আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিপণন ও দেদারছে ব্যবহার হচ্ছে।

২০০২ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণার পর বাজার থেকে কিছু পলিথিন ব্যাগ আটক করার পর সরকারের সকল কার্যক্রম রহস্যজনকভাবে থেমে যায়। এরপর দীর্ঘ সাত থেকে প্রায় আট বছর পার হয়ে যায় কিন্তু আইন ভঙ্গ করে যারা পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয় ও ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কোনো আইনগত প্রক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। এরই ফলশ্রুতিতে আজকের সর্বনাশা পলিথিনে দেশ ভাসছে। সরকার ২০০০ সালে পরিবেশ রক্ষা আইন-১৯৯৫ পরিবর্তন করে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে পলিথিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ছয় মাসের কারা প্রদানের ক্ষমতা অর্পণ করে। কিন্তু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি আটক ও কারখানা সীল করার ক্ষমতা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রদান করা হয়নি। এদিকে পরিবেশ আদালতকে দোষী ব্যক্তিকে ১০ লাখ টাকা অর্থ দন্ড অথবা ১০ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করার ক্ষমতা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার ক্ষমতাও প্রদান করা হয়।

পরিবেশ আদালতকে কারখানার যন্ত্রপাতি আটক করে তা বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতাও প্রদান করা হয়, যা অন্যকোনো আদালতের নেই। যে পলিথিন দীর্ঘ ১৯ বছর আগে আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেই পলিথিন কিভাবে প্রতিদিনই নদী-পানি-কৃষিজমি ইত্যাদি নষ্ট করছে, শহরাঞ্চলে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে ও মানবজীবনকে বিপর্যস্ত করছে তা ভাবতেও অবাক লাগে। প্রকাশ্যেই আইন ভঙ্গ করে জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের রহস্যজনক নিরবতা বাংলাদেশে নতুন কোনো ঘটনা নয়। এরই ধারাবাহিকতায় ছেয়ে যাচ্ছে পরিবেশ ধ্বংসকারী পলিথিনের ব্যাপকতা। এর ভয়াবহতা দেশের লোকজনকে আর কতকাল দেখতে হবে তা বুঝা যাচ্ছে না। পরিবেশবাদী ও সুশীল সমাজের শত আর্তনাদ ও চিৎকার পৌঁছে না প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ লোকদের কানে।

জাতীয় পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন ও বিপণনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের আর্থিক লেনদেনের কারণে দীর্ঘ সাত থেকে আট বছর যাবৎ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে। আমরা মনে করি বিপন্ন পরিবেশকে দ্রুত রক্ষার জন্য আজই সারাদেশ থেকে পলিথিনের মূলোৎপাটন করা জরুরি। পলিথিনের স্থলে পাট, কাগজ ও চটের ব্যাগ যা সহজে মাটিতে পচনশীল সেগুলো ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে। এগুলো পচলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। পলিথিন ব্যাগ মাটিতে পচে না বলে তা মাটির ঊর্বরতা নষ্ট করে। মাটিকে উত্তপ্ত করা ও গাছের মূল মাটির গভীরে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে পলিথিন। পুকুরের তলদেশে জমে থাকা পলিথিন মাছ ও জলজ প্রাণীর অস্তিত্ব সঙ্কট সৃষ্টি করে।

এদিকে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীর তলদেশে জমে থাকা কয়েক ফুট পলিথিনের স্তর নদীর তলদেশের পলি আটকিয়ে শুধু নদীর নাব্যতাই নষ্ট করছে না বরং মাছ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে পানিতে স্বাভাবিক অক্সিজেনের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস করছে। কৃষি পলিথিন ব্যাগ জমির উৎপাদন ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। ঢাকা শহরের পয়ঃনিঙ্কাশনের ৮০ভাগ ড্রেন পলিথিন ব্যাগ কর্তৃক জমাট বেঁধে আছে। যার দরুন সামান্য বৃষ্টি হলেই ঢাকা শহরে দেখা দেয় অসহনীয় জলাবদ্ধতা। বৃষ্টির সময় অনেক মেনহোল থেকে শত শত পলিথিন ভেসে বের হতে দেখা যায়। ড্রেনেজ সিস্টেমকে সর্বদাই অচল করে রাখে। এর আগে ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গার তলদেশ থেকে বর্জ্য অপসারণের যে কর্মসূচি নেয়া হয়েছিল তাতে দেখা যায় যে, উত্তোলনকৃত বর্জ্যের অধিকাংশই পলিথিন ব্যাগ। আগে থেকে সর্বনাশা পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ হলে নদীর তলদেশ থেকে বর্জ্য উত্তোলনের জন্য ২০৬ কোটি টাকা বাজেট করতে হতো না। বেঁচে যেত সরকারের ২০৬ কোটি টাকা, যা একটি উন্নয়নশীল গরিব দেশের জন্য বিরাজ ব্যাপার।

শুধু বুড়িগঙ্গাই নয় বরং ঢাকার চারদিক দিয়ে প্রবাহিত সকল নদীর তলদেশেই পলিথিনের দূষণ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চলছে লাগামহীনভাবে। নদী থেকে শুরু করে শাখা নদী ও ছোট ছোট খাল বিল জলাশয়ের তলদেশেও রয়েছে পলিথিন ব্যাগের মোটা স্তর। নষ্ট হচ্ছে পানির প্রাকৃতিক গুণ। কৃষিক্ষেত্রে পলিথিন ব্যাগ সূর্যের আলোকে ফসলের গোড়ায় পৌঁছতে বাধা দেয়। ফলে মাটির ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া মরছে না বলে কৃষিজমিতে উৎপাদন কমে আসছে। কিছুদিন আগেও পরিবেশ অধিদফতর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পলিথিন ব্যাগের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়। মাঝে মাঝেই এমন আশ্বাস মিলে। কাজের কাজ কিছুই হয় না। হয নিষিদ্ধ কাজ্ নিষিদ্ধ কারখানা নিষিদ্ধ অর্থগুনে সটএক পড়েন সংম্লিষ্ট কর্মকতৃারা। দফতর থেকে আরও বলা হয় যে, ৩৫ মাইক্রোন পুরুত্বের পলিথিন এবং প্যাকেজিং ও রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যাবহৃত পলিথিন ব্যাগ ছাড়া সকল ধরনের পলিথিন উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধের বিরামহীন কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে সরকারের এই মহৎ কর্মসূচি উদ্যোগ বা বন্ধ হয়ে গেল। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য আরামদায়ক বলে কেউ পরিবেশের কথা ভাবছে না। চুটিয়ে চলছে এর নিষিদ্ধ ব্যবসা এবং ব্যবহার। আর এ অবস্থা কিছুতেই চলতে দেয়া যায় না। নিষিদ্ধ পলিথিন যেন নিষিদ্ধই থাকে এর সবরকম ব্যবস্থা সরকারের এখনই নেয়া উচিৎ।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সমাজ গবেষক।

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test