খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সকলের দায়িত্ব
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২৩। প্রতি বছরের মতো এবারও ৭ জুন বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) উদ্যোগে বিভিন্ন দেশে দিবস উপলক্ষ্যে নানা কার্মসূচিও উদ্যাপিত হচ্ছে।
বর্তমান সময়ে ক্ষুদার সাথেই গভীরভাবে সম্পর্কিত খাদ্য। খাদ্য খেলেই ক্ষুধা নিবারণ হয়। মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে প্রথমেই আছে এ খাদ্য বা অন্ন। সেই খাদ্যকে গুরুত্ব দিতেই ৭ জুনকে বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস হিসেবে পালন করা হয়।তাই ‘পেট ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা’ এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যেসব উপাদান অপরিহার্য, তাকে মৌলিক চাহিদা বলে।
প্রাচীনকালে খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান- এ তিনটিকে মৌলিক চাহিদা বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যোগ হয়েছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য। বর্তমানে মানসিক প্রশান্তিকেও মৌলিক চাহিদার অন্তর্ভুক্ত মনে করা হয়। বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সাংবিধানিক চাহিদা পাঁচটি। এগুলো হলো- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা।তাই ২০১৮ সালের ৭ই জুন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এই সমস্যাটির গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য ‘বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস’ উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৬০ কোটি মানুষ দূষিত খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়। যার থেকে মারা যায় ৪ লাখ ৪২ হাজার মানুষ। এ ছাড়া ৫ বছরের চেয়ে কম বয়সী শিশুদের ৪৩ শতাংশই অনিরাপদ খাবারজনিত রোগে আক্রান্ত হয়, যার থেকে প্রতি বছর মৃত্যুবরণ করে ১ লাখ ২৫ হাজার শিশু।জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য মতে, বিশ্বে এখন প্রায় ৮৫ কোটি মানুষ খাদ্যের অভাবে দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত।
বাংলাদেশেও অনিরাপদ খাদ্যের ঝুঁকি প্রবল। তবে কখনও কখনও নিরাপদ খাদ্যের চেয়ে খাদ্য প্রাপ্তিই বড় হয়ে দেখা দেয়।গত ৩ বছর করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দামামায় বাংলাদেশে তেল, চাল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, মাংস, দুধ, ডিমসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে সরবরাহ ঘাটতি এবং দামের উত্তাপে সেটি আঁচ করা যায়। পরিত্যক্ত চাল কুড়িয়ে পেট বাঁচানোর চেষ্টাই তার বহিঃপ্রকাশ।
কেন খাদ্য নিরাপত্তা উন্নত করা জরুরি?
সুস্বাস্থ্য ও বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে নিরাপদ খাদ্যের যোগান থাকা গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যের মাধ্যমে যে সকল রোগ ছড়ায় তা সাধারণত সংক্রামক ও ক্ষতিকর। খাদ্য ও পানিবাহিত রোগের কারণ হলো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, পরজীবী ও বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ, যা খালি চোখে দেখা যায় না। এ সকল রোগব্যাধির উৎস দূষিত পানি ও খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করে।
খাদ্যবাহিত জীবাণুর কারণে মারাত্মক ডায়রিয়া, এমনকি মেনিনজাইটিস পর্যন্ত হতে পারে। তবে, খাদ্যে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার অধিক ক্ষতি করে থাকে। এটি স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক অক্ষমতা বা মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে, যেমন: ক্যান্সার।
খাদ্য নিরাপত্তার একটি জরুরি কাজ হলো খাদ্য ব্যবস্থার প্রতিটি ধাপে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। এই ধাপগুলো ফসল সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, সরবরাহ থেকে শুরু হয়ে খাবার প্রস্তুত ও গ্রহণ করা পর্যন্ত বিস্তৃত। অনিরাপদ খাদ্য শুধু মানুষের স্বাস্থ্য নয়, বরং অর্থনীতির জন্যেও ক্ষতিকর। অনিরাপদ খাদ্যের কারণে অসহায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষত নারী ও শিশু এবং দেশান্তরী মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সকলের দায়িত্ব
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকার, উৎপাদক ও ভোক্তা, সকলের। প্রত্যেকেরই খাদ্য উৎপাদন হতে শুরু করে খাদ্য গ্রহণ করা পর্যন্ত খাবার যেন নিরাপদ হয় তা নিশ্চিত করায় ভূমিকা রাখতে হবে। “বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস”- এর মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা খাদ্য সুরক্ষাকে জনগণের মূলধারার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সাথে যুক্ত করার কাজ করে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সমগ্র পৃথিবীতে খাদ্যের কারণে যে সকল রোগ ছড়ায় তা হ্রাস করার চেষ্টা করছে। এই দায়িত্ব শুধু নির্দিষ্ট কয়েকটি সংগঠনের নয়, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের সবার।
আমরা জানি কি?
নিরাপদ খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, দেশের প্রায় সকল খাদ্যেই ভেজাল রয়েছে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার আজ আমাদের নাগালের বাইরে। দেশের সকল মানুষ আজ খাদ্যে ভেজালের আতঙ্কে। খাদ্যে ভেজালের দৌরাত্মে জনজীবন আজ হুমকীর সম্মুখীন। মহাখালী পাবলিক হেলথ ইনস্টিটিউটের খাদ্য পরীক্ষাগারের তথ্যানুযায়ী, দেশের ৫৪ ভাগ খাদ্যপণ্য ভেজাল ও দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে চিহ্নিত হয়। সারা দেশ থেকে স্যানিটারি ইন্সপেক্টরদের পাঠানো খাদ্যদ্রব্যাদি পরীক্ষাকালে এ তথ্য বেরিয়ে আসে। জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির এক গবেষণায় বলছে, শুধু ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ, কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ। এ ছাড়া গর্ভবতী মায়ের শারীরিক জটিলতাসহ গর্ভজাত বিকলাঙ্গ শিশুর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। এই পরিসংখ্যানটি আমাদের ভাবিয়ে না তুলে পারে না।
নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির নিশ্চয়তায় ২০১৩ সালে আইন হয়েছে। ২০১৫ সালে গঠন করা হয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। ভেজালবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি তারা কাজ করছে নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেজালবিরোধী অভিযান তো আছেই। তার পরও কমছে না ভেজালের ব্যাপকতা। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে খাদ্যে ভেজাল দেয়া এবং ভেজাল খাদ্য বিক্রির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১৪ বছরের কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আমরা আশা করব, ভেজালবিরোধী অভিযান কঠোর হবে। আইনের যথাযথ প্রয়োগও নিশ্চিত করতে হবে। ভেজাল পণ্য ও অসাধু ব্যবসায়ীদের ঠেকাতে অভিযান নিয়মিত থাকলে ভেজালকারীদের দৌরাত্ম্য অনেকাংশে কমে আসবে বলে আশা করা যায়। তবে ভেজাল ঠেকাতে সচেতনতার বিকল্প নেই। শুধু আইন দিয়ে ভেজাল ঠেকানো সম্ভব নয়। এ জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে ২৫ লাখ ক্ষুদ্র বা অপ্রাতিষ্ঠানিক ব্যবসায়ী ও ১৮টি মন্ত্রণালয় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া দেশে প্রায় ৪৮৬টি প্রতিষ্ঠান আছে, যারা খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এসব প্রতিষ্ঠানের অধীন প্রায় ১২০টি আইন ও নীতিমালা রয়েছে। সর্বস্তরে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যত আইন রয়েছে, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সেগুলো কার্যকর করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
৬৪টি জেলায় ও আটটি বিভাগীয় শহরে ৭৪টি নিরাপদ খাদ্য আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য আইন মেনে চলার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান ও পেশাজীবী নানা সংগঠনের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে বিধিমালাগুলো প্রণয়নের কাজ অব্যাহত রেখেছে।
নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় গুণগত পরিবর্তন আবশ্যক। আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে চাষাবাদের জন্য কৃষককে আগ্রহী করতে হবে। এ ছাড়া এক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্য প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ ও সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। সচেতনতার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি করতে হবে।এক গবেষণা সূত্রে জানা যায়, আমাদের শরীরে ৩৩ শতাংশ রোগ হওয়ার পেছনে রয়েছে ভেজাল খাদ্য। পাঁচ বছরের নিচে শিশুর ৪০ ভাগ রোগ হয় দূষিত খাদ্য থেকে। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার টেবিলে আসা পর্যন্ত নানা পর্যায়ে দূষিত হয়। এর মূল কারণ অসচেতনতা। আর গণমাধ্যমে প্রকাশিত সূত্রমতে, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকে এ পর্যন্ত দেশে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ১১১টি জাত, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ধান-পাট-গম-তেলবীজ-সবজি ও মসলাজাতীয় শস্যের ১৯টি প্রতিকূল ও অপ্রতিকূল পরিবেশ উপযোগী উচ্চফলনশীল এবং উন্নত গুণসম্পন্ন ১১৪টি জাত, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ২১০টির অধিক ফসলের ৭০০টি প্রযুক্তি, তুলা উন্নয়ন বোর্ড ২১টি জাত, বিজেআরআই ৬৪টি জাত, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক ইক্ষুর ৪৮টি জাত উদ্ভাবন ও উন্মুক্ত করা হয়েছে।
জিএমও প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিটি বেগুনের ৪টি জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে এবং বিটি তুলার জাত উদ্ভাবনের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া দেশি ও তোষা পাটের জীবনরহস্য আবিষ্কারসহ পাঁচ শতাধিক ফসলের ক্ষতিকর ছত্রাকের জীবনরহস্য উন্মোচন, পাট ও পাটজাতীয় আঁশ ফসলের ৫৪টি উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন-উন্মুক্তকরণের ফলে কৃষি উৎপাদন এক অভাবনীয় উচ্চতায় পৌঁছেছে। বিশ্বে প্রথমবারের মতো জিংকসমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশের কৃষি গবেষকরা।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) তথ্য অনুযায়ী, দেশের অব্যাহত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিশ্বে কৃষির ১১ খাতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। বিশিষ্টজনরা এটিকে দেশের জন্য বিশাল প্রাপ্তি এবং খাদ্য নিরাপত্তায় মাইলফলক হিসাবে উল্লেখ করেছেন। কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখা, চালসহ কৃষিপণ্য,
প্রক্রিয়াজাত মাছ-মাংস রপ্তানিতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একের পর এক স্বীকৃতি পাচ্ছে। দেশের জনসংখ্যার আধিক্য এবং জলবায়ুর প্রভাবে আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাওয়াসহ বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও নানা প্রাকৃতিক বৈরিতা সত্ত্বেও ধারাবাহিকভাবে ধান উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ বিশ্বে টানা চারবার তৃতীয় বৃহত্তম ধান উৎপাদনকারী দেশ হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে।
অনিরাপদ খাদ্যে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, পরজীবী ও রাসায়নিক পদার্থ থাকতে পারে, যা ২০০র বেশী রোগের কারণ।
সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী অনিরাপদ খাদ্যের জন্য স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো প্রতি বছর প্রায় ৯ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ উৎপাদনশীলতা হারায়, এবং খাদ্যবাহিত রোগ নিরাময়ে প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় হয়।
খাদ্য ও কৃষিখাতে স্বাস্থ্যসম্মত প্রক্রিয়া মেনে চলা হলে তা খাদ্য হতে উদ্ভূত ও সংক্রমিত রোগ-বালাইয়ের বিস্তার রোধে সহায়তা করবে।
প্রতি বছর অনিরাপদ খাদ্যের কারণে প্রায় ৬০ কোটি মানুষ রোগাক্রান্ত হন এবং এর মাঝে প্রতি বছর প্রায় ৪ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন।এই মৃত্যুর প্রায় ৪০ শতাংশ হলো ৫ বছরের কম বয়সী শিশু। অর্থাৎ, প্রতি বছর প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার শিশু অনিরাপদ খাদ্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে।
> কিছু পরামর্শ মেনে চলতে পারলে আপনি রোগব্যধি থেকে দূরে থাকবেন এবং এটি আপনাকে সুস্থ থাকতেও সাহায্য করবে।
_ ধুয়ে খান খাবার - যখনই আপনি রান্না করবেন, তার আগে অবশ্যই সমস্ত শাকসবজি ও আনাজ ইত্যাদি ভাল করে ধুয়ে নিন। কারণ বেশিরভাগ ময়লা শাকসবজি ও আনাজের বাইরের অংশ থাকে। এমনটা করলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
_ কাঁচা খাবার আলাদা রাখুন - কাঁচা খাবার যেমন মাংস, ডিম, মাছ ইত্যাদি আলাদা করে রাখুন। এগুলির জন্য একটি পৃথক চপিং বোর্ড ব্যবহার করুন।
_ঠিক মতো রান্না করুন - সর্বদা খাবার ঠিক মতো রান্না হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। কাঁচা খাবার, বিশেষত মাংস ভাল করে রান্না করতে হবে। কারণ রান্না ভালভাবে হলে অনেক অস্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়, ফলে খাবার নিরাপদ থাকে।
_ খাবার সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করুন - খাবার কাঁচা হোক বা রান্না করা, ভালভাবে সংরক্ষণ করতে হলে তা ফ্রিজে রাখতে হবে। রান্না করা খাবার সবসময় এয়ার টাইট পাত্রে সংরক্ষণ করা উচিত। পাশাপাশি কাঁচা খাবার যেমন মাংস এবং মাছ ফ্রিজারে রাখা উচিত। আর শাকসবজি ও অন্যান্য ফল রাখুন সবজি স্টোরে।
পরিশেষে বলতে চাই, আমাদের তৃতীয় সবচেয়ে মৌলিক জিনিস খাদ্য. তাই, আমাদের উচিত খাদ্য নিরাপত্তা এবং লাইভের জন্য তাজা গ্রহণ করা যা আমাদের স্বাস্থ্য ও সহায়তা করে।তাই আপনি যদি আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের ভালোবাসেন তবে খাদ্যবাহিত রোগ এড়াতে আপনি তাদের কী পরিবেশন করছেন সে সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকুন। বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবসের শুভেচ্ছা।
লেখক : কলাম লেখক ও গবেষক।
পাঠকের মতামত:
- গণহত্যা স্মৃতি ফাউন্ডেশনে সবার দান চাইলেন ড. ইউনূস
- বরিশালে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতাকে কুপিয়ে জখম
- ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৬২৫, আহত ১৮ হাজার ৩৮০
- ব্যাংক খাত সংস্কারে টাস্কফোর্স
- জামালপুরে খালেদা জিয়ার কারামুক্তি দিবস পালিত
- সাবেক এমপি ডাঃ রুহুল হক ও মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ ঘোষসহ ৬৩ জনের নামে মামলা
- টাঙ্গাইলে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে সার্ভেয়িং ডিপ্লোমাধারীদের স্মারকলিপি
- নড়াইলে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা
- চাটমোহরে টিসিবি’র কার্ডের তালিকা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫
- ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৭০ নম্বরের বার্ষিক পরীক্ষা
- সেনা সদস্যের স্ত্রীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
- সোনারগাঁয়ে সড়ক ও জনপদের জায়গা ও ড্রেন ভরাট করে দখলের অভিযোগ
- জামালপুরে দশম গ্রেডের দাবিতে সার্ভেয়ারদের স্মারকলিপি
- ‘প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জোর পূর্বক পদত্যাগ বন্ধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করতে হবে’
- শৈলকুপায় অবৈধ চায়না দুয়ারি জাল ধ্বংস
- গৌরনদীতে শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষক নির্বাচিত হলেন বোরহান উদ্দিন
- পরিবার পরিকল্পনা কর্মীকে হাতুরি পেটা, পৃথক হামলায় আহত ১৩
- বাংলাদেশের পানি ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা বাড়াবে চীন
- বরিশাল সিটি করপোরেশনের সড়কে বাঁশের সাঁকো
- বরিশালে ফের সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার
- পিএসসির প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ মেলেনি, বাতিল হচ্ছে না নিয়োগ পরীক্ষা
- মণিপুরে ২ হাজার অতিরিক্ত পুলিশ পাঠাচ্ছে মোদী সরকার
- মাদক সেবনের অভিযোগে বিএম কলেজের এক সমন্বয়ককে বহিস্কার
- বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
- বরিশালের পোর্ট রোড সড়কের বেহাল দশা
- বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
- ‘নতুন নেতৃত্বে দেশে নতুন রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে’
- রাজারহাটে বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ
- বুধবার থেকে সব হাসপাতালে স্বাভাবিক সূচিতে চিকিৎসা
- ময়মনসিংহ এন পি এস গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থার ১৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
- বন্যার পানি কমলেও বাড়ছে রোগের প্রাদুর্ভাব, প্রতিরোধে প্রয়োজন সতর্কতা
- রাজবাড়ীতে শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে দুই সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি
- গোপালগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে বহির্বিভাগ ও ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ
- ‘আ.লীগের জায়গায় নব্য দখলদার গোষ্ঠী স্যাটেল হয়ে গেছে’
- মুক্তিযোদ্ধা আজাহার আলী শহীদ হন
- মাদরাসা শিক্ষক কর্মচারীদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা
- যুক্তরাষ্ট্রে ‘নকল ফোবানা’ সম্মেলন চেনার সহজ উপায়
- মেহেরপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন
- প্যানেল চেয়ারম্যান হওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব, চেয়ারম্যান কক্ষে তালা
- ঝালকাঠিতে আমু-ওমরসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- ‘জনতার আন্দোলনকে কেউ নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইলে মানুষ রুখে দিবে’
- নয়াদিল্লীতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ মিশনের উদ্বোধন করা হয়
- নাটোরে সাংবাদিক মুজিবর রহমান চৌধুরীর স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল
- গৌরীপুরে উদীচীর উদ্যোগে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন
- জাবি ভিসি হলেন কামরুল আহসান