E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ: স্বাস্থ্য সমস্যা ও আমাদের করণীয় 

২০২৩ জুন ০৮ ১৭:০০:০৩
তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ: স্বাস্থ্য সমস্যা ও আমাদের করণীয় 

ডা. মুহাম্মদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ


বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্মরণকালের ভয়াবহ দাবদাহ। তাপমাত্রা এতটাই বাড়ছে কখনো ৪০ ডিগ্রি কখনোবা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কোনো শহরে আবার রেকর্ড ভেঙেছে ৫৭ বছরের। ফলে তীব্র দাবদাহে মানুষের পাশাপাশি প্রাণীকুলও হয়ে উঠছে ব্যাকুল, কিন্তু তাপপ্রবাহ আমাদের শরীরের জন্য অনেক সময় ক্ষতির কারণও হতে পারে। বাংলাদেশে এই মূহুর্তে চলছে গ্রীষ্মের খরতাপ, স্বাভাবিকভাবেই জনজীবনে চলছে হাসফাঁস অবস্থা। আপাতত আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসেও নেই তীব্র গরম কমার কোন খবর। গরম যত বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে ততই বাড়ছে অসুস্থতা। পচন্ড গরমে  নানারকম অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারন মানুষ। বিশেষ করে শিশু বা বয়স্কদের ক্ষেত্রে গরমের সময়টা একটু বেশিই বিপজ্জনক। এই সময়ে ডায়রিয়া, পানিশূন্যতা, পেটের পীড়া, টাইফয়েড, চর্মরোগ ইত্যাদির পাশাপাশি আরো কিছু স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়তে হয় কমবেশি সবার। এ সময় কিছু সতর্ক পদক্ষেপ নিলে বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। আর উন্নত বিশ্বের জলবায়ু দূষণের ফলে আমাদের চারপাশের আবহাওয়ায় দ্রুত পরিবর্ত ঘটছে। যার ফলে সারা বিশ্বে বাড়ছে তাপমাত্রা। ষড়ঋতুর পালাক্রমে আমাদের দেশে এখন গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মে অতিরিক্ত গরমে প্রতি বছরই বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। অন্যান্য বারের তুলনায় এবছর সুর্যের তাপমাত্রা একটু বেশি। যার ফলে আবহাওয়া যেমন বিরুপ ধারন করছে তেমনি জনস্বাস্থ্য হচ্ছে বিপর্যস্ত। ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্য সমস্যা। ঘামাচি, চুলকানি, পানিস্বল্পতা, হিটস্ট্রোক, স্কিন বার্ন, ডায়রিয়া এমনকি বিভিন্ন কিডনিজনিত সমস্যাতেও আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। গ্রীষ্মের গরমে এসব সমস্যা ও এসব সমস্যা সমাধানে আমাদের করনীয় :-

পানিশূন্যতা

এই গরমে ঘামে শরীর থেকে প্রচুর লবণ-পানি বের হয়ে যায় বলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। সাধারণত এর ফলে শরীরের রক্তচাপ কমে যায়, দুর্বল লাগে, মাথা ঝিমঝিম করে। পানিস্বল্পতা গরমের খুবই সাধারণ সমস্যা হলেও অবহেলা করলে তা মারাত্মক হয়ে যেতে পারে। এ সময়ে শরীরের কোষ সজীব রাখতে প্রচুর পানি খেতে হবে। লবণের অভাব পূরণ করতে খাওয়ার স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। শরীরে পানি কম হলে প্রস্রাব হলুদ ও পরিমাণে কম হবে এবং জ্বালাপোড়া বা প্রস্রাবের সংক্রমণ হতে পারে। যে পর্যন্ত না প্রস্রাব স্বাভাবিক রং ফিরে পাবে, সে পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি খেয়ে যেতে হবে। পানির সঙ্গে অন্যান্য তরল যেমন ফলের রস খাওয়া যেতে পারে। ভাজা-পোড়া, অধিক তেল, মসলাজাতীয় খাবার একদমই এড়িয়ে যেতে হবে। সাধারণ খাবার যেমন ভাত, সবজি, মাছ ইত্যাদি খাওয়াই ভালো। খাবার যেন টাটকা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চা ও কফি যথাসম্ভব কম পান করা উচিত।

ত্বকের সমস্যা

প্রখর রোদে ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ সময়ে খোলা আকাশের নিচে হাঁটাচলা বেশি হলে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি ত্বক ভেদ করে কোষের জন্য বিপদ ডেকে আনে। ত্বকে ফোসকা পড়াসহ ত্বক বিবর্ণ হতে পারে। তাই এ সময়ে বাইরে বেরোলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ক্রিম ত্বকে মেখে বের হতে হবে। এ সময়ে চোখে সানগ্লাস পরতে হবে। ছাতা ব্যবহার অবশ্যই করতে হবে। যথাসম্ভব হালকা রঙের কিংবা সাদা রঙের পোশাক পরা গরমের জন্য উত্তম।

ঘামাচি নামক যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপার হতে পারে। অনেক সময় চুলকাতে থাকে বলে ত্বকে ঘা দেখা দেয়। এ জন্য প্রয়োজন শরীরে যাতে ঘাম ও ধুলোবালি না জমে সেদিকে লক্ষ রাখা। ঘামাচি থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে কখনো সিনথেটিক পোশাক পরা চলবে না। সব সময় সুতির ঢিলা পোশাক পরতে হবে। শরীরে যাতে ঘাম না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিষ্কার পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করা যেতে পারে।

ডায়রিয়া

গরম এলেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। দুই বছরের নিচে শিশুদের ডায়রিয়ার প্রধান কারণ হলো, রোটা ভাইরাসজনিত সংক্রমণ। চারদিকে ভয়াবহ গরমে যখন গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়, ঠিক এই সময় চোখের সামনে যে ঠান্ডা পানীয় পাক না কেন, তা দিয়ে গলা ভেজানোতেই মন অস্থির হয়ে যায়। দেখার সময় থাকে না, তা বিশুদ্ধ বা দূষিত কি না। এভাবে এই খাদ্য ও পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। রাস্তাঘাটের অধিকাংশ খাবার দূষিত থাকে, তাই গরমে এই দূষিত খাবার খেয়েই অনেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। একটু সচেতন হলে এটি এড়ানো যায়। এই যেমন হাত পরিষ্কার করে খাবার খেলে। বাসি, পচা খাবার না খেলে।

সর্দিজ্বর

শিশুদের নিয়ে খুব রোদে ঘোরাঘুরি করলে বাইরের তাপ ও শরীরের তাপের মধ্যে সমতা থাকে না বলে জ্বর হতে পারে। এ জন্য কড়া রোদে তাদের চলাফেরা করতে না দেওয়াই ভালো। জ্বর হলে শরীরে সঞ্চিত শর্করা বেশি হারে খরচ হতে থাকে। এ সময় শরীর থেকে প্রচুর পানি, ঘাম ও প্রস্রাব বেরিয়ে যায়। এ অবস্থায় শিশুকে ফলের রস দিলে খাবারের রুচি বাড়বে এবং স্যুপ খাওয়ালে ক্ষুধা বাড়বে। ফলে শিশুরা খেতে আগ্রহী হবে।

ছত্রাক সংক্রমণ

গরমে শরীরে ঘাম জমে ছত্রাক সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। ঘাম শরীরের বিভিন্ন ভাঁজে বিশেষ করে কুঁচকিতে, আঙুলের ফাঁকে ও জননাঙ্গে জমা হয়ে সেখানে ছত্রাক সংক্রমণের পথ বিস্তার করে দেয়। তাই এ সময়ে ছত্রাক সংক্রমণ এড়াতে হলে শরীরের ভাঁজগুলোতে ঘাম জমতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে ছত্রাকবিরোধী পাউডার এসব স্থানে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।

অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখলে কী করা উচিত?

_ অতিরিক্ত গরমে কাউকে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখলে শুরুতেই তাকে আধা ঘণ্টা ঠাণ্ডায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

_ যদি তাতে তিনি সুস্থ হয়ে যান, তাহলে বুঝতে হবে, অসুস্থতা গুরুতর নয়।

_ ঐ ব্যক্তিকে যত দ্রুত সম্ভব ঠাণ্ডা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।

_ শুইয়ে দিতে হবে, এবং তার পা কিছুটা ওপরে তুলে দিতে হবে।

_ প্রচুর পানি বা পানীয় খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে, পানিশূন্যতা দূর করার পানীয় দেয়া যেতে পারে।

_ আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করতে হবে, ভেজা কাপড় বা স্পঞ্জ দিয়ে মুছে দেয়া যেতে পারে শরীর। বগলের নিচে এবং ঘাড়ে গলায় ঠাণ্ডা পানি দেবার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।কিন্তু ৩০ মিনিটের মধ্যে যদি সুস্থ না হয়, তাহলে ঐ ব্যক্তির হিট স্ট্রোক হবার আশংকা রয়েছে।আর কালক্ষেপণ না করে তক্ষুনি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। হিটস্ট্রোক হলে মানুষের ঘেমে যাওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।সে ক্ষেত্রে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে ঐ ব্যক্তি।

অতিরিক্ত কাদের ঝুঁকি বেশি?

_ অতি গরমে স্বাস্থ্যবান মানুষের হিট স্ট্রোক হবার আশংকা কম। কিন্তু কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ার মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছেন।

_ শুরুতেই বৃদ্ধ এবং যাদের আগে থেকেই অসুস্থতা রয়েছে, তাদের অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে বেশি।

_ যাদের ডায়াবেটিস টাইপ ওয়ান বা টু, রয়েছে তাদের শরীর দ্রুত পানি শূণ্য হয়ে পড়ে, এবং কিছু জটিলতা দেখা দেয়। এছাড়া বাচ্চাদের খুব কষ্ট হয় বেশি গরমে। অনেক সময় তারা নিজেদের অস্বস্তির কথা বুঝিয়ে বলতে পারে না, যে কারণে মা-বাবারা সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিতে পারে না।

অতিরিক্ত তাপদাহের সময় কী করা উচিত?

_ ঠাণ্ডা থাকুন আর শরীরকে পানিশূন্য হতে দেবেন না।

_ গরমে রোদের মধ্যে কাজ না করা এবং বেশি পরিশ্রমের কাজ করা থেকে বিরত থাকা ভালো।

_ ঘরে দিনের বেলাতে পর্দা টেনে দিন। প্রচুর পানি এবং দুধ পান করুন।

_ সাধারণত দিনের বেলাতেই গরমে বেশি হয়। কিন্তু রাতের অতি গরমও শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

করণীয়

দেহের পানি স্বল্পতা দুর করতে পর্যাপ্ত পরিমানে নিরাপদ পানি পান করুন। নিরাপদ পানি বললাম কারন আজকাল রাস্তার পাশে ফুটপাতে বিভিন্ন পানীয় বিক্রি করা হয় যার বেশীর ভাগই স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বেশির ভাগই অনিরাপদ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রস্তুত ও পরিবেশন করা হয়। যাতে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবানু থাকে। এসব পানি পান করলে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস সহ বিভিন্ন মারাত্মক রোগ হতে পারে। তাই নিরাপদ পানি পান করুণ। এক্ষেত্রে ডাবের পানি পান করতে পারেন। তাছাড়া বাহিরে বের হবার সময় বোতলে করে বাসা থেকে পানি নিয়ে বের হন। বাচ্চাদের স্কুলে যাবার বেলায় টিফিন বক্সের সাথে বোতলে করে নিরাপদ পানি স্কুল ব্যাগে দিয়ে দিন। তরমুজ, বেল, কাচা আমের জুস সহ লেবু পানীয় পান করতে পারেন। এতে করে আপনার দেহের পানি স্বল্পতা দুর হবে।

গরমে কেউ অজ্ঞান হলে কিংবা হিটস্ট্রোক করলে তার শরীরের তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করুন। যথাসম্ভব কম তাপমাত্রার ছায়া যুক্ত স্থানে নিয়ে যান। শরীর ভেজা ঠান্ডা কাপর দিয়ে মুচে দিন। রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।

এছাড়া দৈনন্দিন চলাফেরার বেলায় সুর্যের তাপ এরিয়ে চলুন, ছাতা কিংবা বড় টুপি ব্যবহার করুন। রঙ্গিন জামাকাপর ব্যবহার কমিয়ে দিয়ে সাদা সুতি ঢিলেঢালা কাপর ব্যবহার করুন। যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার চেষ্টা করুন। স্কিন বার্ন থেকে বাচতে বাজারে যেসব ক্রিম কিংবা লোশন পাওয়া যায় তা ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে ব্যবহারের আগে ভাল করে যাচাই করেন নিন। শরীর যথাসম্ভব ঢেকে রাখুন।

বর্জনীয়

* সফট অথবা হার্ড ড্রিঙ্কস নেওয়া থেকে বিরত থাকুন : অতিরিক্ত গরমে সফট অথবা হার্ড ড্রিঙ্কস নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। ড্রিঙ্কস শরীরের পানিকে নিরূদিত করে যা শরীরে পানি স্বল্পতা তৈরী করে। এছাড়াও ঘন ঘন পানি পিপাসা পায় এবং গলা শুখিয়ে আসে। তাই গরমে সাময়িক তৃষ্ণা মেটাতে অবশ্যই ড্রিঙ্কস না।

* পানি পানের সময় সতর্ক থাকুন : গরমের কারণে যেকোনো জায়গা থেকে পানি পানে বিরত থাকুন। দূষিত পানি থেকে পানিবাহিত রোগ হতে পারে। এজন্য পানি পান করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। বাইরে পানি পান করার ক্ষেত্রে অবশ্যই মিনারেল ওয়াটার গ্রহণ করুন।

* ফাস্টফুডকে না বলুন : ফাস্টফুড এবং তেল চর্বি জাতীয় খাবারকে না বলুন। ফাস্টফুড এবং তেল চর্বি জাতীয় খাবার শরীরের জন্য খারাপ। গরমে তেলে ভাজা বা রিচ ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। গরমে এ জাতীয় খাবার যত বেশী খাবেন, তত বেশী গরম লাগবে। সুতরাং এ ধরনের খাবার না খাওয়াই ভালো। স্ট্রীট ফুড বর্জন করুন অতিরিক্ত গরমে।

* স্যালাইন খাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন : গরমের কারণে ঘরে থাকতে চাইলেও অনেকেই আছেন শারীরিক পরিশ্রম করেন। তাদেরকে কাজের জন্য বাইরে যেতেই হয়। অনেকেই আছেন দিন আনেন দিন খান। সেক্ষেত্রে যেন শরীরে পানি বা লবণের স্বল্পতা না হয় এই জন্য স্যালাইন খেতে পারেন। বাইরে চলাচলের সময় কাছে স্যালাইন রাখতে পারেন। যদি শরীর দুর্বল মনে হয়, সেক্ষেত্রে সাথে সাথে স্যালাইন খেয়ে নিতে পারেন। এতে দুর্বলতা কমবে। প্যাকেটের গায়ে নির্দেশিত পরিমাণ পানির চেয়ে কম পানি দিয়ে স্যালাইন খাবেন না। শুধু স্যালাইন গুড়া খেলে বা কম পানি দিয়ে স্যালাইন খেলে লবণের ঘনত্ব বেড়ে কিডনির ক্ষতি হতে পারে।

পরামর্শ

এই গরমে নিজের পাশাপাশি পরিবারের যত্ন নিন। বাইরে চলাফেলার সময় বয়স্ক এবং শিশুদের দিকে খেয়াল রাখুন এবং তাদেরকে অগ্রাধিকার দিন যানবাহনে চলাচলের ক্ষেত্রে। কেউ অসুস্থ হলে সচেতনতার সাথে
সিদ্ধান্ত নিন।

হোমিও সমাধান

রোগ নয় রোগীর চিকিৎসা করা হয় তাই অভিজ্ঞ চিকিৎসকে হিট স্ট্রোক রোগীর রোগের পুরা লক্ষণ নির্বাচন করতে পারলে তাহলে আল্লাহর রহমতে হোমিওতে সম্ভব। বিশেষজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক বৃন্দ প্রাথমিক ভাবে যেই ঔষধ নির্বাচন করে থাকেন, বেলেডোনা, গ্লোনিয়ম, আর্সেনিক অ্যালম্বা, ব্রায়োনিয়া, কেলকেরিয়া কার্ব, কেলকেরিয়া সালফ, ডালকামারা, হিপার সালফ, কেলি আয়োড, মার্কসল, চায়না, ন্যাট্রাম মিউর, জেলসিয়াম, ন্যাট্রাম সালফ, নাক্স ভম সহ আরো অনেক ঔষধ লক্ষণের উপর আসতে পারে,তাই মেডিসিন নিজে নিজে ব্যবহার না করে বিশেষজ্ঞ হোমিওচিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পরিশেষে বলতে চাই, গরমের স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি, বিশেষ করে বৃদ্ধ এবং শিশুদের বেলায় আরো জরুরি। স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হয়ে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে দহনজনিত স্বাস্থ্যসমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।তাই এই গরমের কারণে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অবহেলা করবেন না। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এতে যেকোনো অসুখ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সহজ হবে।তাই এই গরমে স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে জীবনযাপন করুন। সুস্থ থাকুন-ভালো থাকুন।

লেখক : কলাম লেখক ও গবেষক, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test