E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ডিজিটাল ছাড়িয়ে স্বপ্ন এখন স্মার্ট বাংলাদেশের

২০২৩ সেপ্টেম্বর ২০ ১৬:৪১:০২
ডিজিটাল ছাড়িয়ে স্বপ্ন এখন স্মার্ট বাংলাদেশের

মোহাম্মদ ইলিয়াছ


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে ঘোষণা করেছেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে উন্নত ও স্মার্ট। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে তিনি রূপকল্প ২০২১, ২০৩১ ও ২০৪১ ঘোষণা করেছিলেন। ওই রূপকল্পগুলোয় তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, ওই রূপকল্পে ২০৩১ সালে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে দারিদ্র্যকে পরাজিত করে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশ ডিজিটালের সীমানা অতিক্রম করে স্মার্টের দিকে অগ্রসর হয়েছে।

গোটা বিশ্বে আজ দ্রুত গতিতে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছে, এবং বাংলাদেশও এই বৈশ্বিক ডিজিটাল অগ্রগতি থেকে পিছিয়ে নেই। এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ পর্ব শেষে আবারও নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের লক্ষ্যের নাম ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।

ডিজিটাল বিপ্লবের শুরু ১৯৬৯ সালে ইন্টারনেট আবিস্কারের ফলে। ইন্টারনেটের সাথে ডিভাইসের যুক্ততা মানুষের দৈনন্দিন জীবন, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, উৎপাদনে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। বিজ্ঞান, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ফলে বিশ্বে উন্নয়ন দারুণ গতি পায়। দূরদর্শী রাষ্ট্রনেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর গুরুত্ব গভীরভাবে উপলব্ধি করেন। কারণ তিনি গড়তে চান সোনার বাংলা। তাঁর এই স্বপ্নের বাস্তবায়নে তিনি ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৯৭৩ সালের ১৮ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাষণে তিনি বলেছিলেন, স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলাম, আজ স্বাধীনতা পেয়েছি। সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছি; সোনার বাংলা দেখে মরতে চাই।

ডিজিটাল বাংলাদেশ স্লোগানের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর স্বপ্ন। এবার সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তর। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট—এ চারটি মূল ভিত্তিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পরে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের জন্য তথ্য ও প্রযুক্তির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। তাই অন্যান্য সকল খাতের মতো তথ্য ও প্রযুক্তিখাতে সমান গুরুত্ব দিয়েছেলেন তিনি। মূলত বঙ্গবন্ধুর হাতেই একটি আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক প্রযুক্তিনির্ভর দেশের ভিত্তি তৈরি হয়, যা পরিবর্তীতে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বিপ্লবে অংশগ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ১৫টি সংস্থার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ‘ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)’ এর সদস্যপদ লাভ করে। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়ায় স্যাটেলাইটের আর্থ স্টেশন উদ্বোধন করেন। শুধু তাই নয়, আর্থ-সামাজিক জরিপ, আবহাওয়ার তথ্য আদান-প্রদানে আর্থ-রিসোর্স টেকনোলজি স্যাটেলাইট প্রোগ্রামও বাস্তবায়িত হয় তারই নির্দেশে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তিবিদ্যা ও কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে বিজ্ঞানী কুদরাত-এ খুদার নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট প্রণয়ন ও শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার করার লক্ষ্যে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা ছিল বঙ্গবন্ধুর সুচিন্তিত ও দূরদর্শী উদ্যোগ।

জনসাধারণের দুয়ারে সহজ, দ্রুত ও স্বল্পব্যয়ে সরকারি সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ৪ হাজার ৫০১টি ইউনিয়নে একযোগে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র উদ্বোধন করেন যা বর্তমানে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) নামে সুপরিচিত। গ্রামীণ জনপদের মানুষ এখন খুব সহজেই বাড়ির কাছে পরিচিত পরিবেশে জীবন ও জীবিকাভিত্তিক তথ্য ও প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছে। বর্তমানে পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, পোশাককর্মী এবং প্রবাসী নাগরিকদের জন্য আলাদা ডিজিটাল সেন্টার চালু হয়েছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ৭ হাজার ৬০২টি ডিজিটাল সেন্টার, ৮ হাজার ২০০ ডিজিটাল ডাকঘরের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জন্য ৬০০ ধরনের ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সময় দেশে ই-গভর্নমেন্ট সেবাপ্রাপ্তি ছিল প্রায় শূন্য, বর্তমানে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৫০ লাখ। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে প্রায় সাড়ে ১২০০ ধরনের সেবা পাওয়া যাচ্ছে।

শিক্ষার মান উন্নয়ণের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার প্রায় ৮৬ হাজার ডিজিটাল ক্লাসরুম বা ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করে। এর পাশাপাশি চলমান আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব নির্মাণ প্রকল্প। এছাড়া শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সকল কনটেন্ট ডিজিটাল করা, সরকারের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে ডিজিটালাইজড করা, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন থেকে শুরু করে পরীক্ষার ফলপ্রকাশ, চাকরির আবেদনসহ সরকারি প্রায় সব ধরনের সেবা প্রযুক্তির মাধ্যমে নিশিত করা হয়েছে।

বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্টকার্ড ও আধুনিক ই-পাসপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে, যা এক সময় ধারণারও বাইরে ছিল। এছাড়া ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে মানুষ ঘরে বসেই জরুরি খাদ্য সহায়তা, করোনাবিষয়ক তথ্যসেবা, টেলিমেডিসিন সেবা পেয়েছেন। এছাড়াও আইসিটি অধিদপ্তর টিকা পোর্টাল কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’ তৈরি করে, যা ব্যবহার করে কোটি কোটি মানুষ টিকা গ্রহণ করে যাচ্ছে।

২০০৯ প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের আগে দেশে দুই কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোবাইল ফোনের মনোপলি ভেঙে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য করেন। এখন দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি ১৬ লাখ; এদের মধ্যে আবার অনেকেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামের বাসিন্দা।

২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৮ লাখ, যা এখন ১২ কোটি ৬১ লাখেরও বেশি। বর্তমানে দেশের ৯৮ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৪-জি মোবাইল প্রযুক্তির আওতায় এসেছে। গত বছর ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ৫-জি’র ব্যবহার চালু করা হয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত প্রায় ৯ লাখ ৫৬ হাজার ২৯৮ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন করা হয়েছে এবং প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে ১০ গিগাবাইট ক্ষমতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকারের বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তিখাতে অন্যতম সাফল্য ছিল ২০১৮ সালের মে মাসে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপণ। বাংলাদেশের জন্য এটি একটা বড় অর্জন কারণ এর হাত ধরেই বাংলাদেশ মাধ্যমে আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে প্রবেশ করেছে। আজ বাংলাদেশ ৫৭তম স্যাটেলাইট ক্লাবের সদস্য।

১৯৯৯ সালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হাই-টেক পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে হাই-টেক পার্কের সংখ্যা ৪৬টি হাইটেক পার্ক ও ইনকিউবিশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। মানুষকে প্রযুক্তিমুখী করতে ২০১৫ সালে কম্পিউটার আমদানিতে শুল্ক হ্রাস, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার শিল্প উৎপাদনকারীদের ভর্তুকি, প্রণোদনা প্রদানসহ বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

২০০৮ সালে দেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ছিল শূন্য, বর্তমানে সেই সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখ ছাড়িয়েছে। বিগত বছরে আইসিটি খাতে প্রশিক্ষণ পেয়েছে ১৫ লাখ ১৫ হাজার। এক হিসাবে দেখা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রপ্তানি আয় ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এছাড়াও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ তরুণ প্রজন্মের জন্য ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার, ১৩০০০ শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, ৬৪টি জেলায় একটি করে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারসহ মোট ৯২টি হাইটেক পার্ক স্থাপন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

অনলাইন ব্যাংকিং, ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার, এটিএম কার্ডের ব্যবহার মাধ্যমে ক্যাশলেস সোসাইটি বিনির্মাণের ফলে ই-কমার্সেও ব্যাপক প্রসার ঘটাচ্ছে। এছাড়াও দৈনন্দিন কাজে অনলাইন জগতের উপর নির্ভরশীলতা অনেকখানি বেড়ে গেছে। মানুষ এক্ষণ ঘরে বসেই বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদির বিল এখন পরিশোধ করতে পারছে।

এছাড়াও মানুষ ই-টেন্ডার, ই-নথি, ই-পর্চা, ই-মিউটেশন, ই-চালান, ইএফটি, ই-নথি, অনলাইনে পেনশনভাতা, বাস-ট্রেন-বিমানের টিকিট প্রাপ্তি, জরুরি সেবা ৯৯৯, সরকারি তথ্য সেবা হেল্প লাইন ৩৩৩ থেকে মানুষ বিভিন্ন সুফল পাচ্ছে। এছাড়াও একদিকে যেমন পরিচয় পোর্টালের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তির পরিচয় সহজে জানা যাচ্ছে তেমনই আবার আমার এমপি পোর্টালের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগের সহজ পথ নিশ্চিত হচ্ছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা, আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধান কারিগর হিসেবে কাজ করছেন। বাংলাদেশকে প্রযুক্তিনির্ভর করতে জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাতকে শক্তিশালী করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের অবদান অনস্বীকার্য। তারুণ্যের প্রতীক জনাব জুনাইদ আহমেদ পলকের হাইটেক পার্ক নির্মাণ, ফোর-জি চালু, ইন্টারনেটের দাম কমানো, কম্পিউটারের শুল্কমুক্ত আমদানি, ফ্রিল্যান্সিংয়ে উৎকর্ষ, বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ অনলাইনে করাসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত এই দুই তরুণ ব্যক্তিত্ব দেশকে ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগকে আরও টেকসই ও সুসংহত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ পরিণত করার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞানও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে ভিত্তি তৈরি করে গেছেন, সে পথ ধরেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় কেউ পিছিয়ে থাকবে না সবাইকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র উদ্দেশ্য। তাই গত ডিসেম্বরে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২ এর প্রতিপাদ্য ছিল ‘প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি’। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো আমরাও আগামীতে এক সুন্দর,স্বনির্ভর ও স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি এবং বিশ্বাস করি উনার হাত ধরেই বাংলাদেশ এগিয়ে অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।

লেখক : উপপরিচালক (অর্থ ও বাজেট), অবসর সুবিধা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা।

পাঠকের মতামত:

০৬ ডিসেম্বর ২০২৩

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test