নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু ও জনবান্ধব হোক
মীর আব্দুল আলীম
আসন্ন নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ- এমন বিশ্বাস নিয়ে বসে আছে দেশের জনগণ। তাঁরা নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও জনবান্ধব হোক সেটা চায়। প্রশ্ন হলো নির্বাচন কেমন হবে? নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ হবে তো? নাকি কারচুপির নির্বাচনে জিতে যাবে সরকার দলীয় প্রার্থী? দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এমন ভয়ে-সংশয়ে আছে ভোটাররা। আগের মতো কারচুপি আর জোরজুলুমের নির্বাচনই হবে কিনা তা নিয়ে দেশজুড়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। তবে এবারের নির্বাচন অগের মতো হবে না বলেই দৃশ্যমান। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো এবারের নির্বাচনে না এলেও ভোটের মাঠ কিন্তু সরব এবার। সতন্ত্র প্রাথীসহ অন্যনান্য দলের অংশগ্রহনে নির্বাচন অনেকটাই জমে উঠেছে। সারাদেশেই সংসদীয় আসনগুলোতে প্রতিদ্বন্দিতা হবে চরম। তবুও জনমনে সংশয় কি জানি কি হয়! এ অবস্থায় আসন্ন দ্বদশ নির্বাচনে ইসি এবং সরকার নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণ করুক এটা এখন কায়মনে দেশবাসী চায়। এদেশে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের শঙ্কা থেকেই যায় বরাবর। তাই এ নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও অবাধ করে বিগত নির্বাচনের কষ্ট জনগণকে ভুলিয়ে দিক ইসি, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
নির্বাচন নিয়ে নানা তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকলেও অতীতে বাংলাদেশের কয়টি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার নজির রয়েছে, তা আমরা সবাই জানি। বিগত সংসদ নির্বাচনে প্রতিদন্দী প্রাথী ছিলো কম, বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় জিতে যাওয়া, নির্বাচনে কারচুপি হওয়ায় এন্তার অভিযোগ ছিলো। এবার তা হওয়ার সুযোগ কম। দলীয় ডাকসাইটের প্রাথীরাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। আগের মত দিনের ভোট রাতের ভোন হওয়ার সুযোগ সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সে যাই হেক আমরা নির্বাচন অবাদ ও নিরপেক্ষ হউক। তবে নিএনপিসহ অন্যন্য দলগুলো নির্বাচনে এলে নির্বাচনটা আরো জমে উঠতো।
নির্বাচন নিয়ে অনেক কিছুই হয়েছে এবার। বিদেশী কথিত প্রভুদের হস্তক্ষেপ দেখেছি আমরা। যা কিনা চোখে পরার মতো ছিলো। দেশের নির্বাচনে বিদেশের হস্তক্ষেপ মোটেও কাম্য ছিলোনা আমাদের। হস্তক্ষেপ অব্যহত আছে। সাহসী প্রধানমন্ত্রী সেসব চোখরাঙ্গানী তোয়াক্কা করছেন না। ভিসানীতিসহ নানা জুজুর ভয় দেখানো হয়েছে। দেশের অর্থনীতির ক্ষতিসাধনের চেষ্টা হয়েছে এবং তা অব্যহত আছে। তাতে যে দেশের ক্ষতি হয়নি তা বলা যাবে না। নানা অপপ্রচার, হুমকি-ধমকি আর ষড়যন্ত্রে ক্ষতিতো কিছুটা হয়েছেই। বিদেশীদের প্রভু বানিয়ে দেশ চালাতে হবে কেন? আমরা মাথা উঁচু করেই বাঁচতে চাই।
নির্বাচন ঘিরে জ্বালাও পোড়াও হচ্ছে। আমরা চাই না, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাত হোক। নির্বাচনী রক্তপাত বহু দেখেছি। রাজনৈতিক দলগুলোকে আগুন নিয়ে খেলা করতে দেখেছি। মানুষের পোড়া লাশ দেখেছি। সে গন্ধ এখনো নাকে আসে মাঝে মাঝে। জ্বালাও-পোড়াও কোনোটা দেখিনি? এখনো চলছে। চলন্ত ট্রেনে বাসে আগুন দেওয়া, মানুষকে জীবন্ত পুড়ে মারা একোন মানুষিকতা। নির্বাচনী আশা পুরন না হলেই মানুষ পড়ে মারতে হবে? আঙ্গার লাশ কারোই কাম্য হওয়া উচিত নয়। দেশের মানুষকে সাথে নিয়েইতো রাজনীতি আর আতংক তৈরির জন্য দেশের মানুষকে পুড়ে মারার এটা কোন নীতি। তবে হ্যাঁ যদি বিএনপিসহ সমমনাদের কোনভাবে নির্বাচনে আনা যেতো সেটা ভালো হতো। আমরা চাই না, এ নির্বাচনে আগে পরে কোনোরকম রক্তপাত হোক অথবা প্রাণহানি ঘটুক। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাতময় কোনো পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয়, রক্তপাত যাতে না ঘটে; সেদিকে নজর রাখার আহ্বান জানাই সিইসির কাছে। যতদূর দেখছি- সিইসি এ ব্যাপারে এখনও যথেষ্ট সজাগ দৃষ্টি দিচ্ছেন।
নির্বাচনী মাঠকে কোনোক্রমেই ঘোলাটে করতে দেবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এমন ঘোষণাই দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় তিনি এ কথা বলেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রার্থীদের বার্তাও দিয়েছেন সিইসি। ‘এটা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যারা প্রার্থী, ইনডিপেনডেন্ট (স্বতন্ত্র) প্রার্থী যারা আছেন, তারা যদি আন্তরিক না হন, সচেতন না হন, নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা সংরক্ষণ করে সঠিক আচরণ না করেন, তাহলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়াটা দুরূহ হয়ে পড়বে। অবাদ সুষ্ঠ নির্বাচনের স্বার্থে প্রাথীরা আচরণবিধী লঙ্ঘন করলে প্রার্থীতা বাতিলের পধেও হাঁটছেন ইসি। ইতোমধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারী প্রাথীদের একের পর এক শোকজ ও তলব করছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে সরকারদলের মন্ত্রী এমপিও বাদ যায়নি। লাগাম টানতে মাঠের প্রতিবেদনের আলোকে কোন কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলাও করছে নির্বাচন কমিশন। এর পরও থামানো যাচ্ছে না অনেক প্রার্থীকে। বেপরোয়া এসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে আরও হার্ডলাইনে যাচ্ছে ইসি। সেক্ষেত্রে এবার প্রথমবারের মতো প্রার্থীতা বাতিলের মরতোকঠিন সিদ্ধান্তে যাচ্ছে কমিশন।
নির্বাচন যেন ‘উৎসব’ হতে পারে, সেই চেষ্টাই হয়তো করবে কমিশন। শুরুটা ভালই হলো ইসির। শেষ ভালো হবে তো? নাকি সেই পুরনো রূপেই হবে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো- এ প্রবাদটি অনেক পুরনো। ইসি হুঙ্কার দেবে আর ফাঁক-ফোঁকড়ে অধিক ক্ষমতাধর প্রার্থীরা তরী পার হবেন তা যেন না হয়। কোনো কিছু অর্জনের জন্য কোন গোষ্ঠি নানা রকম কলকব্জা শক্ত করে আঁটতে থাকেন। ষড়যন্ত্রের মধ্যে এমন সব ফাঁক-ফোঁকড় থাকে যা দিয়ে সহজের পার পাওয়া যায়। ব্যবহারিকভাবে যখন কোনো কিছু বাঁধার জন্য গিঁট বা বাঁধন দেয়া হয় তখন স্থান-কাল-পাত্রভেদে এটা এমনভাবে করা হয় যা কিনা কারো জন্য খুলে ফেলা সহজ হয়। আর কারো জন্য কঠিন ও জটিল হয়ে পড়ে। এমনটা যেন নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে না করা হয়।
এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ভিনদেশী রাষ্ট্রের হতক্ষেপ এবয়ং সরকারের পক্ষ থেকে কড়া জবাবের কারনে বিশ্বব্যাপী এ নির্বাচন আলোচিত সমালোচিত হয়েছে। এ নির্বাচন কেমন হবে? সবাই সেদিকে মুখিয়ে আছে। নির্বাচন কি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশে হবে? নাকি জোরজুলুমের নির্বাচন হবে- তা নিয়ে দেশজুড়ে কেবল নয় বিশ^ জুড়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। ইসিও এ নির্বাচন সুষ্ঠ করার জন্য চেলেঞ্জ হিসাবে নিয়েছে। এ নির্বাচনে ইসি এবং সরকার নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণ করুক, এটাই সবাই এখন চাইছে। এদেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের শঙ্কা থেকেই যায় বারবার। তাই বিশ্ব ব্যাপী আলোচিত এ নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও অবাধ করে দেশ বিদেশে এবং ভোটারদের মনে আস্থা তৈরি করুক ইসি।
দেশের সবাই চায় একটা সুষ্ঠু নির্বাচন। কেউ চায় না ভোটকেন্দ্রে কোনো সংঘাত হোক, কোনো রক্তপাত হোক এবং কোনোরকমের প্রাণহানি হউক এটা কেউ চায় না। নির্বাচনে বাইরে থাকা দলগুলো আগুনসন্ত্রাস করুক, জ্বালাও পোড়াও করুক সেটাও চায় না জনগন। দেশের মানুষ আসলে শান্তি চায়। হরতাল অবরোধ জ্বালাও পোড়াও চায় না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে জনগনের অনেক কষ্ট আছে মনে, তবে দেশে ব্যাপক উন্নয়নে আমজনতা খুশি। নির্বাচনের পরে যে সরকারই আসুক তাঁদের কাছে প্রত্যাশা দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি জনগনের সহজ খাদ্যপ্রাপ্তির ভাবনাটা যেন নয়া সরকারের থাকে।
সে যাই হোক ভোট প্রসংঙ্গেই আসি আবার। ভোটের অধিকার প্রাপ্তি, প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি নাগরিকের। সবাই যেন আনন্দচিত্তে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে, সে নিশ্চয়তা নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালনকারী সংশ্লিষ্টদের দিতে হবে। তাছাড়া নির্বাচনের পর দেশে যেন কোনোরকম বিশৃঙ্খলা-অরাজকতা সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
মনে রাখতে হবে কোনো নির্বাচনে কেবল প্রার্থীর বিজয়েই গণতন্ত্রের বিজয় হয় না; ভোটের সার্থকতা আসে না। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে কেউ জিতবেন, কেউ হারবেন। যারাই জিতুক, শান্তিপূর্ণ ও অবিতর্কিত নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপিত না হলে দলের জয় গণতন্ত্রের জয় বলে প্রতিষ্ঠিত হবে না। আমরা প্রত্যাশা করি, কোনো রাজনৈতিক চাপে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা যেন বিতর্কিত না হয়। তাই সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে পারা এবং স্বচ্ছভাবে ভোট গণনা ও ফলাফল প্রকাশ নিশ্চিত করতে হবে। জয়-পরাজয় যারই হোক, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনোভাবেই নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে পরাজিত হলে চলবে না।
নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে কী হবে? আবার সংঘাত, সংঘর্ষ হবে। আমরা দেখেছি, ৫ বছরের শেষ বছরটা ভালোয় ভালোয় কাটে না। মারামারি, খুনোখুনি আর নানা হাঙ্গামায় উত্তপ্ত থাকে দেশ। এবার ততটা হয়নি। আসলে হয়েও হয়নি। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হলে কোনো সংশয় নেই। না হলেই যত বিপদ। রাজনৈতিক যুদ্ধ আবারও হতে পারে। তবে এটাই বলতে চাই, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এ সরকারে সময়টা খুব একটা খারাপ যায়নি। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ শুরু হয়েছে; দেশের দৃশ্যমান উন্নয়ন পরিলক্ষিত হয়েছে। গণতন্ত্রের ঘাটতি থাকলেও হরতাল অবরোধ না থাকায় জনমনে স্বস্তি ছিল। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পেরেছে, শিল্প-কারখানায় উৎপাদন হয়েছে। ডলার সংকটের কারনে শেষ সময়টাতে ব্যবসা বাণিজ্যে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে। তাছাড়া ভালোয়ভালোয় চলেছে দেশ।
তবে নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, তাহলে আবারও আন্দোলনের ইস্যু তৈরি হবে, বাড়বে অশান্তি। অর্থনীতি ধ্বংস হবে। সম্পদ নষ্ট হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানুষের জীবন ক্ষয় হবে। দেশে বেকারত্ব বাড়বে, অনেক শিল্প-কারখানা বন্ধ হবে, ব্যবসা-বাণিজ্যে অচলাবস্থা দেখা দেবে। দেশের অর্থনীতি পঙ্গু হবে। সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা অনিশ্চিত হবে। এমনটা আমরা কেউই আর চাই না। তবে এটাও সত্য, বিরোধী দলের রাজনীতি করার পরিবেশ দিতে হবে সরকারকে। দেশের স্বার্থে তাদেরও ছাড় দিতে হবে। ক’বছর আগে রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে আমরা প্রতিদিন যা দেখেছি, সে কথা এখনও ভুলে যাইনি। চোখের সামনেই ওইসব ধ্বংসযজ্ঞ দেখেছি। এসব রোধে আইন যে নেই তাও নয়, আছে। নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা রাষ্ট্রের অপরিহার্য কাজ। বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগে ২৬-৪৭ক অনুচ্ছেদ পর্যন্ত নাগরিকের অধিকারগুলো বর্ণিত আছে। সেখানে কাউকেই নির্বিচারে মানুষ হত্যার বৈধতা দেয়া হয়নি। এ হত্যার দায় যেমন বিরোধী দলের ছিল, রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে সরকারও এ দায় কিছুতেই এড়াতে পারে না। যখন হরতাল-অবরোধের নামে জীবন্ত মানুষ পুড়ে ঝলসে যায়, যখন তাদের উপার্জনের একমাত্র সম্বল কেড়ে নেয়া হয়; অসহায় স্বজনের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হয়, যখন কষ্টার্জিত লাখ লাখ টাকার সম্পদ চোখের সামনে পুড়ে ছাই হয়- তখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনও প্রশ্নের মুখে পড়ে।
আমরা চাই, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হোক। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে। জনপ্রত্যাশা হচ্ছে, ইসি সততা ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি নির্বাচন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়- এ প্রত্যাশা সবার। মনে রাখতে হবে, গণতান্ত্রিক দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। আপামর জনগণের প্রত্যাশাও তাই। নির্বাচনের আগে ও পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটা ভালো ভূমিকা থাকতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আচরণবিধি প্রয়োগ করতে গিয়ে এমন কিছু করবে না, যেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। কখনও আইন-কানুনের বিধান থেকে বিচ্যুত হওয়া যাবে না। নির্বাচন ঘিরে আগে ও পরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, দলসহ সংশ্লিষ্ট সবাই কী করতে পারবে, আর কী পারবে না- তা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে আচরণ বিধিমালায়। নিয়ম ভাঙ্গলে শাস্তির বিধানও রয়েছে সেখানে। ভোটের মাঠে সমআচরণ ও সমান সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করতে হবে। জুডিশিয়াল মাইন্ড ও আইন-কানুন ব্যবহার করতে হবে। আইনকে সমুন্নত রেখে কাজ করলে সুষ্ঠু একটি নির্বাচন ঠিকই উপহার দিতে পারবে ইসি। সেই প্রত্যাশাই করি আমরা।
লেখক : সাংবাদিক, সমাজ গবেষক, মহাসচিব, কলামিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ।
পাঠকের মতামত:
- স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়লো ১,১৭৮ টাকা
- জকিগঞ্জে যুবকের লাশ উদ্ধার
- মহম্মদপুরে আনসার ও ভিডিপির আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক ব্রিফিং প্রদান
- মহম্মদপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী বেবী নাজনীনের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়
- সিলেটে সাংবাদিক রেনুর পিতার মৃত্যুতে ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের শোক
- সালথায় ওয়াদুদ মাতুব্বরের পক্ষে চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা
- ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভালে টেবিল টেনিসে রুমেল খানের দ্বিমুকুট জয়
- ‘শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হয়েছে’
- মোংলায় আচরণবিধি লঙ্ঘন, দুই চেয়ারম্যানসহ তিন প্রার্থীকে টাকা জরিমানা
- টাঙ্গাইলের তিন উপজেলায় মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা
- র্যাবের হেফাজতে নারীর মৃত্যু, সুরতহাল জানাচ্ছেন না কেউ
- কান চলচ্চিত্র উৎসবে দুধ সাদা পোশাকে কিয়ারা
- কালিহাতীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই ভাই নিহত
- পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে ব্যবসা করছে নিউজিল্যান্ড ডেইরি বাংলাদেশ
- পাবনা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় কৃতি ছাত্রদের সংবর্ধনা
- সিগারেট ধরাতে গিয়ে ধাক্কা লাগায় বাবার সামনে শিক্ষার্থীকে এসআই’র মারধর
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পাঠাগারের কমিটি গঠন
- গোপালগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
- মাগুরায় রেলপথ প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী
- ময়মনসিংহে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
- সিলেটে তারেক রহমানের নির্দেশ মানছে না কেউ
- বাংলাদেশিদের টুরিস্ট ভিসায় ভারত ভ্রমণে ৩ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে
- ‘ঢাকার কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে দ্রব্যমূল্য কমবে’
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত আ. লীগের নায়েব আলী
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের শ্রদ্ধা
- ‘রেল বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার বিপ্লব ঘটাবে’
- সুবর্ণচরে পাওয়ার টিলারের চাপায় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু
- মহম্মদপুরে ইয়াবাসহ আটক ১
- বিশ্বব্যাংক ভূমি সম্মেলনে অংশ নিল বাংলাদেশ
- সৌদিতে প্রথমবার সাঁতারের পোশাকের ফ্যাশন শো
- আর কে মিশন রোডে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন
- পশুর জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ মন্ত্রীর
- ইউপি সদস্যকে মারধর, সেই যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
- ‘অপরিকল্পিত নগরায়ণ কোনো সুবিধা বয়ে আনে না’
- জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি
- ফরিদপুরে স্কুলছাত্র অন্তর হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আজিজুল গ্রেফতার
- প্রচারণায় নতুন মাত্রা দিয়েছে প্রার্থীর স্ত্রী, বিজয়ী করতে ঢাকায় উঠান বৈঠক
- আগৈলঝাড়ায় ইয়াবা-গাঁজাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক
- বাজার মূলধন ৫ হাজার কোটি টাকা কমেছে
- আগৈলঝাড়ায় মার্কাস মাদ্রাসায় ১৫ দিন যাবত আবাসিক ছাত্র নিখোঁজ, থানায় ডায়েরী
- ৭ বছর আগেই জানতে পারবেন ক্যানসার হবে কি না
- আগৈলঝাড়ায় এক রাতে স্কুলছাত্রী ও গৃহবধূর আত্মহত্যা
- তক্ষশীলা আসামের সভাপতি থানেশ্বর বঁরোর মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলে শোক
- ১৩ বছর ধরে বাঁশ ও দড়ি বেয়ে মসজিদে যাচ্ছেন ১১৫ বছর বয়সী অন্ধ রহমান
- চাটমোহরে দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা
- ‘সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই একাত্তরের চেয়েও কঠিন’
- মেট্রোযাত্রীদের ওপর চাপ বাড়াবে এনবিআরের ১৫ শতাংশ ভ্যাট
- ঢাকাসহ ৬ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস
- তালা-পাইকগাছা সড়কে ধান বোঝাই ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত
- ‘দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই’
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !