E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

মিথুনের লেখা গান গাইলেন রাজীব

২০২৪ নভেম্বর ১০ ২৩:৩৯:৪১
মিথুনের লেখা গান গাইলেন রাজীব

বিনোদন ডেস্ক : ক্লোজআপ তারকাখ্যাত জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মিজান মাহমুদ রাজীব। তিনি সম্প্রতি গীতিকার, লেখক ও সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিথুনের লেখা একটি গান গেয়েছেন। ‘তোমার হাতে রেখে আমার এ হাত’ কথার আধুনিক গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন অশোক কুমার সরকার। গানটি বাংলাদেশ বেতারের স্টুডিওতে রেকর্ডিং হয়েছে।

গানটি সম্পর্কে শিল্পী মিজান মাহমুদ রাজীব বলেন, ‘মিজানুর রহমান মিথুনের লেখা গানে আমি এই প্রথম কণ্ঠ দিয়েছি। গানটির কথা আমার কাছে ভালো লেগেছে। সেইসঙ্গে অশোক দার সুর- সব মিলিয়ে এ রোমান্টিক ঘরানার গানটি গাওয়ার পেছনে অসাধারণ ভালোলাগা কাজ করেছে। আমি মিথুন ভাইয়ের লেখা আরও গান গাইতে চাই। শুধু রোমান্টিক গান নয়, তার লেখা দেশের গানসহ বিভিন্ন ধরনের গান গাওয়ার ইচ্ছে আছে। কারণ আমি সব ধরনের গান গাইতে পছন্দ করি’।

বাংলাদেশ বেতারের উপ-আঞ্চলিক পরিচালক (সংগীত বিভাগ) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মিজানুর রহমান মিথুনের লেখা গান এর আগেও আমাদের বেতারে প্রচার হয়েছে। এবারের গানটির কথাও সুন্দর। সেই সঙ্গে অশোক কুমার সরকার শ্রুতিমধুর সুর করেছেন। এই সময়ের খ্যাতিমান শিল্পী রাজীব গানটি দারুণ গেয়েছেন। বেতারের স্টুডিওতে নতুন সংযোজিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে গানটি আমরা ধারণ করেছি। এটি শিগগিরই প্রচার হবে। আশা করছি গানটি জনপ্রিয়তা পাবে।’

সুরকার অশোক কুমার সরকার বলেন, ‘শিল্পী রাজীবের গায়কীর কথা মাথায় রেখে আমি গানের সুর করেছি। অসাধারণ কথার গানটি সবার মন ছুঁয়ে যাবে।’

মিজানুর রহমান মিথুন বলেন, ‘গানটি রেকর্ডিংয়ের নেপথ্যে বেতারের কর্মকর্তা শ্রদ্ধেয় মো. মোস্তাফিজুর রহমান ভাইয়ের কৃতিত্ব সবচেয়ে বেশি। তিনি আমার এ গানটির কথা পছন্দ করে রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন এ জন্য তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। অশোক কুমার সরকারের সুরে ও রাজীবের কণ্ঠের এ গানটি সবার ভালো লাগবে’।

মিজানুর রহমান মিথুন ১৯৯৮ উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতারের জাতীয় কবিতা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। এরপর থেকেই মূলত লেখালেখির শুরু। বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রশিক্ষণ কোর্স ২০১০ সালে তৃতীয় ব্যাচে লেখালেখি প্রশিক্ষণের সুযোগ লাভ করেছিলেন। ২০০৯ সালে বাংলা একাডেমির সর্র্বকনিষ্ঠ সদস্যপদ লাভ করেছেন। ২০২৩ সালে বাংলা একাডেমির জীবনসদস্য মনোনীত হয়েছেন। ২০১১ সালে বাংলা একাডেমির লোকজ সংস্কৃতির সংগ্রাহক নির্বাচিত হয়েছেন। মিজানুর রহমান মিথুন নিয়মিত গানও লিখছেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের একজন তালিকাভুক্ত গীতিকার।

একুশের বইমেলায় ২০১০ সালে ‘ছোটদেরমেলা সেরা বই’ পুরস্কার লাভ করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের গ্রন্থাগার অধিদপ্তর থেকে ২০১৫ সালে রচনা লেখার জন্য জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হন। ‘ক্লাস পালানো ছেলে’ বইয়ের জন্য ‘এসবিএসপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ছায়েদুল ইসলাম গ্রন্থ স্মারক-২০২১’ লাভ করেন। ২০২৩ সালে পরিবেশ বিষয়ক স্লোগান লিখে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে পুরস্কার লাভ করেন।

মিজানুর রহমান মিথুন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত ‘সাপ্লিমেন্টারি লার্নিং ম্যাটেরিয়াল’ গল্প লেখক নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তার লেখা ‘নতুন সপ্তাশ্চার্য’ বইটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যভুক্ত হয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এবং সাময়ীকীগুলোতে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত লিখছেন। লেখালেখির স্বীকৃতি হিসেবে মিজানুর রহমান মিথুন ‘আন্তজনপদ গুণীজন স্বীকৃতি ও সংবর্ধনা’ লাভ করেছেন।

মিজানুর রহমান মিথুনের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ‘নতুন সপ্তাশ্চার্য’, ‘যুগে যুগে সপ্তাশ্চার্য’, ‘যে ভ‚তটা বই পড়তে এসেছিলো’, ‘ফার্স্ট গার্ল সেকেন্ড বয়’, ‘ফুল বালিকা’, ‘ট্যালেন্টপুল টমি’, ‘মিষ্টি মেয়ে টুকটুকি’, ‘বৃষ্টির সাথে দেখা’, ‘ক্লাসের বাইরে একদল দুষ্টু’, ‘মেঘলা আকাশ’, ‘আমাদের পতাকা’, ‘ব্যাক বেঞ্চার’, ‘স্কুলের সাহসী ছেলেটি’, ‘ক্লাস পালানো ছেলে’, ‘টুটুল স্যারের টিউশনি’ ।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ১০, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১১ ডিসেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test