ঘর ভাঙলো হৃদয়-সুজানার

বিনোদন ডেস্ক : বিয়ের মাত্র নয় মাসের মাথায় ভেঙে গেল গায়ক ও সংগীত পরিচালক হৃদয় খানের দ্বিতীয় সংসার। মডেল ও অভিনেত্রী সুজানার সঙ্গে সাড়ে তিন বছর প্রেম করার পর গত বছরের ১ আগস্ট তাঁকে বিয়ে করেন হৃদয় খান।

মাস তিনেক যেতে না যেতেই তাঁদের দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েন শুরু হয়। একটা পর্যায়ে তা চরম আকার ধারণ করে। বনিবনা না হওয়ায় মাস চারেক ধরে আলাদা থাকার পর গতকাল সোমবার তালাকনামায় স্বাক্ষর করেন হৃদয় খান ও সুজানা।

বিচ্ছেদ নিয়ে সুজানা মুখ খুললেও সংবাদমাধ্যম এড়িয়ে গেছেন হৃদয়। এমনকি সুজানা ও তাঁর পরিবারকেও এ বিষয়ে মুখ খুলতে বারণ করেন হৃদয়। অবশেষে বিচ্ছেদ নিয়ে ঠিকই মুখ খুললেন হৃদয়। তবে তা কোনো সংবাদমাধ্যম কিংবা টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে নয়। হৃদয় খান তাঁর বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছেন নিজের ফেসবুক ফ্যান পেজে। রাত এগারোটার পর এক ভিডিওবার্তার মাধ্যমে বিচ্ছেদের খবর নিশ্চিত করেন হৃদয়।

হৃদয় তাঁর ভিডিওবার্তায় বলেন, ‘হ্যালো ফ্রেন্ডস, আপনাদের সবার উদ্দেশে আমার একটা কথা আমি বলতে চাই। আপনারা সবাই জানেন আমি প্রচণ্ড পরিমাণে ভালোবেসে সুজানাকে বিয়ে করেছি গত বছর পয়লা আগস্টে। কিন্তু আজ থেকে, আজ ৬ এপ্রিল থেকে আমাদের আর সংসার করা হচ্ছে না এবং আমাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের কারণে আসলে সংসারটা আর হচ্ছে না। আমরা দুজনেই মিউচুয়ালি সেপারেশনে যাচ্ছি। আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই। ধন্যবাদ।’

এদিকে ভালোবাসার কথাটায় পুরোপুরি দ্বিমত পোষণ করেছেন সুজানা। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘হৃদয় তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে, ফ্যান পেজে, পত্রিকা ও টেলিভিশনে দেওয়া বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে আমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসে বলে দাবি করেছে। কিন্তু তার কথা আর কাজের সঙ্গে আমি ও আমার পরিবার কোনো ধরনের মিল খুঁজে পাইনি। এটা আমার সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না।’

২০১০ সালের শুরুর দিকে পূর্ণিমা আকতার নামের একটি মেয়েকে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন হৃদয় খান। ছয় মাসের মাথায় হৃদয় খানের সেই সংসার ভেঙে যায়। তার আগে সাত বছর প্রেম করেন নওরীন নামের আরেকজন মেয়ের সঙ্গে।

ঘর ভাঙলো হৃদয়-সুজানার

(ওএস/এএস/এপ্রিল ০৭, ২০১৫)