E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

খালেদার দুই আপিলের শুনানি অবকাশের পর

২০১৪ জুলাই ২৪ ১০:৪৯:১৮
খালেদার দুই আপিলের শুনানি অবকাশের পর

স্টাফ রিপোর্টার : খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনকারী বিচারক বাসুদেব রায়ের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আপিলের শুনানি সুপ্রিম কোর্টের অবকাশের পর অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর এ শুনানি হওয়ার কথা।

ঢাকা বিশেষ জজ আদালতে বিচারক বাসুদেব রায়ের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করলে গত ১৯ জুন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের একক বেঞ্চ তৃতীয় বেঞ্চ হিসেবে তা খারিজ করে দিয়ে আদেশ দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া।

দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ফান্ড মামলায় এ বিচারক খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

হাইকোর্ট থেকে এ দুই মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি না পাওয়ায় খালেদার পক্ষে আইনজীবীরা সময় প্রার্থনা করলে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালত বলেন, ‘অবকাশের পর নতুন করে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে এ মামলার উপর শুনানি হবে।

আদালতে বৃহস্পতিবার খালেদার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। এ ছাড়া ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মাহবুব উদ্দিন খোকন, জয়নুল আবেদীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে খালেদার আইনজীবীরা জানান, লিভ টু আপিল করার জন্য মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রয়োজন। কিন্তু হাইকোর্ট থেকে দেওয়া রায়ের কপি এখনো না পাওয়ায় আমরা সময় আবেদন করি। এর প্রেক্ষিতে আদালত সময় মঞ্জুর করে অবকাশের পর অর্থাৎ ৩১ আগস্ট বা তার পরে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত বিচারকের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের ওপর ২১ জুলাই তারিখ ধার্য করেছিল আপিল বিভাগ। ওই দিন পরবর্তী শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য ছিল।

এর আগে গত ৭ জুলাই খালেদার পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এ আপিল দায়ের করেন।

গত ২৩ এপ্রিল বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন।

এদিকে ঢাকা বিশেষ জজ আদালতে বিচারক বাসুদেব রায়ের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করলে গত ১৯ জুন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের একক বেঞ্চ তৃতীয় বেঞ্চ হিসেবে তা খারিজ করে দিয়ে আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৫ মে খালেদা জিয়ার এ রিট আবেদনের বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ।

জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফারাহ্ মাহবুব বিচারিক আদালতে মামলা দু’টির কার্যক্রমের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন ও পাশাপাশি রুল জারি করেন। রুলে মামলা দু’টির অভিযোগ গঠনকারী বিচারক বাসু দেব রায়ের নিয়োগকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।

অপরদিকে কনিষ্ঠ বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ খালেদা জিয়ার রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন। দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেয়ায় প্রধান বিচারপতি তৃতীয় বেঞ্চ হিসেবে কাজী রেজা উল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্ধারণ করেন রিট দুটির নিষ্পত্তি করতে।

গত ১২ মে খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান এ রিট আবেদন দায়ের করেন। রিট বিবেচনাধীন থাকা পর্যন্ত মামলা দু’টির বিচারিক কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশও চাওয়া হয়।
গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ফান্ড মামলায় অভিযোগ গঠন করে ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক বাসুদেব রায়।

(ওএস/এইচআর/জুলাই ২৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test