আইভীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্ত কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।

সেলিনা হায়াৎ আইভী সোমবার সকাল দশটায় সচিবালয়ে আসেন, পৌনে ১১টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।

এর আগে রবিবার সকালে কমিটির সদস্য সচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন সচিবালয়ে মেয়র আইভীকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সচিবালয়ে কমিটির আহ্বায়ক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান আলী মোল্লার কক্ষে সোমবার সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জের মেয়র আইভীকে ও মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সেলিনা হায়াৎ আইভী এ বিষয়ে বলেন, কমিটির পক্ষ থেকে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে। আমি সোমবার সচিবালয়ে কথা বলার জন্য বলেছি।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, কমিটি এ পর্যন্ত ৩৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

ভারতে গিয়ে নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য সচিব বলেন, এটি এখনও চিন্তা-ভাবনার পর্যায়ে আছে। তবে বেশি দেরি হলে আমাদের যাওয়া সম্ভব হবে না।

কয়েক দফা অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের পর ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতের কাছে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা থাকলেও কমিটি এ সময়ের আগেই প্রতিবেদন দাখিল করবে বলেও জানান মহিউদ্দীন।

চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের মৃতদেহ পাওয়া যায়।

এর পর আদালতের নির্দেশে ৬ মে অভিযোগ তদন্তে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এ অপহরণ ও হত্যার জন্য র‌্যাবকে দায়ী করে নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম অভিযোগ তোলেন, কাউন্সিলর নূর হোসেন অর্থ দিয়ে র‌্যাবের মাধ্যমে তার জামাতাকে হত্যা করিয়েছে।

এর পর র‌্যাব- ১১ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল সাঈদ তারেক, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানাকে র‌্যাব থেকে সরিয়ে নিজ বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

আদালতের নির্দেশে চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই সাত খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

অপরদিকে এ খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তি নূর হোসেনকে ১৪ জুন কলকাতা বিমানবন্দরসংলগ্ন কৈখালী এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয়।

(ওএস/এইচআর/আগস্ট ১১, ২০১৪)