E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কারা ডিআইজি বজলুরের সম্পতি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ

২০২০ সেপ্টেম্বর ২২ ১৩:৩৯:৫৭
কারা ডিআইজি বজলুরের সম্পতি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার : অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় কারা অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদের স্থাবর সম্পতি ক্রোক ও দুইটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তার জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ নির্দেশ দেন।

আজ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। বজলুরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে শুনানি করেন। অপরদিকে তার আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছাতে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ২২ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানির দিন ধার্য করেন।

দুদকের আইনজীবী তার স্থাবর সম্পতি ক্রোক ও দুইটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আবেদন করলে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। এছাড়া বজলুর আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দেন আদালত।

এর আগে ২৬ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে বজলুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন ।

২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকাল ১০টায় বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পর বজলুরকে গ্রেফতার করা হয়।

দুদকের কাছে অভিযোগ ছিল, ঘুষের কোটি কোটি টাকা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসত বজলুর রশীদের কাছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাঠানো এসব টাকা তুলেছেন তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহার। জিজ্ঞাসাবাদে বজলুর সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় মামলা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ কারাগারের একজন কর্মকর্তার স্ত্রীর কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা নেন রাজ্জাকুন নাহার। ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের সমমর্যাদার আরেক কর্মকর্তার স্ত্রীর কাছ থেকে দুই দফায় নিয়েছেন ৬ লাখ টাকা। এছাড়া ঢাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা একজন কারারক্ষীর কাছ থেকে নিয়োগ-বাণিজ্যের ৫৮ লাখ টাকা নিয়েছেন বজলুর রশীদ নিজেই। আরেক কারারক্ষীর কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ৩৮ লাখ টাকা।

অভিযোগ রয়েছে, কারা সদর দফতরে ডিআইজি পদে থাকায় বজলুর রশীদ সারাদেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে চাঁদার নামে নির্ধারিত রেটে ঘুষ নিতেন। এই টাকা যেত কুমিল্লার তৌহিদ নামের এক ব্যক্তির কাছে। তিনি তা পাঠাতেন বজলুর রশীদের স্ত্রীর কাছে। কুমিল্লা থেকে তৌহিদ হোসেন মিঠুর পাঠানো টাকা এসএ পরিবহনের কাকরাইলের প্রধান অফিস থেকে শুধু মোবাইলে মালিকানা নিশ্চিত করে তুলে নেয়া হয়।

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে একটি জাতীয় দৈনিক তার দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে উঠে আসা ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বজলুর রশীদ বলেছিলেন, ‘আমি দুটি দুর্নীতি মামলার তদন্ত করেছি। যারা এই দুই দুর্নীতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারাই এই নিউজ করিয়েছে। সবকিছু বানোয়াট।’

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test