স্ত্রী হত্যার মামলায় খালাস পেলেন কালীগঞ্জের আব্দুল আউয়াল

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের কালীগঞ্জে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে শ্বশুরের দায়ের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খালাস পেয়েছেন আব্দুল আউয়াল খান।

বুধবার (১৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে এই রায় দেন।

আদালতে আজ আসামিরপক্ষের শুনানি করেন রাষ্ট্রীয় খরচে নিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, আপিল বিভাগ আজ আমাদের আপিল গ্রহণ করে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ থেকে স্বামী আউয়াল খানকে খালাস দিয়েছেন। হত্যার ঘটনায় কোনো প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিল না। স্বামীর কোনো স্বীকারোক্তি ছিল না। তাছাড়া ঘটনার দিন স্বামী বাসায় ছিলেন না। তিনি ব্যবসার কাজে বাজারে ছিলেন। রাতে এসে দেখেন তার স্ত্রী খুন হয়েছেন। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোর ৪টার দিকে আউয়ালের স্ত্রী নার্গিস খুন হন। এ ঘটনায় নার্গিসের বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে ওই দিনই গাজীপুরে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ স্বামী আউয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নেয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়। কিন্তু রিমান্ডে তার স্বীকারোক্তি ছিল না। পরে তাকে জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এ মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০০৮ সালের ২০ আগস্ট গাজীপুর অতিরিক্ত দায়রা আদালত তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিতে রায় ঘোষণা করেন। এরপর মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। সঙ্গে আসামিও আপিল দায়ের করেন।

হাইকোর্ট ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। পরে আপিল বিভাগে জেল আপিল দায়ের হয় এবং আসামি নিয়মিত আপিল দায়ের করেন। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ আজ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে তাকে খালাস দিয়ে রায় দেন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৪, ২০২১)