E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আবারও শাহজাহানের হাতে ফাঁসির দড়ি

২০১৫ এপ্রিল ০৭ ১৯:৩৯:২৮
আবারও শাহজাহানের হাতে ফাঁসির দড়ি

স্টাফ রিপোর্টার : রাষ্ট্রপতি ক্ষমা না করলে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসিতে ঝুলতেই হবে জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন কি না সেটা এখনও জানাননি তার আইনজীবীরা। এই অবস্থায় দাপ্তরিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ হলে কামারুজ্জামানের ফাঁসি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ফাঁসি কার্যকর করবে কে? জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করেছিলেন আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া। সম্প্রতি তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নেয়া হয় কাশিমপুর কারাগারে। এ কারণে ধারণা করা হয়েছিলো হয়তো অন্য কেউ কার্যকর করবে একাত্তরের আলবদর নেতার ফাঁসি। কিন্তু আপিল বিভাগ কামারুজ্জামানের রায় পর্যালোচনার আবেদন নাকচ করার পর তাকে আবারও নিয়ে আসা হয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সঙ্গে আছেন তার আরও চার সহযোগী। এখনও নিশ্চিত না হলেও তাই কারা কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, কাদের মোল্লার মতো শাহজাহানের হাতেই উঠবে কামারুজ্জামানের ফাঁসির দড়ি।

কারাগার সূত্র জানায়, সরকারি নির্দেশ আসার পর কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরে যেন দেরি না হয় সে জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে এনেছে কর্তৃপক্ষ। ফাঁসির মঞ্চের উপর সামিয়ানা সাঁটানো হয়েছে। ম্যানোলা রশিও আনা হয়েছে। ফাঁসি কার্যকরের পর মরদেহ নিতে কফিনও তৈরি আছে।

শাহাজাহানের নেতৃত্বে ৫ জল্লাদ

একজন ফাঁসির দড়িতে টান দিলেও আসামিকে নিয়ে আসাসহ নানা কাজে লাগে আরও বেশ কয়েকজনকে। তাই শাহজাহান যদি এবারও ফাঁসি কার্যকর করেন তার পরও আরও ৪ সহযোগীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন, জনি ও করিম। কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরেও ছিলেন জনি।

জানতে চাইলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেসার আলম বলেন, আমরা আমাদের কার্যক্রম এগিয়ে রাখছি। আদালতের আদেশ ও সরকারি উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত পেলেই ব্যবস্থা নেবো। তবে এখন পর্যন্ত আদালতের কোনো আদেশ পাওয়া যায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রীতি অনুযায়ী, কুখ্যাত অপরাধীদের নিয়ে কার্যকর করা হয় ফাঁসি। কারাবিধি অনুযায়ী ফাঁসি কার্যকর করলে ২ মাস চার দিনের কারাদণ্ড কমে। প্রায় ৫০টি দণ্ড কার্যকর করে শাহজাহান এরই মধ্যে হাত পাকিয়েছেন।

খুনের মামলায় এরই মধ্যে ৩৬ বছর ধরে কারাগারে আছেন শাহজাহান। এখন পর্যন্ত কাদের মোল্লাসহ ৪৬ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন তিনি। এদের মধ্যে এদের মধ্যে আছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি বজলুল হুদা, মুহিউদ্দনি, সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও ল্যান্সার মহিউদ্দনি আহমেদ, কুখ্যাত জঙ্গি নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, আতাউর রহমান সানী, আবদুল আউয়াল, খালদে সাইফুল্লাহ ও ইফতখোর মামুনের মতো আসামি।

নানা সন্ত্রাসের ঘটনায় ১৯৭৯ সালে আটক হওয়ার আগে ও পরে ৩৬ টি মামলা আছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে আছে ৩৪টি খুনের মামলা। ১৯৯৫ সালে ১৪৩ বছররে কারাদণ্ড হয় তার। পরে উচ্চ আদালত সাজা কমিয়ে ৪৩ বছর করে। ২০৩৫ সালে তার মুক্তি পাওয়ার কথা।

(ওএস/এটিআর/এপ্রিল ০৭, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test