E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নারায়ণগঞ্জে ৭ খুন মামলার পরবর্তী শুনানি ৮ জুন

২০১৫ মে ১১ ১১:৫৮:৪৮
নারায়ণগঞ্জে ৭ খুন মামলার পরবর্তী শুনানি ৮ জুন

নারায়ণগঞ্জে প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ৭ খুন মামলার পরবর্তী শুনানি ৮ জুন ধার্য করা হয়েছে। সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম শফিকুল ইসলামের আদালতে শুনানি শেষে আগামী ৮ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়। সেদিন চার্জশিটের ব্যাপারে আদেশ দেয়া হবে।

সাত খুন মামলায় আদালতে দেয়া দুটি মামলার চার্জশিটের মধ্যে এক মামলার বাদী সোমবার নারাজি দেন। সাত খুনের ঘটনায় নিহত সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ওই নারাজি প্রদান করেন। তবে শুনানির সময়ে অপর মামলার বাদী উপস্থিত না হলেও তিনি চার্জশিটের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে সোমবার শুনানিতে অভিযুক্ত ৩৫ আসামির মধ্যে ৩০ জনকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। চার্জশিটের বিরুদ্ধে আদালতপাড়ায় বিউটি সমর্থকরা মানববন্ধন করেন। আসামিদের নিয়ে যাওয়ার সময়ে গাড়ি লক্ষ্য করে জুতাও নিক্ষেপ করেন তারা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিউটির মামলার আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, ত্রুটিপূর্ণ চার্জশিট ও এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে অব্যাহতি দেয়ায় না রাজি দেয়া হয়েছে।

সাত খুনের ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৫ জনকে অপহরণ শেষে হত্যার ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে অ্যাডভোকেট চন্দন সরকার ও গাড়ি চালক ইব্রাহিমকে অপহরণ ও হত্যা মামলার বাদী ছিলেন চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। এ মামলায় আসামি অজ্ঞাত করা হয়েছিল। তবে চার্জশিটের ব্যাপারে কোন ধরনের আপত্তি নেই চন্দন সরকার পরিবারের।

গত ৮ এপ্রিল বুধবার আদালতে দায়ের করা চার্জশিটে ভারতের কলকাতায় গ্রেফতার হওয়া সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ র্যাবের চাকুরিচ্যুত তিনজন আলোচিত কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বিউটির মামলার এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে। অভিযুক্তদের মধ্যে নূর হোসেন ভারতে গ্রেফতার হলেও তাকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং পহেলা মে সকালে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

(ওএস/পিবি/মে ১১,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test